নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:০৭ পিএম, ০৮ নভেম্বর, ২০২১
শতাব্দীর দীর্ঘ আংশিক চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে আগামী ১৯ নভেম্বর। এই গ্রহণ স্থায়ী হবে ৩ ঘণ্টা ২৮ মিনিট ২৩ সেকেন্ড। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানিয়েছে, ২০০১ থেকে ২১০০ সালের মধ্যে এটিই সবচেয়ে দীর্ঘ চন্দ্রগ্রহণ হতে পারে।
সংস্থাটি বলেছে, উত্তর আমেরিকাতে এটি সবচেয়ে ভালোভাবে দেখা যাবে। এ ছাড়া দক্ষিণ আমেরিকা, এশিয়ার পূর্বাঞ্চল, প্রশান্তীয় অঞ্চল ও অস্ট্রেলিয়া থেকেও দেখা যাবে।
এদিকে টাইম অ্যান্ড ডেট ডটকমের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্চল থেকে ১৯ নভেম্বর পিনামব্রাল চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে। গ্রহণের এ পর্যায়ে পৃথিবীর প্রচ্ছায়ায় না থেকেউপচ্ছায়ায় থাকে চাঁদ। আর মূল গ্রহণের মতো অতটা চমকপ্রদও নয়। তবু ১৯ নভেম্বর বিকাল ৫টা ১৩ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৬টা ৩ মিনিট পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে দেখা যাওয়ার কথা।
নাসা জানায়, ১৯ নভেম্বর ভোরে চাঁদ, সূর্য আর পৃথিবী কক্ষপথে ঘুরতে ঘুরতে একই সরলরেখায় এসে পড়বে। এতে নিজস্ব আলো না থাকা চাঁদ পৃথিবীর ছায়ায় ঢেকে যাবে। চন্দ্রগ্রহণটি ওইদিন ভোর ৪টায় (ইস্টার্ন স্ট্যান্ডার্ড টাইম) সর্বোচ্চ পরিণতি পাবে।
সংস্থাটি আরও জানায়, বিভিন্ন টাইম জোনের কারণে আংশিক চন্দ্রগ্রহণটি ১৮ ও ১৯ নভেম্বর বিভিন্ন স্থানে আংশিক দেখা যেতে পারে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলীয় এলাকার মানুষরা রাত ২টা থেকে ভোর ৪টা মধ্যে সবচেয়ে ভালোভাবে দেখতে পাবেন।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন