নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৫২ পিএম, ৩১ অক্টোবর, ২০২১
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ তার প্রতিষ্ঠানের নাম বদলের ঘোষণা দেন গত বৃহস্পতিবার। ফেসবুক ইনকরপোরেটেড থেকে বদলে করেন মেটা প্ল্যাটফর্মস ইনকরপোরেটেড। তবে এই খবরে দাম বেড়েছে স্বল্প পরিচিত এক কানাডীয় প্রতিষ্ঠানের। সেটির নামের শুরুতেও আছে মেটা।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ফেসবুকের নাম পরিবর্তন করে মেটা রাখা হলে কানাডার নোভা স্কশিয়ার হ্যালিফ্যাক্সের মেটা ম্যাটেরিয়ালস ইনকরপোরেটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়ে যায়। গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের নাজদাক স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন শুরুর পরপরই বাড়ে ৬ শতাংশ। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তা ২৬ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায়। ফেসবুকের শেয়ারদরও শুক্রবার ১ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছিল।
বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মেটা ম্যাটেরিয়ালসের শেয়ার এমনিতেই বেশ জনপ্রিয়। সাম্প্রতিক মাসগুলোয় হু হু করেই বেড়েছে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারদর। সর্বোচ্চ বেড়ে গত জুনে ২২ ডলারে পৌঁছেছিল।
ইলেকট্রনিকস, অ্যারোস্পেসসহ বেশ কয়েক ধরনের উৎপাদননির্ভর শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান নকশায় বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান মেটা ম্যাটেরিয়ালস। সেটির বাজারদরও একদম কম নয়, ১৩০ কোটি ডলার।
নামের ভুলে শেয়ারদর বৃদ্ধির ঘটনা অবশ্য এটিই প্রথম নয়। করোনাকালে ভিডিও কনফারেন্স সেবা জুমের কদর বাড়লে ভুল করে দাম বাড়ে জুম টেকনোলজিস নামের ভিন্ন এক প্রতিষ্ঠানের।
অবশ্য শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধির এই ঘটনা কি ভুলে, নাকি ইচ্ছাকৃত, তা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব হচ্ছে না এখনই। তবে মজা করতে ছাড়েননি মেটা ম্যাটেরিয়ালসের সিইও জর্জ পালিকারাস। টুইটারে লেখেন, ‘মেটা ম্যাটেরিয়ালসের পক্ষ থেকে আমি ফেসবুককে আন্তরিকভাবে মেটাভার্সে স্বাগত জানাই।’
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন