শনিবার
(২৩ সেপ্টেম্বর) দেশে ফিরবেন সড়ক পরিবহন
ও সেতু মন্ত্রী এবং
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সিঙ্গাপুরের
মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে আগামীকাল বিমান
বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি ০৫৮৫ ফ্লাইট
যোগে সন্ধ্যা ৬টায় তার ঢাকায় পৌঁছানোর
কথা রয়েছে।
সড়ক
পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের
সিনিয়র তথ্য অফিসার শেখ
ওয়ালিদ ফয়েজের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি
জানানো হয়।
এর আগে গত শনিবার
(১৬ সেপ্টেম্বর) চিকিৎসার উদ্দেশ্যে সিঙ্গাপুর যান তিনি।
উল্লেখ্য,
২০১৯ সালের ২ মার্চ শ্বাসকষ্ট
শুরু হলে বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন আওয়ামী লীগ
সাধারণ সম্পাদক। সেখানে দ্রুত এনজিওগ্রাম করার পর তার
হৃদপিণ্ডের রক্তনালিতে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে।
বিশ্বখ্যাত ভারতীয় হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. দেবী শেঠী
ঢাকায় এসে তাকে দেখার
পর সিঙ্গাপুরে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
৪ মার্চ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ওবায়দুল
কাদেরকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে নেয়া হয়। ২০
মার্চ ওই হাসপাতালে তার
বাইপাস সার্জারি হয়। সিঙ্গাপুর থেকে
চিকিৎসা শেষে ১৫ মে
সন্ধ্যায় দেশে ফিরে আসেন
তিনি। এরপর থেকে ফলো-আপ চিকিৎসার জন্য
নিয়মিত সিঙ্গাপুর যান ওবায়দুল কাদের।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
রওশন এরশাদ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
ঢাকা-৮ আসন আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম
মন্তব্য করুন
নির্বাচন আওয়ামী লীগ বিএনপি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
১৪ দল হল আওয়ামী লীগের আদর্শিক রাজনৈতিক জোট। ২০০১ সালের নির্বাচনে বিপর্যয়ের পর আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে যে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলো আছে, তাদেরকে নিয়ে এই জোট গঠন করেছিল। এই জোটের তত্ত্বাবধানেই আওয়ামী লীগ বিএনপির বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিল এবং ২০০৮ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল। প্রতিটি নির্বাচনেই আওয়ামী লীগ ১৪ দল এবং মহাজোট করেছিল।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের সময় তৎকালীন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ শেষ মুহূর্তে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হচ্ছে না। অবাধ, সুষ্ঠু হচ্ছে না। এই অর্থহীন নির্বাচনে জাতীয় পার্টি যাবে না। এই ঘোষণা দেওয়ার পরপরই জাতীয় পার্টির একটি বড় অংশ তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেয়।এরপর শুরু হয় নাটক। সেই সময় আওয়ামী লীগের পাশে যিনি দাঁড়িয়েছিলেন তার নাম রওশন এরশাদ। রওশন এরশাদ এরশাদের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে জাতীয় পার্টিকে নির্বাচনে থাকার ঘোষণা দেন এবং রওশন এরশাদের অনুসারীরা এরশাদের নির্দেশ অমান্য করে, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি। ফলে শেষপর্যন্ত জাতীয় পার্টির আংশিক হলেও নির্বাচনে থেকেছে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের পর রওশন এরশাদ হয়েছিলেন বিরোধী দলের নেতা।
তাহলে কি আওয়ামী লীগ-বিএনপির মধ্যে সমঝোতা হয়েই গেল! নির্বাচন পর্যন্ত বিএনপি এরকম ঢিমেতালে আন্দোলন করবে এবং এই আন্দোলনের ফাঁক দিয়ে সরকার আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন করবে। নির্বাচনের পর রাজনৈতিক সমঝোতা এবং রাজনৈতিক ঐক্যের ডাক দিতে পারে আওয়ামী লীগ এবং তখন বিএনপির নেতাদের সঙ্গেও আলাপ আলোচনা এবং বৈঠক হতে পারে। বৈঠকের ভিত্তিতেই শেষ পর্যন্ত একটি রাজনৈতিক সমঝোতায় উপনীত হতে পারে দেশ। এমন একটি সমঝোতার কথা এখন আকাশে বাতাসে শোনা যাচ্ছে৷ বিশেষ করে বিএনপির নেতা শাহজাহান ওমরের নৌকার প্রার্থী হওয়ার পর এই গুঞ্জন আরও পল্লবিত হয়েছে। যদিও বিএনপি নেতারা এ ধরনের সমঝোতার কথা অস্বীকার করেছেন।