নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৩৫ এএম, ২০ অক্টোবর, ২০২১
নাম পরিবর্তনের পরিকল্পনা করেছে সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট ফেসবুক। ‘মেটাভার্স’ নির্মাণ চেষ্টার অংশ হিসেবে রিব্রান্ডিং এর জন্য এই পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে বিশ্বাসযোগ্য সূত্রের বরাত দিয়ে বুধবার রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।
অক্টোবরের ২৮ তারিখে ফেসবুকের বার্ষিক কানেক্ট সম্মেলনে মার্ক জাকারবার্গ এই নাম পরিবর্তনের পরিকল্পনার ব্যাপারে আলোচনা করেছেন বলে ভক্স মিডিয়া পরিচালিত মার্কিন প্রযুক্তিবিষয়ক ব্লগ দ্য ভার্জ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ শিগশিগই এই পরিকল্পনার বিষয়টি প্রকাশ করবে বলেও ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
কয়েকদিন আগেই ফেসবুক দায়িত্বশীলভাবে ‘মেটাভার্স’ গড়তে পাঁচ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে বলে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল।
মেটাভার্স হলো ভার্চুয়াল জগৎ। এখানে ব্যবহারকারীরা যার যার চেহারার সঙ্গে মিল রেখে অ্যাভাটার তৈরি করতে পারবেন। তারাই অ্যাভাটারগুলো নিয়ন্ত্রণ করবেন। তারা নিজের ঘরে হাঁটলে, ভার্চুয়াল জগতের অ্যাভাটারও হাঁটবে। হাত নেড়ে কথা বললে, অ্যাভাটারও তাই করবে। অর্থাৎ, মেটাভার্স হচ্ছে এমন একটা অনলাইন জগৎ, যেখানে ভার্চুয়াল দুনিয়ার মধ্যেই গেমিং, অফিসের কাজ এবং যোগাযোগের সবকিছুই করতে পারবেন ব্যবহারকারী। ফেসবুক এরই মধ্যে ভার্চুয়াল রিয়ালিটি ও অগমেন্টেড রিয়ালিটিতে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে। তৈরি করেছে অকুলাস ভিআর হেডসেট। কাজ করছে ‘এআর গ্লাসেস’ ও ‘রিস্টব্যান্ড’ প্রযুক্তি নিয়েও।
ফেসবুকের নতুন বিনিয়োগটি হবে ‘এক্সআর কর্মসূচি’ ও ‘রিসার্চ ফান্ড’কে ঘিরে। দুই বছর জুড়ে বৈশ্বিকভাবে গোটা অর্থ বিনিয়োগের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে মেটভার্সের প্রযুক্তি ‘ব্যাপকতা ও ক্ষমতায়নের পন্থায়’ তৈরি। -জানিয়েছে ফেসবুক। এক প্রতিবেদন বলছে, গবেষকদের সঙ্গে ডেটা গোপনতা ও সুরক্ষাসহ চার খাতে কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে ফেসবুকের। মেটাভার্সে ব্যবহারকারীরা অস্বস্তিকর অনুভব করছেন এমন কিছু দেখার পর যাতে সাহায্য নিতে পারেন, সে ব্যবস্থা করবে এটি।
এ ছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি ব্লগ পোস্টে জানিয়েছে, সব ব্যবহারকারীর জন্য প্রবেশযোগ্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রযুক্তি কীভাবে তৈরি করা যায়, তা-ও গবেষণা করে দেখবে ফেসবুক। ‘প্রতিযোগিতায় উৎসাহ’ জোগাবে উন্নয়নশীল শিল্পেও। সাম্প্রতিক সময়ে বড় পরিসরে নানাবিধ ইন্টারনেট সমস্যা নিয়ে তোপের মুখে পড়েছে ফেসবুক। এ রকম সমস্যার মধ্যে ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়া থেকে শুরু করে কিশোর বয়সিদের ওপর সামাজিক মাধ্যমটির নেতিবাচক প্রভাব বিস্তারের মতো বিষয়াদিও রয়েছে। ফেসবুকের নতুন মেটাভার্স তহবিলের প্রাথমিক অংশীদারদের মধ্যে রয়েছে ওয়াশিংটন ডিসির হাওয়ার্ড ইউনিভার্সিটি, দক্ষিণ কোরিয়ার সিওল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এবং ইউনিভার্সিটি অফ হংকং।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন