ইনসাইড সাইন্স

সূর্যকে নিরীক্ষণের নতুন উদ্যোগ নিলো ভারত

প্রকাশ: ০৯:০৫ এএম, ০২ জানুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail

নতুন বছরে নতুন কিছু করতে প্রস্তুত ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন। এবার সূর্যকে নিরীক্ষণের জন্য দেশের প্রথম ডেডিকেটেড মিশন আদিত্য-এল১ লঞ্চ করার লক্ষ্য তৈরি করা হয়েছে। চলতি বছরের অক্টোবরে শঙ্করসুব্রহ্মণ্যন কে -কে আদিত্য-এল১ মিশনের প্রধান বিজ্ঞানী হিসেবে মনোনীত করা হয়েছিল।

২০১৫ সালের অ্যাস্ট্রোস্যাটের সফল উৎক্ষেপণের পর এটি হবে ভারতের দ্বিতীয় মহাকাশ ভিত্তিক প্রকল্প। কী উদ্দেশ্যে আদিত্য-এল১ উৎক্ষেপণের কথা ভাবা হয়েছে? এই মিশনের নামই বা আদিত্য কেন?

উল্লেখ্য, সূর্যের একাধিক নামের মধ্যে পড়ে আদিত্য। সেই নামানুসারে এই মিশনের নাম দেওয়া হয়েছে আদিত্য-এল১। এর পেছনে রয়েছে আরেকটি কারণ। এই মিশনের মূল লক্ষ্যই হল, সৌরজগতের কেন্দ্রে উপস্থিত সূর্যকে ভালোভাবে নিরীক্ষণ করা। যদিও প্রথমে এর নাম ছিল আদিত্য-১ কিন্তু পরবর্তীতে এর নামে পরিবর্তন আনা হয়েছে।

‘বাংলা হান্ট’ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল মারফত অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে এটি উৎক্ষেপণের কথা রয়েছে। আসন্ন বছর ভারতের প্রথম মানব মহাকাশ ফ্লাইট- গগনযান প্রকল্পের উপর একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার সাক্ষী থাকবে।

আদিত্য-এল১ নিয়ে বেঙ্গালুরুর জাতীয় মহাকাশ সংস্থা জানিয়েছে, এই মহাকাশযানটি সূর্য – পৃথিবী সিস্টেমের প্রথম ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্ট, এল১-এর চারপাশে একটি হ্যালো কক্ষপথে অবস্থান করবে। যা পৃথিবী থেকে প্রায় ১.৫ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরে রয়েছে। যেখানে সূর্য এবং পৃথিবীর সম্মিলিত মহাকর্ষীয় টান একটি মহাকাশ যানকে সূর্যের কাছে স্থির অবস্থায় রেখে দেবে।

মিশনের তাৎপর্য-

প্রসঙ্গত, আদিত্য-এল১ -এ সাতটি পেলোড রয়েছে। যার মধ্যে তিনটি পেলোড ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্ট এল১-এ ইন-সিটু কণা এবং ফিল্ড স্টাডি পরিচালনা করে। আর বাকি চারটি পেলোড সরাসরি এল১-এর ইউনিক ভান্টেজ পয়েন্ট থেকে সূর্যকে দেখতে পাবে। এই সাতটি পেলোড আলোকমণ্ডল, ক্রোমোস্ফিয়ার এবং সূর্যের সবচেয়ে বাইরের স্তরগুলি অধ্যায়নে সাহায্য করবে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক এবং পার্টিক্যালস ডিটেক্টর ব্যবহার করে। মূলত আদিত্য-এল১ মিশন সূর্যের গতিশীল প্রক্রিয়াগুলির একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ জ্ঞান প্রদান করবে এবং সৌর পদার্থবিদ্যার কিছু গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার উত্তর দেবে। 


আদিত্য-১   ভারত   মহাকাশ অভিযান   সূর্য  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড সাইন্স

আজ একসঙ্গে দেখা মিলবে পাঁচ গ্রহের

প্রকাশ: ০৫:১৪ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

চাঁদের নিচে গতকাল ‍শুক্রবার শুক্রগ্রহের অবস্থান নজর কেড়েছিল সবার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ভরে গিয়েছিল মহাজাগতিক সৌন্দর্যে ভরা নানা ছবিতে।

‘ম্যাজিক’এখনই শেষ নয়। এবার একসঙ্গে আকাশে দেখতে পাওয়া যাবে পাঁচ গ্রহকে। যে দৃশ্য দেখতে মুখিয়ে রয়েছেন আকাশপ্রেমীরা।

বুধ, শুক্র, মঙ্গল, বৃহস্পতি ও ইউরেনাস—সৌরজগতের পাঁচ সদস্যকে আকাশের মঞ্চে পরপর দেখতে পাওয়া যাবে এবার। ২৫ থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত সপ্তাহখানেক দেখা যাবে গ্রহগুলোকে। সবচেয়ে পরিষ্কার এই দৃশ্য দেখা যাবে ২৮ মার্চ। খবর এনডিটিভির।

তিনটি গ্রহ—বুধ, শুক্র ও বৃহস্পতিকে খালি চোখে দেখা গেলেও বাকি গ্রহ দুটিকে দেখতে হলে দরকার শক্তিশালী দূরবীন বা টেলিস্কোপ। সেক্ষেত্রে মঙ্গলকেও ইউরেনাসের থেকে উজ্জ্বল দেখাবে।

জ্যোতির্বিজ্ঞানের সারিবদ্ধতা ঘটে যখন গ্রহগুলো একই সঙ্গে সূর্যের একই পাশে সারিবদ্ধ হয়। স্টারওয়াক অনুসারে, এই গ্রহগুলো আকাশের একটি ছোট ৫০ ডিগ্রি সেক্টরের মধ্যে সূর্যাস্তের পর দৃশ্যমান হবে।

এদিকে শুক্রবার চাঁদের নিচে শুক্রের ‘বিন্দু’দেখে উল্লসিত হয়ে ওঠেন সবাই। অমাবস্যার দিন তিনেক পরের চাঁদের মাত্র ৯ শতাংশ ছিল দৃশ্যমান। সেই চাঁদের কাস্তের পাশে সন্ধ্যাতারার উপস্থিতি তৈরি করেছিল অনুপম দৃশ্যকাব্য। এবার অপেক্ষা আরেক মহাজাগতিক দৃশ্যের। আকাশপ্রেমীদের আপাতত প্রার্থনা একটাই। আকাশ যেন মেঘলা না থাকে।

অ্যাপোলো মহাকাশচারী বাজ অলড্রিন সম্প্রতি টুইটে লিখেছেন, গ্রহের প্রান্তিককরণের জন্য মাসের শেষের দিকে আকাশের দিকে তাকাতে ভুলবেন না, যাতে চাঁদের সঙ্গে আরও অন্তত পাঁচটি গ্রহ থাকবে।

২০০৪ সালের ডিসেম্বরের পর প্রথমবারের মতো গত বছর জুনে বুধ, শুক্র, মঙ্গল, বৃহস্পতি এবং শনি সেই বিরল ক্রমে সারিবদ্ধ হয়েছিল।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড সাইন্স

সূর্য পৃষ্ঠের অংশ ভেঙে ঘূর্নিঝড়ের সৃষ্টি; হতবাক নাসার বিজ্ঞানীরা

প্রকাশ: ০২:৫৯ পিএম, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail ড. তামিথা স্কোভ-এর টুইট বার্তা।

সৌরমণ্ডল বা সৌরজগতের পৃথিবীসহ যে ৭টি গ্রহ সূর্য নামক নক্ষত্রটিকে ঘিরে আবর্তন করছে, সেই সূর্য নিয়ে মহাকাশবিজ্ঞানীদের গবেষণার উৎসাহ বিস্তর; কিন্তু সৌরমণ্ডলের প্রাণকেন্দ্র বলে পরিচিত এই নক্ষত্রটির সাম্প্রতিক একটি ঘটনা রীতিমতো হতবাক করে দিয়েছে বিজ্ঞানীদের। সেই ঘটনাটি হচ্ছে- সূর্যের পৃষ্ঠ থেকে একটি বিশাল অংশ ভেঙে পড়ে নক্ষত্রটির উত্তর মেরুতে সরে এসে বিশাল এক ঘূর্নিঝড়ের সৃষ্টি করেছে। 

মহাকাশে ভ্রমণরত জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ গত সপ্তাহে সূর্যের যে ছবি পাঠিয়েছে, সেখানেই ধরা পড়েছে এই চিত্র। নাসার কর্মকর্তা ও স্পেস ওয়েদার ফোরকাস্টার ড. তামিথা স্কোভ নিজের টুইটারে সূর্যের সেই ছবিটি শেয়ার করেছেন।

ড. তামিথা স্কোভ- এর টুইট বার্তা।

ছবিটির ক্যাপশনে ড. তামিথা স্কোভ বলেন, ‘সূর্যের পৃষ্ঠ থেকে সরে যাওয়া অংশটি নক্ষত্রের উত্তর মেরুতে বিশাল এক ঝড়ের সৃষ্টি করেছে।’

মহাকাশ সংক্রান্ত গবেষণার অংশ হিসেবে কয়েক বছর আগে এই টেলিস্কোপটি উৎক্ষেপণ করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল অ্যারোনেটিকস অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন(নাসা)। 

নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সূর্যের পৃষ্ঠ থেকে তার কোনো অংশ ভেঙে পড়া বা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া নতুন কিছু নয়। গত ৬-৭ দশকে কয়েক বার এমন ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছে নাসা। তবে সূর্যের কোনো অংশ ভেঙে পড়ে বাতাসে ভেসে নক্ষত্রটির প্রান্তে ঝড়ের সৃষ্টি করার ঘটনা নাসার ইতিহাসে এই প্রথম। এই ব্যাপারটিই অবাক করেছে মার্কিন মহাকাশবিজ্ঞানীদের।

সৌরমণ্ডলের প্রাণকেন্দ্র সূর্যের পুরোটাই আসলে গ্যাসীয় তরল।  পৃথক এক টুইটবার্তায় ড. তামিথা স্কোভ বলেন, সূর্যের যে অংশটি বিচ্ছিন্ন হয়ে উত্তরপ্রান্তে সরে এসেছে, সেই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়েছে প্রায় ৮ ঘণ্টার মধ্যে। এ সময় সূর্যপৃষ্টের ওই অংশে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৯৬ হাজার মাইল।

নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, বর্তমানে এ সম্পর্কিত আরও বিশদ তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছেন তারা।

সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব আনুমানিক ১৪ কোটি ৯৬ লাখ কিলোমিটার বা ১৫ কোটি কিলোমিটার। তবে এই দূরত্ব সবসময় একই থাকে না। অনুসূর অবস্থানে পৃথিবী সূর্য থেকে ১৪.৭ কোটি কিলোমিটার দূরে থাকে।আর অপসূর অবস্থানে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৫.২ কোটি কিলোমিটারে।

তবে পৃথিবীর সঙ্গে সূর্যের কিছু বিস্ময়কর সম্পর্ক রয়েছে। উদাহারণ হিসেবে বলা যায়, কয়েক বছর আগে সূর্যে বড় এক সৌরঝড় হয়েছিল। সেই ঝড়ের প্রভাবে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল পৃথিবীর মোবাইল ও ইন্টারনেট যোগাযোগ ব্যবস্থা।


ড. তামিথা স্কোভ   টুইট বার্তা   সূর্য   মহাকাজ   সৌরমণ্ডল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড সাইন্স

পৃথিবীতে এলিয়েনের কোনো অস্তিত্ব নেই: পেন্টাগন

প্রকাশ: ০৬:২৩ পিএম, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২২


Thumbnail অশনাক্ত উড়ন্ত বস্তু (ইউএফও - Unidentified flying object)।

এলিয়েন (ভিনগ্রহবাসী) পৃথিবী ভ্রমণ করেছে কিংবা দুর্ঘটনায় পড়ে অবতরণ করেছে -লোকমুখে এমন প্রচলিত কথার এখন পর্যন্ত কোনো তথ্যপ্রমাণ পায়নি পেন্টাগন। আকাশে অজ্ঞাত উড়ন্ত বস্তু তথা ইউএফও নিয়ে নতুন এক গবেষণা নিয়ে এ কথা বলেছে মার্কিন সামরিক বাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা। খবর আল-জাজিরার।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, তবে মহাকাশে, আকাশে কিংবা পানির নিচে যেখানেই হোক না কেন, অস্বাভাবিক ও অজ্ঞাত বস্তুগুলোর তদন্তের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পেন্টাগন। তাদের সামনে কয়েক  শ’ নতুন ঘটনা এসেছে, যা এখন তদন্ত করা হচ্ছে বলে গতকাল শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

গত বছরের জুনে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালকের দপ্তরের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৪ থেকে ২০২১ সাল নাগাদ ১৪৪টি ইউএফও দেখা যাওয়ার তথ্য পাওয়া যায়। এর মধ্যে ৮০টি অশনাক্ত উড়ন্ত বস্তু (ইউএফও - Unidentified flying object) একাধিক সেন্সরে ধরা পড়েছিল।

গোয়েন্দা ও নিরাপত্তাবিষয়ক আন্ডারসেক্রেটারি রোনাল্ড মোলট্রি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে আছি। আমরা এমন কিছু পাইনি যে আমরা যেসব বস্তু দেখেছি, তার কোনো একটির উৎস এলিয়েন হতে পারে বলে আমাদের মনে হতে পারে।’

দেখা যাওয়া অজ্ঞাত বস্তুগুলোর তদন্তে পেন্টাগন অল-ডোমেইন অ্যানোমালি রেজল্যুশন অফিস (এএআরও) নামে একটি নতুন বিভাগ গঠন করে। এএআরও পরিচালক শন কির্কপ্যাট্রিক বহির্জাগতিক জীবনের সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেননি। 

এই কর্মকর্তা বলেন, ‘তিনি এ গবেষণার জন্য একটি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি গ্রহণ করছেন।’


এএআরও পরিচালক শন কির্কপ্যাট্রিক আরও বলেন, ‘আমি শুধু বলব, আমরা আমাদের বিশ্লেষণকে খুব পুঙ্খানুপুঙ্খ এবং বলিষ্ঠভাবে কাঠামো দিয়েছি। আমরা পুরো বিষয়টি সবিস্তার বিচার-বিশ্লেষণ করে দেখব।’

ইউএফওর ওপর এক বছরের বেশি সময় মনোযোগ দেওয়ার পর গত জুলাইতে এএআরও প্রতিষ্ঠা করা হয়। এসব ইউএফও মার্কিন সামরিক বাহিনীর পাইলটরা পর্যবেক্ষণ করেছিলেন। কিন্তু লজ্জার মুখে পড়তে পারেন, এ ভয়ে কোনো কোনো সময় বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানাতে তাঁরা ইচ্ছুক ছিলেন না।

এএআরও প্রতিষ্ঠার পর এই প্রথম সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে কির্কপ্যাট্রিক বলেন, ‘আমরা এ ধরনের আরও অনেক ঘটনার তথ্য পেয়েছি।’ সম্ভাব্য ইউএফও দেখা যাওয়ার নতুন কতগুলো তথ্য পাওয়া গেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কয়েক শ’।

কর্মকর্তারা জানান, ২০২১ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত ইউএফও দেখা যাওয়ার কতগুলো তথ্য পাওয়া গেছে, সে বিষয়ে চলতি বছরের শেষ দিকে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালকের দপ্তর থেকে হালনাগাদ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হতে পারে।

প্রায় অর্ধশতাব্দীর বেশি সময়ের মধ্যে গত মে মাসে ইউএফও নিয়ে প্রথমবারের মতো শুনানির আয়োজন করে মার্কিন কংগ্রেস। এতে এসব বস্তু এলিয়েন নাকি চীন, রাশিয়া বা সম্ভাব্য অন্য কোনো বিরোধী পক্ষ নতুন অজ্ঞাত কোনো প্রযুক্তি উড়িয়েছে, এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন একাধিক কংগ্রেস সদস্য। অজানা বস্তুগুলো নিরাপত্তাঝুঁকি তৈরি করেছে।

এসব অজ্ঞাত বস্তুর বাইরেও অনেক নতুন প্রযুক্তি রয়েছে, যেমন স্টিলথ (রাডার ফাঁকি দিতে সক্ষম) বোমারু ও যুদ্ধবিমান, ড্রোন, হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের এসব প্রযুক্তি রয়েছে। ভুল করে এগুলোকেও ইউএফও মনে করা হতে পারে।


এলিয়েন   আল-জাজিরা   পেন্টাগন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড সাইন্স

ঊর্ধ্বতনদের দুর্নীতি আগে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট

প্রকাশ: ০৩:১৬ পিএম, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২২


Thumbnail

রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমের তালিকায় ১ থেকে ২৫ নম্বরে থাকা (উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তি) উর্ধ্বতন সরকারি কর্মচারী-কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনো অভিযোগ থাকলে তা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তদন্ত করতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ গত বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) এ রায় দিয়েছেন।

৫ হাজার টাকার ঘুষ গ্রহণের  মামলায় তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির টেকনিশিয়ান আব্দুর রহিমকে দেওয়া সাজার রায় বাতিল করে হাইকোর্ট এ নির্দেশনা দিয়েছেন।

রায়ে আদালত বলেছেন, সার্বিক পরিস্থিতিতে এটি অত্র আদালতের কাছে স্পষ্ট প্রতীয়মান যে, দুদক হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করে ৫শ’/৫ হাজার টাকার অতি সাধারণ দুর্নীতির পেছনে জনগণের লাখ লাখ টাকা ব্যয় করছে। পত্র-পত্রিকায় এটি দেখা যাচ্ছে যে, ৫ হাজার টাকার একটি মোকদ্দমার জন্য দুদকের ৫ লাখ টাকা থেকে শুরু করে ২০ লাখ টাকার মতো খরচ হয়। এখন জনগণের কষ্টের টাকা এই ৫ হাজার টাকার একজন দুর্নীতির প্রতিরোধের জন্য মামলা দায়ের থেকে আপিল বিভাগ পর্যন্ত ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা ব্যয় করা কতটুকু সমীচীন প্রশ্ন রেখেছেন আদালত।

এছাড়া রায়ে সরকারকে পরামর্শ দিয়ে হাইকোর্ট বলেছেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের মতো জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠানে অবশ্যই ক্যাডার সার্ভিসের মাধ্যমে নিয়োগ হওয়া উচিত। সরকারকে দ্রুততম সময়ে বিচার বিভাগে যে প্রক্রিয়ায় বিচারক নিয়োগ হয় সে প্রক্রিয়ায় দুদকের সব অফিসার নিয়োগ প্রদানের মাধ্যমে একটি নিয়মতান্ত্রিক ক্যাডার সার্ভিসে পরিণত করার পরামর্শ দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান এবং সদস্য হবেন আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট

বিভাগের সুনাম এবং দক্ষতাসম্পন্ন প্রাক্তন বিচারপতিগণ থেকে নিয়োগ দেওয়ার পরামর্শ দেন হাইকোর্ট।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড সাইন্স

খোঁজ মিলল সোনার থেকেও মূল্যবান পাথরের

প্রকাশ: ১২:১১ পিএম, ৩০ নভেম্বর, ২০২২


Thumbnail

অস্ট্রেলিয়ার অধিবাসী ডেভিড হোল ২০১৫ সালে মেলবোর্নের কাছে গিয়েছিলেন সোনার সন্ধানে। সোনার সন্ধান করতে যাওয়া ডেভিড সেখান থেকে খুঁজে পেয়েছিলেন একটি পাথর। এই পাথরটি পাওয়ার পর ডেভিড বুঝতে পারেন এর ওজন আকারের তুলনায় বেশ খানিকটা বেশি। তখনই এই ব্যক্তি বুঝে যান যে পাথরটা আর পাঁচটা সাধারণ পাথরের মত নয়। এর কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এরপর গবেষণা করা হয় পাথরটিকে নিয়ে।

গবেষণা করে বৈজ্ঞানিকরা জানতে পারেন যে এই পাথরে কিছু বহুমূল্যবান বৃষ্টির বিন্দু রয়েছে। মজার ব্যাপার এই বিন্দুগুলি হল মহাবিশ্ব সৃষ্টির সময়কার। সাইন্স এলার্ট ম্যাগাজিন জানিয়েছে, মেলবোর্ন এর কাছ থেকে উদ্ধার করা এই পাথরটি ও পাথরে থাকা বৃষ্টির বিন্দুগুলি সোনার থেকেও হাজার হাজার গুণ বেশি মূল্যবান। বৈজ্ঞানিকরা অনেক আগে থেকেই এর সন্ধান করছিলেন।

একটি সাইন্স ম্যাগাজিন জানিয়েছে, ডেভিড এই পাথরটিকে ভাঙার অনেক চেষ্টা করেছিলেন। করাত, ড্রিল ছাড়াও ডেভিড পাথরটিকে অ্যাসিড দিয়ে গলানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু কিছুতেই কিছু হয়নি। এর বহু বছর পর জানা যায় যে পাথরটিকে সাধারণ পাথর ভেবে ভাঙার চেষ্টা করছিলেন ডেভিড সেটি আসলে একটি উল্কাপিণ্ড।

মেলবোর্ন মিউজিয়াম এর জিওলজিস্ট ডারমট হেনরি ২০১৯ সালে এই পাথর সম্বন্ধে বলতে গিয়ে বলেছিলেন, “এটি প্রমাণিত হয়েছে যে পাথরের টুকরোটি প্রায় ৪.৬ বিলিয়ন বছর পুরনো একটি উল্কা। মেরিবোরো উল্কা পাথর নামে এটি পরিচিত। পাথরটি খুব ভারী হওয়ার কারণ এটির মধ্যে লোহা ও নিকেল অত্যন্ত ঘন আকারে রয়েছে।”



মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন