নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৮
প্রধানমন্ত্রীর জন্য মন খারাপ আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের। এবার নির্বাচনী প্রচারে প্রধানমন্ত্রীর সফর খুবই সীমিত করা হয়েছে। গুলশান, কামরাঙ্গী চর, সিলেট এবং রংপুরে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনী সফর করবেন। এছাড়াও সুধা সদনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি বেশকিছু নির্বাচনী এলাকায় যুক্ত হবেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ১৯৮৬ সাল থেকে তাঁর দলের নির্বাচনী প্রচারণায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ১৯৮৮ এবং ১৯৯৬’র ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নেয়নি। বিগত ৭টি নির্বাচনে শেখ হাসিনা যে পরিমাণ নির্বাচনী প্রচারণা করেছেন, এবার তিনি তার ধারে কাছেও নেই। দেখা গেছে ১৯৮৬’র নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ২২১টি আসনে নিজে প্রচারণা করেছিলেন। ১৯৯১’র নির্বাচনে শেখ হাসিনা ২২৫ টি আসনে প্রচারণা করেছিলেন।৯৬ এর নির্বাচনী প্রচারণায় শেখ হাসিনা ২৮১ আসনে প্রচারাভিযান করেছিলেন। ২০০৮ এর নির্বাচনেও শেখ হাসিনা ২৬২ টি আসন স্পর্শ করেছিলেন। সে তুলনায় এবার তিনি নির্বাচনী প্রচারণায় নেই বললেই চলে। এ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে যে তথ্য পাওয়া গেছে তাতে দেখা গেছে, ২১ ডিসেম্বর ঢাকার গুলশানে, ২৪ ডিসেম্বর কামরাঙ্গীরচরে, ২২ ডিসেম্বর সিলেটে, ২৩ ডিসেম্বর রংপুরে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেবেন। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ১০ টি জেলায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হবেন। ১৮ ডিসেম্বর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি নড়াইল-১ আসন এবং কিশোরগঞ্জ-১ আসনে কথা বলবেন। নড়াইল-১ আসনটিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সফলতম অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা নির্বাচন করছেন। আর কিশোরগঞ্জ-১ আসনে প্রার্থী অসুস্থ হয়ে ব্যংককে চিকিৎসারত সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের প্রার্থী। ঐ দিন আওয়ামী লীগ সভাপতি বান্দরবনে ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্য রাখবেন। পরদিন ১৯ ডিসেম্বর তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দুটি, কক্সবাজারের ১ টি, পিরোজপুরের ১ টি, চট্টগ্রাম -৯ আসনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য রাখবেন। ২০ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী গাইবান্ধা- ৫, জয়পুরহাট ২, রাজশাহী ১ এ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভাষণ দিবেন। দেখা যাচ্ছে, খুলনা , বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, নীলফামারী, বরিশালসহ দুইশোরও অধিক নির্বাচনী আসনে প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ উপস্থিতি থাকবেনা। আওয়ামী লীগের যেসব প্রার্থীরা নির্বাচনে কঠিন প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হবে, তারা মুখিয়ে ছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি অন্তত একবার আসবেন অথবা ভিডিও কনফারেন্সে হলেও কথা বলবেন। ঠাকুরগাঁও এ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের সঙ্গে কঠিন লড়াইয়ে নেমেছেন রমেশ চন্দ্র সেন। ২০০৮ সালে এক শেখ হাসিনার জনসভাই ঠাকুরগাঁও এ নৌকার পক্ষে জোয়ার এনেছিল। পাবনা-১ আসনেও ঐক্যফ্রন্টের হেভিওয়েট প্রার্থীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু। অধ্যাপক আবু সাইয়ীদ সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা। এখানে টুকু চাইছিলেন যে নেত্রী অন্তত তাঁর এলাকায় একবার আসুক। বগুড়া এমনিতেই আওয়ামী লীগের জন্য নাজুক জেলা। ২০০৮ এর নির্বাচনে শেখ হাসিনা এখানে মরা গাঙে জোয়ার এনেছিলেন। কিন্তু এবার নেত্রীর অনুপস্থিতিতে প্রার্থীরা দিশেহারা।
আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, নিরাপত্তাজনিত কারণেই শেখ হাসিনার এবার নির্বাচনী সফর কাটছাট করা হয়েছে। অবশ্য আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলেছেন, গত একবছর ধরেই আওয়ামী লীগ সভাপতি নির্বাচনী প্রচারণা করছেন।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।