ইনসাইড পলিটিক্স

৪৮ ঘণ্টা পর বিএনপি কি করবে?

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশি নেওয়ার দাবীতে বিএনপি আল্টিমেটাম দিয়েছে। গতকাল এক সমাবেশ থেকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ৪৮ ঘন্টার এই আল্টিমেটাম দেন। এই ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ইতিমধ্যে ২৪ ঘন্টা পেরিয়ে গেছে। সরকার এই দাবির ব্যাপারে এখনো পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন যে বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার অনুমতি নিতে গেলে আদালতের শরণাপন্ন হতে হবে এবং আদালতের মাধ্যমেই তিনি বিদেশে যাওয়ার অনুমতি পেতে পারেন।

কিন্তু বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবী এটিকে অগ্রহণযোগ্য হিসাবে দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন যে, বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বা আদালতের মাধ্যমে আবেদন করার বিষয়টি অমানবিক এবং অগ্রহণযোগ্য। আর এরকম বাস্তবতায় বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়টি নিয়ে বিএনপি কি করতে চাচ্ছে তা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানারকম আলাপ আলোচনা চলছে।

আওয়ামী লীগের একজন সাংগঠনিক সম্পাদক বিষয়টিকে রাজনৈতিক স্ট্যান্ডবাজি হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন যে, ৪৮ ঘণ্টা পর তারা কিছুই করতে পারবে না। আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডেন্ট সদস্যও বলছেন যে, বেগম খালেদা জিয়াকে বিএনপি মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে চাইছে এবং বিএনপির রাজনৈতিক আন্দোলনে খালেদা জিয়াকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। বেগম জিয়াকে নিয়ে বিএনপি নোংরা রাজনীতির খেলা খেলছে বলেও আওয়ামী লীগের ওই নেতা জানিয়েছেন। তবে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার বর্ণনা দিতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন। তিনি বলেছেন যে, এর আগে তিনি বেগম খালেদা জিয়ার এতো খারাপ অবস্থা দেখেননি। বিএনপির বিভিন্ন নেতারা যারা বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে নিয়মিত দেখা করেন, স্বাস্থ্যের খোঁজ খবর নেন তারা বলেছেন যে, বেগম খালেদা জিয়ার অবস্থা আসলেই খারাপ এবং যে কোনো সময় যে কোনো ঘটনা ঘটতে পারে। তবে বিএনপির একটি মহলের মধ্যে বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে একধরনের উৎসাহ এবং চাঞ্চল্য রয়েছে। তারা মনে করছেন, যদি শেষ পর্যন্ত বেগম খালেদা জিয়ার কিছু হয়ে যায় তাহলে আন্দোলনের গতি বাড়ানো সম্ভব হবে।

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে বেগম খালেদা জিয়ার চূড়ান্ত পরিণতি নিয়ে বিএনপির মধ্যে একটি প্রস্তুতি রয়েছে। তারা ইতিমধ্যে পুরো ঢাকা শহরের বিভিন্ন পাড়ায় মহল্লায় এর ব্যাপারে প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছেন। বেগম খালেদা জিয়ার কিছু হলে তারা পুরো রাজপথ দখল করে ফেলবে এবং সরকারি বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা করতে পারে এমন প্রস্তুতিও তাদের রয়েছে বলে জানা গেছে। বিষয়টি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীরও নজরে আছে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এ ব্যাপারে যথেষ্ট প্রস্তুতিও রয়েছে বলে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সূত্রে জানা গেছে। তবে ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটামের পর বিএনপি কি করবে, কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে তা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বিএনপির বিভিন্ন নেতারা বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে এখন মার্কিন দূতাবাস সহ বিভিন্ন দূতাবাস গুলোতেও তথ্য দিচ্ছে। তারা বিষয়টিকে অমানবিক হিসেবে উল্লেখ করছে।

বিএনপির অন্যতম নেতা কায়সার কামাল বলেছেন যে, সরকার কালক্ষেপণের নীতি অনুসরণ করছে। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করছেন যে বেগম খালেদা জিয়াকে যদি সত্যি তারা বিদেশ নিতে চায় তাহলে তাদের এই মুহূর্তেই আদালতে যাওয়া উচিত। তারা আদালতে যাচ্ছেন না কেন?

এই পাল্টাপাল্টি অবস্থানের মধ্যে যদি বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা চরম অবনতি ঘটে তাহলে রাজনীতিতে একটা মৃদু উত্তেজনা তৈরি হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। তবে ৪৮ ঘণ্টা পর বিএনপি যে বড় কিছু করে ফেলতে পারবে এমনটি মনে করছেন না রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

বিএনপি   আল্টিমেটাম   আন্দোলন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

প্রটোকল ছাড়াই পতাকাবিহীন গাড়িতে শেখ হাসিনা

প্রকাশ: ০৩:৪০ পিএম, ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

রাষ্ট্রীয় প্রটোকল ছাড়াই পতাকাবিহীন ব্যক্তিগত গাড়িতে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া থেকে কোটালীপাড়ায় গেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ১০টায় নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধি মেনে তিনি কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে পৌঁছান।

জানা গেছে, কোটালীপাড়ার স্থানীয় সিনিয়র আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশ নেবেন তিনি। সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, শেখ সালাহ উদ্দিন ও শেখ তন্ময় তার সঙ্গে রয়েছেন।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে দুই দিনের ব্যক্তিগত সফরে টুঙ্গিপাড়ায় গেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে পৌঁছে তিনি টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এরপর সন্ধ্যায় তিনি নিজ বাসভবনে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

পতাকাবিহীন গাড়ি   শেখ হাসিনা   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

সালমান না আরাফাত: কাকে ছাড়বে আওয়ামী লীগ?

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

জাতীয় পার্টির সঙ্গে প্রকাশ্যে না হলেও গোপনে আসন সমঝোতা নিয়ে আলাপ আলোচনা অব্যাহত রেখেছে আওয়ামী লীগ। জাতীয় পার্টি এবার নির্বাচনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। জাতীয় পার্টি যদি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে না থাকে তাহলে এই নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতার সংকটে পড়বে। এটা ভাল মতোই বুঝতে পেরেছে জাতীয় পার্টি। আর তাই তাদের আবদারের শেষ নেই। প্রকাশ্যে তারা বলছে যে, তারা সাবালক সরকারের সঙ্গে কোনো সমঝোতা বা আসন ভাগাভাগির মধ্যে তারা নেই। নিজেদের শক্তিতে তারা নির্বাচন করতে চায়। কিন্তু গোপন আলাপ আলোচনায় তারা অন্তত ৩০টি আসনে ছাড় চাইছে আওয়ামী লীগের কাছে। জাতীয় পার্টির শর্ত হল, যে সমস্ত আসনগুলোতে জাতীয় পার্টিকে ছাড়তে হবে সে সব আসনে নৌকা প্রতীকের কোনো প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না। শুধু তাই নয়, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে যারা শক্তিশালী তাদেরকেও বসিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বসানোর ব্যাপারে আওয়ামী লীগ এখন পর্যন্ত কোনো ইতিবাচক সাড়া দেয়নি৷ তাছাড়া আওয়ামী লীগ এ রকম ২০ আসন জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দিতে রাজি। কিন্তু জাতীয় পার্টি চায় আরও বেশি। 

যে সমস্ত আসন নিয়ে জাতীয় পার্টি সবচেয়ে বেশি আগ্রহ তার মধ্যে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবং যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান সালমা ইসলামের দুটি আসন অন্যতম। সালমা ইসলাম জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবং নারী কোটা এমপি। তিনি সাবেক মন্ত্রীও ছিলেন। তিনি ঢাকা-১ এবং ঢাকা-১৭ আসন থেকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হয়েছেন। এর মধ্যে তিনি মনোনয়নও জমা দিয়েছেন। 

জাতীয় পার্টির সূত্রগুলো বলছে, আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করেই সালমা ইসলাম দুটি আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছিল যে কোনো একটি আসন তাদেরকে দেবে। কে কীভাবে এই আশ্বাস দিয়েছিল সে সম্পর্কে জাতীয় পার্টির নেতারা মুখ খুলছেন না। তবে জাতীয় পার্টির একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা বলেছিলেন যে, আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী একজন ব্যক্তি তাদেরকে এই প্রস্তাব দিয়েছিল। এখন আলোচনার টেবিলে সালমা ইসলামকে কোনো আসন ছেড়ে দেওয়া হবে এটি মুখ্য হয়ে উঠেছে। 

আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টিকে দুটি আসন ছেড়ে দিতে চায়। ঢাকা-৪ এবং ঢাকা-৬। এই দুটি আসনের একটিতে অর্থাৎ ঢাকা-৪ এ আওয়ামী লীগের প্রার্থী সানজিদা খানম যদি জাতীয় পার্টির সঙ্গে সমঝোতা হয় তাহলে তিনি বসে যাবেন। আর ঢাকা-৬ সাঈদ খোকন জাতীয় পার্টির সাথে সমঝোতা হলে তারও প্রার্থিতা প্রত্যাহার করবে আওয়ামী লীগ। কিন্তু বাদ সেধেছে অন্য জায়গায়। জাতীয় পার্টি ঢাকা-১ অথবা ঢাকা-১৭ যে কোনো একটি আসন আওয়ামী লীগের কাছ থেকে চায়। যেখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে বসে যেতে হবে। ঢাকা-১ এ আওয়ামী লীগের প্রার্থী প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। তিনি আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি এবং নীতিনির্ধারকও বটে। 

অন্যদিকে ঢাকা-১৭ আসনে মোহাম্মদ আলী আরাফাত আওয়ামী লীগের প্রার্থী। তিনি চিত্রনায়ক ফারুকের মৃত্যুর পর উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে চমক দেখিয়েছিলেন। মাত্র কয়েক মাসের জন্য তিনি এমপি দায়িত্ব পালন করেছিলেন। কাজেই এই সময় যদি আওয়ামী লীগ এই আসন ছেড়ে দেয়, তাহলে তার প্রতি অবিচার হবে। তাছাড়া  আরাফাত আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক মহলে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এবং সাম্প্রতিক সময়ে যারা টকশোতে এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আওয়ামী লীগের পক্ষে জোরালো অবস্থান নিয়েছেন তাদের মধ্যে আরাফাত একজন। এই দুইজনই আওয়ামী লীগের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আওয়ামী লীগ দুজনের একজনকে ছাড়তে চায় না। কিন্তু জাতীয় পার্টি এখন অনড় অবস্থানে রয়েছে। তাদের বক্তব্য ঢাকা-১ অথবা ঢাকা-১৭ যে কোনো একটি আসন ছেড়ে দিতে হবে। 

সালমা ইসলাম জাতীয় পার্টির একজন প্রভাবশালী নেতা। আর একারণেই এখন আওয়ামী লীগের মধ্যে এক ধরনের বিরক্তি এবং উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ কী করবে, কাকে ছাড়বে, নাকি আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টির সাথে এই দুটি আসন বাদে অন্য আসন সমঝোতা করবে সেটাই এখন দেখার বিষয়।


সালমান এফ রহমান   জাতীয় পার্টি   আওয়ামী লীগ   দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নৌকা পেয়েও হারানোর ভয়ে আওয়ামী লীগের বহু প্রার্থী

প্রকাশ: ১২:১৩ পিএম, ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন পেয়েও উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অনেক প্রার্থী। ‘নৌকা’ প্রতীক পেয়েও তা হারানোর ভয়ে দিন কাটছে তাদের। ভোটের আগে আপাতত নৌকা প্রতীক ধরে রাখাই এসব প্রার্থীর জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেজন্য নানাভাবে জোর লবিং ও তদবিরে ব্যস্ত সময় পার করছেন এসব প্রার্থী।

আওয়ামী লীগের সূত্রগুলো জানায়, বিরোধীদল বিএনপি ও সমমনা অন্য দলগুলোর নির্বাচন বর্জনের মুখে এবারের নির্বাচনে ২৯৮ আসনে ৩০৪ জন প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে ৫টি আসনে দুজন করে মনোনয়ন দেওয়া হয়।

নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দলগুলো আপাতত আলাদা প্রার্থী দিলেও শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের শরিক ও সমমনা দলগুলোর সঙ্গে আসন সমঝোতা করেই নির্বাচন হতে পারে। এমনকি সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সঙ্গেও আসন ভাগাভাগি করে হতে পারে নির্বাচন। এমনটাই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।

ইতোমধ্যে ১৪ দলের শরিক নেতারা জোটপ্রধান, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তাদের মধ্যে আসন ভাগাভাগির জন্য জোটের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমুকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এ ক্ষেত্রে ৩০৪ জনকে দলের মনোনয়ন দেওয়া হলেও আসন ছাড়ের কারণে কপাল পুড়তে পারে আওয়ামী লীগের অনেক প্রার্থীর। এর মধ্যে দলের গুরুত্বপূর্ণ ও হেভিওয়েট প্রার্থীও থাকতে পারেন। সেই আশঙ্কায় কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে তাদের। অনেকেই পাওয়া ‘নৌকা’ ধরে রাখার লড়াইয়ে দিনরাত ব্যস্ত সময় পার করছেন।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতাদের বাসা ও অফিসে কাছে ধরনা দিচ্ছেন তারা। যে কোনো উপায়েই হোক না কেন, শরিকদের ঠেকাতে মরিয়া এসব প্রার্থী। অবশ্য শেষ পর্যন্ত জাপা বা শরিকদের সঙ্গে আসন বণ্টন না হলে নৌকার এসব প্রার্থী দুশ্চিন্তামুক্ত হবেন না।

সূত্র জানায়, বর্তমান একাদশ জাতীয় সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টিসহ সরকারের শরিক দলগুলোর ৩২ জন সদস্য রয়েছেন। এসব আসনে সবাইকে বহাল রেখেই দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে আরও বেশি আসন দাবি করছে দলগুলো। এর মধ্যে দলীয় বিরোধের কারণে জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ, তার ছেলে সাদ এরশাদ, মসিউর রহমান রাঙ্গাসহ বর্তমান ৫ এমপি দলের মনোনয়ন তোলেননি। তবে জাতীয় পার্টির আসন হিসেবে এই ৫টি আসনসহ বর্তমান সবকটি আসনই চায় দলটি।

বর্তমান সংসদে সরকারের শরিক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় পার্টি-জেপি মঞ্জু ও তরীকত ফেডারেশনেরও প্রতিনিধি রয়েছেন। তার সবকটির সঙ্গে নতুন করে আরও কিছু আসন চায় দলগুলো। এর পাশাপাশি আলোচিত রাজনৈতিক দল তৃণমূল বিএনপি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-বিএনএম, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি-বিএসপি, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফও সরকারের সঙ্গে আসন ভাগাভাগির নির্বাচন চায়। এর মধ্যে তৃণমূল বিএনপির তিন শীর্ষ নেতা ছাড়াও প্রার্থী হিসেবে ৫ জন এবং বিএনএমের প্রার্থী হিসেবে ৬ জন সাবেক সংসদ সদস্যও রয়েছেন। ফলে জোটের ও নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর নানা সমীকরণে অন্তত আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া চল্লিশেরও বেশি প্রার্থী দলের চূড়ান্ত মনোনয়ন হারানোর আতঙ্কে রয়েছেন।

ইতোমধ্যে ঝালকাঠি-১ আসনে দলের সাবেক সদস্য বিএইচ হারুনকে বাদ দিয়ে নতুন করে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা শাহজাহান ওমরকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

আওয়ামী লীগের সূত্রগুলো জানিয়েছে, ১৪ দলের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন গতবার ঢাকা-৮ আসনের এমপি থাকলেও এবার সেখানে আওয়ামী লগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিমকে মনোনয়ন দেওয়ায় মেনন সেখানে আর প্রার্থী হননি। তিনি ঢাকা থেকে সরে গিয়ে বরিশালের দুটি আসনে মনোনয়ন জমা দেন। ফলে বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া সরদার মো. খালেদ হোসেন ও বরিশাল-২ (বানারীপাড়া-উজিরপুর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার মো. ইউনুস আতঙ্কে রয়েছেন। দলের আরেক নেতা ফজলে হোসেন বাদশা রাজশাহী-২ আসনে এবারও প্রার্থী। ফলে এ আসনে নৌকার মনোনয়ন পাওয়া মোহাম্মদ আলী রয়েছেন ঝুঁকিতে। সাতক্ষীরা-১ আসনে বর্তমান এমপি ওয়ার্কার্স পার্টির মুস্তফা লুৎফুল্লাহের আসনে মনোনয়ন পাওয়া ফিরোজ আহমেদ স্বপন রয়েছেন চূড়ান্ত মনোনয়ন হারানোর ঝুঁকিতে।

এদিকে জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর আসনে কাউকে দলের মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। তবে দলের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আক্তারের ফেনী-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে আলাউদ্দীন আহমেদ নাসিমকে। বগুড়া-৪ আসনে জাসদের রেজাউল করিম তানসেনের আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন হেলাল উদ্দিন কবিরাজ।

১৪ দলের শরিক তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর আসনে দলের মনোনয়ন পেয়েছেন খাদিজাতুল আনোয়ার। এ ছাড়া এ আসনে নতুন নিবন্ধন পাওয়া বিএসপির চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদও একই আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। তিনি আবার ঢাকা-১৪ আসনেও মনোনয়নপত্র জমা দেন। এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল। ফলে শরিকদের ও সমমনাদের ছাড়লে তাদের দুজনই চূড়ান্ত মনোনয়ন হারাতে পারেন।

সরকারের শরিক জাতীয় পার্টি-জেপি (মঞ্জু) এবারও পিরোজপুর-৩ আসনে প্রার্থী। ফলে এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া আশরাফুর রহমান ঝুঁকিতে আছেন।

এদিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী আলোচিত রাজনৈতিক দল তৃণমূল বিএনপি সরকারবিরোধী দল হিসেবে ভূমিকার কথা বললেও সরকারের সঙ্গে সমঝোতায় নির্বাচনে যাচ্ছে বলে আলোচনা রয়েছে। এ দলটির চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী সিলেট-৬ আসনে প্রার্থী হয়েছেন।

এ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এবং দলের মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকার নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে প্রার্থী হওয়ায় বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর চূড়ান্ত মনোনয়ন নিয়ে নানা জল্পনা চলছে। আর দলের নির্বাহী চেয়ারম্যান অন্তরা হুদা মুন্সীগঞ্জ-১ আসনে প্রার্থী হয়েছেন। এ আসনে বর্তমান এমপি বিকল্পধারার মাহী বি. চৌধুরীর মনোনয়ন বাতিল হলেও তিনি আপিল করেছেন। ফলে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের মনোনীত মহিউদ্দীন আহমেদ শেষ পর্যন্ত প্রার্থী থাকছেন না বলে অনেকের ধারণা।

এ ছাড়া দলের আরও পাঁচ প্রার্থী রয়েছেন যারা অতীতে বিভিন্ন সময় সংসদ সদস্য ছিলেন। এবারও তাদরে সবাইকে চায় দলটি। এর মধ্যে সমঝোতা হলে লক্ষ্মীপুর-১ আসনে এম এ আউয়ালের (মনোনয়ন বাতিল হওয়ায় আপিল করেছেন) জায়গায় আনোয়ার হোসেন খান, নীলফামারী-১ আসনে এমকে আলম চৌধুরীর জায়গায় আফতাবউদ্দীন সরকার, মেহেরপুর-২ আসনে আব্দুল গনির জায়গায় আবু সালেহ নাজমুল হক, মৌলভীবাজার-২ আসনে এম এম শাহীনের জায়গায় শফিউল আলম চৌধুরী (এ আসনে বর্তমান এমপি গণফোরামের মোকাব্বির খান) ঝুঁকিতে থাকতে পাারেন।

কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম কক্সবাজার-১ ও চট্টগ্রাম-৫ আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে কক্সবাজার-১ আসনে এরই মধ্যে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সালাউদ্দিন আহমদ হাইকোর্টের রায়ে মনোনয়ন ফিরে পেয়েছেন। আর চট্টগ্রাম-৫ আসনে বর্তমান এমপি জাতীয় পার্টির আনিসুল ইসলাম মাহমুদ চৌধুরী। ফলে মোহাম্মদ আব্দুস সালাম ঝুঁকিতে রয়েছেন।

এ ছাড়া আলোচিত আরেক দল বিএনএমের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহ আবু জাফর ফরিদপুর-১, মহাসচিব মো. শাহজাহান চাঁদপুর-৪ আসনে, দলের নেতা ও সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বরগুনা-২ আসনে, কণ্ঠশিল্পী ডলি সায়ন্তনী পাবনা-২ আসনে, সাবেক এমপি আব্দুল ওয়াহহাব ঝিনাইদহ-১ আসনে, দেওয়ান শানমসুল আবেদীন সুনামগঞ্জ-৪ আসনে, মামুনুর রশিদ জামালপুর-৪ আসনে, জাফর ইকবাল সিদ্দিকী নীলফামারী-১ আসনে এবং এইচ এম গোলাম রেজা সাতক্ষীরা-৪ আসনে প্রার্থী হওয়ায় এসব আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা খানিকটা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। আর জাতীয় পার্টির বর্তমান আসনগুলোতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া নেতারাও রয়েছেন বিপাকে।

এসব ব্যাপারে জানতে চাইলে ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেন, অন্যান্য দলের মতো ১৪ দল আসন ভাগাভাগির জোট নয়। জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলোচনা করেই আসন চূড়ান্ত করা হবে। বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে। ১৭ তারিখের আগে জোট শরিকদের আসন ছাড়ের বিষয়ে কিছুই বলা যাচ্ছে না। আর আসন চূড়ান্ত হলে দলের সিদ্ধান্তও মানতে হবে সব প্রার্থীকে। না হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আওয়ামী লীগ   দ্বাদশ   জাতীয় সংসদ নির্বাচন   নৌকা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আদর্শের আলোয় উদ্ভাসিত শিখর

প্রকাশ: ১১:০০ পিএম, ০৭ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

সাইফুজ্জামান শিখর। ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন, পারিবারিকভাবে আওয়ামী লীগের আদর্শে লালিত হয়ে বড় হয়েছেন। পিতা পঁচাত্তর পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো জাগরুক থাকবেন। পঁচাত্তর পরবর্তীতে যারা আওয়ামী লীগের হাল ধরেছিল, আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে যারা সবকিছু উৎসর্গ করেছিলেন, সাইফুজ্জামান শিখরের বাবা তার অন্যতম।

পঁচাত্তর পরবর্তী বাংলাদেশের বন্ধুর পরিবেশে রাজনীতি করে তিনি যেমন আওয়ামী লীগকে পুনর্গঠনের একজন যোদ্ধা হিসেবে কাজ করেছেন, তেমনই তার পরিবারও আওয়ামী লীগের আদর্শে লালিত হয়েই বিকশিত হয়েছে।

এক এগারোর সময় ছাত্রলীগের এই নেতা বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছিল। যে সময় আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা বিভ্রান্তির জালে আটকা পড়েছিলেন। কেউ কেউ হয়েছিলেন সংস্কারপন্থী। সেই সময় যারা আওয়ামী লীগ সভাপতির প্রতি একনিষ্ঠ আনুগত্য এবং আওয়ামী লীগকে অখণ্ড রাখার সংগ্রামে নিজেদেরকে নিয়োজিত রেখেছিলেন, তাদের মধ্যে শিখর অন্যতম। আর এ জন্যই ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়ী হওয়ার পর শিখর হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহকারী একান্ত সচিব।

সহকারী একান্ত সচিব পদটি মূলত রাজনৈতিক পদ। এই পদে যারা থাকেন তারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংগঠনের যোগসূত্র তৈরি করেন। সে এই কাজ সফলভাবেই পালন করেছিলেন। এরপর তিনি আবার রাজনীতির মাঠে ফিরে আসেন এবং এমপি নির্বাচনে প্রার্থী হন, নির্বাচিত এমপি হন। এবার তিনি মনোনয়ন পাননি। মনোনয়ন না পাওয়ার কারণে তিনি আদর্শচ্যুত হননি, স্বতন্ত্র প্রার্থী হননি। 

আওয়ামী লীগ এবার মোট ৭১ জন বর্তমান সংসদ সদস্য মনোনয়ন পাননি। তাদের মধ্যে ৬৩ জনই স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে মাঠে দাঁড়িয়েছেন। আর যারা স্বতন্ত্র হননি, তাদের কেউ কেউ ঘরে বসে আছেন, এক ধরনের হতাশা তাদেরকে গ্রাস করেছে।

কিন্তু শিখর যেন অন্য ধাতুতে গড়া। আদর্শ তার ধমনীতে। আর, এ কারণেই মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে তিনি হতাশ হয়ে পড়েননি। বরং জাহাঙ্গীর কবির নানক বা বাহাউদ্দিন নাসিমের পদাঙ্ক অনুসরণ করেছেন। তিনি তার আসনে যিনি প্রার্থী হয়েছেন সেই সাকিব আল হাসানের প্রতি পূর্ণ সমর্থন দিয়েছেন, তার সাথে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন এবং সেই অনুযায়ী তিনি নির্বাচনের মাঠে কাজও শুরু করে দিয়েছেন। এটাই হল আদর্শিক রাজনীতি।

আদর্শের রাজনীতিতে চড়াই-উৎরাই থাকবে। সবসময় আপনি পুরস্কৃত হবেন এমনটি নয়৷ কখনও আপনার পরীক্ষার সময়, কখনও আপনাকে কঠিন সময় পার করতে হবে, কখনও সুবিধাবাদীদের জন্য পিছু হঠতে হবে। কিন্তু, সব কিছুকে মাড়িয়ে যিনি আদর্শের পতাকা ঊর্ধে তুলে ধরবেন, তিনি সত্যিকারের রাজনীতিবিদ।

এবার নির্বাচনে মনোনয়ন না পাওয়ার পর আদর্শের আলোয় উদ্ভাসিত হয়েছেন শিখর। তিনি প্রমাণ করেছেন, আদর্শই রাজনীতিতে শেষ কথা। কিছু পাওয়া না পাওয়ার হিসাবটা সাময়িক। শিখর যেভাবে মনোনয়ন না পাওয়ার পর প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন, সেই একই প্রতিক্রিয়া যদি আওয়ামী লীগের সকল মনোনয়নবঞ্চিতরা দেখাতেন, তাহলে এই রাজনৈতিক দলটি অন্যরকমভাবে বিকশিত হত। কিন্তু শিখরের মতো কয়জনই আছেন যারা আদর্শের আলোয় উদ্ভাসিত?


সাইফুজ্জামান শিখর   আওয়ামী লীগ   রাজনীতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশ: ১০:০৭ পিএম, ০৭ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমকে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে শোকজ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির (বাঘা-চারঘাট আসন) চেয়ারম্যান ও রাজশাহীর সদর সিনিয়র সহকারী জজ মো. সেফাতুল্লাহ তার কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে এই কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠান।

নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির পাঠানো নোটিশে বলা হয়, গত ২ ডিসেম্বর শনিবার রাতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রতীক বরাদ্দের আগেই চারঘাটের ফরহাদ আলাউদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জনসভা করেন এমপি শাহরিয়ার আলম। জনসভায় শাহরিয়ার আলম রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পাকুড়িয়া ইউপির চেয়ারম্যান এবং রাজশাহী-৬ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা রাহেনুল হকের কর্মী ও সমর্থক মেরাজুল ইসলামকে জনসমক্ষে অপবাদ ও বিভিন্ন উসকানিমূলক বক্তব্য দেন। এ ছাড়া ১৭ ডিসেম্বরের পর তাকে দেখে নেওয়াসহ প্রাণনাশের হুমকি দেন। এসব অভিযোগে ভুক্তভোগী নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।

নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির পাঠানো শোকজ নোটিশে আরও বলা হয়, আচরণের মাধ্যমে শাহরিয়ার আলম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮-এর বিধি ৬ (গ) ও বিধি ১১(ক) এবং বিধি ১২ লঙ্ঘন করেছেন। এ অবস্থায় ‘সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮-এর বিধি ৬ (গ) ও বিধি ১১ (ক) এবং বিধি ১২ লঙ্ঘনের দায়ে শাহরিয়ার আলমের বিরুদ্ধে কেন নির্বাচন কমিশনে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হবে না মর্মে আগামী ১০ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ১০টায় স্ব-শরীরে হাজির হয়ে অথবা প্রতিনিধির মাধ্যমে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়।

ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে হুমকি ও নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে জানতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমকে মুঠোফোনে ফোন করা তিনি কল রিসিভ করেননি।


রাজশাহী   শাহরিয়ার আলম   আচরণবিধি লঙ্ঘন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন