নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৩৪ এএম, ০৩ নভেম্বর, ২০২১
করপোরেট নাম পরিবর্তনের এক সপ্তাহের মধ্যে আবারো নতুন চমক নিয়ে এসেছে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক। মঙ্গলবার এক ঘোষণায় টেক জায়ান্টটি জানিয়েছে তারা এবার চেহারা শনাক্তকারী বা ফেসিয়াল রিকগনিশন অ্যাপ বন্ধ করতে যাচ্ছে। অ্যাপটির সাহায্যে ছবি ও ভিডিওর মাধ্যমে ফেসবুক স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্যবহারকারীকে শনাক্ত করা হতো। এই প্রযুক্তি নিয়ে চলমান উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠার মধ্যে এই ঘোষণা দিল ফেসবুক।
ফেসবুকের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেরোম পেসেন্টি একটি ব্লগ পোস্টে লিখেছেন, চেহারা শনাক্তকরণ প্রক্রিয়ার ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য একটি সুস্পষ্ট নীতিমালার প্রক্রিয়া চলমান। তিনি আরো বলেন, আমরা বিশ্বাস করি চলমান অনিশ্চয়তার মধ্যে চেহারা শনাক্তকরণের ব্যবহার সীমিত করার এখনই উপযুক্ত সময়।
বিশ্বের সর্ববৃহৎ সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফর্মের চেহারা শনাক্তকারী অ্যাপ এমন সময় আলোচনায় আসল, যখন প্রযুক্তি শিল্প গত কয়েক বছরে প্রযুক্তি ব্যবহারের নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছে।
সমালোচকেরা বলছেন, চেহারা শনাক্তকরণের এই প্রযুক্তি বিভিন্ন খুচরা বিক্রেতা, হাসপাতাল এবং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে নিরাপত্তার স্বার্থে জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। তারা প্রান্তিক গোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে এবং অনুপ্রবেশকারীর ওপর সহজেই নজরদারি করতে পারে।
ফেসবুক ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা ও ব্যাপক অপব্যবহারের বিষয় নিয়ে বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং আইন প্রণেতাদের কঠোর সমালোচনার মধ্যে এই ঘোষণা এল। আগামী মাসের মধ্যে সারা বিশ্বে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছেন ফেসবুকের একজন মুখপাত্র।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন