ইনসাইড পলিটিক্স

দুই দলের শক্তি পরীক্ষা শুক্রবার


Thumbnail দুই দলের শক্তি পরীক্ষা শুক্রবার।

আজ বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) রাজধানীতে বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের তিনটি ভাতৃপ্রতীম সংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের মহাসমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। এছাড়াও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সমাবেশও অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এই নিয়ে গত ক’দিন থেকেই বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিরতা, টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। কেউ কেউ মনে করছেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রধান দুই দল, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভাতৃপ্রতীম তিন সংগঠন এবং বিএনপির এই সমাবেশ রাজধানীতে একটি সহিংস পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে। বিএনপির আবেদন নয়াপল্টনে সমাবেশ করার অনুমতি এবং আওয়ামী লীগের তিন সংগঠনের আবেদন বায়তুল মোকাররম গেটে সমাবেশের অনুমতি। কাছাকাছি এই দুই স্থানে প্রধান এই দুই দলের সমাবেশের কারণে রাজধানীতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও বিঘ্নিত হতে পারে বলে মনে করেছেন অনেকে। 

এছাড়াও নয়াপল্টন এবং বায়তুল মোকারমের মতো স্থানে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হলে- এসব অঞ্চলে আশেপাশের এলাকার মানুষের ভোগান্তি বাড়তে পারে, সৃষ্টি হতে পারে অসহনীয় যানজট। এসব নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করে শেষ পর্যন্ত প্রধান দুই দলের কাউকেই তাদের প্রত্যাশিত স্থানে সমাবেশের অনুমতি দেয়নি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। পরে দুটি দলই মহাসমাবেশ একদিন পিছিয়ে শুক্রবার নির্ধারণ করেছে।  

সূত্র জানায়, ঢাকার নয়াপল্টন বা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বদলে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের কাছের গোলাপবাগ মাঠে বিএনপিকে সমাবেশের পরামর্শ দেয় পুলিশ। বিএনপি সেই অনুমতির প্রেক্ষিতেই বৃহস্পতিবার গোলাপবাগ মাঠে এই সমাবেশ করতে অস্বীকৃতি জানায়। পরবর্তীতে শুক্রবার ছুটির দিনে নয়াপল্টন বা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার ঘোষণা দেয় দলটি। তারা সমাবেশ থেকে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবি মানার জন্য বর্তমান সরকারকে একটা সময়সীমা বেঁধে দিতে পারে বলে সূত্র জানিয়েছে। এ বিষয়ে বুধবার (২৬ জুলাই) বিকেল পৌনে চারটার দিকে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ‘জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করে আমরা বিএনপিকে গোলাপবাগে সমাবেশ করার পরামর্শ দিয়েছি।’

তবে পুলিশের পরামর্শে গোলাপবাগ মাঠে মহাসমাবেশ করবে না বলে জানায় বিএনপি। তারা নয়াপল্টনে বিএনপি অফিসের সামনে কিংবা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে চায়। প্রয়োজনে বিএনপি শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন সমাবেশ করতে রাজি আছে। মহাসমাবেশের স্থান নিয়ে জটিলতা তৈরি হওয়ায় আজ বুধবার বিকেলে বিএনপির স্থায়ী কমিটি বসে এই সিদ্ধান্ত নেয়। বুধবার (২৬ জুলাই) রাত সোয়া ৮ দিকে বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী বলেন, ‘আমাদের দলের স্থায়ী কমিটির মিটিং চলছে। মিটিং পরে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হবে।’ মিটিংয়ের পর বুধবার (২৬ জুলাই) রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে শুক্রবার সমাবেশ করার সিদ্ধান্তের কথা জানান দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

অন্যদিকে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) শান্তি সমাবেশ করার অনুমতি পায়নি আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম তিন সহযোগী সংগঠন যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ। সে জন্য তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেসিয়াম মাঠে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে আবেদন করে। স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে শান্তি সমাবেশের অনুমিত দেয়নি ডিএমপি। এজন্য আমরা বিকল্প হিসেবে জিমনেসিয়াম মাঠে সমাবেশ করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছি।’

বুধবার (২৬ জুলাই) রাতে ধানমন্ডি ৩/এ বৈঠক থেকে জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সমাবেশের অনুমতি দেয়নি। ফলে পুরাতন বাণিজ্যমেলার মাঠে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরে সেই স্থান পরিদর্শনে যায় প্রতিনিধি দল। যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান খান নিখিল জানান, তারা মাঠ পরিদর্শনে যাচ্ছেন। পছন্দ হলে গণমাধ্যমকে জানাবেন। পরে তিনি জানান, আগারগাঁওয়ে পুরাতন বাণিজ্যমেলার মাঠে শুক্রবার এই মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।  

নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রতিবারই জাতীয় নির্বাচন আসলে নাশকতা, আগুন সন্ত্রাস, তাণ্ডব, রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডসহ বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টির পাঁয়তারা চলে। সার্বিক পরিস্থিতি বিচার-বিশ্লেষণ করেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এসব মোকাবিলা করতে হবে। আবার সভা-সমাবেশ করা যেহেতু রাজনৈতিক দলের অধিকার, তাই তাদের অনুমতি দিতে হবে। অনুমতি দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার গুরু দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে এমনটা বিবেচনায় নিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। 

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৬ জুলাই) ডিএমপি সূত্র জানায়, জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিকে নয়া পল্টনের পরিবর্তে রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশ করার জন্য লিখিতভাবে জানিয়েছে ডিএমপি। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ, সেচ্ছাসেবকলীগ ও ছাত্রলীগকে বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেটের পরিবর্তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেসিয়াম মাঠ বা মহানগর নাট্যমঞ্চে সমাবেশ করার কথা বলেছে ডিএমপি। আর বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে আবেদন করা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশকে অনুমতি দেয়নি ডিএমপি। তাদের অন্য কোনো দিন সমাবেশ করার জন্য বলা হয়েছে। তবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ডিএমপির সিদ্ধান্ত মেনে নেয়নি। দলটি পুরানা পল্টনের নোয়াখালী টাওয়ারের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে। অন্যদিকে যুবলীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিএনপি যদি সমাবেশ নয়া পল্টনের পরিবর্তে গোলাপবাগ মাঠে সরিয়ে নেয় সেক্ষেত্রে যুবলীগও সমাবেশ সরিয়ে নেবে।

ডিএমপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কোনো অবস্থাতেই নয়া পল্টনে বিএনপিকে সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না। এমনকি যুবলীগকেও বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না। দুই দলকেই ভিন্ন ভেন্যুর জন্য বলা হয়েছে। ডিএমপির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সমাবেশের এসব বিষয় নিয়ে দিনভর নানা বৈঠক করা হচ্ছে। দফায় দফায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যা যা করা দরকার তাই করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। নগরবাসীর নিরাপত্তা ও জনভোগান্তি এড়াতে ডিএমপির পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

ডিএমপির একাধিক গোয়েন্দা ও ক্রাইম বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার মূল নজর থাকবে তিনটি রাজনৈতিক দলের সমাবেশে। দল তিনটি হলো- বিএনপি, যুবলীগ ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। অন্তত ৩০ হাজার পুলিশ সদস্য কাল একযোগে বিভিন্ন স্থানে মোতায়েন থাকবেন। বিশৃঙ্খলা ও নাশকতার ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সার্ভিলেন্স বাড়ানো হয়েছে। সাদা পোশাকে মোতায়েন থাকবেন বিভিন্ন গোয়েন্দা বাহিনী ও সংস্থার সদস্যরা। প্রস্তুত রাখা হবে বিশৃঙ্খলা মোকাবিলায় ব্যবহৃত ডিএমপির জলকামান, সাঁজোয়া যান, র‌্যাকার গাড়ি। চেক পোস্টগুলোয় সক্রিয় তল্লাশি ও নজরদারি থাকবে। যানজট তৈরি হবেই, তা ধরে নিয়ে বিকল্প রুটগুলো সচল রাখার আগাম প্রস্তুতি রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নির্বাচনের ঠিক পাঁচ মাস আগে রাজধানীতে একাধিক দল একযোগে সমাবেশ কর্মসূচি ডাকায় নাশকতা ও বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা করছে ডিএমপি। যারা নাশকতার চেষ্টা বা বিশৃঙ্খলা করবে তাদের খুঁজে বের করে কঠোরভাবে আইনের আওতায় নিয়ে আসার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। তিনি বলেন, আমাদের প্রস্তুতি আছে। পর্যাপ্ত সংখ্যক জনবল থাকবে। যারা নাশকতার চেষ্টা বা বিশৃঙ্খলা করবে তাদের খুঁজে বের করে কঠোরভাবে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের পাল্টাপাল্টি সমাবেশের কারণে বেশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সমাবেশগুলোকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা ও নাশকতার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রাজধানীজুড়ে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা রয়েছে। সাদা পোশাকে বিপুল সংখ্যক গোয়েন্দা ছাড়াও র‌্যাব সদস্যরাও মাঠে রয়েছেন বলে জানা গেছে।

তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজনৈতিক বিশ্লেষক প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ বাংলা ইনসাইডারকে গতকাল বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) বলেছেন, মার্কিন ভিসা নীতি কতটা কার্যকর- তার প্রমাণ আমরা পেয়েছি কম্বোডিয়ার নির্বাচনের মাধ্যমে। কম্বোডিয়ার নির্বাচনের দিন দু’একের মাথায় দেশটির নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করে বসলেন। সেই অুনমান বা অনুসিদ্ধান্ত ধরে আমরা যদি ২৭ জুলাই, পরস্পর বিরোদী দুই দলেরর যে, সমাবেশের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে- তা অহিংস থাকবে এমনটাই প্রত্যাশা করা যায়। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ তার মিত্র দেশগুলোর প্রত্যাশা, যারাই নির্বাচনে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে, তাদের ভিসা নীতির আওতায় পড়ে যেতে হবে। সেজন্য এই ভিসা নীতি সকল পক্ষের জন্য সহিংসতা ঠেকাতে একটি প্রতিবন্ধকতা হিসেবে কাজ করবে। আমার অনুমান শান্তিপূর্ণ সমাবেশের মধ্য দিয়ে এই রাজনৈতিক সমাবেশ- তার পরিণতি পাবে।


দুই দল   সমাবেশ   শক্তি পরীক্ষা   আওয়ামী লীগ   বিএনপি   শুক্রবার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নির্বাচন পর্যন্ত আওয়ামী লীগকে ছাড় দেবে বিএনপি?

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ০১ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

তাহলে কি আওয়ামী লীগ-বিএনপির মধ্যে সমঝোতা হয়েই গেল! নির্বাচন পর্যন্ত বিএনপি এরকম ঢিমেতালে আন্দোলন করবে এবং এই আন্দোলনের ফাঁক দিয়ে সরকার আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন করবে। নির্বাচনের পর রাজনৈতিক সমঝোতা এবং রাজনৈতিক ঐক্যের ডাক দিতে পারে আওয়ামী লীগ এবং তখন বিএনপির নেতাদের সঙ্গেও আলাপ আলোচনা এবং বৈঠক হতে পারে। বৈঠকের ভিত্তিতেই শেষ পর্যন্ত একটি রাজনৈতিক সমঝোতায় উপনীত হতে পারে দেশ। এমন একটি সমঝোতার কথা এখন আকাশে বাতাসে শোনা যাচ্ছে৷ বিশেষ করে বিএনপির নেতা শাহজাহান ওমরের নৌকার প্রার্থী হওয়ার পর এই গুঞ্জন আরও পল্লবিত হয়েছে। যদিও বিএনপি নেতারা এ ধরনের সমঝোতার কথা অস্বীকার করেছেন। 

তারা বলছেন যে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে তাদের আন্দোলন অব্যাহত আছে এবং এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। বিশেষ করে এরকম নির্বাচনে যেন ভোটার উপস্থিতি উপস্থিত না থাকে সেজন্য ভোটারদের ঘরে ঘরে তারা যাবেন। কিন্তু বিএনপি যে থেমে থেমে অবরোধের কর্মসূচি ঘোষণা করছে বা হরতাল দিচ্ছে সেটি ইতোমধ্যেই অকার্যকর হয়ে গেছে। গত বৃহস্পতিবার ১২ ঘণ্টার হরতাল শেষে আজ এবং আগামীকাল দু দিনের বিরতি। রোববার থেকে আবার দেশে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধে ডেকেছে বিএনপি। কিন্তু সাধারণ মানুষ এই ধরনের অবরোধ মানছে না। বিক্ষিপ্ত ভাবে কিছু গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ছাড়া এই ধরনের অবরোধের কোন কার্যকারিতা নেই বললেই চলে। 

বিএনপির নেতাকর্মীদের প্রথম দিকে অবরোধে দেখা গেলেও আস্তে আস্তে বিএনপির নেতাদেরকে আর দেখা যাচ্ছে না। বরং তারা ঘরেই চুপচাপ বসে আছে। আগে একটা কথা বলা হত যে, বিএনপি নেতারা আত্মগোপনে আছেন, পলাতক আছেন। এই জন্য তারা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে পারছে না। কিন্তু এখন সেই ভয় কেটে গেছে। বিএনপি নেতাদেরকে এখন প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে, কিন্তু তারপরও তারা রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করছেন না। নামকাওয়াস্তে একটি কর্মসূচি দিয়ে তারা চুপচাপ ঘরে বসে আছেন। তার অর্থ কি এই যে, আওয়ামী লীগ নির্বাচন করে ফেলুক তারপর দেখা যাবে নাকি সরকারের সঙ্গে বিএনপির একটি সমঝোতায় এলো।

বিএনপির বিভিন্ন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে যে, তারা এখনও বিশ্বাস করে যে সরকার শেষ পর্যন্ত ৭ জানুয়ারি নির্বাচন করতে পারবে না। কিন্তু সরকার ইতোমধ্যে আশাবাদী উল্লসিত এবং তারা নির্বাচনে যে কৌশল তৈরি করেছে সেই কৌশলে এবার ২০১৪ বা ২০১৮ এর মতো নির্বাচন হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। বরং এবারের নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী একটা বড় ফ্যাক্টর হিসাবে দাঁড়াতে পারে। কারণ আওয়ামী লীগের শক্তিশালী স্বতন্ত্র প্রতিপক্ষ প্রায় সব আসনেই থাকছে। এর ফলে এই নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। কোথাও কোথাও সহিংস হয়ে উঠতে পারে। তাই এই নির্বাচনে ভোটারদেরকে দূরে সরিয়ে রাখার কৌশল পুরোপুরি ভাবে অকার্যকর হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। 

বিভিন্ন সূত্র বলছে, আন্তর্জাতিক মহল বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে নির্বাচনে কি হয় তারপর সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দিচ্ছে। বিএনপিও একই রকম কৌশল নিতে পারে বলে কেউ কেউ মনে করছেন। তারা মনে করছেন যে, বিএনপি আসলে আগে নির্বাচন দেখতে চায় এবং তারা মনে করছে যে, নির্বাচনের পরে পরিস্থিতি এমন হবে যে সরকার বিরোধী আন্দোলন তীব্র করার একটি সুবর্ণ সুযোগ তৈরি হবে। বিএনপি সেই সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছে।

নির্বাচন   আওয়ামী লীগ   বিএনপি   দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নিবন্ধিত হলেও নির্বাচনে যাচ্ছে না তারা

প্রকাশ: ০৩:২০ পিএম, ০১ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

দেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এতে অংশ নিতে যাচ্ছে ৩০টি রাজনৈতিক দল। যদিও নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৪৪টি। 

নিবন্ধিত যেসব দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না :

বিএনপি, এলডিপি, খেলাফত মজলিস, সিপিবি, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, ইসলামী আন্দোলন, জমিয়তে উলামায়ে বাংলাদেশ, ইনসানিয়াত বিপ্লব, জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলন বা এনডিএম, বাংলাদেশের জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-বাংলাদেশ জাসদ, জেএসডি (রব), বাসদ, বিজেপি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (হারিকেন), গণফোরাম এবং বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি- বাংলাদেশ ন্যাপ (গাভী)।

উল্লেখ্য, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল গত ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। তফসিল অনুযায়ী, ২০২৪ সালের সাত জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, মনোনয়ন বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর এবং নির্বাচনী প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির ৫ তারিখ পর্যন্ত চলবে।

রাজনীতি   নির্বাচন   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপির যেসব হেভিওয়েট নেতা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন

প্রকাশ: ০৩:১১ পিএম, ০১ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

বিএনপি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিলেও দলটির একাধিক হেভিওয়েট নেতা দল থেকে বের হয়ে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। কেবল বিএনপির পদে থাকা নেতারা নন, অতীতে বহিষ্কার, পদচ্যুত অথবা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করা নেতারাও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। এসব নেতা দল ছাড়লেও এতদিন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। এখন তারাই শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভোটকেন্দ্রিক রাজনৈতির ‘অমোঘ টান’ উপেক্ষা করতে পারেননি এসব হেভিওয়েট নেতা। তাই দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিদ্যমান সংবিধানের আলোকে নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। 

মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে এসে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর চমক দেখিয়েছেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দলটির সঙ্গে যুক্ত প্রবীণ এই নেতা শেষ জীবনে এসে রাজনীতিতে ইউটার্ন নিয়েছেন। ঝালকাঠি-১ আসনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন তিনি। নৌকার প্রার্থিতা জমা দেওয়ার আগে তিনি বিএনপির সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করেন। বিএনপিও তাকে বহিষ্কার করেছে। 

এ আসন থেকে ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর ১৯৭৯, ১৯৯১, ১৯৯৬ এবং ২০০১ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৩ সালের ৭ এপ্রিল থেকে ২০০৬ সালের ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত বিএনপি সরকারের আইন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

বিএনপি থেকে বহিষ্কার হওয়া ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ নির্বাচন করবেন কুমিল্লা-৫ আসন থেকে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে এই আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করেন মো. ইউনুস। সে বছর মনোনয়ন চেয়েও পাননি শওকত মাহমুদ।

বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী এই মুহূর্তে তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন। তিনি সিলেট-৫ আসনে নির্বাচন করবেন। আর তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা তৈমূর আলম খন্দকার নির্বাচন করবেন নারায়ণগঞ্জ-১ আসন থেকে।

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ একে একরামুজ্জামান স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। তার নির্বাচনি আসন ব্রহ্মণবাড়িয়া-১। নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পর তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বিএনপি থেকে বেরিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে দলটির নির্বাহী সদস্য শাহ মো. আবু জাফর। এ মুহূর্তে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। তার নির্বাচনি আসন ফরিদপুর-১।

এ আসন থেকে ১৯৭৯ সালে আওয়ামী লীগের, ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টির এবং ২০০৫ সালের উপনির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আবু জাফর। এবার তিনি নোঙর প্রতীকে লড়বেন।

বিএনপি থেকে ছিটকে পড়া বেশ কয়েকজন ‘হেভিওয়েট নেতা’ও এবারের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। এদের মধ্যে মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান (কিশোরগঞ্জ-২) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়বেন। এ আসনে ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।

গাজীপুর মহানগর বিএনপি নেতা ও বাসন থানা বিএনপির সহসভাপতি জব্বার সরকার, সাবেক ছাত্রনেতা ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি মোজাফফর আহমেদ ও জাতীয়তবাদী আইনজীবী ফোরামের সহসভাপতি আব্দুল কাদির তালুকদার তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী হয়েছেন।

দলে বড় কোনো পদ না থাকলেও বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত বগুড়ার রাজনীতিতে পরিচিত মুখ সাবেক চারবারের সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মোল্লা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। তার নির্বাচনি আসন বগুড়া-৪। এ আসন থেকে ১৯৯৪ (উপনির্বাচন), ১৯৯৬ (১৫ ফ্রেব্রুয়ারি), ১৯৯৬ (জুন) এবং ২০০১ সালে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এবার তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেন।

এ ছাড়া কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী সদস্য খন্দকার আহসান হাবিব (টাঙ্গাইল-৫) এবং দেলদুয়ার উপজেলা বিএনপির সদস্য খন্দকার ওয়াহিদ মুরাদ (টাঙ্গাইল-৬) স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

এ ছাড়া সরকার বাদল বগুড়া-৭ আসনে, দেলয়ার হোসেন খান দুল ময়মনসিংহ-৪ আসনে, ডা. আসমা শহীদ ফরিদপুর-২ আসনে, সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক নীলফামারী-৪ আসনে, মাওলানা মতিন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে, বিউটি বেগম বগুড়া-২ আসনে, ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম ঝালকাঠি-২ আসনে, শাহ শহীদ সারোয়ার ময়মনসিংহ-২ আসনে এবং মো. শুকরান বগুড়া-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

গাজীপুর- ১ আসনে জব্বার সরকার, ঠাকুরগাঁও- ২ আসনে মোজাফ্ফর আহমেদ এবং চাঁদপুর- ৪ থেকে আব্দুল কাদের তালুকদার পাটের আঁশ প্রতীকে লড়বেন।

এর বাইরেও আরও কয়েকজন বিএনপি নেতা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তবে দলে তাদের প্রভাব ও পদপদবি তেমন না থাকায় তারা আলোচনায় আসছেন না।

বিএনপি   দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

শাহ্ শহীদ সারোয়ারকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার

প্রকাশ: ০৩:০২ পিএম, ০১ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ্ শহীদ সারোয়ারকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বহিষ্কারাদেশে বলা হয়, ‘বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ্ শহীদ সারোয়ার দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে গুরুতর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন। সুতরাং বিএনপির গঠনতন্ত্র মোতাবেক শাহ্ শহীদ সারোয়ারকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’

উল্লেখ্য, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর-তারাকান্দা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়তে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন সাবেক এমপি ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ্ শহীদ সারোয়ার।

জানা যায়, শাহ্ শহীদ সারোয়ার বিএনপির দলীয় প্রতীক নিয়ে ২০০১ সালে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। এরপর ২০০৮ ও ২০১৮ সালেও দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেন। শাহ্ শহীদ সারোয়ার একসময় জাতীয় পার্টির (জাপা) রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন।  

শাহ্ শহীদ সারোয়ার   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নির্বাচনের ট্রেন চলছে, কেউ থামাতে পারবে না: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশ: ০২:১৫ পিএম, ০১ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনের ট্রেন চলছে। যত বাধাই দেওয়া হোক, কেউ এই ট্রেন থামাতে পারবে না। নির্বাচন হবে।

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের জানান, নির্বাচনে বিএনপির ১৫ জন কেন্দ্রীয় নেতা ও ৩০ জন সাবেক সংসদ নেতা অংশগ্রহণ করছে।

তিনি বলেন, জনগণের অংশগ্রহণে উৎসবমুখর যে নির্বাচন সেটাই সত্যিকারের নির্বাচন, জনগণের অংশগ্রহণে নির্বাচন হলো গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। কে নির্বাচনে আসলো, বা আসলো না সেটা বড় কথা না।

এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য শফিকুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাচন   ওবায়দুল কাদের   আওয়ামী লীগ   দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন