অন্তরের অন্তস্থল থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসক টিমকে। তাঁরা অবশেষে সকলের সামনে খোলাসা করলেন ম্যাডামের লেটেস্ট গুরুতর অবস্থার কথা। তাঁরাই অ্যাপ্রোপিয়েট ও অথেন্টিক অথোরিটি এই কথাগুলো বলবার জন্য।
রাব্বুল আলামিনের দরবারে লাখো
শোকর তাঁর অপরিসীম কৃপায় এই চিকিৎসক দল তাঁদের প্রাণান্তকর প্রয়াসে কোটি কোটি মানুষের
প্রিয় নেত্রীর জীবনশিখা এখনো জ্বালিয়ে রেখেছেন। এরজন্য বিপুল কৃতজ্ঞতা তাঁদের প্রতি।
ম্যাডামের সর্বশেষ অবস্থাটুকু
জানবার জন্য মানুষ ব্যাকুল ও উন্মুখ হয়ে ছিল। সঠিক তথ্য না জানানো হলে যা হয়, গুজব
দখল করে নিয়েছিল সত্যের জায়গা। গুজব থেকে অনেক সময় বড় অনেক অঘটন ও অনর্থ কাণ্ড ঘটে
যায়। আল্লাহর রহমতে তেমন কিছু ঘটেনি।
আরও আট/নয় দিন আগে হর্সেস
মাউথ থেকে জেনে ম্যাডামের সর্বশেষ অবস্থা আমি জানিয়েছিলাম। লিখেছিলাম: "তিনি তাঁর
পুরনো জটিল রোগগুলো ছাড়াও ডিকমপেন্স্যাটেড লিভার সিরোসিস-এ আক্রান্ত।" লিখেছিলাম
NASH (Non-alcoholic steato hepatitis)-এর কথা। লিখেছিলাম, বেগম খালেদা জিয়ার অবস্থা
গুরুতর। বর্তমানে তাঁর যে অবস্থা তাতে দেশে চিকিৎসার সুযোগ নাই বললেই চলে। জীবন বাঁচাতে
হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে বিদেশে নিতেই হবে।
আমি লিখেছিলাম, শরীর থেকে
রক্ত যেতে যেতে তাঁর হিমোগ্লোবিন একেবারে কমে গেলে এবং রক্তবমি হতে থাকলে তাঁকে এবার
হাসপাতালে নেয়া হয়। ডাক্তারেরা এন্ডোস্কপি করে তাঁর লিভার সিরোসিস শনাক্ত করেন। তাঁর
দেহে দফায় দফায় রক্ত দেয়া হয় এবং তাঁর বড় হয়ে যাওয়া রক্তনালী এন্ডোস্কপির মাধ্যমে
Oesophageal Band ligation করা হয়েছে এবং সিসিইউ-তে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
এর বেশি কিছু বাংলাদেশের ডাক্তারদের করার নাই বলেই জানানো হয়েছে।
লিখেছিলাম, বেগম জিয়া দীর্ঘদিন
ধরেই আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ এবং হার্ট, কিডনি ও চোখের সমস্যায়
ভুগছিলেন। তিনি নিয়মিত চিকিৎসাধীন ও চিকিৎসকদের তদারকিতে ছিলেন। তাঁকে জেলে নেয়ার পর
সব বন্ধ হয়ে যায়। উপযুক্ত চিকিৎসার অভাবে পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হতে থাকে, তার অবস্থারও
গুরুতর অবনতি ঘটে। বারবার দাবি সত্বেও তাঁর প্রয়োজন অনুযায়ী উপযুক্ত হাসপাতালে নিতে
দেয়া হয়নি। পরিস্থিতি খুব জটিল হয়ে দাঁড়ালে এবং বেগম জিয়ার শারীরিক পরিস্থিতির যথেষ্ট
অবনতি হলে সরকার তাঁকে নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা করাবার সুযোগ দেয়। কিন্তু যখন দেয়া
উচিত ছিল তখন না দিয়ে তারা পরিস্থিতির গুরুতর অবনতির জন্য অপেক্ষা করেছে।
আমি লিখাছিলাম, এরপর তিনি
করোনায় আক্রান্ত হলে তাঁর দেহের অন্যান্য অর্গান ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং রোগগুলোও আরো জটিল
হয়ে ওঠে। এবার শনাক্ত হলো আরও জটিল ব্যাধি - লিভার সিরোসিস। সবকিছু মিলিয়ে বাংলাদেশে
তাঁর চিকিৎসা অসম্ভব। এখন বিদেশে সবগুলো রোগের সমন্বিত চিকিৎসার সুযোগ সম্বলিত কোনও
হাসপাতালে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করাতে না পারলে বেগম জিয়ার জীবন রক্ষা অসম্ভব হয়ে
পড়বে। যে কোনও সময়ে লিভার ফেলিওর এবং লিভার ক্যান্সারের দিকে মোড় নেয়ার প্রবল ঝুঁকিতে
আছেন তিনি। কেননা তাঁর বয়সটাও অনুকূল নয়।
তবে, আমি যা-কিছুই জানাই,
আমি তো প্রোপার অথোরিটি নই। তাই হয়তো আমার তথ্য তেমন গুরুত্ব পায়নি। অবশেষে চিকিৎসকগণ
দায়িত্ব নিয়ে বিশ্বস্ততার সঙ্গে প্রকৃত তথ্য তুলে ধরায় সবাই জানলো। আমি কৃতজ্ঞ। তাঁদের
বিবরণ আট দিন আগে দেয়া আমার তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছে। তবে দুঃখের ব্যাপার হলো,
এমন গুরুতর একটা বিষয়েও এতোটা পিছিয়ে পড়ায়। কয়েকটা দিন নষ্ট হলো। ম্যাডামের জীবনরক্ষার
জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসার্থে তাঁকে বিদেশে নেয়ার সুযোগ ক্ষমতাসীনেরা আদৌ দেবে কিনা কিংবা
দিলেও কবে নাগাদ দেবে তা' আমি জানিনা। তবে এর জন্য বিষয়টির গুরুত্ব আরো আগে এভাবে তুলে
ধরতে পারলে চাপটা হয়তো আরো আগে থেকে সৃষ্টি হতে পারতো। এখনো তো ম্যাডামের পাসপোর্টটা
পর্যন্ত ওরা আটকে রেখেছে।
আসুন, আমরা সকলে ম্যাডামের
জন্য কায়মনোবাক্যে দোয়া করি এবং যার যেটুকু সাধ্যশক্তি আছে তা দিয়ে সোচ্চার হই।
(মারুফ কামাল খানের ফেসবুক
থেকে সংগৃহীত)
মন্তব্য করুন
বিএনপি ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (২৯ মার্চ) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে ইফতার ও ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ইফতার পার্টি না করে, সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করতে। আর বিএনপি বড় বড় হোটেলে ইফতার পার্টির আয়োজন করে। আর সেই ইফতার পার্টিতে তারা আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলে দিল্লির শাসন মেনে নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ পাকিস্তানে সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। আসলে বিএনপির হৃদয়ে এবং চেতনায় পাকিস্তান। আওয়ামী লীগের চেতনা এবং হৃদয়ে বাংলাদেশ, কোনো বিদেশিদের দাসত্ব নয়।
তিনি বলেন, বিএনপির চারদিকে অন্ধকার, শেখ হাসিনার জনকল্যাণমুখী বিচক্ষণ রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিএনপি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল। ব্যর্থ হয়ে এখনো অসংলগ্ন কথা বলছে। আশি ভাগ বিএনপি নেতাকর্মীকে দমন-পীড়ন করা হচ্ছে বলে তারা মিথ্যাচার করছে।
এসময় মির্জা ফখরুলকে মিথ্যাচার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাদের মিথ্যাচারের রাজনীতি কেউ গ্রহণ করছে না বলেই তারা সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব সংকটের প্রভাবের পরও শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ এখনো ভালো আছে।
ওবায়দুল কাদের রাজনীতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। বিশেষ করে বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ইতোমধ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছেন। বেগম জিয়া আর ভবিষ্যতে রাজনীতি করবেন না, রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন এ রকম একটি বক্তব্য সামনে নিয়ে আসছেন শামীম ইস্কান্দার।