নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৩৫ এএম, ২০ অক্টোবর, ২০২১
নাম পরিবর্তনের পরিকল্পনা করেছে সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট ফেসবুক। ‘মেটাভার্স’ নির্মাণ চেষ্টার অংশ হিসেবে রিব্রান্ডিং এর জন্য এই পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে বিশ্বাসযোগ্য সূত্রের বরাত দিয়ে বুধবার রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।
অক্টোবরের ২৮ তারিখে ফেসবুকের বার্ষিক কানেক্ট সম্মেলনে মার্ক জাকারবার্গ এই নাম পরিবর্তনের পরিকল্পনার ব্যাপারে আলোচনা করেছেন বলে ভক্স মিডিয়া পরিচালিত মার্কিন প্রযুক্তিবিষয়ক ব্লগ দ্য ভার্জ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ শিগশিগই এই পরিকল্পনার বিষয়টি প্রকাশ করবে বলেও ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
কয়েকদিন আগেই ফেসবুক দায়িত্বশীলভাবে ‘মেটাভার্স’ গড়তে পাঁচ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে বলে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল।
মেটাভার্স হলো ভার্চুয়াল জগৎ। এখানে ব্যবহারকারীরা যার যার চেহারার সঙ্গে মিল রেখে অ্যাভাটার তৈরি করতে পারবেন। তারাই অ্যাভাটারগুলো নিয়ন্ত্রণ করবেন। তারা নিজের ঘরে হাঁটলে, ভার্চুয়াল জগতের অ্যাভাটারও হাঁটবে। হাত নেড়ে কথা বললে, অ্যাভাটারও তাই করবে। অর্থাৎ, মেটাভার্স হচ্ছে এমন একটা অনলাইন জগৎ, যেখানে ভার্চুয়াল দুনিয়ার মধ্যেই গেমিং, অফিসের কাজ এবং যোগাযোগের সবকিছুই করতে পারবেন ব্যবহারকারী। ফেসবুক এরই মধ্যে ভার্চুয়াল রিয়ালিটি ও অগমেন্টেড রিয়ালিটিতে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে। তৈরি করেছে অকুলাস ভিআর হেডসেট। কাজ করছে ‘এআর গ্লাসেস’ ও ‘রিস্টব্যান্ড’ প্রযুক্তি নিয়েও।
ফেসবুকের নতুন বিনিয়োগটি হবে ‘এক্সআর কর্মসূচি’ ও ‘রিসার্চ ফান্ড’কে ঘিরে। দুই বছর জুড়ে বৈশ্বিকভাবে গোটা অর্থ বিনিয়োগের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে মেটভার্সের প্রযুক্তি ‘ব্যাপকতা ও ক্ষমতায়নের পন্থায়’ তৈরি। -জানিয়েছে ফেসবুক। এক প্রতিবেদন বলছে, গবেষকদের সঙ্গে ডেটা গোপনতা ও সুরক্ষাসহ চার খাতে কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে ফেসবুকের। মেটাভার্সে ব্যবহারকারীরা অস্বস্তিকর অনুভব করছেন এমন কিছু দেখার পর যাতে সাহায্য নিতে পারেন, সে ব্যবস্থা করবে এটি।
এ ছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি ব্লগ পোস্টে জানিয়েছে, সব ব্যবহারকারীর জন্য প্রবেশযোগ্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রযুক্তি কীভাবে তৈরি করা যায়, তা-ও গবেষণা করে দেখবে ফেসবুক। ‘প্রতিযোগিতায় উৎসাহ’ জোগাবে উন্নয়নশীল শিল্পেও। সাম্প্রতিক সময়ে বড় পরিসরে নানাবিধ ইন্টারনেট সমস্যা নিয়ে তোপের মুখে পড়েছে ফেসবুক। এ রকম সমস্যার মধ্যে ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়া থেকে শুরু করে কিশোর বয়সিদের ওপর সামাজিক মাধ্যমটির নেতিবাচক প্রভাব বিস্তারের মতো বিষয়াদিও রয়েছে। ফেসবুকের নতুন মেটাভার্স তহবিলের প্রাথমিক অংশীদারদের মধ্যে রয়েছে ওয়াশিংটন ডিসির হাওয়ার্ড ইউনিভার্সিটি, দক্ষিণ কোরিয়ার সিওল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এবং ইউনিভার্সিটি অফ হংকং।
মন্তব্য করুন
ঘুম
থেকে ওঠার সময় হয়ে
গিয়েছে চন্দ্রযান-৩-এর। কিন্তু
পৃথিবীর ডাকে সাড়া দিচ্ছে না চন্দ্রযান-৩। এখনও তাকে ঘুম
থেকে ডেকে তুলতে পারেনি
ইসরো। ঘুম থেকে চন্দ্রযান-৩ উঠতে পারবে
কি পারবে না তাই এখন
সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। এরই
মধ্য়ে বড় আপডেট দিল
ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।
এখনও
পর্যন্ত চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার
বিক্রম ও রোভার প্রজ্ঞানের
কোনও সংকেত পাননি ইসরোর বিজ্ঞানীরা। শুক্রবার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, চন্দ্রপৃষ্ঠে থাকা ল্যান্ডার ও
রোভারের সঙ্গে যোগাযোগ ফের স্থাপন করতে
আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।
ইসরোর
তরফে এক্স হ্যান্ডেলে লেখা
হয়েছে, "বিক্রম ল্যান্ডার ও রোভার প্রজ্ঞানের
সঙ্গে সবরকম ভাবে যোগাযোগ স্থাপনের
চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এখন পর্যন্ত তাদের
কাছ থেকে কোনো সংকেত
পাওয়া যায়নি। যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।"
কথা
ছিল চাঁদে যখন আবার সূর্য
উঠবে তখন তাদের ঘুম
ভাঙানোর চেষ্টা করা হবে। শুক্রবার
২২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় সেই চেষ্টা করা
হয়েছে। কিন্তু শুক্রবারের প্রথম চেষ্টায় সফল হয়নি ইসরো।
পৃথিবীর ডাকে সাড়া দেয়নি
চন্দ্রযান-৩।
চন্দ্রযান-৩ যে উদ্দেশ্য
নিয়ে চাঁদে গিয়েছিল, তা ইতিমধ্যেই সফল। যদি দ্বিতীয়বারের জন্য
তাকে সক্রিয় করা যায়, তাহলে
আরও তথ্য হাতে আসতে
পারে বিজ্ঞানীদের।
মনোহর
পার্রীকর ইনস্টিটিউট অফ ডিফেন্স স্টাডিজ
অ্যান্ড অ্যানালিসিসের মহাকাশ বিশেষজ্ঞ অজয় লেলে জানিয়েছেন,
গত এক দিন ধরে
সূর্যের আলোয় যে শক্তি
ল্যান্ডার এবং রোভারে সঞ্চিত
হয়েছে, তাতে প্রাথমিক ভাবে
যন্ত্রপাতিগুলি চালু হওয়ার কথা।
কিন্তু সূর্যের আলোয় সেগুলি কী
আচরণ করে, সেটাই এখন
দেখার।
চাঁদে
রাত কাটলে যাতে আবারও তার
সঙ্গে যোগাযোগ করা যায় সেই
উদ্দেশ্যে ল্যান্ডার বিক্রমকে স্লিপ মোডে পাঠানোর আগে
তার রিসিভারটিকে চালু রেখেছিল ভারতীয়
মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। কিন্তু চাঁদে রাতের তাপমাত্রা হিমাঙ্কের ২৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের
কাছাকাছি নেমে যায় ৷
এই তীব্র শীত চন্দ্রযান-৩
সহ্য করতে পারবে কিনা
তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
যদি ল্যান্ডার এবং রোভার 'জেগে'
ওঠে, তাহলে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে চন্দ্রপৃষ্ঠের পরিস্থিতি
নিয়ে আরও তথ্য সংগ্রহ
করবে। আর সেটা 'বোনাস'
পাওয়ারই সামিল বিজ্ঞানীদের কাছে। আর এই মিরাকলের
আশাতেই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা
করছে দেশবাসী। ২৩ অগাস্ট চাঁদের
দক্ষিণ মেরুতে সফল অবতরণ করে
চন্দ্রযান-৩। চাঁদের বুকে
মহাকাশযান অবতরণে চতুর্থ দেশ হিসেবে নাম
তুলে নেয়।
মন্তব্য করুন
তিনবার বিলম্বের
পর অবশেষে চাঁদের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলো জাপানের মহাকাশযান স্লিম। বৃহস্পতিবার
(৭ সেপ্টেম্বর) নিজস্ব তৈরি এইচ-আইআইএ রকেটে চড়ে পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহের দিকে যাত্রা
শুরু করেছে জাপানি মহাকাশযানটি। এর ফলে চন্দ্রজয় করা পঞ্চম দেশ হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে
জাপানের সামনে।
জাপান অ্যারোস্পেস
এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি (জাক্সা) জানিয়েছে, পরিকল্পনা অনুযায়ী রকেটটি দক্ষিণ জাপানের
তানেগাশিমা স্পেস সেন্টার থেকে উড্ডয়ন করে এবং সফলভাবে স্মার্ট ল্যান্ডার ফর ইনভেস্টিগেটিং
মুন (স্লিম)-কে উন্মুক্ত করেছে।
প্রতিকূল আবহাওয়ার
কারণে গত মাসে এক সপ্তাহে তিনবার স্থগিত করা হয়েছিল জাপানি মহাকাশযানের মহাকাশযাত্রা।
জাপানের লক্ষ্য,
চন্দ্রপৃষ্ঠে লক্ষ্যস্থলের ১০০ মিটারের মধ্যে ‘মুন স্নাইপার’ ল্যান্ডারকে অবতরণ করানো।
আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে মহাকাশযানটি চাঁদে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই প্রকল্পে
জাপানের খরচ হচ্ছে প্রায় ১০ কোটি মার্কিন ডলার (১ হাজার ৯৯ কোটি টাকা প্রায়)।
চাঁদের মাটিতে
ভারতের চন্দ্রযান-৩ সফলভাবে অবতরণের মাত্র দু’সপ্তাহ পরেই এই চন্দ্রাভিযান শুরু করলো
জাপান। ওই মিশনের মাধ্যমে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ এবং
চতুর্থ দেশ হিসেবে চন্দ্রজয়ের রেকর্ড গড়েছে ভারত।
এর আগে, গত
বছর চাঁদে অবতরণের দুটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল জাপানের। গত নভেম্বরে ওমোতেনাশি ল্যান্ডারের
সঙ্গে জাক্সার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে ভেস্তে যায় চাঁদে অবতরণের চেষ্টা। এছাড়া
এপ্রিল মাসে চাঁদের পৃষ্ঠে নামার সময় বিধ্বস্ত হয় জাপানি স্টার্টআপ ইস্পেসের তৈরি
হাকুটো-আর মিশন ১ ল্যান্ডারটি।
বৃহস্পতিবারের
এইচ-আইআইএ রকেটটি ল্যান্ডারের পাশাপাশি এক্স-রে ইমেজিং এবং স্পেকট্রোস্কোপি মিশন (এক্সআরআইএসএম)
স্যাটেলাইটও বহন করছে। এটি জাক্সা, নাসা এবং ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার একটি যৌথ প্রকল্প।
রকেটটি তৈরি
তরেছে মিতসুবিশি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ। এর উড্ডয়নও পরিচালনা করেছে তারা। এ নিয়ে ২০০১ সালের
পর থেকে ৪৭টি এইচ-আইআইএ রকেট উৎক্ষেপণ করলো জাপান। মহাকাশযানটির এবারের চন্দ্রাভিযানের
সাফল্যের সম্ভাবনা ৯৮ শতাংশের কাছাকাছি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জাপান মহাকাশযান স্লিম চন্দ্রজয়
মন্তব্য করুন
একদিকে ক্রমশ
বাড়ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, অন্যদিকে ক্রমশ কমছে মানুষের বুদ্ধি। যা রীতিমতো উদ্বেগে
ফেলে দিয়েছে বিজ্ঞানীদের, ঘোর সংকটে ফেলে দিয়েছে মানবসভ্যতাকেও।
ব্রিটেনের ইনস্টিটিউট
অব ব্রেন কেমিস্ট্রি অ্যান্ড হিউম্যান নিউট্রিশনের প্রফেসর মাইকেল ক্রফোর্ড সতর্ক করেছেন
এই বলে যে, গত ৫০ বছরে মানুষের মস্তিষ্কের ধূসর কোষগুলোর সংখ্যা যেভাবে কমেছে, তাতে
নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে পুরো মানবসভ্যতাই।
অন্যদিকে কৃত্রিম
বুদ্ধিমত্তার নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ আমেরিকান উদ্বিগ্ন। তাদের ৬১
শতাংশই মনে করেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সভ্যতাকে হুমকির মধ্যে ফেলতে পারে।
মূলত সফটওয়্যারজাত
বুদ্ধিমত্তা, যা মানুষ বা বিভিন্ন প্রাণীর স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠার প্রাকৃতিক বুদ্ধিমত্তার
সাথে এখন প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হিসেবে পরিচিত। স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়
মানুষের মধ্যে গড়ে ওঠা বুদ্ধিমত্তার প্রতিফলন, স্বাভাবিকভাবে গড়ে ওঠা মানবচিন্তা ও
তার পরিধি কি পরাজিত হয়ে হারিয়ে যাবে তার সৃষ্ট কোনো ঊনমানুষরূপী অতিমানবের কাছে?
চ্যাটজিপিটির
মধ্য দিয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতে অস্ত্র প্রতিযোগিতার মতো দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। মাইক্রোসফট
ও গুগলের মতো প্রভাবশালী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় একে অপরের
অর্জনগুলো ছাড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। ২০৩০ সালের মধ্যে ১০ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের ব্যাংক
অব ইংল্যান্ডের ঘোষণা এর বাস্তবতা। মাত্র গত মে মাসে সিলিকন ভ্যালিতে কর্মচ্যুত হয়েছেন
তিন হাজার ৯০০ লোক।
ফুড ফর দ্য
ব্রেন ফাউন্ডেশন নামের এক ওয়েবিনারে প্রফেসর ক্রফোর্ড বলেছেন, ১৯৭০ সাল থেকেই আইকিউ
কমছে। এটি খুবই ভয়ের বিষয়। এভাবে চলতে থাকলে হোমো সেপিয়েন্স নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে
এবং সেদিন বেশি দূরে নয়।
নতুন চ্যাটবট
মানুষকে সঙ্গ দিচ্ছে, কথা বলছে, শিশুদের খেলার সাথী হচ্ছে, বয়স্কদের প্রমোদ সঙ্গী হচ্ছে।
এ সব কিছু একজন ব্যক্তিকে সমাজবিমুখ করে আত্মকেন্দ্রিক করে তুলছে। পরিবার ও সমাজ বিচ্ছিন্ন
অবস্থান তৈরি করছে। এখানে সমাজবিজ্ঞান, মানুষ ও বিজ্ঞান কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মুখোমুখি
হচ্ছে।
তাই মানুষ ভবিষ্যতে
ফ্রাঙ্কেনস্টাইনরূপী তার সৃষ্টিকে অপার সম্ভবনার পৃথিবীতে স্বাগত জানাবে নাকি আপন সৃষ্ট
ফ্রাঙ্কেনস্টাইনের হাতে সংহারিত হবে তা এখন বিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানবসভ্যতা
মন্তব্য করুন
ইতিহাস গড়ার সন্ধিক্ষণে ভারত। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের অপেক্ষায় চন্দ্রযান ৩। আজ বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটে চাঁদে অবতরণ করবে চন্দ্রযান ৩ এর ল্যান্ডার মডিউল বিক্রম। অবতরণের আগে খাড়াই মোড় ঘুরবে ল্যান্ডারটি। চাঁদ প্রদক্ষিণরত বিক্রম সন্ধ্যায় দিক বদল করে নীচের দিকে নামতে শুরু করবে। তার ভিতরেই আছে রোভার ‘প্রজ্ঞান’। খবর হিন্দুস্তান টাইমস।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, পরিকল্পনা অনুযায়ী আজ ২৩ আগস্ট সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে চাঁদের মাটিতে অবতরণ প্রক্রিয়া শুরু করতে পারে চন্দ্রযান ৩। চাঁদে পৌঁছাতে ৪০ দিনের মতো লাগছে ভারতীয় মহাকাশযানের। আজ ভারতীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটে চাঁদের মাটি স্পর্শ করার কথা রয়েছে বিক্রমের।
ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা ইসরোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে অবতরণ করবে চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডার এবং রোভার। ৭০ ডিগ্রি দ্রাঘিমাংশে অবতরণ করার কথা মহাকাশযানটির। এই এলাকাটি চাঁদের দক্ষিণ মেরু থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। অবতরণের দিনে ল্যান্ডার বিক্রম যখন চাঁদের মাটি থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার উচ্চতায় থাকবে, তখন ল্যান্ডার মডিউলটি পালকের মতো করে চাঁদের মাটির দিকে নামতে শুরু করবে। এর জন্য লাগবে মোট ২০ মিনিট।
আজ ধাপে ধাপে গতি কমানো হবে বিক্রমের। শেষ ২০ মিনিটে চন্দ্রপৃষ্ঠের দিকে পালকের মতো করে নেমে আসার কথা বিক্রমের। বিক্রম যদি জোরেও আছড়ে পড়ে, তবুও এটির ক্ষতি হওয়ার কথা নয়, এমটাই বলা হচ্ছে।
২০১৯ সালে চন্দ্রযান ২ অভিযানের সময় সফট ল্যান্ডিং করতে ব্যর্থ হয়েছিল ল্যান্ডার।
২০১৯ চাঁদে সফলভাবে অবতরণ করতে পারেনি চন্দ্রযান ২-এর ল্যান্ডার। তবে সেই অভিযান বিফলে যায়নি। এখনও চন্দ্রযান ২-এর অর্বিটার চাঁদকে প্রদক্ষিণ করে বেড়াচ্ছে। সেই অরবিটারের সঙ্গে যোগ স্থাপন করেছে চন্দ্রযান ৩ অভিযানের ল্যান্ডার বিক্রম। এই বিষয়ে ইসরো জানিয়েছে, দুই পক্ষই একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে।
এর আগে গতকাল এক সোশ্যাল মিডিয়া বার্তায় ইসরো জানিয়েছে, মিশন অপারেশন কম্পলেক্স পুরোপুরি প্রস্তুত। নির্ধারিত সময়েই চাঁদে অবতরণ করতে চলেছে ল্যান্ডার বিক্রম। আজ বিকাল ৫টা ২০ মিনিট থেকে ISTRAC চন্দ্রযান ৩-এর অবতরণের লাইভ দৃশ্য সম্প্রচার করবে।
মন্তব্য করুন
চন্দ্রাভিযানে যাওয়া রাশিয়ার মহাকাশযান লুনা চাঁদের বুকে আছড়ে পড়েছে। এরমাধ্যমে ব্যর্থ হয়েছে রাশিয়ার ৪৭ বছরের প্রথম চন্দ্রাভিযান। রোববার (২০ আগস্ট) বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অবতরণপূর্ব অরবিটে প্রবেশে প্রস্তুতির সময় রুশ মহাকাশ যান লুনা-২৫ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এবং এটি চাঁদের বুকে আছড়ে পড়ে।
রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা রোসকোসমোস জানিয়েছে, শনিবার গ্রিনিচ সময় ১১টা ৫৭ মিনিটে তারা মহাকাশ যানের সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলে যখন এটি অবতরণপূর্ব অরবিটে নামানো হয়। সোমবার এটির চাঁদে অবতরণ করার কথা ছিল।
সংস্থাটি বিবৃতিতে বলেছে, ‘মহাকাশযানটি একটি অনির্দেশ্য অরবিটে চলে যায় এবং চাঁদের পৃষ্ঠে আছড়ে পড়ার মাধ্যমে ধ্বংস হয়ে যায়।’
সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, লুনা-২৫ এর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণ খুঁজে বের করতে একটি আন্তঃবিভাগীয় কমিশন গঠন করা হয়েছে। এই লুনা-২৫ মিশনের মাধ্যমে আশার সঞ্চার হয়েছিল— রাশিয়া আবারও চাঁদে অবতরণের লড়াইয়ে পূর্ণ শক্তি নিয়ে যোগ দিচ্ছে।
এদিকে এই মহাকাশযানটি ধ্বংস হওয়ার বিষয়টি রাশিয়া ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের মহাকাশে যে আধিপত্য ছিল— সেটিতে একটি দাগ ফেলেছে। রাশিয়া প্রথম দেশ হিসেবে ১৯৫৭ সালে পৃথিবীর কক্ষপথে স্পুটনিক-১ স্যাটেলাইট পাঠিয়েছিল। এছাড়া সোভিয়েত মহাকাশচারী ইউরি গাগারিন ১৯৬১ সালে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে মহাকাশ ভ্রমণে গিয়েছিলেন।
১৯৭৬ সালে লুনা-২৪ এর পর রাশিয়া (সাবেক সোভিয়েত) চাঁদে আর কোনো অভিযান চালায়নি। ওই সময় দেশটির শাসক ছিলেন কমিউনিস্ট নেতা লিওনিদ ব্রেজনেভ।
এদিকে রাশিয়া চন্দ্রাভিযানে এমন সময় ধাক্কা খেল যখন ভারত প্রায় একই সময় সফলভাবে চাঁদে মহাকাশযান অবতরণের চেষ্টা করছে। বর্তমানে ভারতের মহাকাশযান চন্দ্রযান-৩ চাঁদে অবতরণের অপেক্ষায় আছে। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর তথ্য অনুযায়ী আগামী ২৩ আগস্ট চন্দ্রযান-৩ এর অবতরণ করার কথা রয়েছে।
সূত্র: রয়টার্স
মন্তব্য করুন
ইতিহাস গড়ার সন্ধিক্ষণে ভারত। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের অপেক্ষায় চন্দ্রযান ৩। আজ বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটে চাঁদে অবতরণ করবে চন্দ্রযান ৩ এর ল্যান্ডার মডিউল বিক্রম। অবতরণের আগে খাড়াই মোড় ঘুরবে ল্যান্ডারটি। চাঁদ প্রদক্ষিণরত বিক্রম সন্ধ্যায় দিক বদল করে নীচের দিকে নামতে শুরু করবে। তার ভিতরেই আছে রোভার ‘প্রজ্ঞান’। খবর হিন্দুস্তান টাইমস। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, পরিকল্পনা অনুযায়ী আজ ২৩ আগস্ট সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে চাঁদের মাটিতে অবতরণ প্রক্রিয়া শুরু করতে পারে চন্দ্রযান ৩। চাঁদে পৌঁছাতে ৪০ দিনের মতো লাগছে ভারতীয় মহাকাশযানের। আজ ভারতীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটে চাঁদের মাটি স্পর্শ করার কথা রয়েছে বিক্রমের।
চন্দ্রাভিযানে যাওয়া রাশিয়ার মহাকাশযান লুনা চাঁদের বুকে আছড়ে পড়েছে। এরমাধ্যমে ব্যর্থ হয়েছে রাশিয়ার ৪৭ বছরের প্রথম চন্দ্রাভিযান। রোববার (২০ আগস্ট) বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অবতরণপূর্ব অরবিটে প্রবেশে প্রস্তুতির সময় রুশ মহাকাশ যান লুনা-২৫ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এবং এটি চাঁদের বুকে আছড়ে পড়ে।