নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৮
আসন বণ্টন নিয়ে জাতীয় পার্টির সঙ্গে সরকারের টানাপোড়েন এ চরম অস্বস্তিতে পড়েছে সরকারে থাকা জাতীয় পার্টির ৩ মন্ত্রী। বেশ কিছুদিন যাবত আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাতীয় পার্টির সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছিল। সর্বশেষ গতকাল মহাজোটের পক্ষ থেকে জাতীয় পার্টিকে মাত্র ২৬টি আসন বরাদ্দ দেওয়ায় এ টানাপোড়েন চূড়ান্ত পর্যায়ে রূপ নেয়। রোববার সকালে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ আওয়ামী লীগের এমন আচরণে চরম বিক্ষুব্ধ হন। তিনি সিএমএইচ হাসপাতাল থেকে আওয়ামী লীগের এ সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানান। কিন্তু দলের নয়া মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা দিনভর জাপার পক্ষে আওয়ামী লীগের সাথে দরকষাকষি করেও আসন বাড়াতে পারেননি। এবিষয় নিয়ে নয়া মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গাকেও তিনি ভৎসনা করেন। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে রাঙ্গা সরকারের কঠোর মনোভাবের কথা এরশাদকে জানান। এরপরই শুরু হয় নানা নাটকীয়তা। বিক্ষুব্ধ এরশাদ তাঁর বিশেষ সহকারী সাবেক মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারকে সিএমএইচ হাসপাতালে তলব করে অন্তত: ১৫০ আসনে জাপার প্রার্থীদের সরাসরি নির্বাচন করার নির্দেশ দেন। এরপরই বিশেষ সহকারী এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বনানী কার্যালয় থেকে দ্রুত প্রেস রিলিজের মাধ্যমে সারাদেশে জাতীয় পার্টির ১৩২ আসনে প্রার্থীদের নাম প্রকাশ করেন এবং ঐসব প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের চিঠি দেন। এ ঘটনার পর পরই এবিষয় নিয়ে ক্ষমতাসীন দলে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়। এরশাদের এমন হঠকারী সিদ্ধান্তে চরম বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সরকারের বন ও পরিবেশ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, জাতীয় পার্টির মহাসচিব সরকারের স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা এবং শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু। গতকাল পৃথক পৃথকভাবে সরকারের এ তিন মন্ত্রী ক্ষোভ ও বিস্ময় প্রকাশ করেন। তারা জানান, পার্টি চেয়ারম্যানের এহেন হঠকারী সিদ্ধান্তে জাতীয় পার্টি ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ণ হলো। নির্বাচনী মাঠে জাতীয় পার্টিকে এজন্য চরম খেসারত দিতে হবে। তাদের মতে, পার্টি চেয়ারম্যানের এহেন সিদ্ধান্তে সরকারের সঙ্গে জাতীয় পার্টির সম্পর্কের যোজন-যোজন দূরত্ব তৈরি হলো।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।