ইনসাইড পলিটিক্স

কেন নানক বরিশালে

প্রকাশ: ১১:০০ পিএম, ২১ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

বরিশালের রাজনীতিতে পরিবর্তনের সূচনা হয়েছিল তখনই যখন সাদিক আব্দুল্লাহকে মনোনয়ন না দিয়ে খোকন সেরনিয়াবাতকে মনোনয়ন দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাদিক আবদুল্লাহর এই মনোনয়ন না দেওয়ার সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন তার পিতা আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ। সেই সময় তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন না করা, এমনকি রাজনীতি থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। ওই নির্বাচনী বোর্ডের সভা থেকে তিনি সরে চলে যেতে চেয়েছিলেন রাগ অভিমান করে, নিজেকে অসুস্থ দাবি করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তখন ডাক্তার দেখে তার প্রেসার মাপান এবং তাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সভাপতির ইচ্ছারই জয় হয়েছে। খোকন সেরনিয়াবাত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছে এবং এখন তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। ওই নির্বাচনে সমন্বয়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল জাহাঙ্গীর কবির নানককে। 


জাহাঙ্গীর কবির নানকের দায়িত্ব দেওয়ার মধ্য দিয়ে একটি সুস্পষ্ট ইঙ্গিত ছিল, যে ইঙ্গিতের ভাষা অনেকে হয়তো বোঝেননি। কিন্তু সেই সময় বাংলা ইনসাইডার এক প্রতিবেদনে বলেছিল যে বরিশালের রাজনীতিতে একক নেতা হিসেবে অভিষিক্ত হতে যাচ্ছে জাহাঙ্গীর কবির নানক। বরিশালের রাজনীতিতে একক নেতা হিসেবে অভিষিক্ত হতে যাচ্ছে জাহাঙ্গীর কবির নানক। কারণ বরিশালের রাজনীতি দীর্ঘদিন ধরে নিয়ন্ত্রণ করতেন তিন তারকা রাজনীতিবিদ। এদের মধ্যে ছিলেন আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ এবং আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ। এরা তিনজনই বয়োবৃদ্ধ। সম্ভবত এই নির্বাচনই তাদের শেষ নির্বাচন। আর এর ফলে বরিশালের রাজনীতিতে একটি শুন্যতা তৈরি হত। 

আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ঐতিহাসিক বাস্তবতা হলো যারা জনপ্রিয় জাতীয় নেতায় পরিণত হন তারা স্থানীয় পর্যায়ে কোন ছোটখাটো নেতা রাখেন না। বরং নেতৃত্বশূন্য করে নিজেদের রাজত্ব কায়েম করার প্রবণতা আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতাদের মধ্যে দেখা যায়। সেই প্রবণতা ছিল এই তিন নেতার মধ্যেও। 

বৃহত্তর বরিশালে তোফায়েল আহমেদের কোন বিকল্প তৈরি হয়নি। বিকল্প তৈরি হয়নি আমির হোসেন আমু বা আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর। এরকম একটি পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের জন্য একটি রাজনৈতিক শূন্যতা হতো বরিশালের বৃহত্তর অঞ্চলে, যেটি ঐতিহাসিকভাবে আওয়ামী লীগের এলাকা হিসাবে পরিচিত ছিল। আর এ কারণেই আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি বিচক্ষণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেন। খোকন সেরনিয়াবাতকে মেয়র করার মধ্য দিয়ে এবং সেখানেই তিনি জাহাঙ্গীর কবির নানকের অভ্যুদয়ের বীজ রোপন করেন। এবার জাহাঙ্গীর কবির নানক বরিশাল-৫ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে যাচ্ছে এমন গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। 


গতকাল তার পক্ষ থেকে বরিশাল-৫ আসন অর্থাৎ সদর আসনের জন্য মনোনয়ন ফরম কেনা হয়েছে। আর এটি করার ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার সবুজ সঙ্কেত বা সম্মতি ছিল বলে বিভিন্ন সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে। আর সেটা যদি হয়, তাহলে বরিশালের রাজনীতিতে যে শূন্যতা সৃষ্টি হবে আগামী নির্বাচনের পর সেই শূন্যতা পূরণের জন্য জাহাঙ্গীর কবির নানকই উপযুক্ত ব্যক্তি। বরিশালে বেড়ে ওঠা এবং শিক্ষাজীবনে বরিশালের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত জাহাঙ্গীর কবির নানক একজন ত্যাগী পরীক্ষিত নেতা। তিল তিল করে নিজেকে গড়ে তুলেছেন। যেভাবে তোফায়েল আহমেদ বা আমির হোসেন আমুদের রাজনৈতিক ধারা বিকশিত হয়েছিল, ছাত্রলীগের রাজনীতি, যুবলীগের রাজনীতি এবং তারপর কেন্দ্রীয় রাজনীতি ঠিক তেমনিভাবে জাহাঙ্গীর কবির নানক আস্তে আস্তে বিকশিত হয়েছেন বরিশালের রাজনীতিতে। 

বরিশালের রাজনীতিতে এই তিন নেতা সরে যাওয়ার পর আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব শূন্য হয়ে পড়ত, সেটি যেন না হয় সে কারণেই জাহাঙ্গীর কবির নানককে পাদপ্রদীপে নিয়ে আসা হচ্ছে বলেই অনেকে মনে করেন। কারণ বৃহত্তর বরিশালে এখন আর সে রকম কোন নেতা নেই, যাদের জাতীয় ইমেজ রয়েছে এবং নেতাকর্মীদের মধ্যে জনপ্রিয়তা রয়েছে। বৃহত্তর বরিশালে আরও যে সমস্ত এমপি রয়েছেন তারা এলাকাতেই টলটলয়মান। জাতীয় ইমেজ তাদের নেই। এক্ষেত্রে এই কারণেই জাহাঙ্গীর কবির নানককে বরিশালে টেনে আনা হচ্ছে বলে বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত।


জাহাঙ্গীর কবির নানক   বরিশাল-৫   নির্বাচন   মনোনয়ন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

শরিকদের জোরেশোরে সঙ্গে চায় বিএনপি

প্রকাশ: ০৯:২৫ এএম, ০৬ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

সরকার পতনের একদফা দাবিতে দুই একদিনের বিরতি দিয়ে টানা দশম দফার অবরোধ-হরতাল চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপি। জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এলডিপিসহ অন্য শরিকদলগুলোও জাতীয়তাবাদী দলটির (বিএনপি) সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে। একই দাবিতে টানা কর্মসূচি দিয়ে চলেছে বিএনপিকেন্দ্রীক সমমনা দলগুলো। এবার তাদের আরও শক্ত অবস্থান প্রত্যাশা করেছে বিএনপি।

নির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্রে জানা যায়, গত ২৮ অক্টোবরের পর লাগাতার হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি শুরু করে বিএনপিসহ মিত্ররা। এরপার এক মাসের বেশি সময় ধরে চলমান কর্মসূচির বিকল্প খুঁজছেন নীতিনির্ধারকরা। সেইসঙ্গে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ঠেকাতে একদফা আন্দোলনের গতি বাড়াতে চায় বিএনপি। তফসিল ৭ জানুয়ারি নির্বাচন। তবে, এই নির্বাচন ঠেকাতেই মরিয়া অংশ না নেওয়া দলগুলো।

তথ্যসূত্রগুলো বলছে, ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে সরকারের পদত্যাগ ও একদফা নির্বাচনকালীন সরকারের দাবিতে যুগপৎভাবে লাগাতার আন্দোলন করছে বিএনপিসহ ৩৯টি রাজনৈতিক দল এবং সমমনা জোট। পৃথকভাবে ধারাবাহিক কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে সক্রিয় আছে জামায়াতে ইসলামী এবং চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি, আগামী দিনের কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নির্বাচন বয়কট করা সব দলকে নিয়ে একযোগে মাঠে নামতে চায় বিএনপির হাইকমান্ড। এক্ষেত্রে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশকে বিশেষভাবে পাশে চায় দলটি।

এদিকে নিবন্ধিত দল হয়েও আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছে ইসলামী আন্দোলন। সেইসঙ্গে দলীয় সরকার নয়, জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপিসহ বিরোধীদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়েছে দলটি। ফলে এসব দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বিএনপির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা একাধিক ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন এবং যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন। সেইসঙ্গে নির্বাচন বয়কট করা অন্যান্য রাজনৈতিক দলকেও একই মঞ্চে আনার লক্ষ্য বিএনপির। মূলত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দ হলে এই সময়ের মধ্যে সব দলের মধ্যে সমঝোতাও হবে এবং একটি অভিন্ন লক্ষ্যে আন্দোলনের রূপরেখার ঘোষণা আসতে পারে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অধিকাংশ রাজনৈতিক দল বর্তমান দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে অনড়। নিবন্ধিত-অনিবন্ধিত মিলিয়ে ৬৪টি রাজনৈতিক দল নির্বাচন বয়কট করেছে। আসন্ন নির্বাচন ঠেকানোর কৌশল নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর ৩৯টি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন। সেখানেও প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান। তার মতে রাজনৈতিক আদর্শের ভিন্নতা থাকলেও বৃহত্তর স্বার্থে জাতীয় ইস্যুতে এসব দলও ঐক্যবদ্ধ থাকবে।

এরই অংশ হিসেবে, সম্প্রতি জাতীয় সংলাপের আয়োজন করেন চরমোনাই পীর। সেখানে সরকার পতনের আন্দোলনে ঐক্যের আহ্বান নিয়ে এক টেবিলে বসেন বিএনপি এবং দেশের ডানপন্থি ও বামধারার কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতারা। ওইদিন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, সরকারের অত্যাচার, নির্যাতন, জুলুম আজ বাম-ডান সবাইকে এক কাতারে নিয়ে এসেছে। মজলুমদের ঐক্য হয়ে গেছে। বাংলাদেশের মানুষ বিশ্বস্ত নেতৃত্ব চায়, এ দায়িত্ব নিতে হবে।

অন্যদিকে নির্বাচনবিরোধী একাধিক দলের নীতিনির্ধারকরা জানান, নির্বাচনী প্রচার শুরুর পর ৭ জানুয়ারির ভোট ঘিরে নতুন কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামতে চান তারা। এক্ষেত্রে বিএনপির দীর্ঘদিনের মিত্র জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে একসঙ্গে শক্তভাবে কর্মসূচি পালনের পরিকল্পনা রয়েছে বিএনপির।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মাদ তাহের গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা ৭ জানুয়ারির আগেই আশা করি বিএনপিসহ সব বিরোধী দল এক ব্যানারে-এক মঞ্চে আন্দোলনের মোহনায় মিলিত হবো। সম্মিলিত আন্দোলনের মাধ্যমেই এই সরকারের পতন নিশ্চিত হবে। অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণা কবে?–এমন প্রশ্নের জবাব তিনি বলেন, আগে সবাই এক কাতারে শামিল হচ্ছি, তারপর সবাই মিলে ক্রমান্বয়ে সম্মিলিত সিদ্ধান্তের মাধ্যমে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।


বিএনপি   জামায়াত   অবরোধ   নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আসন নিয়ে আওয়ামী লীগ-জাপায় বৈঠক আজ

প্রকাশ: ০৮:৩৮ এএম, ০৬ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসন ভাগাভাগি নিয়ে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির (জাপা) বৈঠক হতে পারে আজ (৬ ডিসেম্বর)। 

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪-দলীয় জোটের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু জানান, আজ ১৪ দলের শরিকদের আসন ভাগাভাগির বিষয়টি জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে চূড়ান্ত হওয়ার কথা রয়েছে। তবে জোটের আসনবিন্যাস ও প্রার্থী চূড়ান্ত করা নিয়ে ১৭ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এদিন রাজধানীর ইস্কাটনে নিজ বাড়িতে আমির হোসেন আমু বৈঠক করেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনুর সঙ্গে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদও গতকাল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘জাতীয় পার্টি প্রায় ৩০০ আসনে মনোনয়ন দিয়েছে। তারা যেভাবে নির্বাচনযুদ্ধে নেমেছে, সে জন্য তাদের অভিনন্দন জানাই। জাতীয় পার্টির সঙ্গে ২০০৮ সালে আমরা জোটগতভাবে মহাজোট গঠন করেছিলাম, গতবারও তারা আমাদের সঙ্গে ছিল, এবারও সেটি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।’


আওয়ামী লীগ   জাতীয় পার্টি   আসন   নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

১৪ দলের শরিকরা কেন নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে না?

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দল গঠিত হয়েছিল ২০০১ সালের পর। ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিপর্যয়ের পর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যখন ভুলুণ্ঠিত হয়েছিল, স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির গাড়িতে যখন জাতীয় পতাকা লাগানো হয়েছিল, যুদ্ধাপরাধীরা যখন মন্ত্রী হয়েছিল, সারা দেশে শুরু হয়েছিল সংখ্যালঘু নিপীড়ন তাণ্ডব ঠিক সেই সময়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিশ্বাস করে, তাদের সমন্বয়ে ১৪ দলীয় জোট গঠন করা হয়েছিল। এই জোটের মূল উদ্দেশ্য ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে লালন এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারায় রাজনীতি বিকশিত করা। আর এই ১৪ দলের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সেই সময় বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিল এবং এই আন্দোলনের এক পর্যায়ে ২০০৭ সালে এক-এগারো সরকার আসছে এবং তখনও ১৪ দল অখন্ড ছিল। 

২০০৮ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ১৪ দল ছাড়াও মহাজোট গঠন করে। এটিকে আওয়ামী লীগ নির্বাচনী জোট বলে। যে মহাজোটের অন্যতম অংশীদার ছিল জাতীয় পার্টি। কিন্তু নির্বাচনের পরে জাতীয় পার্টি, ১৪ দলের শরিকদেরকে নিয়ে আওয়ামী লীগ মন্ত্রীসভা গঠন করেছিল। ২০০৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল প্রায় ১৫ বছর আওয়ামী লীগ এবং তার শরিকরা ক্ষমতায় রয়েছে। এর মধ্যে দুই মেয়াদে ১৪ দলের শরিক দলগুলো মন্ত্রিত্বের স্বাদ পেয়েছে, জাসদের ইনু, ওয়ার্কার্স পার্টি, সাম্যবাদী দলের নেতারা মন্ত্রী হয়েছেন। কিন্তু ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পরও ১৪ দলের শরিক দলগুলো এখন পর্যন্ত রাজনৈতিক ভাবে বিকশিত হয়নি। রাজনৈতিক ভাবে সংগঠিত হয়নি। এমনকি তারা ক্রমশ ক্ষয়িষ্ণু হয়ে যাচ্ছে। এই ১৫ বছরের মধ্যে জাসদের ভাঙন দেখা দিয়েছে। ওয়ার্কার্স পার্টিতে ভাঙন হয়েছে। সাম্যবাদী দলেও ভাঙন হয়েছে। দলগুলোর সাংগঠনিক শক্তি ক্রমশ নিম্নমুখী। এক নেতা এক দলে পরিণত হয়েছে এই রাজনৈতিক দলগুলো। 

জাসদ নেতা হাসানুল হক ইনুর বাইরে আরও দু চারজন নেতা আছেন। কিন্তু ওয়ার্কার্স পার্টি বা সাম্যবাদী দলের সেই অবস্থাও নেই৷ ওয়ার্কার্স পার্টি মহিলা মনোনয়নে দলটির সভাপতি রাশেদ খান মেননের স্ত্রীকে মনোনয়ন দিয়ে রীতিমতো পরিবারতন্ত্র কায়েম করেছে। এখন যখন নির্বাচনের সময় আসছে তখন তারা আসন ভাগাভাগিতে হিস্যা চায়। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল বলেছেন যে, রাজনৈতিক দলগুলো নিজের পরিচয় আত্মনির্ভরশীল হয়ে দাঁড়াতে পারছে না কেন? এই প্রশ্নটি শুধু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নয়, এই প্রশ্নটি জনগণেরও। 

১৫ বছর দুধেভাতে থাকার পরও শরিক দলগুলো কেন বিকশিত হতে পারছেন না? সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী হচ্ছে না সেটি রাজনীতিতে একটি বড় গোলকধাঁধা। বিশেষ করে অন্য সময় বলা যেতে পারত যে, বাম দলগুলো নিপীড়িত হয়, নির্যাতিত হয়, তারা দাঁড়াতে পারে না। কিন্তু এখন যখন ক্ষমতার সঙ্গে তারা আছে, আর্থিক অবস্থাও তাদের সকলের স্ফীত সেই সময় শরিক দলগুলো এত ম্লান এবং ম্রিয়মাণ কেন। একজন দুজন ছাড়া কোন নেতা নেই যে নেতারা জাতীয়ভাবে পরিচিত। এমন কোন ব্যক্তি নেই যারা নিজ যোগ্যতায় নিজ প্রতীকে নির্বাচিত হতে পারেন। কিন্তু পরিস্থিতি এমন ছিল না। অতীতে এই ওয়ার্কার্স পার্টি বা কিংবা জাসদ অনেক শক্তিশালী ছিল। 

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন যে, সুবিধাবাদী রাজনীতির দিকে তাদের নজর, আদর্শহীনতা এবং গন্তব্যহীন রাজনীতির কারণেই তাদের এই ক্ষীয়মান অবস্থা। আর এই কারণেই তারা যে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন ভাগাভাগির জন্য দেনদরবার করবে সেই মুখটুকুও তাদের নেই।

১৪ দল   আওয়ামী লীগ   নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় রিজভীর নেতৃত্বে মশাল মিছিল

প্রকাশ: ০৯:০৭ পিএম, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

দশম ধাপের অবরোধ কর্মসূচির সমর্থনে রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় মশাল মিছিল করেছে বিএনপি। মঙ্গলবার (০৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এতে নেতৃত্ব দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

মশাল মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সহযুববিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম, আকরামুল হাসান, ঢাকা মহানগর উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব এজিএম শামসুল হক, ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি ওমর ফারুক কাওসার, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জসিম সিকদার রানা, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মাহবুব মিয়া, মারুফ এলাহি রনি, শ্যামল মালুম, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক শরীফ প্রধান শুভ, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল আল হামিদ নিরব, ঢাবির সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালিদ হাসান হৃদয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক সাখাওয়াতুল ইসলাম খান পরাগ, যুগ্ম সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আরিফ, মারুফ আহমেদ, সমাজসেবা সম্পাদক রবিন মিয়া শাওন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক নাইমুর রহমান দুর্জয়, ইমন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী প্রমুখ।

কুড়িল বিশ্বরোড   রুহুল কবির রিজভী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

শাহজাহান ওমরের সমর্থনে বিএনপির ৪৫ নেতাকর্মীর পদত্যাগ

প্রকাশ: ০৮:২৮ পিএম, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলা বিএনপি, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫ নেতাকর্মী দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তারা পদত্যাগের ঘোষণা দেন। 

সংবাদ সম্মেলনে কাঁঠালিয়া উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইলিয়াস মিয়া বলেন, বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী শাহজাহান ওমর দীর্ঘদিন দলে মূল্যায়ন না পাওয়ায় সম্প্রতি বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন এবং ঝালকাঠি-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হয়ে নিবার্চন করছেন। দলের অবমূল্যায়নের প্রতিবাদ ও প্রিয় নেতা শাহজাহান ওমরের সমর্থনে আমরা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ৪৫ জন নেতাকর্মী স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলাম। 

পদত্যাগকারীরা হলেন- কাঁঠালিয়া উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মারুফ, মো. ইলিয়াস মিয়া, উপজেলা যুব দলের সহ-সভাপতি মো. বশির হাওলাদার, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো. হাসিব ভুট্টো, সদস্য সচিব মো. জাকির হোসেন, আওরাবুনিয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো. রনি সিকদার, শৌলজালিয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো. হাসান সরদারসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ৪৫ জন নেতাকর্মী। 

এ সময় উপজেলা বিএনপির (একাংশ) সাবেক সভাপতি আবদুল জলিল মিয়াজী, সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন কবির হাওলাদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

শাহজাহান ওমর   দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন