ইনসাইড পলিটিক্স

তারেক জিয়া কি দেশে আসছে?

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিএনপির নেতাকর্মীরা একটি পোস্ট দিচ্ছে। ‘লিডার আসছে’—এই শিরোনামে পোস্ট বিএনপি এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করছে।

বিএনপির একাধিক নেতাকে এই পোস্টের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলো তারা রহস্যময় উত্তর দিয়েছেন। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলছেন, তারেক জিয়ার দেশে আসার একটি পরিকল্পনা রয়েছে। এই পরিকল্পনাটি বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে তৈরি করা হয়েছে বলেও বিএনপির স্থায়ী কমিটির ওই সদস্য বাংলা ইনসাইডারকে নিশ্চিত করেছেন। 

এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। আজ সকালে তার (খালেদা জিয়া) শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে আবার সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে। তার লিভারে পানি জমে ছিল, পানি বের করতে হয়েছে এবং তার হিমোগ্লোবিন ৮ এর নিচে। এরকম পরিস্থিতিতে বেগম খালেদা জিয়ার যেকোনো সময় যেকোনো ঘটনা ঘটতে পারে বলে চিকিৎসকরা বলছেন। যদিও গত দুই দিন ধরে তার অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল ছিল। 

বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে বা তার কোনো চূড়ান্ত পরিণতি ঘটলে বিএনপি এক তান্ডবের মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এই তাণ্ডবের মহাপরিকল্পনার একটি অংশ আছে তারেক জিয়ার বাংলাদেশে আসা এবং বর্তমান সরকার বিরোধী এক দফা আন্দোলনকে চূড়ান্ত পরিণতির দিকে নিয়ে যাওয়া। তারেক জিয়া নিজেও এধরনের বার্তা বিভিন্ন স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরকে দিয়েছেন। 

মায়ের শেষ পরিণতি হলে বাংলাদেশে আসলে জনগনের মধ্যে একটা আবেগ কাজ করবে, সাধারণ মানুষ তার এই আসাটাকে ইতিবাচকভাবে নেবে—এমনটি মনে করছেন বিএনপির নেতারা। তাছাড়া এরকম ঘটনা ঘটলে তারেক জিয়া যদি দেশে আসে তাহলে বিমানবন্দরে তাকে আটক করাটাও কঠিন হতে পারে বলে বিএনপির নেতারা হিসেব কষে দেখছেন। এটি তার জন্য দেশে আসার সুবর্ণ সুযোগ বলে তারা মনে করছেন। 

উল্লেখ্য, একুশে আগস্টে গ্রেনেড হামলা সহ একাধিক মামলায় দণ্ডিত তারেক জিয়া। একুশ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় তারেক জিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এখন এই দণ্ডিত আসামী যদি দেশে আসেন তাহলে তাকে অবশ্যই আগে আত্মসমর্পণ করতে হবে, জেলে যেতে হবে। তারপর তার জামিনের জন্য তাকে আবেদন করতে হবে এবং আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই তাকে মুক্ত করতে হবে। কিন্তু বিএনপির নেতারা এটি করতে চান না। তারা জানেন যে, যে মামলাগুলো হয়েছে এবং যে রায় দেওয়া হয়েছে সেখান থেকে বাঁচার পথ নেই বললেই চলে। এরকম পরিস্থিতিতে একটা ঘটনা ঘটিয়ে তারেক জিয়াকে দেশে আনার পরিকল্পনা রয়েছে। সেরকম একটি বড় ঘটনা ঘটতে পারে খালেদা জিয়ার জীবনের চূড়ান্ত পরিণতি। 

তবে বিএনপির অনেক নেতাই মনে করেন, তারেক জিয়া এখন লন্ডনে যে বিলাসবহুল আরাম-আয়েশ জীবন যাপন করছেন সেখান থেকে তিনি কোনো অবস্থাতেই দেশে ফিরবেন না। তারেক জিয়া শুধু নিজেকেই ভালোবাসেন, তার মা বা দলের জন্য তার কোনো টান আদৌ আছে কিনা তা নিয়ে বিএনপির মধ্যেই সন্দেহ রয়েছে। কারণ তা যদি থাকতো তাহলে মায়ের এই অবস্থায় তিনি না আসুন, তার স্ত্রী কিংবা তার কন্যাকে পাঠাতে পারতেন। কিন্তু বেগম জিয়ার এই দীর্ঘ পাঁচ বছরের কঠিন সময়ে তারেক জিয়া এবং তার স্ত্রী কন্যারা একবারও আসেননি। তাই এবারও তারেক জিয়া দেশে আসছে বলে যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুঞ্জন ছড়ানো হচ্ছে তার স্রেফ একটা প্রতারণা বলেই মনে করছেন অনেকে। কারণ নেতাকর্মীরা বিভ্রান্ত হয়ে পড়ছেন, তারা নেতৃত্বের প্রতি আস্থা হারাচ্ছেন। আর এ কারণেই ‘লিডার আসছে’ বলে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে নতুন করে প্রতারণার ফাঁদ ফাদা হচ্ছে।

তারেক জিয়া   বিএনপি   খালেদা জিয়া   এভারকেয়ার হাসপাতাল   এক দফা আন্দোলন   ২১ আগস্ট   গ্রেনেড হামলা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

২৯ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা হেফাজতে ইসলামের

প্রকাশ: ০৬:০৭ পিএম, ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

চলতি মাসের শেষ শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।

শুক্রবার (০৮ ডিসেম্বর) বিকেলে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এই ঘোষণা দেয় দলটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মহিউদ্দিন রাব্বানী।

মাওলানা মামুনুল হকসহ কারাবন্দি আলেমদের মুক্তি, হেফাজতের নামে দায়েরকৃত সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে ফ্রি মিক্সিংসহ ইসলামবিরোধী পাঠ বাতিল এবং হেফাজতে ইসলাম ঘোষিত ১৩ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে এই বিক্ষোভ সমাবেশ করে হেফাজতে ইসলাম।

দলটির কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মাহফুজুল হক বলেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে মাওলানা মামুনুল হকসহ সব আলেমকে মুক্তি দিতে হবে। অন্যথায় আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের আগেই হেফাজতে ইসলাম কঠোর কর্মসূচিতে যাবে।

২৯ ডিসেম্বর   মহাসমাবেশ   হেফাজতে ইসলাম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

রোববার ঢাকায় বিএনপির মানববন্ধন

প্রকাশ: ০৬:০১ পিএম, ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আগামী রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করবে বিএনপি। এদিন সকাল ১১টায় এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।

শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) বিকালে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, রোববার সকাল ১১টায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করবে বিএনপি। ইতিমধ্যে ঢাকা মহানগর বিএনপির মানববন্ধনের সব প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।

এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে গুম, খুন, গায়েবি মামলায় গ্রেপ্তার ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার বিএনপির দলীয় নেতাকর্মী ও নাগরিকদের পরিবারের সদস্যদের ঢাকাসহ সারাদেশের জেলা সদরে ১০ ডিসেম্বর মানববন্ধন পালনের কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি।

মানববন্ধন   বিএনপি   আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বসাতে মরিয়া দলীয় প্রার্থীরা

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

এবার নির্বাচনের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হল স্বতন্ত্র প্রার্থী। প্রায় সব আসনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা দাঁড়িয়েছেন স্বতন্ত্র হিসেবে। শুধু আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী না, বিভিন্ন আসনে অনেক জনপ্রিয় ব্যবসায়ী, শিল্পপতিরাও এবার নির্বাচনে স্বতন্ত্র হিসেবে মাঠে নেমেছেন। তার ফলে বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও এখন নির্বাচন জমজমাট হয়ে গেছে। যা জনগণের মধ্যে ভোট নিয়ে একটি আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু এই আগ্রহে জল ঢালার জন্য সচেষ্ট দলীয় প্রার্থীরা। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের যে সমস্ত প্রার্থীরা এলাকায় দুর্বল এবং যে সমস্ত নির্বাচনী এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থীরা শক্তিশালী অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছেন, সেই সমস্ত আসনগুলোতে দলীয় প্রার্থীরা স্বতন্ত্র প্রার্থীকে বসানোর জন্য মরিয়া তৎপরতা শুরু করেছে। তাদের প্রথম লক্ষ্য ছিল যে, এ ব্যাপারে দলীয় নির্দেশনা আদায় করা। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থা গ্রহণ করেছেন। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে, কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থীকে বসানো যাবে না। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা কেউ যদি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে না। এরপর আওয়ামী লীগের নেতারা ভিন্ন কৌশল গ্রহণ করেছেন। তারা বিভিন্ন দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতার কাছে ধর্না দিচ্ছেন। তাদেরকে দিয়ে বিভিন্ন বক্তব্য আদায় করে নিচ্ছেন। 

সম্প্রতি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রাজ্জাকের বক্তব্য আওয়ামী লীগের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছে। একইভাবে আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমানও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কঠোর বার্তা দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের একাধিক শীর্ষ নেতা স্বীকার করেছেন যে, এই ধরনের বক্তব্যগুলো আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনার বক্তব্যের পরিপন্থি। 

ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন যে, স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে আওয়ামী লীগের কর্মীরা কাজ করতে পারবে না। এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত আওয়ামী লীগের কোনো মহলে হয়নি এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি এ ধরনের কোনো নির্দেশনা দেননি বলে নিশ্চিত করেছেন আওয়ামী লীগের একজন গুরুত্বপূর্ণ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। একই ভাবে আব্দুর রহমান বলেছেন যে, নৌকার বিরুদ্ধে যদি আওয়ামী লীগের কর্মীরা কাজ করে সেটা হবে সংগঠন বিরোধী তৎপরতা। এই ধরনের বক্তব্যেরও কোন যৌক্তিকতা নেই। 

আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতাদেরকে দিয়ে মনোনীত প্রার্থীরা এ ধরনের বক্তব্য দেওয়াচ্ছেন, যাতে কর্মীরা বিভ্রান্ত হন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচনের মাঠে হতোদ্যম হয়ে পড়েন। 

তৃতীয় যে কৌশলটি আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীরা গ্রহণ করছেন তা হলো স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বসিয়ে দেওয়া। বিভিন্ন স্থান থেকে খবর পাওয়া গেছে স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরকে মোটা অঙ্কের টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। রাজশাহী অঞ্চলে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীকে একজন প্রভাবশালী আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী টাকার লোভনীয় প্রস্তাব দিয়েছিলেন বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে। তবে ওই প্রভাবশালী নেতা এ ধরনের বক্তব্য অস্বীকার করেছেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে, এবার টাকা দিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বসানোর সুযোগ খুব কম। কারণ যারা স্বতন্ত্র হয়েছেন তারা সবাই মোটামুটি প্রভাবশালী এবং আওয়ামী লীগের স্থানীয় পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ। তারা জেনে বুঝে স্বতন্ত্র হয়েছেন। গুরুত্বহীন দু একজন হয়তো টাকা দিয়ে বসিয়ে দেওয়া যাবে। কিন্তু সব প্রার্থীকে বসানো সম্ভব হবে না। 

চতুর্থত, যে কাজটি দলীয় মনোনীত প্রার্থীরা করছেন তা হলো স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরকে ভয় ভীতি প্রদর্শন, মামলার হুমকি এবং ইত্যাদি দিয়ে তাদের কোণঠাসা করা। কিন্তু একযোগে বিভিন্ন থানার ওসি বদল এবং প্রশাসনে রদবদলের কারণে সেই সুযোগ কমে গেছে। তারপরও দলীয় প্রার্থীরা এখন পর্যন্ত স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বসানোর জন্য চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। উল্লেখ্য যে, আগামী ১৭ ডিসেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষদিন। ওই দিনই বোঝা যাবে যে দলীয় প্রার্থীরা স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে কতটা সফল হলেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

জাতীয় পার্টি জাতির জন্য একটা বিষফোড়া: ইসলামী আন্দোলন

প্রকাশ: ০৫:২৮ পিএম, ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

জাতীয় পার্টিকে জাতির জন্য বিষফোড়া বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানি।

শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর ) দুপুরে বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে বিক্ষোভপূর্ব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। বিতর্কিত নির্বাচন কমিশন একতরফা নির্বাচনী তফসিল বাতিল, রাজবন্দিদের মুক্তি, বর্তমান সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর এই সমাবেশের আয়োজন করে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে ছিল ১৪ দল। এখন আওয়ামী লীগ তাদের কোনো সিট দিচ্ছে না। এজন্য ইনু-রাশেদ খান মেনন খুব পেরেশানিতে আছেন। তাদের সিটও গেছে। সব স্বার্থপর।

জাতীয় পার্টি প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আমি ডায়রেক্ট বলি তারা একটা বিষফোড়া। ২০১৪ সালে আবার ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের সঙ্গে নির্বাচন করে। ওরা অংশীদার, মন্ত্রী হয়, তারা বিরোধী দল হয় কীভাবে। এটা তো ধোঁকাবাজি।

অনেক সুন্দর সুন্দর কথা বলেছেন জিএম কাদের। এখন তারা নির্বাচনে চলে গেছে। জাতীয় পার্টি বলছে তারা ভোট করবে। অথচ আওয়ামী লীগের সঙ্গে বৈঠক করে আসন ভাগাভাগি করেছে। জাতীয় পার্টি চায় ৭২টি আসন, সরকার বলছে ২০টার বেশি দিতে পারবো না। এই দর কাষাকষির ভোট চলছে।

তিনি বলেন, এদিকে তৃণমূল বিএনপিতে সব বিশ্বাসঘাতকরা এক হয়েছে। এগুলো জাতির জন্য কলঙ্ক। এদের থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। এরা আওয়ামী লীগের তল্পিবাহক। টাকা ও সিট ছেড়ে আওয়ামী লীগ তাদের নিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আলেমরাও টাকার কাছে বিক্রি হচ্ছে। ইসলামী আন্দোলন মানুষের সঙ্গে আছে, প্রয়োজনে রক্ত দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার উৎখাত করবে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল বাতিল করতে হবে। সবার সঙ্গে আলোচনা করে স্বচ্ছ নির্বাচন করতে হবে। ২০১৪ ও ২০১৮ এর মত নির্বাচন আমরা চাই না। ৭ জানুয়ারির নির্বাচন থেকে সরকারকে ব্যাক করানোর জন্য ইসলামী আন্দোলন রাজপথে নেমেছে। সরকারকে বলবো ফিরে আসুন। আগামীতে যে রক্তপাত, গৃহযুদ্ধ হবে এর দায় দায়িত্ব আওয়ামী লীগ সরকারকে নিতে হবে।

জাতীয় পার্টি   ইসলামী আন্দোলন   দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ফাঁকা বুলিতে আর কতদিন চলবে, প্রশ্ন আখতারুজ্জামানের

প্রকাশ: ০৫:১৫ পিএম, ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

উচ্চ আদালতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন আবেদন নামঞ্জুর হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান রঞ্জন। একই সঙ্গে মির্জা মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করার প্রতিবাদ না করায় দলটির কঠোর সমালোচনা করেন তিনি।

তিনি বলেন, শূন্য নেতৃত্ব দিয়ে আর কতদিন চলবে বিএনপি? ফাঁকা বুলিতে আর কতদিন চলবে? মহাসচিবকে হাইকোর্ট থেকে জামিন দেয় না, আর আঙ্গুল চোষে তারা!

শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে মনোনয়ন বাতিলের আপিল শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

আখতারুজ্জামান রঞ্জন বলেন, আমি বিএনপির বর্তমান কার্যকলাপের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য বিদ্রোহ করেছি। আমি তারেক রহমানের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিদ্রোহ করেছি। উনি যেভাবে দলকে চালাচ্ছেন, সেভাবে দলের সর্বনাশ হয়ে যাচ্ছে। হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মী আজ গৃহহারা, তারা পালিয়ে বেড়াচ্ছে।

তিনি বলেন, আমাদের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মতো ভদ্রলোককে উচ্চ আদালত জামিন দেয়নি। এর চেয়ে নির্মমতা আর কী হতে পারে। কেন আমরা এমন একটা কাজ করলাম যে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা করবে। কেন আমাদের নিয়ন্ত্রণ নেই কর্মীদের উপর? কী রাজনীতি করি আমরা? আজকে আমার মহাসচিব হাইকোর্ট থেকে জামিন পেলেন না। কেন হাইকোর্টের জামিন না দেওয়ার বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার দিন আলাদা হরতাল দেওয়া হলো না? কিসের দল করেন আপনারা?

মনোনয়নপত্র বাতিল প্রসঙ্গে আখতারুজ্জামান বলেন, ইসি থেকে আমাকে জানানো হয়েছে, আমি মামলা সম্পর্কে লিখিনি। এটা যদি লিখতে হয়, তাহলে আওয়ামী লীগের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে বড় বড় রাঘববোয়াল সব নেতারা বাদ পড়বে। এত হাজার হাজার কেস জীবনে খেয়েছি এবং আরও খাচ্ছি। কোথাও লেখার জায়গা নেই। লেখা আছে অতীত সব মামলা। অনেক মামলায় তো নেতারা খালাস পেয়েছেন। আমরা যেসব মামলায় খালাস পেয়েছি, সেসব কেন লিখতে হবে? উনারা লিখবে না, তাহলে আমরা লিখব কেন? এটা তারা মনে হয় সঠিক করেনি।

প্রার্থিতা ফেরত পাবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রার্থিতা ফেরত পাব না কেন? পাব বলেই তো আপিল করেছি। অবশ্যই প্রত্যাশা করি পাব।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাকে দেড় বছর ধরে বহিষ্কার করে রেখেছে বিএনপি। তাহলে আমি বিএনপির সিলটা কেন ব্যবহার করতে যাব? ব্যবহার করা অন্যায় ছিল। আমাকে ন্যূনতম সদস্যাও রাখা হয়নি। আমি স্বতন্ত্র হয়েছি, বিরোধিতায় তো যাইনি। এটা আবার কি অপরাধ হলো? 

মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান রঞ্জন   বিএনপি   দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন