আগামী
এক মাস বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অক্টোবর মাসে অনেককিছু ঘটতে
পারে। আবার অক্টোবর মাস
পার করতে পারলে নির্বাচনের
রোড ম্যাপ চূড়ান্ত হবে। নির্বাচনের তফসিল
ঘোষণা করা হবে। এরকম
একটি সমীকরণে দাঁড়িয়ে আওয়ামী লীগ অক্টোবর মাসে
সবকিছু ঠিকঠাক মতো সামাল দিতে
চাইছে। আর এ কারণে
গোটা অক্টোবর মাস জুড়ে আওয়ামী
লীগের পক্ষ থেকে কর্মসূচি
ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল
আওয়ামী লীগের স্থানীয় পর্যায়ের নেতাদের নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতারা বৈঠক করেছেন এবং
সেখানে একাধিক বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তবে
রাজনৈতিক কর্মসূচির বাইরে আওয়ামী লীগের জন্য অক্টোবর মাসে
৫টি শঙ্কা রয়েছে। আওয়ামী লীগের যে প্রধান লক্ষ্য,
সংবিধান অনুযায়ী আগামী বছরের জানুয়ারীর মধ্যে একটি অবাধ সুষ্ঠু
নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন করা, সেই লক্ষ্য
বাধাগ্রস্ত হতে পারে ৫টি
ঘটনায়। আর এই শঙ্কাগুলোর
মধ্যে রয়েছে:
১. অর্থনৈতিক সংকট: আওয়ামী লীগের জন্য এখন সবচেয়ে
বড় সংকট হিসেবে উপস্থিত হয়েছে
অর্থনৈতিক সংকট। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে গেছে। গত
৪১ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম প্রবাসী আয়
এসেছে সেপ্টেম্বরে। রপ্তানি আয়েও লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত
হয়নি। সবকিছু মিলিয়ে অর্থনীতিতে একটি শঙ্কার কালো
মেঘ দানা বেঁধে উঠেছে।
এটি আওয়ামী লীগের জন্য উদ্বেগের।
পাশাপাশি
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং মুদ্রাস্ফীতি জনজীবনে অস্বস্তি ফেলেছে।
এই সবকিছু মিলিয়ে আওয়ামী লীগ মনে করে
যে আগামী এক মাস অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করার
ক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের যথেষ্ট তৎপর হতে হবে
এবং দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে।
২. অভ্যন্তরীণ কোন্দল: আওয়ামী লীগ মনে করে
যে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং দলের ভেতরে
নানামুখী সমস্যা মোকাবিলা করতে হবে। বিশেষ
করে ছাত্রলীগের বেপরোয়া হয়ে ওঠা ও কিছু কিছু স্থানীয়
পর্যায়ে অভ্যন্তরীণ কোন্দল বিপদসীমা অতিক্রম করা আওয়ামী লীগের
জন্য একটি বড় ধরনের
শঙ্কার কারণ।
আওয়ামী
লীগের নেতারা মনে করেন যদি
দল ঐক্যবদ্ধ থাকে তাহলে কোন
সমস্যাই আওয়ামী লীগকে কাবু করতে পারে
না। আর কারণে দলকে
ঐক্যবদ্ধ রাখাটা আগামী একমাস আওয়ামী লীগের জন্য অন্যতম চ্যালেঞ্জ।
৩. ব্যর্থ
মন্ত্রীদের দায়: আওয়ামী লীগের জন্য আগামী এক
মাস ব্যর্থ মন্ত্রীদের দায় বহন করা
একই বড় চ্যালেঞ্জের বিষয়।
এই মন্ত্রীদের ব্যর্থতার কারণেও আওয়ামী লীগের লক্ষ্য অর্জন বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে
অনেকে মনে করেন।
অর্থনৈতিক
সংকট ছাড়াও স্বাস্থ্য খাতে বিপর্যয় দেখা
দিয়েছে। ডেঙ্গুতে মৃত্যু হাজার পেরিয়ে গেছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়
ডেঙ্গু মোকাবিলায় যথাযথ ভূমিকা পালন করতে পারছেন
না। অন্যান্য ক্ষেত্রগুলোতেও সংকট দেখা দিচ্ছে।
যে সমস্ত মন্ত্রীরা দায়িত্ব পালনে অক্ষম তাদেরকে নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।
৪. বেগম খালেদা জিয়ার
শারীরিক অসুস্থতা: বেগম খালেদা জিয়ার
শারীরিক অসুস্থতা আওয়ামী লীগের জন্য একটা বড়
চ্যালেঞ্জিং বিষয়
হয়ে দাঁড়াতে পারে। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক হিসাব নিকাশ পাল্টে দিতে পারে। কারণ
বেগম খালেদা জিয়ার যদি শেষ মুহুর্তে
কোনো কিছু হয়ে যায়
সেই পরিস্থিতি সামাল দেওয়াটা আওয়ামী লীগের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জের বিষয়।
যদিও
আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করছেন তেমন
কিছুই হবে না। এর
আগেও বেগম খালেদা জিয়ার
গ্রেফতারের সময় এই ধরনের
শঙ্কার কথা বলা হয়েছিল।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত কিছুই
হয়নি। এবারও কিছুই হবে না।
৫। আন্তর্জাতিক চাপ: এই সময়ের
মধ্যে আন্তর্জাতিক চাপ, বিশেষ করে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞা আওয়ামী লীগের জন্য শঙ্কার কারণ বলে রাজনৈতিক
বিশ্লেষকরা মনে করছেন। অনেকে
মনে করছেন যে এই সময়ের
মধ্যে যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে
সামাল না দেওয়া যায়
তাহলে তারা বাংলাদেশে বড় ধরনের কোন
পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে পারে।
এই ৫ শঙ্কা কাটিয়েই
আওয়ামী লীগকে আগামী নির্বাচন মোকাবিলা করতে হবে। আওয়ামী
লীগের নেতারা বলছেন যে এই মাসটা
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হলেই সব
সংকট কেটে যাবে।
মন্তব্য করুন
বিএনপির মহাসচিব
মির্জা ফখরুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার অভিযোগে করা মামলায়
জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন তার আইনজীবীরা। বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি
শাহেদ নূরউদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আজ রোববার এ আবেদন জমা দেন তারা।
উল্লেখ্য, গত ২৯
অক্টোবর রমনা মডেল থানায় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছে।
এর আগে গত ২২ নভেম্বর
ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক এ মামলায় বিএনপি মহাসচিবের জামিন
আবেদন নামঞ্জুর করেন। এ মামলায় আজ মির্জা ফখরুলের জামিন চেয়ে করা আবেদন হাইকোর্টে
জমা দেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও আইনজীবী সগীর হোসেন লিওন।
পরে আইনজীবী সগীর
হোসেন লিওন প্রথম আলোকে বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন চেয়ে করা আবেদনটি
জমা দেওয়া হয়েছে। আবেদনটি কাল (সোমবার) কার্যতালিকায় আসবে বলেছেন হাইকোর্ট।’
গত ২৯ অক্টোবর এ
মামলায় গ্রেপ্তার হন মির্জা ফখরুল। পরে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম)
আদালতে জামিন আবেদন করা হয়। আদালত সেদিন তাঁর জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর
আদেশ দেন।
এরপর গত ২ নভেম্বর
ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে মির্জা ফখরুলের জামিন চেয়ে আবেদন করেন তাঁর আইনজীবীরা।
পরে ২২ নভেম্বর ওই আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালত।
মির্জা ফখরুল জামিন হাইকোর্ট আবেদন
মন্তব্য করুন
বিকল্পধারার যুগ্ম-মহাসচিব
মাহি বদরুদ্দোজা চৌধুরীর (মাহি বি চৌধুরী) মনোনয়ন বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
রোববার (৩ ডিসেম্বর) যাচাই-বাছাই শেষে জেলা প্রশাসক মো. আবুজাফর রিপন মুন্সিগঞ্জ-১
আসনে জমা দেওয়া মনোনয়ন বাতিল করেন। ঋণ খেলাপের অভিযোগে মাহি বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মনোনয়ন
বাতিল করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, মাহি বি
চৌধুরী ২০১৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে বিকল্পধারা থেকে মুন্সীগঞ্জ-১ আসন থেকে মোয়াজ্জেম
হোসেনকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
২০১৮ সালের নির্বাচনে তার বাবা বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বে বিএনপি, জাসদ (রব), নাগরিক ঐক্য, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ও গণফোরামকে সঙ্গে নিয়ে যুক্তফ্রন্ট গঠন করেন। পরবর্তীতে মাহি তরুণ প্রজন্মের নিকট প্ল্যান বি উপস্থাপন করেন। যুক্তফ্রন্টের মধ্যে এ সময় ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। মাহি জামায়াতের সাথে একত্রে নির্বাচনে যেতে নারাজ হলে অভ্যন্তরীণ সমস্যায় বিকল্পধারাকে ঐক্য থেকে বাদ দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবার সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে, দলের যাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, তাদেরকে জিতে আসতে হবে নিজ যোগ্যতায়, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে। কাউকেই জেতানোর দায়িত্ব নেবে না আওয়ামী লীগ।কেউ যদি নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য প্রশাসন বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে সাহায্যের জন্য হাত পাতে বা অন্য কোনো উপায় অবলম্বনের চেষ্টা করে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মনোনয়ন প্রাপ্তদের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, আওয়ামী লীগ সভাপতি এবার বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরতে চান। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করতে চান যে, বিদেশিরা যে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যে সমস্ত আশঙ্কা এবং সন্দেহ পোষণ করেছিল তার সবই ছিল অমূলক। বরং বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রপ্রিয়। তারা গণতন্ত্রের চর্চা করতে চায়। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে চায়। আর এই লক্ষ্যেই তারা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে।
আওয়ামী লীগের প্রধান লক্ষ্য হল ৭ জানুয়ারি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করা। দ্বিতীয় লক্ষ্য হল ভোটার উপস্থিতি নিশ্চিত করা এবং তৃতীয় লক্ষ্য হল উৎসবমুখর পরিবেশে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোটগ্রহণ যেন সম্পন্ন হয় সেটি নিশ্চিত করা। এজন্য নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা করতেও তারা প্রস্তুত। কিন্তু কোন কোন প্রার্থী ইতোমধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী দাঁড়ানোতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তারা মনে করছেন, এর ফলে তাদের নিশ্চিত বিজয় ঝুঁকিতে পড়ল। কিন্তু আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা এটিকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন। তারা মনে করছেন, এর ফলে নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে। নির্বাচন হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ ভোটার ভোট দিতে ভোটকেন্দ্রে যাবেন। এটি আওয়ামী লীগের চাওয়া। কে জিতল না জিতল এটা আওয়ামী লীগের বড় লক্ষ্য নয়। এই কারণেই সব প্রার্থীদেরকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও প্রশাসনকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, কোনো প্রার্থীর পক্ষে বা বিপক্ষে অবস্থান গ্রহণ করা যাবে না। এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন যে ব্যবস্থা নেবে সেই ব্যবস্থার সঙ্গে সহমত পোষণ করবে আওয়ামী লীগ। ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন যে, নির্বাচন কমিশন এখন সমস্ত কিছু তদারকি করছে। নির্বাচন কমিশনকে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন প্রশাসনে রদবদল শুরু করেছে। সকল থানার ওসি
যাদের চাকরির মেয়াদ একবছরের বেশি হয়েছে তাদেরকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসাথে সুনামগঞ্জ এবং ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসককে আজ প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদেরকেও সরানোর ব্যাপারে প্রশাসনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ সমস্ত কর্মকাণ্ডের ফলে যারা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন তাদের মধ্যে এক ধরনের অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। তাদের কেউ কেউ মনে করছেন যে, এবারের নির্বাচনের সহজ বিজয় আর সম্ভব হবে না। এ কারণে তারা স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরকে হুমকি ধামকি দেওয়া, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বসিয়ে দেওয়া ইত্যাদি তৎপরতার সঙ্গে যুক্ত হতে শুরু করেছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কড়া হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। যে খুশি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে এবং নির্বাচনে জনগণ যাকে ভোট দিবে তিনি এমপি হবেন। এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের কোনো রকম পছন্দ নেই। কাউকে টেনে নির্বাচনে জয়ী করা বা কোন হিসাব নিকাশ মিলিয়ে কাউকে ভোটের মাঠে বিজয়ী করার কোন অভিপ্রায় আওয়ামী লীগের নাই এবং সেটা আওয়ামী লীগ করবে না।
আওয়ামী লীগের একাধিক শীর্ষস্থানীয় নেতা বলেছেন, নির্বাচনে ন্যূনতম কারচুপি হলেও সেটি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে শোরগোল পড়বে। একারণে আর যাই হোক না কেন, কোন প্রার্থীকে জয়ী করার দায়দায়িত্ব আওয়ামী লীগ নেবে না।
আওয়ামী লীগ নির্বাচন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণতন্ত্র
মন্তব্য করুন
সাদেক খান ঢাকা-১৩ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিকল্পধারার যুগ্ম-মহাসচিব মাহি বদরুদ্দোজা চৌধুরীর (মাহি বি চৌধুরী) মনোনয়ন বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। রোববার (৩ ডিসেম্বর) যাচাই-বাছাই শেষে জেলা প্রশাসক মো. আবুজাফর রিপন মুন্সিগঞ্জ-১ আসনে জমা দেওয়া মনোনয়ন বাতিল করেন। ঋণ খেলাপের অভিযোগে মাহি বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবার সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে, দলের যাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, তাদেরকে জিতে আসতে হবে নিজ যোগ্যতায়, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে। কাউকেই জেতানোর দায়িত্ব নেবে না আওয়ামী লীগ।কেউ যদি নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য প্রশাসন বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে সাহায্যের জন্য হাত পাতে বা অন্য কোনো উপায় অবলম্বনের চেষ্টা করে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মনোনয়ন প্রাপ্তদের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
২০১৫ সালের কথা মনে আছে? ওইসময় বেগম খালেদা জিয়া সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ ডেকেছিলেন। অবরোধ সফল করতে তিনি গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। বলেছিলেন যে, যতক্ষণ পর্যন্ত সরকারের পতন ঘটবে তত ক্ষণ পর্যন্ত তিনি ঘরে ফিরবেন না। সেখানে নাওয়া খাওয়া এবং রাত্রিযাপনের ব্যবস্থাও করেছেন বেগম জিয়া। এই সময় আকস্মিকভাবে ঘটে দুর্ঘটনা। মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত বেগম খালেদা জিয়ার ছোট পুত্র আরাফাত রহমান কোকো মৃত্যুবরণ করেন।