ইনসাইড পলিটিক্স

তারেক জিয়া কি দেশে আসছে?

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিএনপির নেতাকর্মীরা একটি পোস্ট দিচ্ছে। ‘লিডার আসছে’—এই শিরোনামে পোস্ট বিএনপি এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করছে।

বিএনপির একাধিক নেতাকে এই পোস্টের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলো তারা রহস্যময় উত্তর দিয়েছেন। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলছেন, তারেক জিয়ার দেশে আসার একটি পরিকল্পনা রয়েছে। এই পরিকল্পনাটি বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে তৈরি করা হয়েছে বলেও বিএনপির স্থায়ী কমিটির ওই সদস্য বাংলা ইনসাইডারকে নিশ্চিত করেছেন। 

এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। আজ সকালে তার (খালেদা জিয়া) শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে আবার সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে। তার লিভারে পানি জমে ছিল, পানি বের করতে হয়েছে এবং তার হিমোগ্লোবিন ৮ এর নিচে। এরকম পরিস্থিতিতে বেগম খালেদা জিয়ার যেকোনো সময় যেকোনো ঘটনা ঘটতে পারে বলে চিকিৎসকরা বলছেন। যদিও গত দুই দিন ধরে তার অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল ছিল। 

বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে বা তার কোনো চূড়ান্ত পরিণতি ঘটলে বিএনপি এক তান্ডবের মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এই তাণ্ডবের মহাপরিকল্পনার একটি অংশ আছে তারেক জিয়ার বাংলাদেশে আসা এবং বর্তমান সরকার বিরোধী এক দফা আন্দোলনকে চূড়ান্ত পরিণতির দিকে নিয়ে যাওয়া। তারেক জিয়া নিজেও এধরনের বার্তা বিভিন্ন স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরকে দিয়েছেন। 

মায়ের শেষ পরিণতি হলে বাংলাদেশে আসলে জনগনের মধ্যে একটা আবেগ কাজ করবে, সাধারণ মানুষ তার এই আসাটাকে ইতিবাচকভাবে নেবে—এমনটি মনে করছেন বিএনপির নেতারা। তাছাড়া এরকম ঘটনা ঘটলে তারেক জিয়া যদি দেশে আসে তাহলে বিমানবন্দরে তাকে আটক করাটাও কঠিন হতে পারে বলে বিএনপির নেতারা হিসেব কষে দেখছেন। এটি তার জন্য দেশে আসার সুবর্ণ সুযোগ বলে তারা মনে করছেন। 

উল্লেখ্য, একুশে আগস্টে গ্রেনেড হামলা সহ একাধিক মামলায় দণ্ডিত তারেক জিয়া। একুশ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় তারেক জিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এখন এই দণ্ডিত আসামী যদি দেশে আসেন তাহলে তাকে অবশ্যই আগে আত্মসমর্পণ করতে হবে, জেলে যেতে হবে। তারপর তার জামিনের জন্য তাকে আবেদন করতে হবে এবং আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই তাকে মুক্ত করতে হবে। কিন্তু বিএনপির নেতারা এটি করতে চান না। তারা জানেন যে, যে মামলাগুলো হয়েছে এবং যে রায় দেওয়া হয়েছে সেখান থেকে বাঁচার পথ নেই বললেই চলে। এরকম পরিস্থিতিতে একটা ঘটনা ঘটিয়ে তারেক জিয়াকে দেশে আনার পরিকল্পনা রয়েছে। সেরকম একটি বড় ঘটনা ঘটতে পারে খালেদা জিয়ার জীবনের চূড়ান্ত পরিণতি। 

তবে বিএনপির অনেক নেতাই মনে করেন, তারেক জিয়া এখন লন্ডনে যে বিলাসবহুল আরাম-আয়েশ জীবন যাপন করছেন সেখান থেকে তিনি কোনো অবস্থাতেই দেশে ফিরবেন না। তারেক জিয়া শুধু নিজেকেই ভালোবাসেন, তার মা বা দলের জন্য তার কোনো টান আদৌ আছে কিনা তা নিয়ে বিএনপির মধ্যেই সন্দেহ রয়েছে। কারণ তা যদি থাকতো তাহলে মায়ের এই অবস্থায় তিনি না আসুন, তার স্ত্রী কিংবা তার কন্যাকে পাঠাতে পারতেন। কিন্তু বেগম জিয়ার এই দীর্ঘ পাঁচ বছরের কঠিন সময়ে তারেক জিয়া এবং তার স্ত্রী কন্যারা একবারও আসেননি। তাই এবারও তারেক জিয়া দেশে আসছে বলে যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুঞ্জন ছড়ানো হচ্ছে তার স্রেফ একটা প্রতারণা বলেই মনে করছেন অনেকে। কারণ নেতাকর্মীরা বিভ্রান্ত হয়ে পড়ছেন, তারা নেতৃত্বের প্রতি আস্থা হারাচ্ছেন। আর এ কারণেই ‘লিডার আসছে’ বলে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে নতুন করে প্রতারণার ফাঁদ ফাদা হচ্ছে।

তারেক জিয়া   বিএনপি   খালেদা জিয়া   এভারকেয়ার হাসপাতাল   এক দফা আন্দোলন   ২১ আগস্ট   গ্রেনেড হামলা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

জাতীয় পার্টি জাতির জন্য একটা বিষফোড়া: ইসলামী আন্দোলন

প্রকাশ: ০৫:২৮ পিএম, ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

জাতীয় পার্টিকে জাতির জন্য বিষফোড়া বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানি।

শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর ) দুপুরে বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে বিক্ষোভপূর্ব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। বিতর্কিত নির্বাচন কমিশন একতরফা নির্বাচনী তফসিল বাতিল, রাজবন্দিদের মুক্তি, বর্তমান সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর এই সমাবেশের আয়োজন করে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে ছিল ১৪ দল। এখন আওয়ামী লীগ তাদের কোনো সিট দিচ্ছে না। এজন্য ইনু-রাশেদ খান মেনন খুব পেরেশানিতে আছেন। তাদের সিটও গেছে। সব স্বার্থপর।

জাতীয় পার্টি প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আমি ডায়রেক্ট বলি তারা একটা বিষফোড়া। ২০১৪ সালে আবার ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের সঙ্গে নির্বাচন করে। ওরা অংশীদার, মন্ত্রী হয়, তারা বিরোধী দল হয় কীভাবে। এটা তো ধোঁকাবাজি।

অনেক সুন্দর সুন্দর কথা বলেছেন জিএম কাদের। এখন তারা নির্বাচনে চলে গেছে। জাতীয় পার্টি বলছে তারা ভোট করবে। অথচ আওয়ামী লীগের সঙ্গে বৈঠক করে আসন ভাগাভাগি করেছে। জাতীয় পার্টি চায় ৭২টি আসন, সরকার বলছে ২০টার বেশি দিতে পারবো না। এই দর কাষাকষির ভোট চলছে।

তিনি বলেন, এদিকে তৃণমূল বিএনপিতে সব বিশ্বাসঘাতকরা এক হয়েছে। এগুলো জাতির জন্য কলঙ্ক। এদের থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। এরা আওয়ামী লীগের তল্পিবাহক। টাকা ও সিট ছেড়ে আওয়ামী লীগ তাদের নিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আলেমরাও টাকার কাছে বিক্রি হচ্ছে। ইসলামী আন্দোলন মানুষের সঙ্গে আছে, প্রয়োজনে রক্ত দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার উৎখাত করবে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল বাতিল করতে হবে। সবার সঙ্গে আলোচনা করে স্বচ্ছ নির্বাচন করতে হবে। ২০১৪ ও ২০১৮ এর মত নির্বাচন আমরা চাই না। ৭ জানুয়ারির নির্বাচন থেকে সরকারকে ব্যাক করানোর জন্য ইসলামী আন্দোলন রাজপথে নেমেছে। সরকারকে বলবো ফিরে আসুন। আগামীতে যে রক্তপাত, গৃহযুদ্ধ হবে এর দায় দায়িত্ব আওয়ামী লীগ সরকারকে নিতে হবে।

জাতীয় পার্টি   ইসলামী আন্দোলন   দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ফাঁকা বুলিতে আর কতদিন চলবে, প্রশ্ন আখতারুজ্জামানের

প্রকাশ: ০৫:১৫ পিএম, ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

উচ্চ আদালতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন আবেদন নামঞ্জুর হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান রঞ্জন। একই সঙ্গে মির্জা মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করার প্রতিবাদ না করায় দলটির কঠোর সমালোচনা করেন তিনি।

তিনি বলেন, শূন্য নেতৃত্ব দিয়ে আর কতদিন চলবে বিএনপি? ফাঁকা বুলিতে আর কতদিন চলবে? মহাসচিবকে হাইকোর্ট থেকে জামিন দেয় না, আর আঙ্গুল চোষে তারা!

শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে মনোনয়ন বাতিলের আপিল শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

আখতারুজ্জামান রঞ্জন বলেন, আমি বিএনপির বর্তমান কার্যকলাপের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য বিদ্রোহ করেছি। আমি তারেক রহমানের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিদ্রোহ করেছি। উনি যেভাবে দলকে চালাচ্ছেন, সেভাবে দলের সর্বনাশ হয়ে যাচ্ছে। হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মী আজ গৃহহারা, তারা পালিয়ে বেড়াচ্ছে।

তিনি বলেন, আমাদের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মতো ভদ্রলোককে উচ্চ আদালত জামিন দেয়নি। এর চেয়ে নির্মমতা আর কী হতে পারে। কেন আমরা এমন একটা কাজ করলাম যে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা করবে। কেন আমাদের নিয়ন্ত্রণ নেই কর্মীদের উপর? কী রাজনীতি করি আমরা? আজকে আমার মহাসচিব হাইকোর্ট থেকে জামিন পেলেন না। কেন হাইকোর্টের জামিন না দেওয়ার বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার দিন আলাদা হরতাল দেওয়া হলো না? কিসের দল করেন আপনারা?

মনোনয়নপত্র বাতিল প্রসঙ্গে আখতারুজ্জামান বলেন, ইসি থেকে আমাকে জানানো হয়েছে, আমি মামলা সম্পর্কে লিখিনি। এটা যদি লিখতে হয়, তাহলে আওয়ামী লীগের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে বড় বড় রাঘববোয়াল সব নেতারা বাদ পড়বে। এত হাজার হাজার কেস জীবনে খেয়েছি এবং আরও খাচ্ছি। কোথাও লেখার জায়গা নেই। লেখা আছে অতীত সব মামলা। অনেক মামলায় তো নেতারা খালাস পেয়েছেন। আমরা যেসব মামলায় খালাস পেয়েছি, সেসব কেন লিখতে হবে? উনারা লিখবে না, তাহলে আমরা লিখব কেন? এটা তারা মনে হয় সঠিক করেনি।

প্রার্থিতা ফেরত পাবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রার্থিতা ফেরত পাব না কেন? পাব বলেই তো আপিল করেছি। অবশ্যই প্রত্যাশা করি পাব।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাকে দেড় বছর ধরে বহিষ্কার করে রেখেছে বিএনপি। তাহলে আমি বিএনপির সিলটা কেন ব্যবহার করতে যাব? ব্যবহার করা অন্যায় ছিল। আমাকে ন্যূনতম সদস্যাও রাখা হয়নি। আমি স্বতন্ত্র হয়েছি, বিরোধিতায় তো যাইনি। এটা আবার কি অপরাধ হলো? 

মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান রঞ্জন   বিএনপি   দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নির্বাচন ঠেকাতে বিদেশে বিএনপির লবিং

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

দেশে আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি এখন আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেনদরবার লবিং করছে। তিন ধাপে বিএনপি আন্তর্জাতিক মহলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন যেন না হয়, সেজন্য বিভিন্ন ধরনের চিঠি দিচ্ছে, চেষ্টা তদবির করছে। প্রথমত, বিএনপি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর, হোয়াইট হাউস সহ বিভিন্ন সিনেটর এবং কংগ্রেসম্যানদের কাছে চিঠি লিখেছে। এই চিঠিতে তারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কেন অংশগ্রহণ করছে না, এই নির্বাচন কেন জনগণের অংশগ্রহণে হবে না এবং তাদের ভাষায় এই নির্বাচনে জনমতের প্রতিফলন ঘটবে না কেন সে সম্পর্কে তারা ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ দিচ্ছে। আর এই ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের শেষে তাদের বক্তব্য একটাই তা হলো এই নির্বাচনের বিরুদ্ধে যেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি সুস্পষ্ট অবস্থান গ্রহণ করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেন এই নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্যতা না দেয় এবং এই নির্বাচনকে বন্ধ করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করে। শুধুমাত্র যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে এ ধরনের চিঠি দেওয়া হচ্ছে তা না। যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন প্রভাবশালী দেশগুলোকে বিএনপির পক্ষ থেকে এই ধরনের চিঠি দেওয়া হয়েছে। এটি হল বিএনপির আন্তর্জাতিক লবিং এর প্রথম ধাপ। 

দ্বিতীয়ত, বিএনপির যে লবিস্ট ফার্মগুলো আছে, সেই লবিস্ট ফার্মগুলোকে দিয়ে বিএনপি বিভিন্ন রকম অপপ্রচার শুরু করেছে। এই সব লবিস্ট ফার্মগুলো এই নির্বাচনের ব্যাপারে বিভিন্ন ধরনের নেতিবাচক তথ্য উপাত্ত এবং কিছু কিছু বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নের নীতি নির্ধারকদের কাছে উপস্থাপন করছেন। উল্লেখ্য যে, এর আগে র‌্যাবের নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং বাংলাদেশকে গণতন্ত্র সম্মেলনে আমন্ত্রণ না জানানোর ক্ষেত্রেও বিএনপি নিয়োজিত এই সমস্ত লবিস্ট ফার্মগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। এখনও এই লবিস্ট ফার্মগুলো চেষ্টা করছে যেন শেষ পর্যন্ত নির্বাচন ঠেকানোর জন্য রাজনৈতিক মহল পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

তৃতীয়ত, বিভিন্ন রকম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন যেমন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ইত্যাদি সংস্থাগুলোর কাছে বিএনপি নেতারা চিঠির পর চিঠি দিচ্ছেন। শুধুমাত্র বিএনপির নেতারা না, বিএনপির মধ্যে যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন, তাদের পরিবার পরিজনের নামেও চিঠি দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যেই অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের কাছে বিএনপির একাধিক ব্যক্তির চিঠি পাঠানো হয়েছে। সেই সমস্ত চিঠিতে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন, তাদের অন্যায় ভাবে গ্রেপ্তার করা এবং বিচারের নামে প্রহসন ইত্যাদি অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগ করা হয়েছে যে, বিএনপির নেতারা যারা মৃত্যুবরণ করেছেন, বিদেশে অবস্থান করছেন তাদের নামেও মামলা দেওয়া হয়েছে এবং তাদেরকেও দণ্ডিত করা হচ্ছে। 

এছাড়াও বিভিন্ন সূত্র গুলো জানাচ্ছে যে, বিএনপি জাতিসংঘের কাছেও নালিশ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আগামী দু একদিনের মধ্যেই বিএনপির পক্ষ থেকে বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন এবং গণতন্ত্র নিয়ে জাতিসংঘের কাছে তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করা হবে। যেখানে বিএনপির দাবি বর্তমান নির্বাচনের বাস্তবতা এবং জনগণের আকাঙ্ক্ষার বিষয়গুলো নিয়ে তাদের বক্তব্য থাকবে বলে বিএনপির সূত্র থেকে জানানো হয়েছে। তবে বিএনপি দেশবিরোধী কর্মকাণ্ড গুলো সবই পরিচালিত হচ্ছে বিদেশ থেকে। লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া তদারকিতে এই কর্মকাণ্ডগুলো পরিচালিত হচ্ছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।


নির্বাচন   বিএনপি   দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন   লবিস্ট ফার্ম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নির্বাচন ঘিরে কোটালীপাড়ায় নেতাকর্মীদের যে নির্দেশনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৪:৪৬ পিএম, ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে নিজ নির্বাচনী এলাকা গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় নেতাকর্মীদের কতগুলো নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচনে যাতে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে, সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। যারা আগুন দিতে যাবে, তাদের ধরে পুলিশের সোপর্দ করতে হবে। প্রত্যন্ত এলাকায় সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। যদি আগুনসন্ত্রাসী বেশি হয়, তাহলে তাদের আগুনেই ফেলে দিতে হবে।

সরকারপ্রধান বলেন, আমি মা-বাবা, ভাই-বোন সবাইকে হারিয়েছি। আপনাদের ভালোবাসা, আপনাদের আস্থা, বিশ্বাস সবচেয়ে বড় পাওয়া। যাদের নমিনেশন দিয়েছি তারা আসন পায় একটি। আমার হলো ৩০০ আসনের দায়িত্ব। তাই আমি বলতে পারি, আমার মতো সৌভাগ্য কারও নেই। আমার এলাকা নিয়ে ভাবতে হয় না, চিন্তাও করতে হয় না- যেটা আপনারা করেন। আমি জানি না আর কোনো প্রার্থী সৌভাগ্যবান কিনা, যতটা আমি। একটা দায়মুক্ত করে রেখেছেন। আমি স্বাধীনভাবে সারা বাংলাদেশের মানুষের জন্য চিন্তা করতে পারি, কাজ করতে পারি যার সুফলটা সবাই পায়।

শেখ হাসিনা বলেন, এখন তারা (বিএনপি) নির্বাচন করবে না। ২০১৪ সালে একই কথা বলেছিল। আসলে তারা নির্বাচন করবে কীভাবে, বাস্তব কথাটা কি? বাস্তব হলো ২০০৮ সালের নির্বাচন। এ নির্বাচন নিয়ে তো কেউ কোনো প্রশ্ন তোলে না। কারণ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের শিডিউল হয়ে গেছে। এখন বিএনপি মনে করছে নির্বাচন হয়েই যাবে। তাই তারা মার্চ মাসের দিকে দেশের এমন অবস্থা করবে, দুর্ভিক্ষ ঘটাবে। এটা হচ্ছে তাদের পরবর্তী পরিকল্পনা। এটা শুধু দেশের নয়, বাইরের দেশেরও পরিকল্পনা আছে, যেভাবেই হোক দুর্ভিক্ষ ঘটাতে হবে।

এর আগে শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ১০টার দিকে টুঙ্গিপাড়া থেকে কোটালীপাড়ায় পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এরপর সেখান থেকে ফিরে যান টুঙ্গিপাড়ায়।

শুক্রবারের সভায় আগামী নির্বাচন নিয়ে নানা দিকনির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকার উন্নয়ন প্রতিনিধি শহীদ উল্লা খোন্দকার, শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি, শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল এমপি, শেখ সারহান নাসের তন্ময় এমপিসহ কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় দুই দিনের সফরে সড়ক পথে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে দোয়া ও মোনাজাত করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে নিজ বাসভবনে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

কোটালীপাড়া   প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা   আওয়ামী লীগ   দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

প্রটোকল ছাড়াই পতাকাবিহীন গাড়িতে শেখ হাসিনা

প্রকাশ: ০৩:৪০ পিএম, ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

রাষ্ট্রীয় প্রটোকল ছাড়াই পতাকাবিহীন ব্যক্তিগত গাড়িতে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া থেকে কোটালীপাড়ায় গেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ১০টায় নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধি মেনে তিনি কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে পৌঁছান।

জানা গেছে, কোটালীপাড়ার স্থানীয় সিনিয়র আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশ নেবেন তিনি। সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, শেখ সালাহ উদ্দিন ও শেখ তন্ময় তার সঙ্গে রয়েছেন।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে দুই দিনের ব্যক্তিগত সফরে টুঙ্গিপাড়ায় গেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে পৌঁছে তিনি টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এরপর সন্ধ্যায় তিনি নিজ বাসভবনে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

পতাকাবিহীন গাড়ি   শেখ হাসিনা   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন