ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক
ড. আবুল বারাকাত বলেছেন,
গত কয়েক বছর কোভিড
এবং কোভিড পরবর্তীকালে ইউরোপ যুদ্ধ ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা, সবকিছু মিলিয়ে আমার মনে হয়
না যে, সবাই টাইমলি
কোনো কাজ শেষ করতে
পারছে। একটা বড় বিষয়
হচ্ছে, বাংলাদেশে যে সব লোনে
কাজ হয়, তার মধ্যে
আমদানির যে সব কম্পোনেন্ট
থাকে, ইমপোর্ট মেটেরিয়ালস্, সেই গুলোর দাম
অনেক বেড়ে গেছে। অর্থাৎ
এই লোনটা যদি পাঁচ বছর
আগে পাশ হয়ে থাকে,
এই টাইমের মধ্যে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ার
ফলে অনেক ক্ষেত্রে, রিটার্ন
ইনভেস্টমেন্ট যদি আশা করা
যায়, সে রিটার্ন হওয়ার
সম্ভাবনা কমেও গেছে। এসব
নিয়ে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হবে কি হবে
না, আমি জানি না।
বিশ্বব্যাংকের
ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অপারেশন) এক্সেল ভন ট্রটসেনবার্গ ঢাকায় আসছেন,
বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বাংলাদেশে চলমান প্রকল্পগুলো তার পরিদর্শনের কথা,
পাইপলাইনে আটকে থাকা এসব
প্রকল্পগুলোর অর্থছাড় এবং ডলার সঙ্কট-
এসব বিষয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক
এবং অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. আবুল বারাকাত
এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের
জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক
এবং অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. আবুল বারাকাত-
এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক
আল মাসুদ নয়ন।
বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রকল্প চলমান চলমান রয়েছে, সময়মতো অনেক প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত
হয়নি। যে কারণে এসব
প্রকল্পের অর্থছাড় হয়নি, যে কারণে পাইপলাইনে
আটকে আছে বৈদেশিক ঋণের
৫০ বিলিয়ন ডলার। এসব অর্থছাড়ের বিষয়ে
আপনি কি মনে করেন বিশ্ব ব্যাংকের এমডি কোনো ব্যবস্থা
নিতে পারেন?- এমন প্রশ্নের উত্তরে
আবুল বারকাত বলেন, আমার তো এগুলো
খুব রুটিন ভিজিট বলে মনে হয়। এ
রকম নয় যে, এ কারণেই
তিনি এসেছেন। বিশ্বব্যাংকের এমডি তো বিভিন্ন
দেশেই ঘুরেন। আমার কাছে তো
মনে হয়, বিভিন্ন দেশে
ঘুরার মতোই একটি ঘুরা
বাংলাদেশে। বিশেষ কোনো কিছুর জন্য
বাংলাদেশে এসেছে, আমার কাছে তা
মনে হয়নি। দ্বিতীয়ত, বিশ্বব্যাংকের লোনের টাকা স্টলমেন্টে দেয়
এবং সেটা এমন কখনই
হয় না যে, সবকিছুই
একদম স্মোথলি হয়ে যায়, সেটা
হয়ও না।
অধ্যাপক
ড. আবুল বারাকাত বলেন,
আমার ধারনা, সাধারণ ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে
আলোচনার বিষয়গুলো এখন এগুলোই। আমাদের
অবস্থাটা বুঝে, বিশ্বব্যাংকের সে সুযোগ আছে।
আমাদের অবস্থা বুঝে সে লোনের
মেয়াদ বাড়ানো থেকে শুরু করে,
যতটুকু আমাদের কারণে না, সেটুকু কনসিডার
করলে আমার মনে হয়
উভয় পক্ষ থেকেই রক্ষা
হবে। আর বিশ্বব্যাংক যেহেতু
অন্যান্য ব্যাংকের মতো না। বিশ্বব্যাংকের মেন্ডেটের মধ্যে অনেক মেন্ডেট আছে,
আমার মনে হয় যে,
জাতীয় উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে
হলেও বিশ্বব্যাংকের এমডির বিশেষ কিছু করার আছে
বলে আমি জানি না।
এমডি বিষয়টা বুঝে বিশ্বব্যাংকের বোর্ডে
প্রেজেন্ট করে।
তিনি
বলেন, ওনার কাছে এতোটুকুই
আশা করা যেতে পারে,
বাংলাদেশ যেহেতু পৃথিবীর অনেক দেশের ইকোনোমির
তুলনায়, পারফর্মেন্স অনুযায়ী বাংলাদেশ যেহেতু বেটার করছে এবং পপুলেশনের
দিক থেকে একটা হিউজ
ডমেসটিক মার্কেট আছে। সব বিবেচনা
করে তিনি একটা রিপোর্ট
করুক বিশ্ব্যাংকের বোর্ডে, বোর্ড যেহেতু বাংলাদেশের আকাঙ্খা, যেমন মধ্যম আয়ের
দেশ হওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি,
সেগুলো বিবেচনা করে এসব বিষয়গুলো
দেখুক। এর বেশি তো
বলার কিছু নাই।
দিন
দিন পাইপলাইনে এইসব ঋণের অর্থের
পরিমাণ বাড়ছে, এসব অর্থছাড়ের বিষয়ে
বাংলাদেশ কি ধরনের ব্যবস্থা
নিতে পারে?- এমন প্রশ্নের উত্তরে অধ্যাপক
ড. আবুল বারাকাত বলেন,বাংলাদেশ যে সব ব্যবস্থা
নিতে পারে, তার জন্য সব
সময় চেষ্টা করে বলেই তো
আমার ধারনা। তবে যেগুলো ছাড়
করা জরুরি, অর্থাৎ প্রাইওরিটি বা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে,
যে প্রকল্পগুলো জাতীয় অর্থনীতির অগ্রাধিকারমূলক প্রকল্প, সেগুলোর ওপর জোর দেওয়া
উচিৎ। জোর দেওয়া উচিৎ
এজন্যই যে, এক সময়
তো এসব অর্থ ফেরতও
দিতে হবে এবং ফেরত
তো আর টাকায় দেয়া
হবে না, ফেরত তো
ডলারেই দেয়া হবে। লোন
ম্যানেজমেন্ট-টা সব সময়
মাথায় রাখতে হবে, আমাদের সামনের
দিকে এইটা কেমন আসবে।
কারণ এগুলো ফেরত দিতে হবে।
যেগুলো রিটার্ন ধীর এবং সম্ভাবনা
কম, সেগুলো রি-থিংকও (পুনঃচিন্তা)
করা যেতে পারে, যেগুলো
অগ্রাধিকারমূলক না। অগ্রাধিকারমূলকগুলোকে জোর দেওয়া।
বাংলাদেশে
ডলার সঙ্কট এবং বাণিজ্য ঘাটতি
হচ্ছে এক্ষেত্রে কি ধরনের পদক্ষে
নেওয়া উচিৎ বলে আপনি
মনে করেন?- এই প্রশ্নের উত্তরে
অধ্যাপক ড. আবুল বারাকাত
বলেন, ডলার সঙ্কটের ক্ষেত্রে
প্রধান হচ্ছে এক্সপোর্ট আর্নিংয়ের যত পথ আছে,
কমোডিটি এক্সপোর্ট, সার্ভিস এক্সপোর্ট এবং ম্যান পাওয়ার
এক্সপোর্ট- এগুলোতে জোর দিতে হবে।
এবং রেমিটেন্স, রেমিটেন্সটা বৈধ চ্যানেলে যেন
আসে অর্থাৎ ব্যাংকিং চ্যানেলে- সেটা নিশ্চিত করতে
হবে। কারণ ব্যাংকিং চ্যানেলে
রেমিট্যান্স যখন আসে না।
তখন ডলার আপানার কাছে
আসে না। দুটো জায়গাতেই
জোর দেওয়া এবং জোর দেওয়ার
এখন অনেক খাত-ক্ষেত্রই
আছে। এছাড়াও অপ্রয়োজনীয় ইমপোর্ট যেমন লাক্সারি ইত্যাদি
ইত্যাদি- এগুলো করলে তো ফরেন
কারেন্সি চলে যায়, সেগুলো
বাঁচানোর চেষ্টা করা। আর লাক্সারি
কিছু গুডস আছে, যেগুলোতে
বাধা দেওয়াও যায় না, করে।
তাতে তো ফরেন কারেন্সি
যায়- সেগুলোতে যে সব ট্যাক্স
আছে, যদি ২০০% ট্যাক্স
থেকে থাকে। যাদের দরকার আছে তারা ৫০০%
ট্যাক্সও দিতে পারে। এসব
লাক্সারি গুডসের ওপর হাই ডিউটি
আরোপ করা। চেষ্টা করা
যেসব ক্ষেত্রে ফরেন কারেন্সি ব্যবহার
হয়, সেগুলো পরিহার করা।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
‘শেরাটন হোটেলের লিফটের ১৪ তলায় ওপেন টু দ্য স্কাই একটি জায়গা, ছাদের ওপর। সেখানে দেখলাম একটি মঞ্চ সংস্থাপন করা হয়েছে। সেখানে জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটি- লেখা আছে। মঞ্চের ওপরে দাঁড়িয়ে আছেন কমরেড ফরহাদ মজহার, উন্নয়ন বিকল্প নীতিনির্ধারনী গবেষণার কর্ণধার এবং আমাদের সতীর্ত গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের কৃতি ছাত্র শওকত মাহমুদ। স্বাগত বক্তব্য রেখেছেন কমরেড ফরহাদ মজহার। সেখানে শওকত মাহমুদ একটি ইশতেহার পাঠ করেন- অর্থাৎ একটি প্রস্তাবনা জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটির প্রস্তাবনা। সেখানে ড. ফারহাদ নামের একজন নারী সেখানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেছেন। তারপর সবাইকে নৈশভোজে আপ্যায়িত করা হয়েছে।’ - বলছিলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি এবং জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদ (জানিপপ) এর চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ।
গত ১৬ই মার্চ (বৃহস্পতিবার) রাজধানীর বনানীতে একটি পাঁচ তারকা হোটেলে লেখক ও কবি ফরহাদ মজহার ও সাংবাদিক শওকত মাহমুদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটির (ন্যাশনাল কমিটি ফর সিভিল রাইটস) নৈশভোজে অংশ নিয়েছেন বিরোধী দলের একাধিক রাজনৈতিক নেতা। সেখানে অতিথি হয়ে নৈশভোজে অংশ নিয়েছিলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি এবং জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদ (জানিপপ)- এর চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ। সেখানে কি হলো? - এ নিয়ে কথা হয়েছে প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ- এর সঙ্গে। বাংলা ইনসাইডারের সাথে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি জানিয়েছেন ওই নৈশভোজে ‘আলোচনার বিষয়বস্তু ’ কি ছিল। পাঠকদের জন্য প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ- এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের বিশেষ প্রতিনিধি আল মাসুদ নয়ন।
প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ বলেন, ‘সেখানে ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের ড. রেজা কিবরিয়া, মাহমুদুর রহমান মান্না, লে. জেনারেল (অব.) সোহরাওয়ার্দী প্রমুখ। আমি দ্বিতীয় সাড়িতে বসেছি। প্রায় শ’ খানেক লোক ছিলেন। পেছনে কিছু চেয়ার খালিও ছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন বাঙালি নারী নাগরিক- তিনিও উপস্থিত ছিলেন, নাম সীমা। আমাদের এনবিআর- এর সাবেক চেয়ারম্যান মজিদ মহোদয় সেখানে ছিলেন। সেখানে ইশতেহারে যে বিষয়টি লক্ষণীয় সেটি হচ্ছে, তারা উপসংহারে বলেছেন যে, যথাসম্ভব একটি বৃহত্তর ঐক্যের ভিত্তিতে যৌথ কিংবা একটি যুগপৎ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ব্যাপক জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চান তারা।’
তিনি বলেন, তারা গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করতে চান। অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ হবে নতুন গঠনতন্ত্র বা শাষনতন্ত্র প্রণয়নের সভা আহবান করা এবং জনগণের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে বাংলাদেশেকে নতুনভাবে একটি শাষনতন্ত্র উপহার দেওয়া। স্বাধীন নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন অর্থাৎ নির্বাচন কমিশন পূনর্গঠন এবং নির্বাচনের সময় সকল নির্বাহী ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের অধীনে নিয়ে আসা। নতুন গঠনতন্ত্র প্রণয়নের পরপরই অন্তর্বর্তী নতুন সরকার এবং নতুন গঠনতন্ত্রের ভিত্তিতে নতুন জাতীয় নির্বাচন হবে। নতুনভাবে বাংলাদেশ গঠনের এটাই সঠিক পথ বলে তারা মনে করেন।
প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ বলেন, ওখানে আমি অনেককেই দেখেছি- যারা দীর্ঘদিন ধরে এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত, যারা আয়োজক তাদের মতে, ১৯১৩ সালে তারা এই কমিটি গঠন করেছেন। নতুন করে তারা পুনরুজ্জীবিত করলেন এই কমিটি। এছাড়া ল্যাংলে-তে কাজ করেন বলে একজন পরিচয় দেন, অর্থাৎ আমেরিকাতে সিআইএ হেডকোয়ার্টারে তিনি কাজ করেন, নাম মাসুদ করিম। অনেক দিন থেকেই এই অঞ্চলে তাকে দেখা যায়, কখনও ব্যাংককে কখনও কাডমান্ডুতে, কখনও কলোম্বতে এবং দুবাইয়ে এসব জায়গায়- তিনি বাংলাদেশি আমেরিকান, তার এলাকা সিলেটে। আমাদের দেশের প্রথিতযশা অ্যাক্টিভিস্ট যারা রয়েছেন, তাদের সঙ্গে বিভিন্ন সময় তিনি বৈঠকে মিলিত হন। যাদের সঙ্গে তিনি (মাসুদ করিম) বৈঠকে মিলিত হয়েছেন, তাদের অনেকেই ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন। তাকে নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী একাধিক ব্যক্তি, যারা সোশ্যাল মিডিয়াতে সক্রিয় উপস্থাপক- তারা তাকে বিতর্কিতভাবে উপস্থাপন করেছেন।
তিনি বলেন, ফলে তাকে জড়িয়ে একটা রহস্য, একটা ধোঁয়াশা ওয়াকিবহাল মহলের মধ্যে আছে। এই আয়োজনটার টাকা কোত্থেকে এসেছে- এটা নিয়েও অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনা করেছেন। প্রায় ১২ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু এই টাকা কোত্থেকে এসেছে সেটাতো কেউ বলেন নাই। তবে এইটা বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা হয়তো সহায়তা করেছেন।
তিনি বলেন, তারা একটি অন্তর্বর্তী সরকার চাচ্ছে- যে নতুন সরকার আসবে এবং একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করবে। একটা লম্বা সময় ধরে এই সরকার শাষনতন্ত্র প্রণয়ন অ্যাসেম্বলি করবে, এই প্রক্রিয়াটা তারা করবে। তারা দাবি করেছেন, ২০১৩ সাল থেকে তারা কাজ করছেন- এটা নিয়ে। তবে আমি মনে করি এটা বিএনপির উদ্যোগের কোনো আয়োজন না। কারণ সেখানে বিএনপির কোনো লোককে দেখা যায়নি। বিএনপির অনেকেই আমন্ত্রিত হয়ে সেখানে আসেননি।
প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ সাক্ষাৎকার জানিপপ শেরাটন হোটেল
মন্তব্য করুন
হুমায়ুন ফরীদি নিশো সুড়ঙ্গ তমা মির্জা সিনেমা রাফি হুমায়ুন ফরীদি
মন্তব্য করুন
রমজানে যেহেতু আমাদের দেহ ঘড়ি একটু অন্যভাবে চলে সেজন্য খাদ্যাভাসের দিকে বিশেষ নজর দেয়া দরকার বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল এর ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজির বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাঃ মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল। তিনি বলেন, আমরা যদি রমজানের মূল্য তাৎপর্য সংযম সেটা মেনে চলি তাহলে কিন্তু পেট ভালো রাখার কোন অসুবিধা থাকে না। কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছে রমজান মাসে আমাদের খাদ্যাভাস এবং আমাদের প্রাত্যহিক জীবনযাপনে দারুণ পরিবর্তন আসে। সে কারণেই হয়তো অনেকে পেটের পীড়ায় বেশি ভুগে থাকি।
রেহানা আক্তার একসময় শোবিজ অঙ্গনে সাড়া জাগানো 'লাইলী খ্যাত' অভিনেত্রী। যিনি বাংলাদেশের প্রথম সারির অভিনেতা মাফুজ আহমেদ, জাহিদ হাসান থেকে শুরু করে মোশারফ করিম পর্যন্ত সবার সাথে নাটকে অভিনয় করেছেন।পেয়েছিলেন জনপ্রিয়তা ও সেই মেয়েটি এখন ফ্রান্স প্রবাসী, প্রবাসে জনপ্রিয়তায় শীর্ষস্থানীয় একজন ব্লগার। তার ফেইসবুক পেইজ ও ইউটিউবে বর্তমানে ফলোয়ারের সংখ্যা লক্ষাধিক। সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে এই অভিনেত্রীর সাথে কথা হলো বাংলা ইনসাইডারের।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশীদ বলেছেন, কোনো দেশ অন্য আরেকটি দেশের শাসন ব্যবস্থা বা সাংবিধানিক ক্ষমতা নিয়ে কথা বলতে পারে না, অধিকার নেই। সে হিসেবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কথা বলা আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে সরাসরি হস্তক্ষেপের সামিল।
শেরাটন হোটেলের লিফটের ১৪ তলায় ওপেন টু দ্য স্কাই একটি জায়গা, ছাদের ওপর। সেখানে দেখলাম একটি মঞ্চ সংস্থাপন করা হয়েছে। সেখানে জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটি- লেখা আছে। মঞ্চের ওপরে দাঁড়িয়ে আছেন কমরেড ফরহাদ মজহার, উন্নয়ন বিকল্প নীতিনির্ধারিনী গবেষণার কর্ণধার এবং আমাদের সতীর্ত গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের কৃতি ছাত্র শওকত মাহমুদ। স্বাগত বক্তব্য রেখেছেন কমরেড ফরহাদ মজহার। সেখানে শওকত মাহমুদ একটি ইশতেহার পাঠ করেন- অর্থাৎ একাটি প্রস্তাবনা জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটির প্রস্তাবনা। সেখানে ড. ফারহাদ নামের একজন নারী সেখানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেছেন। তারপর সবাইকে নৈশভোজে আ্যপায়িত করা হয়েছে।