ডেইরি উন্নয়ন বোর্ড দুগ্ধ খামারি
মন্তব্য করুন
“ঢাকা তো প্রথম,
দ্বিতীয়, তৃতীয় অবস্থানেই থাকে। বায়ু দূষণে আমরা প্রথম হয়েছি, এটা অত্যন্ত গর্বের বিষয়।
এর ফলে আমরা তো শেষ হয়ে যাচ্ছিই, পরবর্তী প্রজন্ম, বিশেষ করে শিশু এবং বৃদ্ধরা একেবারে
শেষ হয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ হিসেবে এটি ঠিক আছে। এর ফলে মানুষের গড় আয়ু কমে যাচ্ছে, পাশাপাশি
একটা বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে, আমাদের অর্থ ব্যয় বাড়ছে। রাস্তায় বের হলে যে পরিমাণ কাপড়-চোপড়
ধুতে হয়, ঘর-বাড়ি পরিষ্কার করতে হয়, টেবিলের ওপর আজকে পরিষ্কার করলে, কালকেই দেখবেন
আবার ধুলো জমে আছে। এর ফলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় বেশি শ্রম দিতে হয়। ব্যক্তিগত এবং
পারিবারিক ব্যয় বৃদ্ধি হয়। এটি আমরা গবেষণা করে দেখেছি, গড়ে মাসিক ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা
ব্যয় বেড়ে যায় এই সময়ে, যখন বায়ু দূষণ বেড়ে যায়।“ - বলছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের সাবেক
অতিরিক্ত মহাপরিচালক এবং পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো.
আবদুস সোবহান।
বর্তমান সময়ে
রাজধানী ঢাকা বায়ু দূষণে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে এবং বিগত কয়েকদিন থেকেই বায়ু দূষণে শীর্ষ
অবস্থানে ঢাকা। বায়ু দূষণে রাজধানী ঢাকার সমসাময়িক অবস্থান, এর কারণ এবং প্রতিকার-
এসব বিষয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেছেন প্রকৌশলী মো.
আবদুস সোবহান। পাঠকদের জন্য প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান- এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা
ইনসাইডারের নিজস্ব প্রতিবেদক আল মাসুদ নয়ন।
প্রকৌশলী মো.
আবদুস সোবহান বলেন, স্বাস্থ্যক্ষেত্রেও আর্থিক ব্যয় বৃদ্ধি হয়। গড় আয়ু কমে যাওয়ার সঙ্গে
সঙ্গে বিভিন্ন রোগও বেড়ে যায়। ফলে স্বাস্থ্যক্ষেত্রেও আর্থিক ব্যয় বেড়ে যায়। এছাড়াও
আমাদের স্থাপনাগুলো নষ্ট হচ্ছে। পথচারী পারাপারের জন্য যে ফুটওভার ব্রিজগুলো রয়েছে,
সেখানে ধুলা পড়ে জং ধরে যায়। যেখানে ধূলা পড়ে থাকে, ওরাতো ঠিকমতো পরিষ্কার করে না।
এর ফরে বিল্ডিং থেকে শুরু করে সমস্ত স্থাপনার আয়ুষ্কাল কমে যায়। এটাও একটা বিরাট অর্থনৈতিক
প্রভাব।
বায়ু দূষণের
কারণ সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান বলেন, প্রথমত ভ্রান্ত রিপোর্ট,
যেটা পরিবেশ অধিদপ্তর বলছে, দ্বিতীয়ত আমাদের উন্নয়ন কার্যক্রম, তৃতীয়ত সিটি করপোরেশন
এবং ওয়াসার বিভিন্ন কার্যক্রম। এই যে পরিবেশ অধিদপ্তরের একটি সমীক্ষা, এটি হয়েছে আজ
থেকে সাত-আট বছর আগে। সে সময়ে সমীক্ষায় বলা হয়েছে, বায়ু দূষণের এক নম্বর কারণ হচ্ছে
ইটভাটা, দুই নম্বর হচ্ছে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এবং তিন নম্বর হচ্ছে যানবাহনের দূষণ। ওই
সমীক্ষা দিয়েই অনেকে চালিয়ে দিতে চান, কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপট ভিন্ন। বর্তমানে গত
পাঁচ বছরে ঢাকা শহরে যে সমস্ত উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হচ্ছে, তা হলো এক, দুই নম্বর হলো ইটভাটা,
কারণ অনেকগুলো ইটভাটা ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে অথবা তারা উন্নত প্রযুক্তিতে গিয়েছে।
ঢাকা শহরের আশে-পাশে এখন আর তেমন ইটভাটা নেই। তার মানে হচ্ছে, ইটভাটা দুই নম্বরে চলে
এসেছে, এখন আর এক নম্বরে নাই।
তিনি বলেন,
এখন এক নম্বরে চলে এসেছে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড। গত পাঁচ বছরে সিটি করপোরেশন, ওয়াসার অনেকগুলো
প্রকল্প হয়েছে। ওরা পুরো শহর কেটেকুটে তছনছ করে রাখছে। এখনও তাই চলছে। দুই নম্বরে চলে
এসেছে যানবাহন, আমাদের যানবাহন, বিশেষ করে কাভার্ড ভ্যান প্রচুর পরিমাণে বাড়ছে। শুধু
যে ব্যক্তিগত গাড়ি বাড়ছে তা নয়, কাভার্ড ভ্যানও প্রচুর পরিমাণে বাড়ছে। এখন ঢাকা শহরে
দিন রাতে সব সময় যানবাহন চলছে। এসব যানবাহনগুলো ডিজেল চালিত। এসব ডিজেলের ধুয়ার কারণেও
বায়ু দূষণ বাড়ছে। এখন শোনা যাচ্ছে আরও নিম্নমানের ডিজেল ব্যবহারের জন্য আমদানি করা
হবে। এছাড়াও যানবাহনগুলো পুরাতন হচ্ছে। এরপর আমরা দেখছি ওয়াসা এবং সিটি করপোরেশন, মাসের
পর মাস রাস্তা কেটে রাখে, সেখানে প্রচুর ধুলা উৎপাদন হয়। এর পর হচ্ছে কন্সট্রাকশন,
নির্মাণ সামগ্রী পরিবহন। সিটি করপোরেশন-ওয়াসাসহ অন্যান্য সেবা সংস্থাসমূহ প্রচুর খোড়াখুড়ি
করে। এছাড়াও শীতকালে আমরা বিভিন্ন জিনিস পুরাই, যেমন খর-কুটো, লতা-পাতা- এগুলো থেকেও
বায়ু দূষণ হচ্ছে। তবে সারা বাংলাদেশের বায়ু দূষণের জন্য ইটভাটা এক নম্বর কারণ।
বায়ু দূষণ থেকে
প্রতিকারে জন্য কি ধরনের ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে? -এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রকৌশলী মো.
আবদুস সোবহান বলেন, আমরা প্রত্যেকে যদি নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করি। আমাদের মেগা প্রকল্পগুলো
যারা চালাচ্ছেন, তারা যদি বিদেশে এ কাজগুলো করতেন, তাহলে পরিবেশ বাদ দিয়ে কাজ করতে
পারতেন না। অথচ এখানে কিন্তু তারা কিছু করছেন না। মূল বিষয় হচ্ছে লাভ, কত লাভ উঠিয়ে
নেয়া যাবে? যত আমি লাভ উঠিয়ে নিতে পারবো, ততো কর্তৃপক্ষ আমার ওপর খুশি হবে। এদের প্রত্যেকের
পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নিতে হবে। বলা আছে, এ ধরনের প্রকল্প করতে হলে তাদের পরিবেশ
রক্ষায় কি কি ব্যবস্থা নিতে হবে। সেই ব্যবস্থাগুলো তারা নিচ্ছেন না। প্রকল্প পরিচালকও
নিচ্ছেন না, আবার যারা মনিটর করবেন, পরিবেশ অদিদপ্তর, তারাও মনিটর করছেন না। আইন আছে
কিন্তু আইনের কঠোর প্রয়োগ নেই। সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি আইনেরও কঠোর প্রয়োগ থাকতে
হবে।
তিনি বলেন,
ওয়াসা এবং সিটি করপোরেশনকে যেটুকু কাজ তারা করবেন, সেটুকু আগে করতে হবে। তা না করে
পুরো এলাকা কেটে ৬ মাস ফেলে রাখবে। অথচ যদি সেগমেন্ট ওয়াইজ কাজ করা হয়, একটা একটা করে
রাস্তা করেন, তাহলে আর পুরো এলাকাটা দূষিত হয় না। অংশবিশেষ এলাকা দূষিত হবে। কর্তা
ব্যক্তিরা, তারা সবাই এ বিষয়গুলো জানেন, বুঝেন কিন্তু কেন করেন না? এদেরকে এটা করতে
বাধ্য করতে হবে। আমাদের যেমন আইনের প্রয়োগ নেই এবং আমাদের নাগরিকরাও অনেক দুর্বল। আমাদেরকে
সোচ্চার হতে হবে। যানবাহনের ক্ষেত্রে উন্নতমানের জ্বালানি ব্যবহার করতে হবে। ফিটনেসবিহীন
গাড়ি চলাচল বন্ধ করতে হবে। এসব বিষয়ে সচেতনতা যেমন বৃদ্ধি করা দরকার, সেভাবে আইনও প্রয়োগ করা দরকার।
তিনি বলেন,
মূল কথা হচ্ছে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে শুরু করে, ওয়াসা, সিটি করপোরেশন, বিআরটিএ, রাজউকসহ
সংশ্লিষ্ট যারা দায়িত্বে রয়েছেন, তাদের যে আইনসিদ্ধ বিষয় রয়েছে সংগত কারণে সেগুলো পালন
করা এবং আইনের কঠোর প্রয়োগ করা। পাশাপাশি জনগনকে সচেতন করা এবং যারা এসব প্রকল্পের
সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন তাদেরকেও সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করা দরকার।
বায়ু দূষণ বাংলাদেশ ঢাকা পরিবেশ
মন্তব্য করুন
বঙ্গবন্ধু দ্বিতীয় বিপ্লব বাকশাল আবদুস সামাদ ফারুক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আমেরিকান হিডেন জুয়েল ডা. রোকসানা আক্তার সাক্ষাৎকার
মন্তব্য করুন
ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক
ড. আবুল বারাকাত বলেছেন,
গত কয়েক বছর কোভিড
এবং কোভিড পরবর্তীকালে ইউরোপ যুদ্ধ ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা, সবকিছু মিলিয়ে আমার মনে হয়
না যে, সবাই টাইমলি
কোনো কাজ শেষ করতে
পারছে। একটা বড় বিষয়
হচ্ছে, বাংলাদেশে যে সব লোনে
কাজ হয়, তার মধ্যে
আমদানির যে সব কম্পোনেন্ট
থাকে, ইমপোর্ট মেটেরিয়ালস্, সেই গুলোর দাম
অনেক বেড়ে গেছে। অর্থাৎ
এই লোনটা যদি পাঁচ বছর
আগে পাশ হয়ে থাকে,
এই টাইমের মধ্যে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ার
ফলে অনেক ক্ষেত্রে, রিটার্ন
ইনভেস্টমেন্ট যদি আশা করা
যায়, সে রিটার্ন হওয়ার
সম্ভাবনা কমেও গেছে। এসব
নিয়ে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হবে কি হবে
না, আমি জানি না।
বিশ্বব্যাংকের
ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অপারেশন) এক্সেল ভন ট্রটসেনবার্গ ঢাকায় আসছেন,
বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বাংলাদেশে চলমান প্রকল্পগুলো তার পরিদর্শনের কথা,
পাইপলাইনে আটকে থাকা এসব
প্রকল্পগুলোর অর্থছাড় এবং ডলার সঙ্কট-
এসব বিষয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক
এবং অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. আবুল বারাকাত
এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের
জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক
এবং অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. আবুল বারাকাত-
এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক
আল মাসুদ নয়ন।
বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রকল্প চলমান চলমান রয়েছে, সময়মতো অনেক প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত
হয়নি। যে কারণে এসব
প্রকল্পের অর্থছাড় হয়নি, যে কারণে পাইপলাইনে
আটকে আছে বৈদেশিক ঋণের
৫০ বিলিয়ন ডলার। এসব অর্থছাড়ের বিষয়ে
আপনি কি মনে করেন বিশ্ব ব্যাংকের এমডি কোনো ব্যবস্থা
নিতে পারেন?- এমন প্রশ্নের উত্তরে
আবুল বারকাত বলেন, আমার তো এগুলো
খুব রুটিন ভিজিট বলে মনে হয়। এ
রকম নয় যে, এ কারণেই
তিনি এসেছেন। বিশ্বব্যাংকের এমডি তো বিভিন্ন
দেশেই ঘুরেন। আমার কাছে তো
মনে হয়, বিভিন্ন দেশে
ঘুরার মতোই একটি ঘুরা
বাংলাদেশে। বিশেষ কোনো কিছুর জন্য
বাংলাদেশে এসেছে, আমার কাছে তা
মনে হয়নি। দ্বিতীয়ত, বিশ্বব্যাংকের লোনের টাকা স্টলমেন্টে দেয়
এবং সেটা এমন কখনই
হয় না যে, সবকিছুই
একদম স্মোথলি হয়ে যায়, সেটা
হয়ও না।
অধ্যাপক
ড. আবুল বারাকাত বলেন,
আমার ধারনা, সাধারণ ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে
আলোচনার বিষয়গুলো এখন এগুলোই। আমাদের
অবস্থাটা বুঝে, বিশ্বব্যাংকের সে সুযোগ আছে।
আমাদের অবস্থা বুঝে সে লোনের
মেয়াদ বাড়ানো থেকে শুরু করে,
যতটুকু আমাদের কারণে না, সেটুকু কনসিডার
করলে আমার মনে হয়
উভয় পক্ষ থেকেই রক্ষা
হবে। আর বিশ্বব্যাংক যেহেতু
অন্যান্য ব্যাংকের মতো না। বিশ্বব্যাংকের মেন্ডেটের মধ্যে অনেক মেন্ডেট আছে,
আমার মনে হয় যে,
জাতীয় উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে
হলেও বিশ্বব্যাংকের এমডির বিশেষ কিছু করার আছে
বলে আমি জানি না।
এমডি বিষয়টা বুঝে বিশ্বব্যাংকের বোর্ডে
প্রেজেন্ট করে।
তিনি
বলেন, ওনার কাছে এতোটুকুই
আশা করা যেতে পারে,
বাংলাদেশ যেহেতু পৃথিবীর অনেক দেশের ইকোনোমির
তুলনায়, পারফর্মেন্স অনুযায়ী বাংলাদেশ যেহেতু বেটার করছে এবং পপুলেশনের
দিক থেকে একটা হিউজ
ডমেসটিক মার্কেট আছে। সব বিবেচনা
করে তিনি একটা রিপোর্ট
করুক বিশ্ব্যাংকের বোর্ডে, বোর্ড যেহেতু বাংলাদেশের আকাঙ্খা, যেমন মধ্যম আয়ের
দেশ হওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি,
সেগুলো বিবেচনা করে এসব বিষয়গুলো
দেখুক। এর বেশি তো
বলার কিছু নাই।
দিন
দিন পাইপলাইনে এইসব ঋণের অর্থের
পরিমাণ বাড়ছে, এসব অর্থছাড়ের বিষয়ে
বাংলাদেশ কি ধরনের ব্যবস্থা
নিতে পারে?- এমন প্রশ্নের উত্তরে অধ্যাপক
ড. আবুল বারাকাত বলেন,বাংলাদেশ যে সব ব্যবস্থা
নিতে পারে, তার জন্য সব
সময় চেষ্টা করে বলেই তো
আমার ধারনা। তবে যেগুলো ছাড়
করা জরুরি, অর্থাৎ প্রাইওরিটি বা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে,
যে প্রকল্পগুলো জাতীয় অর্থনীতির অগ্রাধিকারমূলক প্রকল্প, সেগুলোর ওপর জোর দেওয়া
উচিৎ। জোর দেওয়া উচিৎ
এজন্যই যে, এক সময়
তো এসব অর্থ ফেরতও
দিতে হবে এবং ফেরত
তো আর টাকায় দেয়া
হবে না, ফেরত তো
ডলারেই দেয়া হবে। লোন
ম্যানেজমেন্ট-টা সব সময়
মাথায় রাখতে হবে, আমাদের সামনের
দিকে এইটা কেমন আসবে।
কারণ এগুলো ফেরত দিতে হবে।
যেগুলো রিটার্ন ধীর এবং সম্ভাবনা
কম, সেগুলো রি-থিংকও (পুনঃচিন্তা)
করা যেতে পারে, যেগুলো
অগ্রাধিকারমূলক না। অগ্রাধিকারমূলকগুলোকে জোর দেওয়া।
বাংলাদেশে
ডলার সঙ্কট এবং বাণিজ্য ঘাটতি
হচ্ছে এক্ষেত্রে কি ধরনের পদক্ষে
নেওয়া উচিৎ বলে আপনি
মনে করেন?- এই প্রশ্নের উত্তরে
অধ্যাপক ড. আবুল বারাকাত
বলেন, ডলার সঙ্কটের ক্ষেত্রে
প্রধান হচ্ছে এক্সপোর্ট আর্নিংয়ের যত পথ আছে,
কমোডিটি এক্সপোর্ট, সার্ভিস এক্সপোর্ট এবং ম্যান পাওয়ার
এক্সপোর্ট- এগুলোতে জোর দিতে হবে।
এবং রেমিটেন্স, রেমিটেন্সটা বৈধ চ্যানেলে যেন
আসে অর্থাৎ ব্যাংকিং চ্যানেলে- সেটা নিশ্চিত করতে
হবে। কারণ ব্যাংকিং চ্যানেলে
রেমিট্যান্স যখন আসে না।
তখন ডলার আপানার কাছে
আসে না। দুটো জায়গাতেই
জোর দেওয়া এবং জোর দেওয়ার
এখন অনেক খাত-ক্ষেত্রই
আছে। এছাড়াও অপ্রয়োজনীয় ইমপোর্ট যেমন লাক্সারি ইত্যাদি
ইত্যাদি- এগুলো করলে তো ফরেন
কারেন্সি চলে যায়, সেগুলো
বাঁচানোর চেষ্টা করা। আর লাক্সারি
কিছু গুডস আছে, যেগুলোতে
বাধা দেওয়াও যায় না, করে।
তাতে তো ফরেন কারেন্সি
যায়- সেগুলোতে যে সব ট্যাক্স
আছে, যদি ২০০% ট্যাক্স
থেকে থাকে। যাদের দরকার আছে তারা ৫০০%
ট্যাক্সও দিতে পারে। এসব
লাক্সারি গুডসের ওপর হাই ডিউটি
আরোপ করা। চেষ্টা করা
যেসব ক্ষেত্রে ফরেন কারেন্সি ব্যবহার
হয়, সেগুলো পরিহার করা।
মন্তব্য করুন
“ঢাকা তো প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় অবস্থানেই থাকে। বায়ু দূষণে আমরা প্রথম হয়েছি, এটা অত্যন্ত গর্বের বিষয়। এর ফলে আমরা তো শেষ হয়ে যাচ্ছিই, পরবর্তী প্রজন্ম, বিশেষ করে শিশু এবং বৃদ্ধরা একেবারে শেষ হয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ হিসেবে এটি ঠিক আছে। এর ফলে মানুষের গড় আয়ু কমে যাচ্ছে, পাশাপাশি একটা বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে, আমাদের অর্থ ব্যয় বাড়ছে। রাস্তায় বের হলে যে পরিমাণ কাপড়-চোপড় ধুতে হয়, ঘর-বাড়ি পরিষ্কার করতে হয়, টেবিলের ওপর আজকে পরিষ্কার করলে, কালকেই দেখবেন আবার ধুলো জমে আছে।
বঙ্গবন্ধু সারাজীবনই সংসদীয় গণতন্ত্রের পক্ষে ছিলেন এবং সংসদীয় গণতন্ত্রের রাজনীতিই তিনি শুধু করেছেন। তাঁর নেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, তিনিও সংসদীয় গণতন্ত্রই করার পক্ষে ছিলেন এবং এই রাজনীতিই করেছেন। বঙ্গবন্ধু সরকার যখন প্রতিষ্ঠিত হলো একটি মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে এবং স্বাধীনতার স্বাদ যখন বাঙালি পেলো। তখন দেখা গেলো কিছু অতি বামপন্থী বা বামপন্থী বা অতি ডানপন্থী, তারা সন্ত্রাস, নৈরাজ্য- এসব সৃষ্টি করলো, বঙ্গবন্ধুর সরকারকে অস্থিতিশীল করার জন্য। তখন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের জন্ম হলো।
স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) এর সাবেক মহাসচিব এবং ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ এর অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ বলেছেন, নিজ কর্মস্থলে চিকিৎসকদের রোগী দেখতে পারার সুযোগ সরকারের একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। শুধু চিকিৎসকদের নয়, রোগীদের জন্যও একটি বড় সুযোগ তৈরি হবে। অর্থাৎ কাজ শেষে চিকিৎসকরা যখন নিজ কর্মস্থলেই রোগী দেখবেন তখন হাসপাতালের সেবা বেড়ে যাবে। সরকারি অনেক হাসপাতাল আছে যেখানে ৪০০-৫০০জন চিকিৎসক আছেন অথচ সবাই প্র্যাকটিস করার সুযোগ পান না। কিন্তু এখন ‘ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিস’ চালু হলে সবাই প্র্যাকটিস এর সুযোগ পাবেন। এতে করে হাসপাতালগুলোর সেবা যেমন বাড়বে তেমনি রোগীরাও বেশি সেবা পাবে।
চিকিৎসা বিজ্ঞানী ডা. রোকসানা আক্তার একজন চিকিৎসা গবেষক। তিনি চিকিৎসা গবেষনায় অনেক অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। ‘পাবমেড’-এ ওনার অনেক মেডিকেল জার্নাল রয়েছে। বাংলাদেশে এবং আমেরিকাতেও তিনি বিভিন্ন অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। তিনি নিজেকে লুকিয়ে রাখতে পছন্দ করেন বলে আমেরিকানরা তাকে ‘হিডেন জুয়েল’(লোকায়িত রত্ন) বলে ডাকে।- বলছিলেন ডাক্তার রোকসানা আক্তার।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. আবুল বারাকাত বলেছেন, গত কয়েক বছর কোভিড এবং কোভিড পরবর্তীকালে ইউরোপ যুদ্ধ ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা, সবকিছু মিলিয়ে আমার মনে হয় না যে, সবাই টাইমলি কোনো কাজ শেষ করতে পারছে। একটা বড় বিষয় হচ্ছে, বাংলাদেশে যে সব লোনে কাজ হয়, তার মধ্যে আমদানির যে সব কম্পোনেন্ট থাকে, ইমপোর্ট মেটেরিয়ালস্, সেই গুলোর দাম অনেক বেড়ে গেছে। অর্থাৎ এই লোনটা যদি পাঁচ বছর আগে পাশ হয়ে থাকে, এই টাইমের মধ্যে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ার ফলে অনেক ক্ষেত্রে, রিটার্ন ইনভেস্টমেন্ট যদি আশা করা যায়, সে রিটার্ন হওয়ার সম্ভাবনা কমেও গেছে। এসব নিয়ে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হবে কি হবে না, আমি জানি না।