ইনসাইড টক

‘আমেরিকানরা আমাকে ‘হিডেন জুয়েল’ বলে’

প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ২৩ জানুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail

চিকিৎসা বিজ্ঞানী ডা. রোকসানা আক্তার একজন চিকিৎসা গবেষক। তিনি চিকিৎসা গবেষনায় অনেক অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। ‘পাবমেড’-এ ওনার অনেক মেডিকেল জার্নাল রয়েছে। বাংলাদেশে এবং আমেরিকাতেও তিনি বিভিন্ন অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। তিনি নিজেকে লুকিয়ে রাখতে পছন্দ করেন বলে আমেরিকানরা তাকে ‘হিডেন জুয়েল’(লোকায়িত রত্ন) বলে ডাকে।- বলছিলেন ডাক্তার রোকসানা আক্তার।  

ডা. রোকসানা আক্তার একজন চিকিৎসা বিজ্ঞানী, মেডিকেল জার্নালের লেখিকা, গ্লোবাল পিস অ্যাম্বাসেডর, মোটিভেশনাল স্পিকার, পরোপকারী এবং মানবাধিকার কর্মী। ২০২২ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রর মহিলা আইকন অফ দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ডস পুরষ্কার জিতেছেন তিনি। কমিউনিটি ওয়ার্কসের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গোল্ড মেডেল অর্জন করেছেন তিনি। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত মাসিক ফ্যাশন এবং লাইফস্টাইল ম্যাগাজিন ‘ভোগ’ বাংলাদেশি ডাক্তার রোকসানা আক্তার সম্পর্কে এসব তথ্য প্রকাশ করেছে।- এসব বিষয় নিয়েই কথা হয় চিকিৎসা বিজ্ঞানী ডা. রোকসানা আক্তারে সঙ্গে। তিনি বাংলা ইনসাইডারের সাথে একান্ত আলাপচারিতায় জানিয়েছেন তার বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের কথা। পাঠকদের জন্য চিকিৎসা বিজ্ঞানী ডা. রোকসানা আক্তার- এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক আল মাসুদ নয়ন।



ডা. রোকসানা আক্তার বলেন, আমেরিকাতে আমার অনেক টিভি, রেডিও এবং সংবাদ মাধ্যমে ইন্টারভিউ হয়েছে। আমিতো বিউটি পেজান হোল্ডার। আমেরিকাতে যখন আমি বিউটি পেজান হোল্ডার হলাম, তখন বিভিন্ন ইন্টারন্যাশনাল সংবাদপত্র, টিভি মিডিয়াতে আমার অনেক সাক্ষাৎকার প্রচারিত হয়েছে। ২০১৯ সালে ভারতের টি-সিরিজ আমাকে ওদের প্রচারের জন্য অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নিয়েছিল। ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে নিউ ইয়র্ক ফ্যাশন শো হয়, ‘নিউ নিয়র্ক ফ্যাশন ইউক’- সেখানে বিভিন্ন দেশের ফ্যাশন ডিজাইনাররা আসেন। ওইটাতে আগেও মডেলিং করেছি, এবারও যাচ্ছি। এবার ফেব্রুয়ারির ৮ তারিখের দিকে আমরা যাবো। সেখানে বিভিন্ন ডিজাইনারদের পোশাক পরে আমরা ফ্যাশন মডেল হিসেবে রেড কার্পেটে হাটবো। সেখানে মিস ইউনিভার্স ফার্নান্দেজ, ঐশ্বরিয়া, সুস্মিতা সেন- তাদেরকে যারা ট্রেইন করেছে, তাদের সাথেও আমাদের একটি ওয়ার্কশপ আছে। ওয়ার্কশপ হবে ফ্রেব্রুয়ারির ৯ তারিখে। ১০ এবং ১১ তারিখে অনুষ্ঠিত হবে এই ফ্যাশন উইক। আমেরিকার টাইমস স্কোয়ারে একটা বিলবোর্ড আছে, আমরা যারা ক্রাউন হোল্ডার, আমরা যারা এবারে ফ্যাশন উইকে অংশগ্রহণ করছি, ওই বিলবোর্ডে- আমাদের ছবি থাকবে।        



তিনি বলেন, আমেরিকাতে আমি ফ্যাশন এবং মডেলিংয়ের ওপর বিভিন্ন অ্যাওয়ার্ড পেয়েছি। ছোটবেলা থেকেই আমি একটু পোশাক পছন্দ করতাম। আমার বাবা-মা, বোনরাও আমাকে ছোটবেলা থেকেই সুন্দর করে সাজিয়ে দিতেন। ওইটা আমি জাস্ট পছন্দ করতাম। এইটা অনেকটা হৃদয় থেকে পছন্দ করার বিষয়। 
     
একজন মিউজিক প্রডিউসার হিসেবে আপনার বিভিন্ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানতে চাই- এমন প্রশ্নে ডা. রোকসানা আক্তার বলেন, আমিতো বাংলাদেশেও অনেক সিঙ্গারদের সাথে কাজ করেছি, পাকিস্তানের মিউজিক প্রডিউসার সালমান আশরাফ মূলত আমার কো-প্রডিউসার। তিনি এম আশরাফের ছেলে। এম আশরাফ রুনা লাইলাকে ‘মেরি বাবু ছলছলেঙ্গা’ গানটি করিয়েছিলন, উর্দু ভার্সনে ‘চুরি করেছ  আমার মনটা’- এসব গানগুলো এম আশরাফ করিয়েছিলেন। আমি দিনাত জাহান মুন্নীকে গান করিয়েছিলাম। বাংলাদেশে আলাউদ্দিন আলী ভাইয়ের সঙ্গেও সালমান আশরাফ কাজ করেছেন ‘যেভাবে বাঁচি’ - গানে। তবে বাংলাদেশের গানের মধ্যে আগে অনেক ভালো কিছু ছিল, এখন কিন্তু তেমন ভালো কিছু নাই। সালমান আশরাফ এখন ওস্তাদ রাহাত ফতেহ আলী খানের সঙ্গে আছেন বেজ গিটারিস্ট হিসেবে। সামিনা চৌধুরী আপাও সালমান আশরাফের সঙ্গে গান করেছেন। 



তিনি এখন টেক্সাসে বসবাস করছেন, আপনি কি দ্বৈত নাগরিক? - এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, হ্যা আমি ডোয়াল। বাংলাদেশে গিয়েছিলাম ২০১৮ সালে। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করার পর থেকেই আমি দেশের বাইরে। আমার আম্মাও দুই দেশেরই নাগরিক ছিলেন। 

তিনি বলেন, আমি আসলে আমার পরিবার থেকেই সব কিছু পেয়েছি। আমি বাংলাদেশের একজন স্পোর্টস পার্সনও। আমি বাংলাদেশে হাই জাম্প, লং জাম্পে এবং ব্যাডমিন্টনে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম। আসলে দেখ, বাংলাদেশটা অনেক সুন্দর অনেক দেশ। 

ডা. রোকসানা আক্তার বলেন, আমার প্রোডাকশনে ওস্তাদ রাহাত ফতেহ আলী খান এবং সালমান আশরাফও গান করেছেন। সালমান আশরাফ অনেক বাংলা গান করেছেন আমার প্রোডাকশনে। বাংলা গান এখনও আমরা করছি। সালমান আশরাফ আমার সাথে ৬ বছর ধরে কাজ করছেন। তিনি আমার ৭ বছর ধরে চেনা। 

আমেরিকান   হিডেন জুয়েল   ডা. রোকসানা আক্তার   সাক্ষাৎকার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড টক

‘পেটের সুস্থতার জন্য সহজে হজম হয় এ রকম খাবার খাওয়া উচিত’

প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ২৬ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

রমজানে যেহেতু আমাদের দেহ ঘড়ি একটু অন্যভাবে চলে সেজন্য খাদ্যাভাসের দিকে বিশেষ নজর দেয়া দরকার বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল এর ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজির বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাঃ মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল। তিনি বলেন, আমরা যদি রমজানের মূল্য তাৎপর্য সংযম সেটা মেনে চলি তাহলে কিন্তু পেট ভালো রাখার কোন অসুবিধা থাকে না। কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছে রমজান মাসে আমাদের খাদ্যাভাস এবং আমাদের প্রাত্যহিক জীবনযাপনে দারুণ পরিবর্তন আসে। সে কারণেই হয়তো অনেকে পেটের পীড়ায় বেশি ভুগে থাকি। 

রমজানে পেট ভালো রাখা এবং এ সময় আমাদের খাদ্যাভাস কি রকম হওয়া উচিত ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেছেন।

অধ্যাপক ডাঃ মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল বলেন, আমাদের বায়োলজিক্যাল ঘড়ি সেটা কিন্তু বছরের এগারোটি মাস একই নিয়মে চলতে থাকে। ধরুন, আমরা কেউ সকাল ৬টায় ঘুম থেকে উঠি, কেউ ৮টায় উঠি, কেউ ১০টায় উঠি। কেউ হয়তো দুপুরে খাই, কেউ হয়তো খাই না। কেউ রাত ১০টায় খাই, কেউ রাত ২টায় খাই। যার যার দেহ ঘড়ি তার তার মতো করে চলতে থাকে। কিন্তু যখন রমজানের শুরুতেই হঠাৎ খাবার অভ্যাস পাল্টে ফেলি, আমরা খুব ভোরে সেহেরি করছি, সারাদিন কিছু খাচ্ছি না, ইফতার করছি, রাতে খাচ্ছি খাচ্ছি না, ভোরে আবার সেহেরি করছি, তখন কিন্তু আমাদের শরীরে সেটা খাপ খাইতে একটু সময় লাগে। সেজন্য অনেকের অনেক অভ্যাস উল্টা পাল্টা হয়ে যেতে পারে। সে জন্য আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। 

তিনি বলেন, আমরা রমজানে যে সমস্ত খাবার খাই সেগুলো স্বাস্থ্যকর খাবার বলা যাবে না, সেগুলো কম স্বাস্থ্যকর। এ সময় আমরা প্রচুর ভাজা পোড়া খাবার খাই। যেগুলো আমরা সচরাচর খাই না। কিন্তু রমজান মাসে আমাদের এ সমস্ত খাবার বেড়ে যায়। ফলে পেটে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। ফলে যাদের পেটে অসুখ আছে তাদের জন্য তো বটে, তাদের অসুখ নেই তাদেরও কতগুলো জিনিস মেনে চলা উচিত। আমি কখনো বলছি না, আপনি ভাজা পোড়া ছেড়ে দেন। এটা ছেড়ে দেওয়া কঠিন। এটা আমাদের হাজার বছর পুরনো অভ্যাস। এ সময় ভাজা পোড়া খাবার খান কিন্তু অল্প করে খান।

রমজানে কি ধরনের খাবার খাওয়া যেতে পারে জানতে চাইলে অধ্যাপক ডাঃ মামুন বলেন, এ সময় আপনারা ফল-ফলাদি খাবারের ওপর জোর দেন। এ সময় দুখ খান, যে সমস্ত খাবার হজমে সুবিধা সে সমস্ত খাবার খান। তেল যুক্ত খাবার, চর্বি যুক্ত খাবার এগুলো এড়িয়ে চলেন। এখানে কোনো সুর্নিদিষ্ট নিয়ম নেই যে আপনি এটা খেলে ভালো থাকবেন, কিংবা সেটা খেলে ভালো থাকবেন। সারা বছর আপনি যে ধরনের খাবার খান সে ধরনের খাবারই খাবেন। যেহেতু এ সময় আপনার দেহ ঘড়ি একটু অন্য ভাবে চলছে সেজন্য সহজে হজম হয় এ রকম খাবারগুলো খাবেন এবং প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। কারণ এ সময় গরম চলছে, আবার তীব্র রৌদ আছে সেজন্য আপনার হিট স্ট্রোক হতে পারে, ডিহাইড্রেশন হতে পারে। সেজন্য প্রচুর পানি খেতে হবে এবং পানি অবশ্যই বিশুদ্ধ হতে হবে। যত তত্র বিক্রি হওয়া ফলের রস কিংবা পানি খাবেন না। দূষিত পানি থেকে তৈরি খাবার খেলেও কিন্তু পেটের পীড়া, জন্ডিসের কারণ হতে পারে। 


মন্তব্য করুন


ইনসাইড টক

'নতুন করে ঘুরিয়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা আর এই সম্পূর্ণ সাহায্যটা করেছে আমার হাজব্যান্ড'

প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ২৪ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

রেহানা আক্তার একসময় শোবিজ অঙ্গনে সাড়া জাগানো 'লাইলী খ্যাত' অভিনেত্রী। যিনি বাংলাদেশের প্রথম সারির অভিনেতা মাফুজ আহমেদ, জাহিদ হাসান থেকে শুরু করে মোশারফ করিম পর্যন্ত সবার সাথে নাটকে অভিনয় করেছেন।পেয়েছিলেন জনপ্রিয়তা ও সেই মেয়েটি এখন ফ্রান্স প্রবাসী, প্রবাসে জনপ্রিয়তায় শীর্ষস্থানীয় একজন ব্লগার। তার ফেইসবুক পেইজ ও ইউটিউবে বর্তমানে ফলোয়ারের সংখ্যা লক্ষাধিক। সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে এই অভিনেত্রীর সাথে কথা হলো বাংলা ইনসাইডারের।