জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেছেন, ইউনেস্কোর সুপারিশ হলো জিডিপির (গ্রোস ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট) ৪ থেকে ৬ শতাংশ শিক্ষাখাতে ব্যয় করা। আর বাজেটের শতাংশে সেটা ১৫ থেকে ২০ শতাংশ হওয়া উচিত। আমাদের দেশে অনেক দিন ধরে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ ছিল ২ শতাংশ এবং এর আশেপাশের মধ্যে। সেই হিসেবে এবার সেটার ব্যবধান কিছুটা কমে এসেছে। এবারের শিক্ষাখাতের বাজেট অনুসারে সেটা ৪ দশমিক ৮ শতাংশ করা হয়েছে। তবে প্রয়োজন অনুসারে এই বরাদ্দ খুবই অপ্রতুল। টাকার পরিমাণে বরাদ্দ বেড়েছে কিন্তু চাহিদার তুলনায় সেটা অনেক কম।
জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরে শিক্ষাখাতে দেওয়া বরাদ্দ নিয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক শান্ত সিংহ।
অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, গত বছর শিক্ষাখাতে বরাদ্দ ছিল ৭১ হাজার ৯৫৪ কোটি টাকা। আর এবার সেটা করা হয়েছে ৮১ হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ গত অর্থবছরের চেয়ে এবার ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ বেড়েছে। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে যে, মানসম্মত শিক্ষার জন্য এটা যথেষ্ট নয়। বিশেষ করে যেখানে আমাদের প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক শিক্ষার অবস্থা খুবই দুরাবস্থা। কারণ আমাদের ছাত্র-শিক্ষকের অনুপাত অত্যন্ত প্রতিকূল। সেখানে প্রচুর শিক্ষক নিয়োগ করা দরকার আছে। সেখানে আরও অবকাঠামো তৈরি করা দরকার। সে বিবেচনায় এই বরাদ্দ অপ্রতুল। বিশেষ করে প্রাথমিক শিক্ষা এবং মাধ্যমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে।
তিনি আরও বলেন, উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে আমরা যদি গবেষণা করতে না পারি তাহলে আমরা উচ্চ শিক্ষায় পিছিয়ে যাব এবং গবেষণা করতে না পারার অন্যতম কারণ হলো আমাদের বরাদ্দ অনেক কম। এখন যেটা আছে সেটাও চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। গবেষণার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি আলাদাভাবে বরাদ্দ দেন তাহলে আমরা উচ্চ শিক্ষায় আরও অনেক এগিয়ে যেতে পারবো। এছাড়া প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক শিক্ষা করোনাকালে আমাদের অনেক র্লানিং লস হয়েছে, অনেক ক্ষেত্রে অনেক কিছু না পড়িয়ে পার করে দেওয়া হয়েছে। এখন সেগুলো কাভার করার দরকার আছে। এগুলোকে কিভাবে মেকাপ করা যাবে এবং সেটা মেকাপ করতে যদি অরিরিক্ত ক্লাস বা অতিরিক্ত অর্থ ব্যয়ও করতে হয় সেটা করে হলেও আমাদের করোনাকালীন ক্ষতিটা পূরণ হওয়া দরকার। কিন্তু সেদিক বিবেচনায় আমাদের শিক্ষাখাতে যে বরাদ্দ রয়েছে, এটা অনেক কম। আমাদের আশেপাশে যে দেশগুলো আছে যেমন, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান এসব দেশে শিক্ষার জন্য যে পরিমাণ জিডিপির শতাংশ ব্যয় করা হয় সে পরিমাণ হিসেবে আমাদের দেশের পরিমাণ অত্যন্ত অপ্রতুল। আমাদের এই চক্র থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। শিক্ষার জন্য আরও অধিক বরাদ্দ দিতে হবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।