ইনসাইড পলিটিক্স

আসছেন মেজর (অব:) হাফিজ-কর্নেল অলি?

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২১ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

মেজর অবসরপ্রাপ্ত হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বিএনপির জনপ্রিয় এবং প্রভাবশালী নেতা। যদিও বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে তার শেকড় আলগা হয়ে গেছে। তারেক জিয়ার প্রতি তার বিতৃষ্ণা এবং অনাগ্রহ এখন আর কোন গোপন বিষয় নয়। সংবাদ সম্মেলন করেই তিনি এই বার্তাটি দিয়েছেন। আর এই কারণেই মেজর অবসরপ্রাপ্ত হাফিজকে নিয়ে নানারকম গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। মেজর হাফিজ যদিও বিএনপি ত্যাগের কথা নাকচ করে দিয়েছেন। বরং তিনি মনে করেন, বিএনপির দলগতভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা উচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিকে পাশ কাটিয়ে। বিএনপির ভুল নেতৃত্বের বিষয়ও তিনি কথা বলতে কোন লুকোচুরি করেননি। এই মেজর হাফিজকে নিয়ে এখন আবার নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। এই বীর মুক্তিযোদ্ধা বিএনএমে যোগ দিতে পারেন এবং বিএনএম এর নেতৃত্ব দিতে পারেন এমন কথা ইতোমধ্যে আলোচনায় এসেছে। শাহ্ জাফর বিএনএমে যোগদানের পরপরই মেজর অবসরপ্রাপ্ত হাফিজ উদ্দিনের কথা জোরেশোরেই আলোচিত হচ্ছে। 

শুধু মেজর অবসরপ্রাপ্ত হাফিজ উদ্দিন নন, এলডিপির নেতা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং জিয়াউর রহমানের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহকর্মী কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত অলি আহমেদেরও নির্বাচনে যোগদানের সম্ভাবনার কথা গুঞ্জরিত হচ্ছে। যদিও কর্নেল অলি আহমেদ এখন পর্যন্ত বলে যাচ্ছেন যে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া তিনি নির্বাচনে যাবে না। নির্বাচনের তফসিল তিনি প্রত্যাখ্যান করেছেন। কিন্তু রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন যে, রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই। আজকে যখন কর্নেল অলি আহমেদ এ ধরনের কথা বলছেন, কালকে যে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করবেন না তা কেউ হলফ করে বলতে পারে না। 

তবে বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে যে, ইতোমধ্যেই কর্নেল অলি আহমেদের সঙ্গে বিভিন্ন মহল যোগাযোগ করেছে এবং তাকে নির্বাচনের ব্যাপারে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য প্ররোচিত করা হচ্ছে। কর্নেল অলি আহমেদ চট্টগ্রামের আসন ছাড়াও অন্তত ১০ টি আসনে প্রার্থী দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করছেন এমন গুঞ্জনও শোনা যাচ্ছে। যদিও আনুষ্ঠানিক ভাবে এই সমস্ত বক্তব্যকে গুজব এবং অপপ্রচার হিসেবে উড়িয়ে দিয়েছেন কর্নেল অলি আহমেদ। তবে মেজর অবসরপ্রাপ্ত হাফিজ উদ্দিন কোন কিছুকে গুজব বলে উড়িয়ে দেননি। তিনি বিএনএম বা অন্য কোন রাজনৈতিক দলে যোগদান না করলেও স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করতে পারেন এমন কথাও শোনা যাচ্ছে এবং তিনি নির্বাচন করলে ভোলার দুটি আসনে নির্বাচনে উত্তেজনা সৃষ্টি হতে পারে। 

আওয়ামী লীগ একটি কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করেছে। সেই কৌশলগত অবস্থানের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি যারা এলাকায় জনপ্রিয় তাদেরকে নির্বাচনের মাঠে নামানো এবং আওয়ামী লীগের মধ্যে যারা মনোনয়ন পাননি কিন্তু জনপ্রিয় আছে তাদেরকে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে দাড়ানোর সবুজ সঙ্কেত দেওয়া। আওয়ামী লীগের প্রধান লক্ষ্য হল নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানো। অন্তত ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ ভোটার যেন ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হয় এটি আওয়ামী লীগ নিশ্চিত করতে চায় এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে এই নির্বাচনকে একটি গ্রহণযোগ্যতা দিতে চায়। সে লক্ষ্যে মেজর অবসরপ্রাপ্ত হাফিজ উদ্দিন বা কর্নেল অলি আহমেদের মতো স্থানীয় পর্যায়ে এলাকায় জনপ্রিয় জাতীয় নেতাদেরকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে একদিকে যেমন সংসদের মর্যাদা বাড়বে, অন্যদিকে তেমনি আবার নির্বাচনের ব্যাপারেও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি তৈরি হবে। আর একারণেই নির্বাচনের আগে অনেক বড় ধরনের চমক আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

ইতোমধ্যেই বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এখন যদি মেজর অবসরপ্রাপ্ত হাফিজ উদ্দিন, কর্নেল অলি আহমেদ, আ স ম আবদুর রবের মতো ব্যক্তিরাও নির্বাচনে আসে তাহলে নির্বাচনের মাঠে বিএনপির বিরোধিতা গুরুত্বহীন তামাশায় পরিণত হবে। সেই লক্ষ্যেই কাজ করছে আওয়ামী লীগ।

মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ   বিএনপি   কর্নেল অলি আহমেদ   নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিদেশি শক্তির ওপর নির্ভর করছে বিএনপি

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

বিএনপি এখন নির্বাচন বর্জন করে এক দফা আন্দোলন করছে। যদিও এই আন্দোলনে জনগণের সমর্থন নেই। এই আন্দোলন অনেকটাই নেতিয়ে পড়েছে। দফায় দফায় অবরোধ কর্মসূচিকে মানুষ প্রত্যাখ্যান করে স্বাভাবিক কর্মজীবনে ফিরে এসেছে। এরকম পরিস্থিতিতে ৭ জানুয়ারির নির্বাচন প্রতিহত করা বিএনপির জন্য অসম্ভব। বিএনপির কর্মীরা ক্রমশ হতাশ হয়ে পড়েছেন। তারা দলের নেতাদের কার্যক্রমে রীতিমত ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। কিন্তু বিএনপির কিছু কিছু নেতারা এখনও আশাবাদী। তারা এখনও মনে করছেন কিছু একটা ঘটবে। কি ঘটবে এ নিয়ে বিএনপির নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা মনে করছেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো শেষ পর্যন্ত হস্তক্ষেপ করবে। ৭ জানুয়ারি নির্বাচন হবে না, নির্বাচন হলেও এই সরকার টিকবে না। এমন একটি আশায় বসতি করে আছেন বিএনপি সহ অন্যান্য আন্দোলনরত দলগুলো। 

তারা নিজেরাও ভালো মতো জানেন যে নির্বাচন ঠেকানোর মতো শক্তি এবং সাংগঠনিক ক্ষমতা বিএনপি এবং জোটদের নেই। তাছাড়া এবার সারাদেশে নির্বাচন নিয়ে একটা উৎসবের আমেজ তৈরি হয়েছে। এরকম বাস্তবতায় নির্বাচন প্রতিহত করা বিএনপির পক্ষে অসম্ভব। অন্তত এই কর্মসূচি দিয়ে বিএনপি সেটা করতে পারবে না তা তারা ভাল করেই জানে। আর এই কারণেই বিএনপির নেতাদের কারও কারও মধ্যে হতাশা তৈরি হচ্ছে। 

বিএনপির নেতারা কেউ কেউ মনে করছেন, ভারতের কারনেই সরকার এত কিছু করতে পারছে। তবে বিএনপির কোন কোন নেতা এখনও আশাবাদী। বিএনপির নেতারা মনে করছেন যে, বিদেশিরা শেষ পর্যন্ত এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করবে। উল্লেখ্য যে, গত দুই বছর থেকে বিএনপি যে আন্দোলন করছে সেই আন্দোলনের পুরোটাই ছিল বিদেশিদের ওপর নির্ভরশীল। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য বারবার চাপ প্রয়োগ করছিলেন। এই চাপের কারণেই বিএনপির নেতা কর্মীরা আশাবাদী হয়ে উঠেছিল, উল্লসিত হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই বাংলাদেশে নির্বাচনের ব্যাপারে ভারতের অবস্থান এবং এই নির্বাচন নিয়ে ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আলাপ আলোচনা পরিস্থিতি পাল্টে দিয়েছে৷ 

তাছাড়া বিএনপি যেমনটি মনে করেছিল যে, নির্বাচনে বিএনপিসহ অন্যান্য দলগুলো অংশগ্রহণ না করলে নির্বাচন উৎসবহীন হয়ে পড়বে এবং নির্বাচনে ভোটাররা আগ্রহ দেখাবে না। কিন্তু বাস্তবতা বলছে অন্য কথা। এখন পর্যন্ত সারাদেশে নির্বাচনী একটি উত্তাপ তৈরি হয়েছে, বিশেষ করে প্রায় সাত শতাধিক স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনের মাঠ জমিয়ে দিয়েছেন। এই অবস্থায় যদি শেষ পর্যন্ত অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়, তাহলে বিএনপি কি করবে? এরকম প্রশ্নের উত্তরেও বিএনপি নেতারা অদৃশ্যের দিকে তাকিয়ে আছেন। তারা মনে করছেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হয়ত সবকিছু এত সহজে তাড়াতাড়ি ছেড়ে দেবে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কী করে সেই আশায় তাকিয়ে আছে বিএনপি এবং তার শরিকরা। তারা মনে করছে যে নির্বাচনের আগে বা নির্বাচনের পরে কিছু একটা ঘটবেই এবং এমন কিছু ঘটবে যাতে করে সরকার শেষ পর্যন্ত নির্বাচন করতে পারবে না বা নির্বাচন করলেও  এই নির্বাচন আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হবে না, তখনই বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো পাবে সুবর্ণ সুযোগ।

বিএনপি   নির্বাচন   ভারত   বাংলাদেশের নির্বাচন   মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

তরতজা স্বতন্ত্ররা, পাশে শেখ হাসিনা

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

এবার নির্বাচনের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হলো স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। প্রায় ৮০০ স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। এদের মধ্যে শতাধিক স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। তাতে কি! যারা বাতিল হয়েছে তারাও আপিল করেছেন আর যে ৭০০ স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনের জন্য প্রাথমিকভাবে যোগ্য বিবেচিত হয়েছেন তারা এবার নির্বাচনে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ।

আওয়ামী লীগের মধ্যে থেকে বিভিন্ন নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরকে বসিয়ে দেওয়া বা একটা নিয়ম-শৃঙ্খলার মধ্যে আনার জন্য চাপ প্রয়োগ করছিলেন। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে স্ববিরোধিতাও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান যেমন বলেছেন যে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কোন অস্তিত্ব নাই, তাদের বিরুদ্ধে দলের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের যেমন বলছেন যে, স্বতন্ত্র প্রার্থী যে কেউ হতে পারবে না, এটা দল ঠিক করে দেবে, তেমনটি বলেননি আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বরং তিনি স্পষ্টতই স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। যারাই তার কাছে আসছে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিরুদ্ধে নালিশ করতে তারাই উল্টো ধমক খাচ্ছে। কারণ তিনি বারবার বলে দিয়েছেন যে যার খুশি সে নির্বাচনে দাঁড়াতে পারে। যাদের প্রার্থী করা হয়েছে, তারা নিজ যোগ্যতায় জিতে আসবে। 

শুধু তাই নয়, আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে, কোন স্বতন্ত্র প্রার্থীকে ভয়ভীতি দেখালে, তার নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দিলে বা পেশিশক্তির প্রয়োগ করে তাকে ঠান্ডা করতে চাইলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একই বার্তা প্রশাসনে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। 

অন্যদিকে নির্বাচন কমিশন বলেছে যে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সমস্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেন করে সেটি নিশ্চিত করা হবে। এর ফলে এবার নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সবচেয়ে স্বস্তিতে এবং ফুরফুরে অবস্থানে রয়েছে। বহু আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা আওয়ামী লীগের জন্য রীতিমতো হুমকি হয়ে আছে এবং অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না যদি একটা বিপুল সংখ্যক স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এই নির্বাচনে বিজয়ী হয়। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের বিভিন্ন নেতাদেরকে যারা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করছেন তাদেরকে সুস্পষ্ট ভাবে তিনটি বার্তা দিয়েছেন। 

প্রথমত, কোন স্বতন্ত্র প্রার্থীকে বসিয়ে দেওয়া যাবে না। এমনকি আওয়ামী লীগ সভাপতি জাতীয় পার্টি ১৪ দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকেও তাদেরকে স্ব স্ব প্রতীক নিয়ে উন্মুক্ত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার পরামর্শ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী ১৪ দলের নেতাদের বলেছেন, আপনারা ১৫ বছর ক্ষমতায় আছেন, আপনাদের সংগঠন কোথায়? আর শেষ পর্যন্ত করুণা করে হলেও ১৪ দলের শরিকদের কিছু আসন দেওয়া হলেও জাতীয় পার্টির সঙ্গে আসন ভাগাভাগির ব্যাপারে সম্মত নন আওয়ামী লীগ সভাপতি। বরং তিনি চান বেশি সংখ্যক প্রার্থী অংশগ্রহণ করুক বেশি ভোটাররা ভোট দিক। এর ফলে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের বা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে এক বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তারা দলের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কোন কাজের জন্য তিরস্কৃত বা বহিষ্কৃত হবেন না। 

দ্বিতীয়ত, তাদেরকে প্রচারণা করার ক্ষেত্রে দলের প্রার্থীরা বাধা দেবেন না। 

তৃতীয়ত, প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদেরকে বসিয়ে দেওয়ার জন্য কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে না। এই সমস্ত কারণে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে একটা বিস্ফোরণ দেখা যাচ্ছে এবারের নির্বাচনে।

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে যে, আওয়ামী লীগ সভাপতির কৌশলের একটি অংশই হল স্বতন্ত্র প্রার্থীকে নির্বাচনে প্রার্থী করা। আর স্বতন্ত্র প্রার্থীরা যেন নির্বাচনের মাঠে টিকে থাকেন, শক্তপোক্ত করতে পারেন সেটা তিনি মনেপ্রাণে চাইছেন। তার প্রধান লক্ষ্য হল নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করা এবং জনগণের অভিপ্রায়ের যেন প্রতিফলন ঘটে সেটা নিশ্চিত করা। এর ফলে এবারের নির্বাচনে স্বতন্ত্রতা সবচেয়ে বেশি সুবিধাজনক অবস্থানে আছে।

শেখ হাসিনা   দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন   স্বতন্ত্র প্রার্থী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করবেন জোটের প্রার্থীরা: ইনু

প্রকাশ: ০৫:৩৩ পিএম, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোটের প্রার্থীরা নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।

ইনু বলেন, শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক এবং রাতের খাবারের মধ্য দিয়ে এই বার্তা পরিষ্কারভাবে দিয়েছেন যে, জোট আছে, জোট একসঙ্গে নির্বাচন করবে। আসন ভাগাভাগির বিষয়টা আমরা নিষ্পত্তি করতে সক্ষম হব। 

তিনি বলেন, যেকোনো লেনদেনে দর কষাকষি হবে, মন কষাকষি হবে। বন্ধুদের মধ্যে দরকষাকষি হয়, মন কষাকষি হয়। দিনের শেষে হাসিমুখে হাত ধরাধরি করে বেরিয়ে যাব। যেখানে জোটের প্রার্থী আসবে, সেখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী উঠে যাবে। 

তিনি আরও বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে দলীয় কৌশল কী হবে সেটা বিবেচনা করার জন্য আমরা শেখ হাসিনাকে বলেছি। এখনো সময় আছে, আলোচনা করে দেখব। প্রার্থীরা নৌকা মার্কায় নির্বাচন করবে। 

ইনু বলেন, কেউ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিলে আচরণবিধি ভঙ্গ হয় না। যার যার দল তার প্রার্থীকে অনুরোধ করতে পারে। সুতরাং এ ব্যাপারে আমি মনে করি না মনোমালিন্য কিছু হবে। এটা তাদের দলীয় কৌশলগত সিদ্ধান্ত। সেটা কীভাবে কার্যকর করবে তার জন্য শেষ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

নৌকা প্রতীক   নির্বাচন   হাসানুল হক ইনু   দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

২৪ ঘণ্টায় বিএনপির ২৮৫ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০৪:৫৫ পিএম, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় বিএনপি ও এর অঙ্গসহযোগী সংগঠনের ২৮৫ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন বলে দাবি করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

রিজভী বলেন, এ সময়ের মধ্যে ১৫ মামলায় এক হাজার ৩৯৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন জায়গায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের হামলায় ৬৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

রিজভী দাবি করে বলেন, ১৫ নভেম্বর তফসিল ঘোষণার পর থেকে এ পর্যন্ত ২৬৫ মামলায় ২৯ হাজার ৭৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে। হামলায় আহত হয়েছেন এক হাজার ৫২ জন। মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের।

বিএনপি   গ্রেপ্তার   রুহুল কবির রিজভী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আসন সমঝোতা: আওয়ামী লীগ-জাপায় টানাপোড়েন

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

জাতীয় পার্টি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আলাদাভাবে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু এককভাবে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিলেও তারা আওয়ামী লীগের সাথে আসন সমঝোতা চায়। যদিও প্রকাশ্যে জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেছেন যে, জাতীয় পার্টি এখন সাবালক হয়েছে, জাতীয় পার্টি নিজের শক্তিতে নির্বাচন করবে। কিন্তু মুখে যাই বলুক না কেন, জাতীয় পার্টি সরকারের সঙ্গে আসন নিয়ে সমঝোতা করতে চাইছে। অন্তত ৩০টি আসন আওয়ামী লীগ ছেড়ে দিক এটি জাতীয় পার্টি চায়। আর এই চাওয়ার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে যে সমস্ত আসনে সমঝোতা হবে সেই সমস্ত আসনগুলোতে নৌকা প্রতীকের কোন প্রার্থী থাকবে না। কিন্তু আওয়ামী লীগ নৌকা প্রতীকের প্রার্থী না রাখার বিষয়টিকে সহজ ভাবে নিতে পারছেন না। প্রথম দিকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছিল যে, ২০টি আসনে তারা নৌকা প্রতীকে সরিয়ে দেবে। কিন্তু এখন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, জাতীয় পার্টি তার লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করুক, আওয়ামী লীগও তার নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করুক। উন্মুক্ত নির্বাচনে যে জনপ্রিয় সেই জিতবে। কিন্তু আওয়ামী লীগের এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত নয় জাতীয় পার্টির। বরং তারা নির্বাচনে জয়ের গ্যারান্টি চাচ্ছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের গ্যারান্টি দিতে পারছে না।

গত তিনটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টি মহাজোটের ব্যানারে নির্বাচন করেছে এবং সেই সমস্ত নির্বাচনগুলোতে আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টিকে তাদের আসনগুলো ছেড়ে দিয়েছে। সেই আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ছিল না। কিন্তু এবার আমি ২৯৮টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। অন্যদিকে জাতীয় পার্টি দিয়েছে ২৮৭টি আসনে। তবে জাতীয় পার্টির নেতা সেলিম ওসমানের জন্য নারায়ণগঞ্জের একটি আসন আওয়ামী লীগ ছেড়ে দিয়েছে। একই ভাবে জাতীয় পার্টি মনে করে যে সমস্ত আসনগুলোতে জাতীয় পার্টির ভালো প্রার্থী রয়েছে, জনপ্রিয় প্রার্থী রয়েছে সেই সমস্ত আসনগুলোতে যেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী না দেয়। কিন্তু আওয়ামী লীগের এবারের কৌশল হল অনেক বেশি প্রার্থী থাকবে এবং অনেক বেশি ভোটার উপস্থিতি থাকবে। সে কারণে আওয়ামী লীগ উন্মুক্ত নির্বাচন করতে চায়। জাতীয় পার্টি নয়, কারো সাথেই আসন সমঝোতা করতে রাজি নয়।

আওয়ামী লীগের একজন একজন দায়িত্বশীল নেতা বলেছেন যে, আসন সমঝোতা হলে ভোটারদের উৎসাহ কমে যায়। তখন ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে যাবে না। যেখানে নৌকা প্রতীক থাকবে না, সেখানে ভোটাররা বুঝবে যে এটি সাজানো এবং পরিকল্পিত। তখন তাদের ভোটের উৎসব হারিয়ে ফেলবে। সেটি আওয়ামী লীগ কোন অবস্থাতেই যায় না। এ রকম একটা বাস্তবতায় জাতীয় পার্টির সঙ্গে আওয়ামী লীগের টানাপোড়েন তীব্র আকার ধারণ করেছে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। 

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে যে, আগামী দু একদিনের মধ্যে যদি জাতীয় পার্টির সঙ্গে আওয়ামী লীগ একটি সমঝোতায় না আসতে পারে তাহলে জাতীয় পার্টি নির্বাচন বর্জনের পথেও হাঁটতে পারে। এ ব্যাপারে জাতীয় পার্টি ইঙ্গিতও দিয়েছে। জাতীয় পার্টির একাধিক নেতা বলছেন যে, নির্বাচনে এখন পর্যন্ত সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি হয়নি। তাছাড়া আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচনে দাঁড়িয়েছে তাতে জাতীয় পার্টির জন্য নির্বাচন করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। সমঝোতা না হলে শেষ পর্যন্ত জাতীয় পার্টি কি করবে সেটা বোঝা যাবে আগামী দু একদিনের মধ্যে।


আসন সমঝোতা   দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন   আওয়ামী লীগ   জাতীয় পার্টি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন