নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৫৯ পিএম, ০৬ মার্চ, ২০২০
গত বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এক বিবৃতি দিয়েছে। সেই বিবৃতিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বলেছে যে, পাপিয়া ইস্যুকে কেন্দ্র করে প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক এবং স্যোশাল মিডিয়াতে সমাজের অনেক গণমাণ্য এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নিয়ে কুৎসা, অপপ্রচার এবং মিথ্যাচার করা হচ্ছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের ওই বিবৃতিতে এই মিথ্যাচার এবং অপপ্রচার বন্ধের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং বলা হয়েছে, এই ধরণের অপপ্রচার শাস্তিযোগ্য অপরাধও বটে। কিন্তু বাংলা ইনসাইডারের অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। বাংলা ইনসাইডারের অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে যে, পাপিয়াকে কেন্দ্র করে যে বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তি এবং প্রভাবশালীদের নাম এসেছে, তার অধিকাংশই আওয়ামী লীগের নেতাদের থেকেই উৎসারিত। আওয়ামী লীগের এক নেতা অন্য নেতার বিরুদ্ধে বিষেদগার করছে এবং কুৎসা ছড়াচ্ছেন এমন তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে।
পাপিয়া যে এলাকার নেতা (নরসিংদী), সেই এলাকার সংসদ সদস্য এবং পৌর কমিশনার পাপিয়া ইস্যুতে পরস্পর কাদা ছোড়াছুড়ি করছেন। এমনকি নরসিংদী আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এ ব্যাপারে একে অপরকে দুষছেন। শুধু তাই নয়, পাপিয়ার মূল দল যুব মহিলা লীগের নেতৃবৃন্দও পরস্পর বিরোধী কাদা ছোড়াছোড়ি এবং কুৎসা রটনায় ব্যস্ত রয়েছেন। যুব মহিলা লীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে যুব মহিলা লীগেরই কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক ‘গরম’ খবর দিচ্ছেন। তারাই গণমাধ্যমে টেলিফোন করে পাপিয়ার সঙ্গে কার কার সম্পর্ক, পাপিয়ার কাছ থেকে কে কি সুবিধা পেয়েছেন ইত্যাদির খবর দিচ্ছেন।
জানা গেছে যে, সাম্প্রতিক সময় সোশ্যাল মিডিয়াতে পাপিয়ার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে কয়েকজনের নাম প্রকাশ করেছে এর উৎস সন্ধান করতে দেখা গেছে যে, এটা আওয়ামী লীগেরই একটি মহল থেকে এই প্রচারণা করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের একাধিক শীর্ষ নেতা বলছেন যে, দলের মধ্যে দীর্ঘদিনের যে কোন্দল তার বহি:প্রকাশ ঘটেছে পাপিয়া কেলেঙ্কারিতে। এখন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ চাইছে যে, কেউ কারো বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে তার রাজনৈতিক ভাবমূর্তি নষ্ট করে দিয়ে ফায়দা হাসিল করতে। একই বিষয় দেখা গেছে যে, গত বছরের সেপ্টেম্বরে যখন আওয়ামী লীগ শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছিল তখনও। সে সময়ও যুবলীগের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ওই সংগঠনেরই একটি অংশ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সত্য মিথ্যা তথ্য দিয়েছিল। একইভাবে স্বেচ্ছা সেবক লীগের নেতাদের কাছেও তথ্য দেওয়া হয়েছিল।
আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলেছেন যে, আওয়ামী লীগের নেতারা নিজেদেরই যেভাবে ‘পঁচাচ্ছে’, এভাবে চললে শেষ পর্যন্ত লোম বাছতে কম্বল উজাড় হওয়ার অবস্থা হবে এবং তাই হচ্ছে। আমি আমার প্রতিপক্ষকে রাজনৈতিকভাবে ঘায়েল করতে পারছি না। কাজেই তাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবং গণমাধ্যমে নানা রকম মনগড়া তথ্য দিয়ে তার চরিত্র হনন করছি। এগুলো গণমাধ্যমে যখন আসছে তখন তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এগুলোকে শেয়ার দিয়ে ভাইরাল করার কৌশল গ্রহণ করেছে। আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে যে, তারা এই বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন। তিনি বলেন যে,‘ আগে আমরা জানতাম কাক কাকের মাংস খায় না। কিন্তু আওয়ামী লীগই আওয়ামী লীগের মাংস খাচ্ছে। আওয়ামী লীগই আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বেশি চরিত্রহরণ করছে। যে কারণে সাধারণ মানুষের কাছে এ ধরণের গল্পকাহিনী এবং কুৎসা রটনা বিশ্বাসযোগ্য হচ্ছে।’
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের নেতারা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের কাতারে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করে; জনকল্যাণে পরিকল্পনা গ্রহণ ও কর্মসূচি নির্ধারণ করে। আমরা সর্বদা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। অন্যদিকে বিএনপি গণবিরোধী রাজনীতি করে আসছে। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে তারা জনগণকে শত্রুজ্ঞান করে শাসন-শোষণ ও অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছিল। সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করে সারাদেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আর এখন সাংবিধানিকভাবে বৈধ ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করে জনগণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার অপচেষ্টা করছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি গণবিরোধী রাজনীতি করে আসছে। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে তারা জনগণকে শত্রুজ্ঞান করে শাসন-শোষণ ও অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছিল। সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে সারা দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আর এখন সাংবিধানিকভাবে বৈধ ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করে জনগণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার অপচেষ্টা করছে।
বিএনপি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে সরকারবিরোধী তথাকথিত আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস-সহিংসতার পথ বেছে নেয় বলে দাবি করে কাদের বলেন, বিএনপি ও তার দোসরদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনী সরকারের সুসমৃণ পথচলা এবং দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের মাধ্যমে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। তাদের প্রধান লক্ষ্যবস্তু দেশের জনগণ ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, পূর্বের ধারাবাহিকতায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের নামেও তারা অগ্নি সন্ত্রাসের মাধ্যমে নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে। আর দেশের আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী ও মহামান্য আদালত জনগণের নিরাপত্তা ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বিএনপি নেতারা সেটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালায়।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি প্রকৃতপক্ষে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন, সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া তাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত। বিএনপি ক্ষমতায় থেকে নিজেদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনীর পাশাপাশি বাংলা ভাইয়ের মতো দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীর সৃষ্টি করেছিল এবং তাকে রক্ষা করার জন্য’ বাংলা ভাই মিডিয়ার সৃষ্টি’ বলে উড়িয়ে দিয়েছিল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে বদ্ধপরিকর।
বিবৃতিতে কাদের বলেন, শেখ হাসিনা জগদ্দল পাথরের মতো জেঁকে বসা বিচারহীনতার সংস্কৃতির অর্গল ভেঙে বিচারের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। সন্ত্রাসী বা অপরাধী যে-ই হোক তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। রাজনৈতিক বক্তব্যের আড়ালে সন্ত্রাসীদের রক্ষার অপকৌশল সফল হবে না।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ক্ষমতা বিএনপি
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের নেতারা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।