প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেছেন, করোনা আবার নতুন করে ঢেউ তৈরি করবে কিনা সেটা আসলে বলা মুসকিল, যেহেতু আমাদের পাশ্ববর্তী দেশ ভারতেও কিছুটা বাড়ছে। সেটা অবশ্য বিপজ্জনক পর্যায়ে না, কিন্তু বলা তো যায় না, এটা আবার যেকোনো সময় বাড়তে পারে। এখানে আবহাওয়ার একটা প্রভাব থাকে। আবহাওয়ার কিছুটা পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এছাড়া আামদের দেশে এখন আর কেউ স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। সেজন্য একটা ঝুঁকি কিন্তু রয়েই গেছে।
সাম্প্রতি দেশে এবং পাশ্ববর্তী দেশ ভারতে করোনার শনাক্তের হার বেড়ে যাওয়া এবং মাঙ্কিপক্স ভাইরাস নিয়ে মানুষের মধ্যে আতঙ্কের বিষয় নিয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক শান্ত সিংহ।
ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশেই করোনার ঢেউটা এখনো রয়েছে। পৃথিবীর কোনো কোনো দেশে এখন তৃতীয়-চতুর্থ ঢেউ চলছে। আমেরিকার মতো দেশেও কম-বেশি করে করোনা বাড়ছে, উত্তর কোরিয়ায়ও অনেক বাড়ছে, এরকম কিছু কিছু দেশে করোনার শনাক্ত বাড়া-কমার মধ্যে রয়েছে। করোনা একটি ভাইরাস, তাই সুনিদিষ্টভাবে বলা মুসকিল। এটা যেকোনো সময় এর চরিত্র বদলাতে পারে। আবার নতুন কোনো চরিত্র ধারণ করতে পারে। আবার নতুন ঢেউ আসতে পারে। যদিও আমাদের দেশের পরিস্থিতি এখন সেই বিপজ্জনক পর্যায়ে নেই। কিন্তু ঝুঁকি তো আছেই। সেজন্য দেশের জনগণকে একটু সচেতন হবে হবে, সবাইকে স্বাস্থ্যবিধির ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। যারা এখনো টিকা নেন নাই বা নিচ্ছেন না তাদের টিকা নেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। এছাড়া আমাদের তেমন কিছু করার নেই। স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে এখন মানুষ অনেক বেশি উদাসীন, তারা আর স্বাস্থ্যবিধি মানবে বলেও মনে হয় না।
তিনি আরও বলেন, ইদানিং রাস্তা-ঘাটের যে অবস্থা তাতে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বালাই নেই আর মানাও সম্ভব নয়। যে যার মতো করে কাজ করে যাচ্ছেন। তবে আমাদের দেশে যারা আগে থেকে অসুস্থ্য আছেন যেমন, ডায়াবেটিস, কিডনিজনিত সমস্যা বা হার্টের রোগী আছেন, পেশারের রোগী, ক্যান্সারের রোগী তাদের বেলায় অবশ্যই একটু বেশি সর্তক থাকতেই হবে। কারণ তাদের ঝুঁকিটা সবচেয়ে বেশি। এধরনের রোগীদের বেলায় সাবধানতার ব্যাপারে কোনো প্রকার আপোষ করা যাবে না।
অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, মাঙ্কিপস্ক এর ব্যাপারেও আমাদের সর্তক থাকতে হবে। সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। ইতোমধ্যে সন্দেহজনকভাবে এক তুর্কি নাগরিককে সন্দেহজনকভাবে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল তবে পরীক্ষার করে তার মধ্যে মাঙ্কিপস্ক পাওয়া যায়নি। মাঙ্কিপস্ক নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক রয়েছে কারণ এখানে একটা অভিজ্ঞতা বিষয় আছে। মানুষ তো এই বিষয়ে ভালো ধারণা রাখেন না, তাই তারা এই রকম কিছু দেখলেই আতঙ্কিত হয়ে যায়। তবে কাউকে সন্দেহ হলে তাকে দ্রুত টেস্ট করাই উচিত। সন্দেহ হলে কোনো ঢিলেমি না করে টেস্ট করাই উত্তম হবে।
করােনা পুরাতন রোগীদের সাবধানতা
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বন্যা পরিস্থিতি বিশুদ্ধ পানি পান
মন্তব্য করুন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেছেন, পদ্মা সেতুর আশেপাশের যে অঞ্চলগুলো আছে, আমরা যেগুলোকে পদ্মা সেতুর বিশেষ সুবিধাভোগী বলে থাকি, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ওই ২১টি জেলার মধ্যে ১৩টি জেলা একেবারে দরিদ্র্য জেলা। বাংলাদেশের দরিদ্র্য জেলাগুলোর যে তালিকা সেখানে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৩টি জেলা আছে। সেখানকার মানুষ যারা চরাঞ্চলের অর্থাৎ যারা সুন্দরবনের আশেপাশে বাস করছেন, যারা প্রতিবছর আইলা বা ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যারা মেনেই নিয়েছে যে, তাদের জীবনটা এ রকমই হবে।
দুই বাংলার জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া। তার নামটিই ঢালিউডের শোবিজ অঙ্গনের দুরন্ত এক মেধাবীর নাম। শোবিজে তার শুরুটা হয়েছিল আরজে হিসেবে। এরপর নিজেকে মেলে ধরেন উপস্থাপনায়। তারপর মডেলিং, স্টেজ শো উপস্থাপনা যখন যেখানে কাজ করেছেন সেখানেই সাফল্য কুড়িয়েছেন দুহাত ভরে। সিনেমায় নাম লেখিয়েও নিজেকে প্রমাণ করেছেন তিনি...
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেছেন, এখন বর্ষাকাল চলছে। আর বর্ষাকাল এডিস মশার বংশ বিস্তারের জন্য উপযুক্ত সময়। এখন ঘন ঘন বৃষ্টি হবে। বৃষ্টির ফলে ঘরে-বাইরে যেকোনো জায়গায় পানি জমবে। পরিত্যক্ত ক্যান, টায়ার, ডাবের খোসা, চিপসের প্যাকেট এই রকম পরিত্যক্ত যেকোনো জিনিসের মধ্যে অল্প অল্প বৃষ্টির পানি বিক্ষিপ্তভাবে জমে যাবে। সেজন্য এখন আমাদের আরও সতর্ক হতে হবে।
স্বাধীনতা চিকিৎসা পরিষদ (স্বাচিপ) এর মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ বলেছেন, সিলেট বিভাগসহ দেশের যে সমস্ত জেলায় বন্যা হয়েছে সে জেলাগুলোর মানুষদের পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। যেমন, ডায়রিয়া, আমাশায় এই রোগগুলো খুব বেশি দেখা দেয়। বিভিন্ন রকম ইনজুরিও হতে পারে। আবার অনেক সময় সাপের কামড় লক্ষ করা যায় বন্যার সময়। ডায়রিয়া, আমাশায়, ইনজুরি এবং সাপের কামড় এগুলো অহরহ দেখা যায় বন্যার সময়। এর পাশাপাশি জ্বর, সর্দি, কাশিও দেখা যায়।