ইনসাইড সাইন্স

জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের আদ্যোপান্ত


Thumbnail জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের আদ্যোপান্ত

বর্তমানে বিশ্বের সব থেকে আলোচিত বিষয় হলো জেমস ওয়েব মহাকাশ দূরবীক্ষণ যন্ত্র বা জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ। যা উৎপক্ষেপন করা হয় যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসার উদ্যোগে এবং সাম্প্রতিক ছবিটাও প্রকাশ করা হয় নাসা (NASA) থেকেই। গত বছর ২৫ শে ডিসেম্বর, বড়দিনের দিন এই টেলিস্কোপ মহাকাশে উৎক্ষেপন করা হয়। অতীতের মহাকাশের চিত্র তুলে ধরার জন্যই এই ব্যবস্থা। উৎক্ষেপণের পরে ওয়েব প্রায় ৩০ দিন মহাকাশ যাত্রা সম্পন্ন করে পৃথিবী থেকে ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরত্বে (চাঁদের চেয়েও অধিক দূরত্বে) দ্বিতীয় লাগ্রঁজীয় বিন্দুতে (যে বিন্দুতে পৃথিবী ও সূর্যের মহাকর্ষীয় লব্ধিবল এবং মহাকাশযানের কেন্দ্রাতিগ বল একে অপরকে নাকচ করে দেয়) পৌঁছানোর পরে সেটিতে অবস্থান করে সবসময় পৃথিবীর অন্ধকার পার্শ্বে থেকে পৃথিবীর সাথে সাথে একই সময়ে বছরে একবার সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে। 

অবস্থান:
১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরেও পৃথিবী এবং সূর্যের তাপ থেকে বাঁচাতে ৫টি পর্দা লাগানো হয়েছে জেমস ওয়েব টেলিস্কোপে। এক-একটি পর্দার মাপ টেনিস কোর্টের সমান। এই টেলিস্কোপে রয়েছে ১৮টি ষড়ভুজ আয়না। যার সম্মিলিত ব্যাস ৬.৫ মিটার। ঠিক যেমনভাবে রাতের আঁধারে কোনও কোনও ফুল পাপড়ি মেলে সে ভাবেই ১৮টি আয়না মহাকাশে উন্মীলিত হয়েছে। তা দিয়েই চলেছে ব্রহ্মাণ্ডের অতীতের খোঁজ। 

আয়তন:
জেমস টেলিস্কোপের আয়তন ২০.১৯৭ মি × ১৪.১৬২ মি (৬৬.২৬ ফু × ৪৬.৪৬ ফু), সৌরঢাল এবং ক্ষমতা প্রায় ২ কিলোওয়াট। ব্যাস৬.৫ মি (২১ ফুট), ফোকাসের দৈর্ঘ্য ১৩১.৪ মি (৪৩১ ফুট), সংগ্রহ অঞ্চল ২৫.৪ মি২ (২৭৩ ফু২) এবং তরঙ্গদৈর্ঘ্য ০.৬-২৮.৩ মাইক্রোমিটার (কমলা থেকে মধ্য-অবলোহিত)। 



টেলিস্কোপের কাঠামো: 
মহাবিশ্বকে আরো স্পষ্টভাবে দেখার উদ্দেশ্যে তৈরি হয়েছে জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ। এটি নেক্সট জেনারেশন স্পেস টেলিস্কোপ (Next Generation Space Telescope বা NGST)। অবলোহিত বিকিরণ বা ইনফ্রারেড পর্যবেক্ষণের জন্য এবং একই সাথে এটি হাবল স্পেস টেলিস্কোপ ও স্পিটজার স্পেস টেলিস্কোপের ভবিষ্যত উত্তরসূরী। কারন এই দূরবীনে এমন অনেক কিছু যোগ করা হয়েছে, যা এর আগে অন্য কোন মহাকাশ দূরবীনে যোগ করে মহাকাশে পাঠানো হয়নি। এই দূরবীন কাজ করবে ইনফ্রারেড বা অবলোহিত আলোয়। এই টেলিস্কোপকে যত ইচ্ছা বড় করা যায়, যার ফলে যত খানি আলো আপতিত হয় প্রায় ততখানি আলো প্রতিফলিন হয়। যার কারণে সুস্পষ্ট ছবি দেখতে পারা যায়। এতে আছে প্রায় ১৮টি আয়না যার প্রতিটি সোনার পাত দ্বারা মুড়ানো। সোনার ইনফ্রারেড আলোর প্রতিসরণ ক্ষমতা সবথেকে বেশি তাই সোনার ব্যবহার করা হয়েছে। ১৮টি ষড়ভুজাকৃতির আয়না প্রতিটি ১.৩২ মিটার (৪.৩ ফুট) ব্যাস। (ওয়েবের সেকেন্ডারি আয়না ব্যাস ০.৭৪ মিটার)। এই আয়নায় ৪৮.২৫ গ্রাম ওজনের সোনার প্রলেপ দেয়া হয়েছে, যা একটি গলফ বলের ভরের সমান (একটি গলফ বলের ভর ৪৫.৯ গ্রাম)। তাছাড়া বিশেষ চারটি যন্ত্র এর সাথে যুক্ত করা হয়েছে টেলিস্কোপের সুরক্ষার জন্য। 

কার্য প্রক্রিয়া:
এই টেলিস্কোপ আলোর গতিতে ছবিকে ধারণ করে প্রেরণ করে। যেখানে ফুটে উঠে অনেক আগের মহাকাশের চিত্র। এখন, অনেকেই বলতে পারে, এত বছর পুরাতন এই ছবি বর্তমানে পৃথিবীতে প্রেরণ করা কতটা সত্য। সেক্ষেত্রে নাসার বিজ্ঞানীরা বলেন, কোন বস্তু থেকে আলো এসে আমাদের চোখে ধরা দিলে তবেই আমরা সেই বস্তু দেখতে পাই৷ আমরা যদি এখন সূর্যের দিকে  তাকায়৷ সেটা আসলে এখনের সূর্য না৷  সেটা প্রায় ৮ মিনিট ১৯ সেকেন্ড আগের সূর্য।  কারন সূর্য থেকে আলো আসতে প্রায় ৮ মিনিট ১৯ সেকেন্ড লাগে সূর্য আর পৃথিবীর দূরত্বের উপর ভিত্তি করে। তেমনি,  মহাকাশ এতই বিশাল যে তার দূরত্ব সাধারণ মাইল কিলো দিয়ে হিসেব করা যায় না৷ এটা হিসাব করা সম্ভব কেবল আলো দিয়ে।  আলো এক বছরে যে দূরত্ব অতিক্রম করবে সেটাকে বলা হয় এক আলোকবর্ষ ৷ কোন বস্তু আপনার থেকে এক আলোকবর্ষ দূরে মানে ঐ বস্তু থেকে আলো এসে আপনার চোখে ধরা দিতে ১ বছর লাগবে৷ তার মানে এখন,  এই সময়ে যদি আমরা  ঐ বস্তুকে দেখেন সেটি আসল এক বছর আগের বস্তুকে দেখবো। 

নাসা ১৩০০ কোটি বছর আগের যে ছবি প্রকাশ করেছে, পদার্থবিজ্ঞানের থিওরি অনুযায়ী সেক্ষেত্রে এই ছবি সত্য। মহাকাশের এসব ছবি তো সাধারণ ক্যামরায় তোলা যায় না। শক্তিশালী জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ বছর ধরে আকাশের দিকে তাক করে রাখা হয় আলোর জন্য। আলো এসে ধরা দিলে সেটাকে প্রসেস করে ছবি বের করা যায়। এখন ১৩০০ কোটি বছর আগের আলো টেলিস্কোপে এসে পড়েছে বলে ছবি তোলা সম্ভব হয়েছে। এটা সম্পূর্ণ পদার্থ বিজ্ঞান৷ ঠিক এই প্রক্রিয়ায় এত আদিম ছবি তুলতে পেরেছেন এই টেলিস্কোপ এবং পৃথিবীতে প্রেরণের ফলে সেই ছবি আমরা দেখতে পাচ্ছি। অর্থাৎ, ১৩০০ কোটি বছর আগের আলো, এতগুলো বছর ধরে মহাকাশে পথ অতিক্রম করে এইটুকু এসেছে, যা টেলিস্কোপে ধরা পড়েছে। যা আমরা এখন দেখছি তা মূলত আলোর গতি হয়ে এসেছে ১৩০০ কোটি বছর ধরে যা প্রায় পৃথিবী জন্মের আগের মহাকাশ এর চিত্র। এর মানে কিছুটা দাঁড়ায় এমন যে, পৃথিবী সৃষ্টির আগের এই গ্যালাক্সির ছবি আসতে ১৩০০ কোটি সময় লেগেছে সেসব গ্যালাক্সি বর্তমান অবস্থার ছবি পৌঁছাতে ঠিক একই সময়কাল লাগবে। 


 
কী আছে প্রেরিত ছবিতে:
জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ ক্ষেত্রে প্রেরিত ছবির প্রথম ছবিটিতে দেখা যায়  ‘মাত্র’ ২৯ কোটি আলোকবর্ষ দূরের পাঁচটি গ্যালাক্সি। ব্রহ্মাণ্ডে এমন আরো কত কত গ্যালাক্সি আছে তা অগণিত। হাজার হাজার কোটি আলোকবর্ষ দূরেও আছে এমন গ্যালাক্সি। দ্বিতীয় ছবিটিতে দেখা যায় দক্ষিণ গোলার্ধের একচিলতে আকাশের ছবি।  জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ যার ছবি পাঠিয়েছে। ছবিতে দেখা যায়, ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা গ্যালাক্সি।

বিগত উদ্যোগ:
এর আগে মহাকাশে পর্যবেক্ষণ এবং ছবি তোলার জন্য হাবল মহাকাশ দূরবীক্ষণ যন্ত্র বা মূল ইংরেজিতে হাবল স্পেস টেলিস্কোপ (ইংরেজি: Hubble Space Telescope, সংক্ষেপে HST), প্রেরণ করা হয়েছিল৷ মহাকাশে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণের আয়ত্তাধীন ভাসমান পৃথিবীর প্রথম এবং একমাত্র টেলিস্কোপ ছিল এটি যা ২০১২ সালে প্রেরণ করা হয়। যা ওই সময়ের জন্য (২০১২) সবচেয়ে দূরাবধি দেখার জন্য মানুষের তৈরি শ্রেষ্ঠ দূরবীক্ষণ যন্ত্র। কিন্তু আলোর গতি এবং নির্ধারিত মান অনুযায়ী সঠিকভাবে এর চিত্র স্পষ্ট পৌঁছানো কিছুটা চ্যালেঞ্জিং ছিল। 

জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ উৎক্ষেপনের ধারণা এবং উদ্দেশ্য:  
ওয়েবের মূল দুইটি বৈজ্ঞানিক লক্ষ্য হল ছায়াপথের জন্ম ও বিবর্তন এবং নক্ষত্র ও গ্রহসমূহের সৃষ্টি সংক্রান্ত গবেষণা করার লক্ষযে এটি প্রেরণ করা হয়। এটি জ্যোতির্বিজ্ঞান ও বিশ্বতত্ত্বের সমগ্র ক্ষেত্রজুড়ে বহু বিভিন্ন ধরনের গবেষণার দ্বার উন্মোচন করা হয়েছিল। এটির সাহায্যে পৃথিবী থেকে সবচেয়ে বেশি দূরে মহাবিশ্বে বিরাজমান বস্তু ও সংঘটিত ঘটনাগুলি পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হবে এই আশা থেকেই এই উদ্যোগ। যেমন এটির দ্বারা ধারণকৃত অবলোহিত বিকিরণ চিত্রণের মাধ্যমে আজ থেকে ১৩৫০ কোটি বছরেরও আগে (মহাবিস্ফোরণের প্রায় ১০ থেকে ২০ কোটি বছর পরে) মহাবিশ্বের প্রথম ছায়াপথ ও আদ্যনক্ষত্রগুলি কীভাবে রূপলাভ করেছিল, তা জানা যাবে। এছাড়া মানুষের বসবাসযোগ্য সম্ভাব্য বহির্গ্রহগুলির আবহমণ্ডলের বিস্তারিত খুঁটিনাটি চরিত্রায়নও সম্ভব হবে। উপরন্তু, এটি সৌরজগতের অন্যান্য গ্রহ, উপগ্রহ ও খ-বস্তুগুলির অনেক বেশী খুঁটিনাটি দেখতে সক্ষম হবে সেই ধারণা থেকে এই টেলিস্কোপকে রকেটের মাধ্যমে প্রেরণ করা হয়। 

জেমস টেলিস্কোপ প্রেরণে অন্যান্য গবেষণা সংস্থা সমূহের ভূমিকা: 
১৯৯০-এর দশকে মহাকাশে পাড়ি দেওয়ার কথা ছিল এই টেলিস্কোপের। তখনই খরচ ধরা হয়েছিল ১০০ কোটি ডলার। ২০২১ সালে যখন এই টেলিস্কোপ মহাকাশে পাড়ি দেয়, তখন খরচ দাঁড়ায় ১০০০ কোটি ডলার। ইউরোপীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইএসএ) এবং কানাডার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (সিএসএ) নাসা-র দিকে আর্থিক সাহায্যের হাত না-বাড়ালে এই টেলিস্কোপ মহাকাশে পাঠানো যেত না।

জেমস টেলিস্কোপ প্রোজেক্টে বাঙালী বিজ্ঞানি লামীয়া:
নাসার সেই টেলিস্কোপ দলের একজন গর্বিত সদস্য বাংলাদেশি বিজ্ঞানী লামীয়া। লামীয়ার শৈশব এবং কৈশোর কেটেছে  ঢাকার শান্তিনগরে। তিনি উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের সাবেক এ শিক্ষার্থী ‘এ’ এবং 'ও' লেভেল পাশ করে যুক্তরাষ্ট্রে যান এবং পিএইচডি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে। পরবর্তীতে ২০২০ সালে টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের ডানলপ ইনস্টিটিউট অব অ্যাস্ট্রোনমি অ্যানঅ্যাস্ট্রোফিজিকসে পোস্ট-ডক্টরাল ফেলো হিসেবে কাজ করেন। গত মঙ্গলবার,  তিনি তাঁর নিজস্ব ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এই টেলিস্কোপের ব্যবস্থাপনায় কাজ করার কথা জানান বিজ্ঞানী লামীয়া। 

অনেক বিজ্ঞানীদের মতে, এই টেলিস্কোপ বর্তমান সময়ে আগের তৈরি বা প্রেরিত যেকোনো টেলিস্কোপ থেকে বেশি কার্যকারি। বিজ্ঞানের অগ্রগতির জন্যই মূলত এটি সম্ভব হচ্ছে। যদি আগের সময়ের সাথে তুলনা করা হয়, তাহলে বিগত বছরগুলোতে বিভিন্ন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র যেসকল ছবি সংগ্রহ করেছে তার থেকে জেমস টেলিস্কোপের প্রেরণকৃত ছবির নির্ভুল হওয়ার হার বেশি এবং পরবর্তীতে আরো অনেক বিষ্ময়কর ছবি দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনাও সেক্ষেত্রে প্রবল। ওয়েব টেলিস্কোপের উন্নত প্রযুক্তি মহাজাগতিক ইতিহাসের প্রতিটি ধাপ অন্বেষণ করবে।


জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ   জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ   জেমস ওয়েব   টেলিস্কোপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড সাইন্স

৭ দিন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের কার্যক্রমে সাময়িক বিঘ্ন ঘটতে পারে

প্রকাশ: ০৮:২৩ পিএম, ২৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

সৌর ব্যতিচারের কারণে আগামী ৭ থেকে ১৩ মার্চ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর কার্যক্রম কিছুটা বিঘ্নিত হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি (বিএসসিএল)।

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিএসসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) নুজহাত তানজিনা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আসন্ন সৌর ব্যতিচারের কারণে আগামী ৭ থেকে ১৩ মার্চ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর ব্রডকাস্ট সেবায় সাময়িক বিঘ্ন ঘটতে পারে। ফলে ওই দিনগুলোতে প্রতিদিন সকাল ৯টা ৫০ মিনিট থেকে ১০টা ৩ মিনিট পর্যন্ত স্যাটেলাইটটির কার্যক্রমে বিঘ্ন দেখা দিতে পারে।
  
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর সম্প্রচার কার্যক্রম সাময়িক বিঘ্ন ঘটার সময়গুলো হচ্ছে ৭ মার্চ স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৫৩ মিনিট থেকে ১০টা ২ মিনিট পর্যন্ত ৯ মিনিট; ৮ মার্চ সকাল ৯টা ৫১ মিনিট থেকে ১০টা ৩ মিনিট পর্যন্ত মোট ১২ মিনিট; ৯ মার্চ সকাল ৯টা ৫০ মিনিট থেকে ১০টা ৩ মিনিট পর্যন্ত ১৩ মিনিট; ১০ মার্চ সকাল ৯টা ৫০ মিনিট থেকে ১০টা ৩ মিনিট পর্যন্ত মোট ১৩ মিনিট; ১১ মার্চ সকাল ৯টা ৫০ মিনিট থেকে ১০টা ২ মিনিট পর্যন্ত মোট ১২ মিনিট; ১২ মার্চ সকাল ৯টা ৫০ মিনিট থেকে ১০টা ১ মিনিট পর্যন্ত মোট ১১ মিনিট এবং ১৩ মার্চ সকাল ৯টা ৫২ মিনিট থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত মোট ৮ মিনিট।
 
প্রাকৃতিক কারণে ঘটিত এই সাময়িক বিঘ্নের জন্য বিএসসিএল আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট   বিএসসিএল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড সাইন্স

বিরল সূর্যগ্রহণ, দিন হবে রাতের মতো অন্ধকার!

প্রকাশ: ০৪:২৬ পিএম, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

আগামী ৮ এপ্রিল বিরল এক সূর্যগ্রহণের সাক্ষী হতে চলেছে বিশ্ব। তবে সব সূর্যগ্রহণের মতো একই সাথে পৃথিবীর সব অঞ্চল থেকে দেখা যাবে না এটি। সম্প্রতি এমনই তথ্য প্রকাশ করেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। ২০২৪ সালের প্রথম এ সূর্যগ্রহণ হবে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ।

নাসা বলছে, এই সূর্যগ্রহণ খুবই বিশেষ। কারণ এই ঘটনা ঘটছে ৫৪ বছর পর। এর আগে ১৯৭০ সালে এই সূর্যগ্রহণ হয়েছিল। এর পরে এটি ২০৭৮ সালে ঘটবে।  

পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণে একই রেখায় থাকে চাঁদ, সূর্য ও পৃথিবী। তখন সূর্য পুরোপুরি ঘূর্ণায়মান চাঁদের পেছনে ঢাকা পড়ে যায়। এ কারণে দিনের বেলাতেই রাতের অন্ধকার নামবে পৃথিবীতে। বিভ্রান্তে নিশাচর প্রাণিরা এ সময় সক্রিয় হয়ে উঠবে।
 
সূর্যগ্রহণটি যে অঞ্চলব্যাপী দৃশ্যমান থাকবে সেখানে প্রায় ৪ কোটি মানুষের বাস, যারা এটি উপভোগ করতে পারবে। ব্রহ্মাণ্ডের এই প্রাকৃতিক ঘটনায় চাঁদ যখন পৃথিবী ও সূর্যের মাঝে চলে আসবে, সেসময় চাঁদের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ২৪০০ কিলোমিটার।
 
এই গ্রহণ রাত ০৯ টা ১২ মিনিট থেকে রাত ০১ টা ২৫ মিনিট মধ্যরাত পর্যন্ত চলবে। এই সূর্যগ্রহণের মোট সময়কাল ৪ ঘণ্টা ২৫ মিনিট স্থায়ী হবে।
 
নাসা জানিয়েছে, মহাজাগতিক এ দৃশ্য দেখা যাবে আমেরিকা, কানাডা ও মেক্সিকো, পশ্চিম ইউরোপ প্যাসিফিক, আটলান্টিক, আর্কটিক, আয়ারল্যান্ড এবং ইংল্যান্ডের উত্তর পশ্চিম অঞ্চলে। তবে বাংলাদেশ থেকে এ পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে না।

সূর্যগ্রহণ   নাসা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড সাইন্স

৫২ বছর পর ফের চাঁদে নামল মার্কিন মহাকাশযান

প্রকাশ: ০২:১৪ পিএম, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

৫২ বছর পর চাঁদে আবার মার্কিন মহাকাশযান। তবে এবার মহাকাশযানটি বেসরকারি সংস্থার তৈরি। এর মধ্য দিয়ে এই প্রথম কোনো বেসরকারি সংস্থার তৈরি মহাকাশযান চাঁদের মাটি ছুঁল। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে মালার্পেট নামে একটা চন্দ্রখাতের কাছে নেমেছে এই চন্দ্রযান।

অ্যাপোলো ১৭ চন্দ্রাভিযান করেছিল ১৯৭২ সালে। এবার অডিসিয়াস মিশন চাঁদে সফলভাবে চাঁদে নামলো। এই মহাকাশযানটি তৈরি করা এবং তার উড়ানের পিছনে ছিল হিউস্টনের সংস্থা ইনটুইটিভ মেশিন। বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ২৩ মিনিটে(জিএমটি) তা চাঁদে নামে। এই প্রথম একটি বেসরকারি সংস্থার চন্দ্রাভিযান সফল হলো।

ইনটুইটিভ মেশিনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ''আমরা চাঁদের মাটিতে নামতে পেরেছি। সিগন্যাল পাঠাতে পারছে চন্দ্রযানটি।'' মিশন ডিরেক্টর টিম ক্রেইন বলেছেন, ''এখনো সিগন্যাল একটু দুর্বল আছে। আমরা চেষ্টা করছি, যাতে আরো স্পষ্ট সিগন্যাল আসে। তবে এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই, আমাদের মেসিনপত্র এখন চাঁদে আছে। সেখান থেকে বার্তাও আসছে।''

ছয় পেয়ে রোবট অডিসিয়াস চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে মালাপের্ট নামে চন্দ্রখাতের কাছে নেমেছে। এবার বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি দিয়ে উচ্চপ্রযুক্তির সাহায্য়ে তা কাজ করবে। এটি চলবে সৌরশক্তির সাহায্যে। চন্দ্রপৃষ্ঠ, চাঁদের পরিবেশ-সহ অনেক বিষয়ে নতুন তথ্য পাঠাবে এই ল্যান্ডার।

অডিসিয়াস ১৫ ফেব্রুয়ারি যাত্রা শুরু করে। স্পেস এক্সের ফ্যালকন ৯ রকেট তাকে মহাকাশে নিয়ে যায়। এখানে এই প্রথম সুপারকুল তরল অক্সিজেন, তরল মিথেন প্রোপালশন সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে খুবই তাড়াতাড়ি তা মহাকাশে পৌঁছে গেছে। 

মার্কিন মহাকাশযান   চাঁদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড সাইন্স

বিজ্ঞানীরা উদ্ভাবন করলেন, ধানের ভেতরে গরুর মাংস

প্রকাশ: ০৩:৫১ পিএম, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।

ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।

এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।

গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।

গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।

বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।

পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।

গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।

সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।


উদ্ভাবন   চাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড সাইন্স

সূর্যের ফুল-ডিস্ক ছবি তুল ভারতের আদিত্য-১

প্রকাশ: ১০:৩৫ পিএম, ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

প্রথমবারের মতো সূর্যের ফুল-ডিস্ক ছবি তুলেছে ভারতের সৌরযান আদিত্য এল-১। শুক্রবার সন্ধ্যায় ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো এ কথা জানিয়েছে।

ইসরো তাদের এক্সে ( সাবেক টুইটার) সেই খবরও প্রকাশ করেছে।

এই স্যাটেলাইটকে সোলার আলট্রাভায়োলেট ইমেজিং টেলিস্কোপ সূর্যের প্রথম ফুল ডিস্ক ছবি তুলেছে। সূর্যের ফোটোস্ফিয়ার, ক্রোমোস্ফিয়ার ধরা পড়েছে এতে। 

সূর্যের হরেক রকমের ছবি সামনে আনল ইসরো। সূর্যের এমন ছবি আগে কখনও কেউ তোলেনি বলেও দাবি করেছে ইসরো। ১১ ধরনের ফিল্টার ব্যবহার করে ছবি তুলেছে আদিত্যর টেলিস্কোপ। 

ইসরো জানিয়েছে, সৌরযান আদিত্য এলওয়ানের সঙ্গে রয়েছে এই সুট (SUIT) টেলিস্কোপ। গত ২০ নভেম্বর সুটের পাওয়ার অন করা হয়। ৬ ডিসেম্বর প্রথম ছবি তোলে সুট। ইসরো আগেই জানিয়েছে, ৭ জানুয়ারি কাঙ্ক্ষিত ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্টে পৌঁছবে সৌরযান।


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন