নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৪৩ পিএম, ০৫ অক্টোবর, ২০২১
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)-এর তত্ত্বাবধানে এবং বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন, আইসিটি বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল ও বেসিস স্টুডেন্টস ফোরামের সহায়তায় শুরু হয়েছিল নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২১।
মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠান অনলাইন ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মোঃ সাজ্জাদ হোসেন, বেসিসের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফারহানা এ রহমান এবং নাসা স্পেস চ্যালেঞ্জের উপদেষ্টা, বিচারক, মেন্টর এবং সহস্রাধিক প্রতিযোগী।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মোঃ সাজ্জাদ হোসেন বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোনার বাংলা গড়ার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তা বাস্তবায়নে বিশেষ করে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা অনেকখানি এগিয়ে গিয়েছি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ-এর মতো আয়োজন বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে বলে আমি মনে করি। আমাদের দেশের সকল দুর্যোগ মোকাবিলা করে সামনে এগিয়ে যাবে তরুণ সমাজ। নাসা এক্ষেত্রে একটি দুর্দান্ত উদ্যোগ বলে আমি মনে করি।
বেসিসের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফারহানা এ রহমান বেসিসের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফারহানা এ রহমান বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন এবং বলেন, বাংলাদেশ থেকে আট শতাধিক প্রকল্প এবার নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতায় জমা দেয়। ১২৫টি প্রকল্প নির্বাচিত হয়েছে যারা ভার্চুয়ালি গত ১-২ অক্টোবর ২০২১ তারিখে ভার্চুয়ালী ৪৮ ঘণ্টার হ্যাকাথনে অংশগ্রহণ করেছেন। বাংলাদেশের ৯টি শহর থেকে ৩টি করে মোট ২৭টি প্রকল্পকে আমরা এইবার পুরস্কৃত করছি। বাংলাদেশ কিন্তু ইতিমধ্যেই নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ উল্লেখযোগ্য স্থান করে নিতে পেরেছে। এইবারের বেশ কয়েকটি প্রকল্প আন্তর্জাতিকভাবেও পুরস্কৃত হবে বলে আমি আশাবাদী। দেশের শীর্ষস্থানীয় স্কুল-কলেজ- বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি প্রত্যন্ত অঞ্চলে যে মেধা ছড়িয়ে আছে নাসা স্পেস অ্যাপ্স চ্যালেঞ্জ আয়োজনের মধ্য দিয়ে আমরা তার সন্ধান পেয়েছি।
তিনি আরও জানান যে, এই বছর বুয়েট ও শাহজালালের মতো বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গুলো যেমন রয়েছে তেমনি রাজশাহী, খুলনা, চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতিযোগীরা ভাল অবস্থানে রয়েছে। পিছিয়ে নেই নগরীর বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় গুলোও। এমনকি উক্ত প্রতিযোগিতায় আমরা দেশের স্বনামধন্য স্কুল-কলেজের মত প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্কুল-কলেজের অংশগ্রহন ছিলো চোখে পড়ার মতন।
নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২১-এর উপদেষ্টা আরিফুল হাসান অপু বলেন, বেসিস নাসার প্রোজেক্ট এক্সিলেটর প্রোগ্রাম সম্পর্কে ধারণা দেন। তিনি ভবিষ্যতে নাসার প্রোজেক্ট এক্সিলেটর প্রোগ্রাম মাধ্যমে পঞ্চাশটির অধিক টিম নিয়ে বছরব্যাপী কাজ করার পরিকল্পনা প্রকাশ করেন। নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২১-এর উপদেষ্টা ও ক্লাউড ক্যাম্প বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা জনাব মাহাদি-উজ-জামান অনুশঠানটি সঞ্চলনা করেন।
সপ্তমবারের মতো বাংলাদেশে আয়োজিত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা আয়োজিত বিশ্বের সর্ববৃহৎ হ্যাকাথন প্রতিযোগিতা নাসা স্পেস অ্যাপ্স চ্যালঞ্জ ২০২১। বিশ্বের শতাধিক নগরীর মতো আর্ন্তজাতকিভাবে বিশ্বের ৩২১টি শহরে একযোগে স্পেস অ্যাপস চ্যালঞ্জে হ্যাকাথন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বেসিস বাংলাদেশের ৯টি শহরে (ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, রংপুর, বরিশাল, খুলনা, কুমিল্লা ও ময়মনসিংহে) র্ভাচুয়ালি এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে। এই প্রতিযোগিতার আঞ্চলিক পর্যায়ের বিজয়ীরা চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে।
এ বছর নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ প্রথম বছরের তুলনায় অন্তত দশগুণ বড় পরিসরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে এবার ৫০ লাখ শিক্ষার্থীকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যুক্ত করার পাশাপাশি এক লাখ শিক্ষার্থীকে অনলাইনে প্রতিযোগিতায় যুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে আট শতাধিক প্রকল্প এবার নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতায় জমা দেয়। অসম্পূর্ণ প্রকল্প বাতিল করার পর যাচাই-বাছাই শেষে ১২৫টি প্রকল্প নির্বাচিত হয়েছে যারা ভার্চুয়ালি গত ১-২ অক্টোবর ২০২১ তারিখে ভার্চুয়ালী ৪৮ ঘণ্টার হ্যাকাথনে অংশগ্রহণ করেছেন।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন