সামাজিক আন্দোলন কর্মী, নারীবাদী এবং মানবাধিকার কর্মী খুশি কবির বলেছেন, মানবাধিকার হলো অলঙ্ঘনীয় অধিকার। যা মানুষ তার জন্মগত ও অবিচ্ছেদ্যভাবেই পায়। বিশেষ করে যারা পিছিয়ে পড়ে আছেন, যারা সুবিধা বঞ্চিত আছেন, যারা কম সুযোগ সুবিধা পায়, তারা আদিবাসী হোক কিংবা ভূমিহীন হোক। দিনমজুর থেকে শুরু করে নারী, প্রতিবন্ধীসহ সকলের জন্য মানবাধিকার যে বিষয়গুলো রয়েছে সেগুলো যথার্থভাবে প্রতিপালন করা উচিত। সেটা শুধু আমাদের দেশে নয়, সারাবিশ্বে হওয়া উচিত। প্রত্যেকেই যেন সে তার অধিকার সঠিকভাবে পায়।
জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেটের বাংলাদেশ সফর, মানবাধিকার হাইকমিশনের সঙ্গে বাংলাদেশের মানবাধিকার কর্মীদের সাক্ষাৎ, দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় খুশি কবির এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য খুশি কবির এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক শান্ত সিংহ।
খুশি কবির বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট আমাদের আমন্ত্রণ করেছিলেন। আমরা গিয়েছিলাম। আমাদের প্রত্যেকের কাজের আলাদা সেক্টরের ব্যাপারে জানতে পাওয়া হয়েছে আমরা হাইকমিশনারের কাছে সেটা তুলে ধরেছি। প্রতিটি দেশের বা রাষ্ট্রের দায়িত্ব হলো সকল নাগরিকদের মানবাধিকার সমানভাবে নিশ্চিত করা। এটা আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। আন্তর্জাতিক যতগুলো সনদ আছে যেগুলোতে সরকার স্বাক্ষর করেছে সে অনুসারে সকলের অধিকার নিশ্চিত করা এবং বাস্তবায়ন করা। শুধু আইন করলে হবে না এগুলোর সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। আমরা আশা করছি হাইকমিশনার মিশেল ব্যচেলেটের বাংলাদেশ সফর একটা ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
তিনি আরও বলেন, সরকার বলছে যে, তারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে না। কিন্তু আমরা দেখছি দেশে গুমের ঘটনা ঘটেছে। কেউ কেউ ফিরে এসেছে। কিন্তু তারা দুই একজন ফিরে এসেছে। যারা গুম হচ্ছেন তারা বলছে তারা গুম হয়েছেন কিন্তু মন্ত্রী বলছেন গুম হয়নি। শুধু গুম নয় যাদের অবৈধভাবে ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, হাজতে রাখা হচ্ছে। তাদের কেউ কেউ মারাও গেছেন। যারা যারা গেছেন তারা তো হাজতের ভিতরেই মারা গেছেন সেটা তো সরকার অস্বীকার করতে পারে না। হাজতের ভিতর মারা যাওয়া সেটা তো সরকারের জন্য সাংঘাতিক নেতিবাচক দিক। সরকার তাদের হেফাজতে রেখে সঠিক চিকিৎসা করতে পারে না, চিকিৎসার জন্য মারা যাচ্ছে। সরকারের উচিত এটা নিয়ে তাদের ভাবা।
খুশি কবির বলেন, কলা বাগানের তেতুলিয়া মাঠের ঘটনার বেলায় আন্দোলনের কর্মী সৈয়দা রত্নাকে থানা ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আবার ছেড়েও দেওয়া হয়েছে। তাকে ছেড়ে দিয়েছে যখন বিরাট আন্দোলন হচ্ছে, থানার সামনে উদীচীরা বসে যখন অবস্থান নিয়েছে। যদি কিছু না হয়ে থাকে তাহলে তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হলো কেন। সরকার জনসম্মুখে কিছু বলছে না যে, আমরা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছি। কিন্তু বাস্তবতা হলো মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে। জনসম্মুখে সেটা যুক্তরাষ্ট্র সরকারও বলে না, যুক্তরাজ্য সরকারও বলে না। ইউরোপের কোনো সরকারও বলে না। কোনো উন্নত দেশের সরকারও বলেছে না যে, তারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে কিন্তু সেটা তারা মানছে। আমি আমার দেশকে চাই আমার সংবিধান অনুযায়ী আমার অধিকার প্রতিষ্ঠিত হোক।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।