পরিবেশ অধিদপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক এবং পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান বলেছেন, পলিথিন তো একটা অপচনশীল বস্তু। এটা সহজে পঁচে না। আগে আমরা জানতাম পলিথিন ৪০০ বছরেরও পঁচে না। কিন্তু বিজ্ঞানীদের সর্বশেষ তথ্যমতে, পলিথিন নাকি ১ হাজার বছরেরও পঁচে না। দ্বিতীয়ত পলিথিন আমাদের ড্রেনেজ সিস্টেমকে বন্ধ করে দেয়। নালা-নর্দমা সিস্টেমকে বন্ধ করে দেয়। বৃষ্টি হলেই একটা পলিথিন পড়ে জমে থাকে তখন নালা-নর্দমা দিয়ে বৃষ্টির পানি নেমে যেতে পারে না। তখন জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এটা পরিবেশের জন্য খারাপ পরিস্থিতি সৃষ্টি করে।
পরিবেশের ওপর পলিথিনের ক্ষতিকর প্রভাবসহ নানা নিয়ে বিভিন্ন প্রেক্ষাপট নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেছেন প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান। পাঠকদের জন্য প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের নিজস্ব প্রতিবেদক শান্ত সিংহ।
প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান বলেন, পলিথিন যখন পানিতে চলে যায় সেটা কিন্তু খাল, নদী হয়ে সমুদ্রে যায় এবং সমুদ্রে কিন্তু বিপুল পরিমাণের পলিথিনের স্তুপ জমে যায় এবং এই পলিথিনগুলো দীর্ঘ মেয়াদী ছোট ছোট ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কোণায় ভেঙ্গে যায়। ভেঙ্গে যাওরয়া ফলে তখন মাছ বা জলজ প্রাণী এটা খায়। এই যে এগুলো মাছ খায়, এই মাছের মাধ্যমে এবং খাদ্য চক্রের মাধ্যমে এটা আমাদের শরীরে চলে যায়। তাহেলে এটা কতটা ভয়াবহ। সম্প্রতি আামদের দেশে দেখা গেছে যে, মৎস্য গবেষকরা গবেষণা করে দেখেছে, আমাদের দেশেও কিন্তু এটা পাওয়া যাচ্ছে। তাহলে মোটা দাগে এগুলো হলো পলিথিনের সবচেয়ে ক্ষতিকারক দিক। এখন আমরা দেখি সারাদেশে পলিথিন ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। এটা পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এটা আমরা সবাই অনুধাবন করি। কিন্তু সরকার যে আইন করছে সেই আইন কিন্তু আমরা কেউ সঠিকভাবে প্রতিপালন করি না।
তিনি আরও বলেন, এখন আইন যারা করছে তারা হয়তো বলেন অর্থাৎ পরিবেশ অধিদপ্তর বলেন যে, তাদের যে তদারকি করার কথা তারা সেটা করছেন। তারা হয়তো দুইটা কারণ দেখান। একটা হচ্ছে লোকবলের অভাব, দ্বিতীয়ত তারা একটা কারণ দেখান পলিথিনের বিকল্প কোথায়। আমি মনে করে দিতে পারি যে, ২০০০ সালে শুরুতে পথিলিন যখন নিষিদ্ধ করা হয় তখন কিন্তু বিকল্প বাজারে চলে আসে। বড় বড় বাজারগুলোতে এটা ছিল। প্রত্যেকটা বাজারে বিকল্প গিয়েছিল। আস্তে আস্তে পলিথিনের ব্যবহার কমে গিয়েছিল। এই বিকল্প কি ছিল সেগুলো হলো কাগজের ব্যাগ, কাগজের ঠোঙা, কাপড়ের ব্যাগ তারপর পাটের বিভিন্নভাবে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় শিখা ছিল। কিন্তু যখন আস্তে আস্তে আইনের প্রয়োগ শীথিল হতে শুরু করলো তখন আস্তে আস্তে মানুষ এই পলিথিন ব্যবসায়ী পলিথিন উৎপাদন শুরু করলো এবং আস্তে আস্তে বাজার থেকে বিকল্প হারিয়ে গেছে।
প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন সময় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে কিন্তু মূল তো পলিথিনের কারখান ঢাকায়। যারা এটা উৎপাদন করে সেই জায়গায় আমাদের হাত দিতে হবে। আমাদের যারা হোল সেল করে তাদের হাত দিতে হবে, বাজারে যারা বিক্রি করে তাদেরকে হাত দিতে হবে। পাশাপাশি নাগরিকদেরও কিন্তু পলিথিন দেওয়া নিষিদ্ধ তাদেরকেও হাত দিতে হবে। আমরা যদি পর্যায়ক্রমে এভাবে শুরু করতে পারি তাহলে আমরা এটা বন্ধ করতে সক্ষম হবো। কিন্তু সে ধরনের উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। আর বাংলাদেশ কিন্তু পৃথিবীতে অনেক সুনাম অর্জন করেছিল পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করার জন্য। অথচ আমরা কিস্তু এখন সেই আগের অবস্থায় ফিরে গেছি। পৃথিবীর অনেক দেশ কিন্তু পলিথিন নিষিদ্ধ করেছে।
পলিথিনের আইন সঠিকভাবে প্রতিপালন করি না
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ঘরের দরজা ভেঙে বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী সাদি মহম্মদের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কুমিল্লা শহরে নিজেদের বাড়িতে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। এ ধরনের আত্মহত্যার ঘটনা চলছে। আত্মহত্যা প্রতিরোধের উপায় কী অথবা আত্মহত্যা করতে চাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ মানুষটির প্রতি পরিবার, সমাজ, গণমাধ্যমের ভূমিকা কতটুকু—এসব নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে কথা বলেছেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক হেলাল উদ্দীন আহমেদ। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের প্রতিবেদক খাদিজা ভৌমী।