মন্তব্য করুন
“আমাদের জনগনের সাপোর্টের যে ডেপেজিট, হালখাতায়- এই জায়গায় আমরা সফল। এখন আমরা নববর্ষে, ২০২৩ সালের শেষে কতটা সফল হবো- এটা নিয়েই আমাদের আলোচনার বিষয়। এখন আমরা প্রথম মাসটা কাটিয়েছি। এই মাসটিতেও আমরা বিভিন্নভাবে তৎপর ছিলাম। যদিও এই মাসটিতে আমাদের সকল নেতারা, যারা নীতি নির্ধারক, তাদের সকলেই কারাগারে নিক্ষেপ ছিল, আমাদের মহাসচিব, কারাগার থেকে বেড়িয়ে এসে তিনি নতুন উদ্দীপনায়, নতুন গতিতে আবার নতুনভাবে কাজ শুরু করেছেন। এটা বলাবাহুল্য ইতিমধ্যেই আমাদের গ্লোবাল পলিটিক্সও আজকে জনগনের স্বপক্ষের সাথে একাত্বতা ঘোষণা করেছে।”- বলছিলেন বিএনপি দলীয় সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এবং বিএনপির বর্তমান নিবার্হী সদস্য আ ন ম এহসানুল হক মিলন।
আ ন ম এহসানুল হক মিলন বলেন, আমি বলবো, আমেরিকার নিষেধাজ্ঞায় থাকা রূপপুরের বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্যবাহী যে জাহাজটি, তারা ভারতে খালাস করতে চেয়েছিল, সেই জায়গায়ও তারা ব্যর্থ হয়েছে। তারমানে সুস্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি, আমাদের এই দেশে আর সুজাতা সিং-এর কোনো প্রভাব থাকবে না। ২০১৪- এর ইলেকশনে সুজাতা শিং এসে এরশাদ সাহেবকে সিএমইচ-এ পাঠিয়ে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র অনধিকার চর্চা করে, আমাদের দেশের গণতন্ত্রকে ভুলুণ্ঠিত করার যে পদক্ষেপ তৎকালীন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিং নিয়েছিল, সেইটা আর হবে না- এটা সুনিশ্চিত।
একের পর বিএনপি সভা-সমাবেশসহ যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করছে, আজকে ‘পদযাত্রা’ করেছে, এর আগে বিভাগীয় সমাবেশ করেছে বিএনপি, ঢাকায় এসে থমকে দাঁড়িয়েছে বিএনপির আন্দোলন- এছাড়াও বিএনপির ১০ দফা এবং রাষ্ট্র গঠনে রূপরেখা ২৭ দফা ঘোষণা এবং বিএনপির আন্দোলনের পরবর্তী বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা, পদক্ষেপ- এসব নিয়েই বাংলা ইনসাইডারের সাথে কথা হয়েছে বিএনপি দলীয় সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এবং বিএনপির বর্তমান নিবার্হী সদস্য আ ন ম এহসানুল হক মিলনের সঙ্গে। তিনি বাংলা ইনসাইডারের সাথে একান্ত আলাপকালে জানিয়েছেন বিএনপির আন্দোলনের কর্মসূচি, পরিকল্পনা এবং প্রাপ্তির কথা। পাঠকদের জন্য আ ন ম এহসানুল হক মিলন- এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার- এর নিজস্ব প্রতিবেদক আল মাসুদ নয়ন। আজ প্রকাশ হচ্ছে এই সাক্ষাৎকারের দ্বিতীয় পর্ব।
আ ন ম এহসানুল হক মিলন বলেন, আমরা ডোনাল্ড লু’র সফরের সময়ও দেখেছি এবং একইসাথে রাশিয়ার সেংশন দেওয়া জাহাজটি ভারতে খালাস করতে চেয়েও সেটা করতে পারেনি দেখেছি এবং এম জে আকবর, ভারতের বিজেপির প্রভাবশালী নেতা, তিনি ঘোষণাই দিয়েছিলেন তারা এই জাহাজটির পণ্য ভারতে খালাস করতে দিবে না। তাহলে ভূ-রাজনীতির ক্ষেত্রে গণতন্ত্রহীনতার যে চর্চা, সেটা হতে পারবে না। এ জায়গাটিতে, আমাদের বিদেশি যে পরাশক্তিগুলো আমাদের ওপরে দৃষ্টি দিয়ে আছে, তারা এই জায়গাটি কনফার্ম করেছে। আমরা বুঝতে পেরেছি, এবারের নির্বাচন অর্থাৎ ২০২৪-এর যে নির্বাচন, আর কোনো যেন তেন নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এই জিনিসটি জনগনের মধ্যে বিশাল একটি প্রভাব সৃষ্টি করছে। আওয়ামী লীগ পর পর তিনটি নির্বাচনে কারচুপি করে, তারা নির্বাচনকে কুক্ষিগত করে যে ক্ষমতায় এসেছে, এইবার সেই সুযোগটি তাদের আদৌ হবে না। এই যে আদৌ হবে না, এই জায়গাটিতেই আমাদের সবচেয়ে বড় বিজয় এসেছে। এখন আমাদের মূল বিষয়টি হলো,করতে পারবে না, কিন্তু কিভাবে করতে পারবে না, সেই সিস্টেমকে ডেভেলপ করা। এই সিস্টেমকে ডেভেলপ করতে হলে, আমাদের নির্বাচনকালে একটি সরকারের জন্য জোড় দাবি করতে হবে।
তিনি বলেন, যেহেতু ইতিমধ্যেই আমরা ছোট্ট নেতা হতে বড় নেতা, প্রত্যেকেই জেল-জুলুম হুলিয়ায় এতোটাই অভ্যস্থ হয়েছি, আমাদের সীমাহীন আত্মবিশ্বাসের একটি শক্তি আমরা অর্জন করেছি। আমরা জেলে যেতে পারি কিন্তু আমরা হার মানবো না। এই যে বিশ্বাস, এই যে আত্মবিশ্বাস- এটাই হচ্ছে আমাদের ২০২২ সালের সবচেয়ে বড় বিজয়। এ বিজয়টাকে নিয়েই আমরা ২০২৩ সালে আবার নতুন ধারাবাহিকতায়, আবার এই আন্দোলনটাকে আমরা ক্রমান্বয়ে যে ১০ মাস আছে, এই ১০ মাসে আন্দোলনটাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবো। যেহেতু এইবার বাংলাদেশের নাগরিক, জনগন হইতে শুরু করে বহির্বিশ্বে সকলেই বুঝতে পেরেছে, এই সরকার একটি জুলুমের সরকারের জায়গায় তারা নিজেদেরকে শাষক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে- এটি আর জনগনের কাছে বুঝবার বাকি নয়।
সুজাতা সিং আ ন ম এহসানুল হক মিলন বিএনপি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
“ঢাকা তো প্রথম,
দ্বিতীয়, তৃতীয় অবস্থানেই থাকে। বায়ু দূষণে আমরা প্রথম হয়েছি, এটা অত্যন্ত গর্বের বিষয়।
এর ফলে আমরা তো শেষ হয়ে যাচ্ছিই, পরবর্তী প্রজন্ম, বিশেষ করে শিশু এবং বৃদ্ধরা একেবারে
শেষ হয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ হিসেবে এটি ঠিক আছে। এর ফলে মানুষের গড় আয়ু কমে যাচ্ছে, পাশাপাশি
একটা বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে, আমাদের অর্থ ব্যয় বাড়ছে। রাস্তায় বের হলে যে পরিমাণ কাপড়-চোপড়
ধুতে হয়, ঘর-বাড়ি পরিষ্কার করতে হয়, টেবিলের ওপর আজকে পরিষ্কার করলে, কালকেই দেখবেন
আবার ধুলো জমে আছে। এর ফলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় বেশি শ্রম দিতে হয়। ব্যক্তিগত এবং
পারিবারিক ব্যয় বৃদ্ধি হয়। এটি আমরা গবেষণা করে দেখেছি, গড়ে মাসিক ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা
ব্যয় বেড়ে যায় এই সময়ে, যখন বায়ু দূষণ বেড়ে যায়।“ - বলছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের সাবেক
অতিরিক্ত মহাপরিচালক এবং পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো.
আবদুস সোবহান।
বর্তমান সময়ে
রাজধানী ঢাকা বায়ু দূষণে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে এবং বিগত কয়েকদিন থেকেই বায়ু দূষণে শীর্ষ
অবস্থানে ঢাকা। বায়ু দূষণে রাজধানী ঢাকার সমসাময়িক অবস্থান, এর কারণ এবং প্রতিকার-
এসব বিষয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেছেন প্রকৌশলী মো.
আবদুস সোবহান। পাঠকদের জন্য প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান- এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা
ইনসাইডারের নিজস্ব প্রতিবেদক আল মাসুদ নয়ন।
প্রকৌশলী মো.
আবদুস সোবহান বলেন, স্বাস্থ্যক্ষেত্রেও আর্থিক ব্যয় বৃদ্ধি হয়। গড় আয়ু কমে যাওয়ার সঙ্গে
সঙ্গে বিভিন্ন রোগও বেড়ে যায়। ফলে স্বাস্থ্যক্ষেত্রেও আর্থিক ব্যয় বেড়ে যায়। এছাড়াও
আমাদের স্থাপনাগুলো নষ্ট হচ্ছে। পথচারী পারাপারের জন্য যে ফুটওভার ব্রিজগুলো রয়েছে,
সেখানে ধুলা পড়ে জং ধরে যায়। যেখানে ধূলা পড়ে থাকে, ওরাতো ঠিকমতো পরিষ্কার করে না।
এর ফরে বিল্ডিং থেকে শুরু করে সমস্ত স্থাপনার আয়ুষ্কাল কমে যায়। এটাও একটা বিরাট অর্থনৈতিক
প্রভাব।
বায়ু দূষণের
কারণ সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান বলেন, প্রথমত ভ্রান্ত রিপোর্ট,
যেটা পরিবেশ অধিদপ্তর বলছে, দ্বিতীয়ত আমাদের উন্নয়ন কার্যক্রম, তৃতীয়ত সিটি করপোরেশন
এবং ওয়াসার বিভিন্ন কার্যক্রম। এই যে পরিবেশ অধিদপ্তরের একটি সমীক্ষা, এটি হয়েছে আজ
থেকে সাত-আট বছর আগে। সে সময়ে সমীক্ষায় বলা হয়েছে, বায়ু দূষণের এক নম্বর কারণ হচ্ছে
ইটভাটা, দুই নম্বর হচ্ছে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এবং তিন নম্বর হচ্ছে যানবাহনের দূষণ। ওই
সমীক্ষা দিয়েই অনেকে চালিয়ে দিতে চান, কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপট ভিন্ন। বর্তমানে গত
পাঁচ বছরে ঢাকা শহরে যে সমস্ত উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হচ্ছে, তা হলো এক, দুই নম্বর হলো ইটভাটা,
কারণ অনেকগুলো ইটভাটা ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে অথবা তারা উন্নত প্রযুক্তিতে গিয়েছে।
ঢাকা শহরের আশে-পাশে এখন আর তেমন ইটভাটা নেই। তার মানে হচ্ছে, ইটভাটা দুই নম্বরে চলে
এসেছে, এখন আর এক নম্বরে নাই।
তিনি বলেন,
এখন এক নম্বরে চলে এসেছে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড। গত পাঁচ বছরে সিটি করপোরেশন, ওয়াসার অনেকগুলো
প্রকল্প হয়েছে। ওরা পুরো শহর কেটেকুটে তছনছ করে রাখছে। এখনও তাই চলছে। দুই নম্বরে চলে
এসেছে যানবাহন, আমাদের যানবাহন, বিশেষ করে কাভার্ড ভ্যান প্রচুর পরিমাণে বাড়ছে। শুধু
যে ব্যক্তিগত গাড়ি বাড়ছে তা নয়, কাভার্ড ভ্যানও প্রচুর পরিমাণে বাড়ছে। এখন ঢাকা শহরে
দিন রাতে সব সময় যানবাহন চলছে। এসব যানবাহনগুলো ডিজেল চালিত। এসব ডিজেলের ধুয়ার কারণেও
বায়ু দূষণ বাড়ছে। এখন শোনা যাচ্ছে আরও নিম্নমানের ডিজেল ব্যবহারের জন্য আমদানি করা
হবে। এছাড়াও যানবাহনগুলো পুরাতন হচ্ছে। এরপর আমরা দেখছি ওয়াসা এবং সিটি করপোরেশন, মাসের
পর মাস রাস্তা কেটে রাখে, সেখানে প্রচুর ধুলা উৎপাদন হয়। এর পর হচ্ছে কন্সট্রাকশন,
নির্মাণ সামগ্রী পরিবহন। সিটি করপোরেশন-ওয়াসাসহ অন্যান্য সেবা সংস্থাসমূহ প্রচুর খোড়াখুড়ি
করে। এছাড়াও শীতকালে আমরা বিভিন্ন জিনিস পুরাই, যেমন খর-কুটো, লতা-পাতা- এগুলো থেকেও
বায়ু দূষণ হচ্ছে। তবে সারা বাংলাদেশের বায়ু দূষণের জন্য ইটভাটা এক নম্বর কারণ।
বায়ু দূষণ থেকে
প্রতিকারে জন্য কি ধরনের ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে? -এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রকৌশলী মো.
আবদুস সোবহান বলেন, আমরা প্রত্যেকে যদি নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করি। আমাদের মেগা প্রকল্পগুলো
যারা চালাচ্ছেন, তারা যদি বিদেশে এ কাজগুলো করতেন, তাহলে পরিবেশ বাদ দিয়ে কাজ করতে
পারতেন না। অথচ এখানে কিন্তু তারা কিছু করছেন না। মূল বিষয় হচ্ছে লাভ, কত লাভ উঠিয়ে
নেয়া যাবে? যত আমি লাভ উঠিয়ে নিতে পারবো, ততো কর্তৃপক্ষ আমার ওপর খুশি হবে। এদের প্রত্যেকের
পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নিতে হবে। বলা আছে, এ ধরনের প্রকল্প করতে হলে তাদের পরিবেশ
রক্ষায় কি কি ব্যবস্থা নিতে হবে। সেই ব্যবস্থাগুলো তারা নিচ্ছেন না। প্রকল্প পরিচালকও
নিচ্ছেন না, আবার যারা মনিটর করবেন, পরিবেশ অদিদপ্তর, তারাও মনিটর করছেন না। আইন আছে
কিন্তু আইনের কঠোর প্রয়োগ নেই। সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি আইনেরও কঠোর প্রয়োগ থাকতে
হবে।
তিনি বলেন,
ওয়াসা এবং সিটি করপোরেশনকে যেটুকু কাজ তারা করবেন, সেটুকু আগে করতে হবে। তা না করে
পুরো এলাকা কেটে ৬ মাস ফেলে রাখবে। অথচ যদি সেগমেন্ট ওয়াইজ কাজ করা হয়, একটা একটা করে
রাস্তা করেন, তাহলে আর পুরো এলাকাটা দূষিত হয় না। অংশবিশেষ এলাকা দূষিত হবে। কর্তা
ব্যক্তিরা, তারা সবাই এ বিষয়গুলো জানেন, বুঝেন কিন্তু কেন করেন না? এদেরকে এটা করতে
বাধ্য করতে হবে। আমাদের যেমন আইনের প্রয়োগ নেই এবং আমাদের নাগরিকরাও অনেক দুর্বল। আমাদেরকে
সোচ্চার হতে হবে। যানবাহনের ক্ষেত্রে উন্নতমানের জ্বালানি ব্যবহার করতে হবে। ফিটনেসবিহীন
গাড়ি চলাচল বন্ধ করতে হবে। এসব বিষয়ে সচেতনতা যেমন বৃদ্ধি করা দরকার, সেভাবে আইনও প্রয়োগ করা দরকার।
তিনি বলেন,
মূল কথা হচ্ছে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে শুরু করে, ওয়াসা, সিটি করপোরেশন, বিআরটিএ, রাজউকসহ
সংশ্লিষ্ট যারা দায়িত্বে রয়েছেন, তাদের যে আইনসিদ্ধ বিষয় রয়েছে সংগত কারণে সেগুলো পালন
করা এবং আইনের কঠোর প্রয়োগ করা। পাশাপাশি জনগনকে সচেতন করা এবং যারা এসব প্রকল্পের
সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন তাদেরকেও সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করা দরকার।
বায়ু দূষণ বাংলাদেশ ঢাকা পরিবেশ
মন্তব্য করুন
বঙ্গবন্ধু দ্বিতীয় বিপ্লব বাকশাল আবদুস সামাদ ফারুক
মন্তব্য করুন
“আমাদের জনগনের সাপোর্টের যে ডেপেজিট, হালখাতায়- এই জায়গায় আমরা সফল। এখন আমরা নববর্ষে, ২০২৩ সালের শেষে কতটা সফল হবো- এটা নিয়েই আমাদের আলোচনার বিষয়। এখন আমরা প্রথম মাসটা কাটিয়েছি। এই মাসটিতেও আমরা বিভিন্নভাবে তৎপর ছিলাম। যদিও এই মাসটিতে আমাদের সকল নেতারা, যারা নীতি নির্ধারক, তাদের সকলেই কারাগারে নিক্ষেপ ছিল, আমাদের মহাসচিব, কারাগার থেকে বেড়িয়ে এসে তিনি নতুন উদ্দীপনায়, নতুন গতিতে আবার নতুনভাবে কাজ শুরু করেছেন। এটা বলাবাহুল্য ইতিমধ্যেই আমাদের গ্লোবাল পলিটিক্সও আজকে জনগনের স্বপক্ষের সাথে একাত্বতা ঘোষণা করেছে।”- বলছিলেন বিএনপি দলীয় সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এবং বিএনপির বর্তমান নিবার্হী সদস্য আ ন ম এহসানুল হক মিলন।
“মূলত বিএনপির আন্দোলনটাকে ধারাবাহিকভাবে এস্কেলেট (ধাপে ধাপে বৃদ্ধি) করতে হবে। টাইম বার্সেস ফারেনহাইট (সময় বনাম উত্তাপ বা চাঙ্গা), আমরা যদি গ্রাফে এটি দেখাই। তাহলে আমাদের সময় আছে মাত্র ১১ মাস। আবার নির্বাচনের আগে আছে ১০ মাস। তাহলে আমাদের গড়ে এদিকে ১০ মাস, ওদিকে ১০ মাস। বিএনপি যেভাবে এগুচ্ছিলো, অর্থাৎ ১০ই ডিসেম্বরের যে মহা সমাবেশ, সেখানে এসে বিএনপিকে আনেকটা নাজেহাল করলো প্রশাসন। তখন বিএনপি বনাম প্রশাসন হয়ে গেলো।
“ঢাকা তো প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় অবস্থানেই থাকে। বায়ু দূষণে আমরা প্রথম হয়েছি, এটা অত্যন্ত গর্বের বিষয়। এর ফলে আমরা তো শেষ হয়ে যাচ্ছিই, পরবর্তী প্রজন্ম, বিশেষ করে শিশু এবং বৃদ্ধরা একেবারে শেষ হয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ হিসেবে এটি ঠিক আছে। এর ফলে মানুষের গড় আয়ু কমে যাচ্ছে, পাশাপাশি একটা বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে, আমাদের অর্থ ব্যয় বাড়ছে। রাস্তায় বের হলে যে পরিমাণ কাপড়-চোপড় ধুতে হয়, ঘর-বাড়ি পরিষ্কার করতে হয়, টেবিলের ওপর আজকে পরিষ্কার করলে, কালকেই দেখবেন আবার ধুলো জমে আছে।
বঙ্গবন্ধু সারাজীবনই সংসদীয় গণতন্ত্রের পক্ষে ছিলেন এবং সংসদীয় গণতন্ত্রের রাজনীতিই তিনি শুধু করেছেন। তাঁর নেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, তিনিও সংসদীয় গণতন্ত্রই করার পক্ষে ছিলেন এবং এই রাজনীতিই করেছেন। বঙ্গবন্ধু সরকার যখন প্রতিষ্ঠিত হলো একটি মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে এবং স্বাধীনতার স্বাদ যখন বাঙালি পেলো। তখন দেখা গেলো কিছু অতি বামপন্থী বা বামপন্থী বা অতি ডানপন্থী, তারা সন্ত্রাস, নৈরাজ্য- এসব সৃষ্টি করলো, বঙ্গবন্ধুর সরকারকে অস্থিতিশীল করার জন্য। তখন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের জন্ম হলো।