নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০১ পিএম, ১৪ অগাস্ট, ২০১৮
আর মাত্র দুই মাসের মধ্যে গঠিত হচ্ছে নির্বাচনকালীন সরকার। নির্বাচনকালীন সরকার প্রধানমন্ত্রীর একক এখতিয়ারবিহীন একটি বিষয়। নানা ব্যস্ততার মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে কাজ করছেন। এ ব্যাপারে কয়েকজনের সঙ্গে তিনি আলাপ-আলোচনাও করছেন। আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, নির্বাচনকালীন সরকারের অবয়ব মোটামুটি চূড়ান্ত। গতবারের মতোই ১২ থেকে ১৫ সদস্যের মন্ত্রিসভা এই নির্বাচনকালীন সরকারে থাকবে।
আওয়ামী লীগের একটি সূত্র বলছে, জাতীয় সংসদে নেই এমন রাজনৈতিক দলের মধ্যে থেকে নির্বাচনকালীন সরকারের সদস্য করার সুযোগ কম। তবে, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের স্বার্থে সংসদের বাইরে থেকে এক/দুইজনকে এই মন্ত্রিসভায় রাখার চিন্তাভাবনা চলছে। আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভায় একটি নিরপেক্ষ রূপ দেওয়ার চিন্তা করছেন। প্রধানমন্ত্রী ছাড়া মন্ত্রিসভার বেশিরভাগ সদস্যই হয়তো আগামী নির্বাচনে সংসদ সদস্যপদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নাও করতে পারেন। অবশ্য এটি এখনো একটি চিন্তা মাত্র। যেমন বর্তমান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না। সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীরও আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের সম্ভাবনা কম। সাবেক ডেপুটি স্পিকার শওকত আলী সম্ভবত আগামী নির্বাচন করছেন না। এছাড়াও বর্তমান জাতীয় সংসদে নৌকা প্রতীকে বিজয়ী অন্তত ১০০ থেকে ১৫০ জন আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের টিকেট না পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নির্বাচন সরকারের প্রভাবমুক্ত এটা দেখাতে আওয়ামী লীগ সভাপতি এরকম মনোনয়ন বঞ্চিতদের মধ্যে থেকে নির্বাচনকালীন সরকারের মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন বলে একটি সূত্র আভাস দিয়েছে।
২০১৪ এর নির্বাচনের আগে প্রথম দলীয় নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হয়েছিল, সে সময় প্রধানমন্ত্রী ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদের সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। তৎকালীন জাতীয় সংসদে প্রধান বিরোধী দল বিএনপিকেও নির্বাচনকালীন সরকারের মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেওয়ার প্রস্তাব করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এ নিয়ে সংলাপের আমন্ত্রণ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে টেলিফোন করেছিলেন। কিন্তু বিএনপি এবং বেগম খালেদা জিয়া নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে অনড় থেকে ঐ নির্বাচন বর্জন করেছিলেন। বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলেও ঐ অন্তর্বতী সরকারে বেগম রওশন এরশাদ ও জাতীয় পার্টির প্রতিনিধিরা, জাসদ নেতা হাসানুল হক ইনু, ওয়ার্কাস পার্টির রাশেদ খান মেনন যোগ দিয়েছিলেন। নির্বাচনকালীন সরকারে তাঁরা মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। বেগম মতিয়া চৌধুরী, নূরুল ইসলাম নাহিদ, আবুল মাল আবদুল মুহিত, ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশারফ হোসেন প্রমুখ মন্ত্রিসভার সদস্যরা নির্বাচনকালীন সরকারেরও দায়িত্ব পালন করেন। তোফায়েল আহমেদ, আমীর হোসেন আমুর মতো ডার্কসাইটে নেতারা যারা আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রিসভায় ছিলেন না, তাদের নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভায় রাখা হয়। আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র বলছে, এবারও নির্বাচনকালীন সরকারে অনেক নতুন মুখ থাকবে। তবে, নির্বাচনকালীন সরকারকে একটি নিরপেক্ষ আদল দেওয়ার ভাবনা আওয়ামী লীগে বেশ জোরেসোরেই আলোচিত হচ্ছে।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি ড. মঈন খান
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বিএনপি
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। বিশেষ করে বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ইতোমধ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছেন। বেগম জিয়া আর ভবিষ্যতে রাজনীতি করবেন না, রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন এ রকম একটি বক্তব্য সামনে নিয়ে আসছেন শামীম ইস্কান্দার।
আওয়ামী লীগের তৃণমূল ক্রমশ ভেঙ্গে পড়ছে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের তৃণমূল সংগঠিত করা এবং বিভেদ-বিভক্তির দূর করার জন্য যে ডাক দেওয়া হয়েছিল তারপর একটু পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল বলে বটে। কিন্তু এখন আবার উপজেলা নির্বাচনের প্রাক্কালে সারাদেশে তৃণমূল বিভক্ত হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের তৃণমূলকে সামাল দেওয়াই এখন কঠিন হয়ে পড়ছে। একদিকে নির্বাচন কেন্দ্রীক বিরোধ অন্যদিকে দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে যাওয়া আর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তদারকির অভাবে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ এখন সবচেয়ে সঙ্কটের মুখে পড়েছেন বলেই মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারাই।
অবশেষে জিয়া পরিবার মুক্ত হচ্ছে বিএনপি। বিএনপির রাজনীতিতে একটি বড় ধরনের পরিবর্তনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। তবে ঠিক কবে, কখন, কীভাবে এ পরিবর্তন হবে সে সম্পর্কে কেউ কোন সুনির্দিষ্ট ধারণা দিতে পারেনি। তবে বেগম খালেদা জিয়া বিএনপিতে পরিবর্তনের ব্যাপারে সবুজ সংকেত দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ নির্বাচনে বিএনপি প্যানেল থেকে নির্বাচিত হলেও দায়িত্বভার না নিতে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সহ চার আইনজীবীকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। তবে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এমন ইঙ্গিত দেন বিএনপিপন্থি এ আইনজীবী নেতা।