বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, ড. কুদরত ই খুদা শিক্ষানীতি অনুযায়ী, দেশে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা থাকবে না এবং প্রাথমিকে ভর্তি হওয়ার জন্য সেখানে বয়সসীমা নিধারণ করা হয়েছিল ৮ বছর। কারণ ৮ বছরের আগে একটা বাচ্চার চিন্তা তেমন প্রসারিত হয় না বা লক্ষ্য করা যায় না।
চলতি বছর জুনিয়র স্কুল সার্টিফিটে (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সাটিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা না হওয়া এবং নতুন কারিকুলামে এ পরীক্ষা আর না থাকা নিয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় অধ্যাপক আবদুল মান্নান এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য অধ্যাপক আবদুল মান্নান এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক শান্ত সিং।
অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, বিশ্বের অনেক দেশেই অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা ধরা হয়। সেখানে অনেক দেশে পরীক্ষা হয়, আবার অনেক দেশে পরীক্ষা হয় না। বিশ্বে সবচেয়ে সেরা প্রাথমিক শিক্ষা হচ্ছে সুইডেন, ডেনমার্ক এবং কোরিয়াতে। ওই সমস্ত দেশে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত অভিন্ন শিক্ষা ব্যবস্থা আছে। শারীরিক প্রতিবন্ধী থেকে শুরু করে সবার জন্য এই অভিন্ন শিক্ষা ব্যবস্থা এবং প্রতিটি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর জন্য দুইজন শিক্ষক থাকেন। তাদের সবার জন্য একই ক্লাস এবং একই বিষয় থাকে। অষ্টম শ্রেণির পর কোনো জায়গায় পরীক্ষা থাকে আবার কোনো জায়গায় পরীক্ষা থাকে না। এই অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সে সমস্ত দেশে হাতে-কলমে শিক্ষা থাকে। এক্ষেত্রে যে যেটা পছন্দ করে সে অনুসারে। এই সময়ে আমি দেখেছি ওই সমস্ত দেশে কেউ ট্রাক ড্রাইভিং শিখছে, কেউ গাড়ি মেরামত করতে শিখছে, কেউবা ইলেকট্রনিকের কাজ শিখছে। অষ্টম শ্রেণি পর আর প্রাতিষ্ঠানিক তেমন শিক্ষার ব্যবস্থা থাকে না। কেউ যদি এসএসসি, এইচএসসি পরীক্ষাগুলো দিতে চায় তাহলে তাদেরকে এ লেভেল এবং ও লেভেলের পরীক্ষা দিতে হয়। আর গ্রাজুয়েট করে যারা সরকারি আমলা হবে তারা। অন্যদিকে যারা প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক হয় তাদের অবশ্যই এমএ ডিগ্রি থাকতে হবে এবং তাদের পে-স্কেল হলো সর্বোচ্চ।
তিনি বলেন, জাতীয় শিক্ষা রুপরেখা-২০২৩ সাল অনুযায়ী আমাদের দেশে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা থাকবে না। এখন আমাদের দেশে এই পরীক্ষা থাকা না থাকা এর ভালো-মন্দ দুটোই আছে। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমিও পরীক্ষার পক্ষে নই। কারণ আমাদের দেশে এই পরীক্ষা মূল্যায়ন করবে শিক্ষকরা। কিন্তু ইদানিং কালে দেখা যাচ্ছে শিক্ষকরা নানা রকম প্রতারণার সঙ্গে জড়িয়ে যাচ্ছে। শিক্ষা ব্যবস্থাকে তারা কোচিং আর গাইড বইয়ের বাণিজ্য করে ফেলেছে। তাহলে এই শিক্ষকদের ওপর শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করার ভাড় কতোটুকু যুক্তিসঙ্গত সেটা একটা বড় প্রশ্নের ব্যাপার।
তিনি আরও বলেন, আমরা যদি আইডিয়াল কলেজের কথা বলি। রাজধানী ঢাকার সেরা কলেজগুলোর একটা হলো এই আইডিয়াল কলেজ। কিন্তু সেখানে আমরা কি দেখলাম অধ্যক্ষ একটা ভূয়া পিএইচডি ডিগ্রি নিয়ে কলেজের দায়িত্ব পালন করছেন। এটা খুবই দুঃখজনক। শিক্ষকদের নৈতিকতা যদি ঠিক না থাকে তাহলে এই শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের অ্যাসেসমেন্ট কিভাবে মূল্যায়ন করবে। আমাদের দেশের আর্থ সামাজিক এবং নৈতিকতার দিক বিবেচনা করে সেটা কতটুকু কার্যকর হবে সেটা নিয়ে একটা সন্দেহ রয়েছে। শিক্ষকদের নৈতিকতার একটা প্রচণ্ড অবক্ষয় দেখা দিয়েছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বন্যা পরিস্থিতি বিশুদ্ধ পানি পান
মন্তব্য করুন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেছেন, পদ্মা সেতুর আশেপাশের যে অঞ্চলগুলো আছে, আমরা যেগুলোকে পদ্মা সেতুর বিশেষ সুবিধাভোগী বলে থাকি, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ওই ২১টি জেলার মধ্যে ১৩টি জেলা একেবারে দরিদ্র্য জেলা। বাংলাদেশের দরিদ্র্য জেলাগুলোর যে তালিকা সেখানে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৩টি জেলা আছে। সেখানকার মানুষ যারা চরাঞ্চলের অর্থাৎ যারা সুন্দরবনের আশেপাশে বাস করছেন, যারা প্রতিবছর আইলা বা ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যারা মেনেই নিয়েছে যে, তাদের জীবনটা এ রকমই হবে।
দুই বাংলার জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া। তার নামটিই ঢালিউডের শোবিজ অঙ্গনের দুরন্ত এক মেধাবীর নাম। শোবিজে তার শুরুটা হয়েছিল আরজে হিসেবে। এরপর নিজেকে মেলে ধরেন উপস্থাপনায়। তারপর মডেলিং, স্টেজ শো উপস্থাপনা যখন যেখানে কাজ করেছেন সেখানেই সাফল্য কুড়িয়েছেন দুহাত ভরে। সিনেমায় নাম লেখিয়েও নিজেকে প্রমাণ করেছেন তিনি...
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেছেন, এখন বর্ষাকাল চলছে। আর বর্ষাকাল এডিস মশার বংশ বিস্তারের জন্য উপযুক্ত সময়। এখন ঘন ঘন বৃষ্টি হবে। বৃষ্টির ফলে ঘরে-বাইরে যেকোনো জায়গায় পানি জমবে। পরিত্যক্ত ক্যান, টায়ার, ডাবের খোসা, চিপসের প্যাকেট এই রকম পরিত্যক্ত যেকোনো জিনিসের মধ্যে অল্প অল্প বৃষ্টির পানি বিক্ষিপ্তভাবে জমে যাবে। সেজন্য এখন আমাদের আরও সতর্ক হতে হবে।
স্বাধীনতা চিকিৎসা পরিষদ (স্বাচিপ) এর মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ বলেছেন, সিলেট বিভাগসহ দেশের যে সমস্ত জেলায় বন্যা হয়েছে সে জেলাগুলোর মানুষদের পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। যেমন, ডায়রিয়া, আমাশায় এই রোগগুলো খুব বেশি দেখা দেয়। বিভিন্ন রকম ইনজুরিও হতে পারে। আবার অনেক সময় সাপের কামড় লক্ষ করা যায় বন্যার সময়। ডায়রিয়া, আমাশায়, ইনজুরি এবং সাপের কামড় এগুলো অহরহ দেখা যায় বন্যার সময়। এর পাশাপাশি জ্বর, সর্দি, কাশিও দেখা যায়।