ইনসাইড টক

‘বায়ু দূষণে প্রথম হয়েছি, এটা অত্যন্ত গর্বের বিষয়’

প্রকাশ: ০৪:০৩ পিএম, ২৬ জানুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail

“ঢাকা তো প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় অবস্থানেই থাকে। বায়ু দূষণে আমরা প্রথম হয়েছি, এটা অত্যন্ত গর্বের বিষয়। এর ফলে আমরা তো শেষ হয়ে যাচ্ছিই, পরবর্তী প্রজন্ম, বিশেষ করে শিশু এবং বৃদ্ধরা একেবারে শেষ হয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ হিসেবে এটি ঠিক আছে। এর ফলে মানুষের গড় আয়ু কমে যাচ্ছে, পাশাপাশি একটা বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে, আমাদের অর্থ ব্যয় বাড়ছে। রাস্তায় বের হলে যে পরিমাণ কাপড়-চোপড় ধুতে হয়, ঘর-বাড়ি পরিষ্কার করতে হয়, টেবিলের ওপর আজকে পরিষ্কার করলে, কালকেই দেখবেন আবার ধুলো জমে আছে। এর ফলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় বেশি শ্রম দিতে হয়। ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক ব্যয় বৃদ্ধি হয়। এটি আমরা গবেষণা করে দেখেছি, গড়ে মাসিক ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা ব্যয় বেড়ে যায় এই সময়ে, যখন বায়ু দূষণ বেড়ে যায়।“ - বলছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক এবং পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান।

বর্তমান সময়ে রাজধানী ঢাকা বায়ু দূষণে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে এবং বিগত কয়েকদিন থেকেই বায়ু দূষণে শীর্ষ অবস্থানে ঢাকা। বায়ু দূষণে রাজধানী ঢাকার সমসাময়িক অবস্থান, এর কারণ এবং প্রতিকার- এসব বিষয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেছেন প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান। পাঠকদের জন্য প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান- এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের নিজস্ব প্রতিবেদক আল মাসুদ নয়ন।

প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান বলেন, স্বাস্থ্যক্ষেত্রেও আর্থিক ব্যয় বৃদ্ধি হয়। গড় আয়ু কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন রোগও বেড়ে যায়। ফলে স্বাস্থ্যক্ষেত্রেও আর্থিক ব্যয় বেড়ে যায়। এছাড়াও আমাদের স্থাপনাগুলো নষ্ট হচ্ছে। পথচারী পারাপারের জন্য যে ফুটওভার ব্রিজগুলো রয়েছে, সেখানে ধুলা পড়ে জং ধরে যায়। যেখানে ধূলা পড়ে থাকে, ওরাতো ঠিকমতো পরিষ্কার করে না। এর ফরে বিল্ডিং থেকে শুরু করে সমস্ত স্থাপনার আয়ুষ্কাল কমে যায়। এটাও একটা বিরাট অর্থনৈতিক প্রভাব।    

বায়ু দূষণের কারণ সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান বলেন, প্রথমত ভ্রান্ত রিপোর্ট, যেটা পরিবেশ অধিদপ্তর বলছে, দ্বিতীয়ত আমাদের উন্নয়ন কার্যক্রম, তৃতীয়ত সিটি করপোরেশন এবং ওয়াসার বিভিন্ন কার্যক্রম। এই যে পরিবেশ অধিদপ্তরের একটি সমীক্ষা, এটি হয়েছে আজ থেকে সাত-আট বছর আগে। সে সময়ে সমীক্ষায় বলা হয়েছে, বায়ু দূষণের এক নম্বর কারণ হচ্ছে ইটভাটা, দুই নম্বর হচ্ছে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এবং তিন নম্বর হচ্ছে যানবাহনের দূষণ। ওই সমীক্ষা দিয়েই অনেকে চালিয়ে দিতে চান, কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপট ভিন্ন। বর্তমানে গত পাঁচ বছরে ঢাকা শহরে যে সমস্ত উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হচ্ছে, তা হলো এক, দুই নম্বর হলো ইটভাটা, কারণ অনেকগুলো ইটভাটা ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে অথবা তারা উন্নত প্রযুক্তিতে গিয়েছে। ঢাকা শহরের আশে-পাশে এখন আর তেমন ইটভাটা নেই। তার মানে হচ্ছে, ইটভাটা দুই নম্বরে চলে এসেছে, এখন আর এক নম্বরে নাই।

তিনি বলেন, এখন এক নম্বরে চলে এসেছে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড। গত পাঁচ বছরে সিটি করপোরেশন, ওয়াসার অনেকগুলো প্রকল্প হয়েছে। ওরা পুরো শহর কেটেকুটে তছনছ করে রাখছে। এখনও তাই চলছে। দুই নম্বরে চলে এসেছে যানবাহন, আমাদের যানবাহন, বিশেষ করে কাভার্ড ভ্যান প্রচুর পরিমাণে বাড়ছে। শুধু যে ব্যক্তিগত গাড়ি বাড়ছে তা নয়, কাভার্ড ভ্যানও প্রচুর পরিমাণে বাড়ছে। এখন ঢাকা শহরে দিন রাতে সব সময় যানবাহন চলছে। এসব যানবাহনগুলো ডিজেল চালিত। এসব ডিজেলের ধুয়ার কারণেও বায়ু দূষণ বাড়ছে। এখন শোনা যাচ্ছে আরও নিম্নমানের ডিজেল ব্যবহারের জন্য আমদানি করা হবে। এছাড়াও যানবাহনগুলো পুরাতন হচ্ছে। এরপর আমরা দেখছি ওয়াসা এবং সিটি করপোরেশন, মাসের পর মাস রাস্তা কেটে রাখে, সেখানে প্রচুর ধুলা উৎপাদন হয়। এর পর হচ্ছে কন্সট্রাকশন, নির্মাণ সামগ্রী পরিবহন। সিটি করপোরেশন-ওয়াসাসহ অন্যান্য সেবা সংস্থাসমূহ প্রচুর খোড়াখুড়ি করে। এছাড়াও শীতকালে আমরা বিভিন্ন জিনিস পুরাই, যেমন খর-কুটো, লতা-পাতা- এগুলো থেকেও বায়ু দূষণ হচ্ছে। তবে সারা বাংলাদেশের বায়ু দূষণের জন্য ইটভাটা এক নম্বর কারণ। 

বায়ু দূষণ থেকে প্রতিকারে জন্য কি ধরনের ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে? -এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান বলেন, আমরা প্রত্যেকে যদি নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করি। আমাদের মেগা প্রকল্পগুলো যারা চালাচ্ছেন, তারা যদি বিদেশে এ কাজগুলো করতেন, তাহলে পরিবেশ বাদ দিয়ে কাজ করতে পারতেন না। অথচ এখানে কিন্তু তারা কিছু করছেন না। মূল বিষয় হচ্ছে লাভ, কত লাভ উঠিয়ে নেয়া যাবে? যত আমি লাভ উঠিয়ে নিতে পারবো, ততো কর্তৃপক্ষ আমার ওপর খুশি হবে। এদের প্রত্যেকের পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নিতে হবে। বলা আছে, এ ধরনের প্রকল্প করতে হলে তাদের পরিবেশ রক্ষায় কি কি ব্যবস্থা নিতে হবে। সেই ব্যবস্থাগুলো তারা নিচ্ছেন না। প্রকল্প পরিচালকও নিচ্ছেন না, আবার যারা মনিটর করবেন, পরিবেশ অদিদপ্তর, তারাও মনিটর করছেন না। আইন আছে কিন্তু আইনের কঠোর প্রয়োগ নেই। সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি আইনেরও কঠোর প্রয়োগ থাকতে হবে।

তিনি বলেন, ওয়াসা এবং সিটি করপোরেশনকে যেটুকু কাজ তারা করবেন, সেটুকু আগে করতে হবে। তা না করে পুরো এলাকা কেটে ৬ মাস ফেলে রাখবে। অথচ যদি সেগমেন্ট ওয়াইজ কাজ করা হয়, একটা একটা করে রাস্তা করেন, তাহলে আর পুরো এলাকাটা দূষিত হয় না। অংশবিশেষ এলাকা দূষিত হবে। কর্তা ব্যক্তিরা, তারা সবাই এ বিষয়গুলো জানেন, বুঝেন কিন্তু কেন করেন না? এদেরকে এটা করতে বাধ্য করতে হবে। আমাদের যেমন আইনের প্রয়োগ নেই এবং আমাদের নাগরিকরাও অনেক দুর্বল। আমাদেরকে সোচ্চার হতে হবে। যানবাহনের ক্ষেত্রে উন্নতমানের জ্বালানি ব্যবহার করতে হবে। ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল বন্ধ করতে হবে। এসব বিষয়ে সচেতনতা যেমন বৃদ্ধি করা দরকার, সেভাবে  আইনও প্রয়োগ করা দরকার।

তিনি বলেন, মূল কথা হচ্ছে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে শুরু করে, ওয়াসা, সিটি করপোরেশন, বিআরটিএ, রাজউকসহ সংশ্লিষ্ট যারা দায়িত্বে রয়েছেন, তাদের যে আইনসিদ্ধ বিষয় রয়েছে সংগত কারণে সেগুলো পালন করা এবং আইনের কঠোর প্রয়োগ করা। পাশাপাশি জনগনকে সচেতন করা এবং যারা এসব প্রকল্পের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন তাদেরকেও সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করা দরকার। 


বায়ু দূষণ   বাংলাদেশ   ঢাকা   পরিবেশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড টক

‘নির্বাচন কমিশনের আচরণে আমরা ক্ষুব্ধ’

প্রকাশ: ০৪:০১ পিএম, ০১ এপ্রিল, ২০২৩


Thumbnail

বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেছেন, নির্বাচন কমিশন আমাদেরকে চিঠি দিয়েছে না মুসলিম লীগকে দিয়েছে সেটা আমরা বুঝতে পারি নাই। কিন্তু সিপিবি নামে এখন পর্যন্ত কোনো চিঠি আসেনি। তবে একটি চিঠি আমার (রুহিন হোসেন প্রিন্স) নামে এসেছে কিন্তু সেখানে মুসলিম লীগ নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, সিপিবি-কে নয়। নির্বাচন কমিশনের এমন আচরণে আমরা ক্ষুব্ধ।

অনানুষ্ঠানিক আলোচনার জন্য আট রাজনৈতিক দলকে চিঠি দিয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে বাংলাদেশ বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টিও রয়েছে। বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় অংশ নেবে কিনা এ নিয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় রুহিন হোসেন প্রিন্স এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য রুহিন হোসেন প্রিন্স এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক শান্ত সিংহ।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার স্বাক্ষরিত চিঠিতে এমন ভুল নিয়ে ক্ষোভ জানিয়ে সিপিবি সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘আমাদের নামে চিঠিটি পাঠিয়েছে। কিন্তু পত্রের ভেতরে আলোচনা ও মত বিনিময়ের জন্য ডেকেছে বিএমএলের নেতাদের। এ ধরনের আমন্ত্রণ জানানো রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি ইসির এক ধরনের অবজ্ঞা। নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোকে গুরুত্বহীন মনে করে। দলের প্রতি ইসির ন্যূনতম সদিচ্ছা থাকলে এভাবে চিঠি দেওয়া হত না।’

নির্বাচন কমিশন   রাজনৈতিক দল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড টক

‘উত্তাল সমুদ্রে ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে আমরা টানা সাত শুটিং করেছি’

প্রকাশ: ০৩:৫৮ পিএম, ৩১ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

বর্তমান সময়ের অন্যতম আলোচিত ধারাবাহিক নাটক নির্মাতা কাজল আরেফিন অমির ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’। গ্রাম থেকে শহর সব জায়গাতেই এর জনপ্রিয়তা শীর্ষে। নাটকটির জনপ্রিয়তা এতটাই ছাড়িয়ে যায় যে  এর চতুর্থ সিজন শেষ হওয়ার পর দর্শক অপেক্ষায় আছে সিজন ৫এর। এমনি তারা আন্দোলনে নামার হুমকিও দিয়েছেন। নাটকের পাশাপাশি এই নির্মাতা এখন মাঝে কিছুদিন ব্যস্ত ছিলেন তার প্রথম ওয়েব সিরিজ 'হোটেল রিলাক্সে'র কাজ নিয়ে। তবে ঈদকে সামনে রেখে দর্শকদের জন্য নতুন চমক নিয়ে আসছেন তিনি। সমসাময়িক নানা বিষয় বিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সাথে কথা হলো এই নির্মাতার। 

বাংলা ইনসাইডার: পর পর তিন বার শ্রেষ্ঠ নির্মাতার পুরস্কার পেলেন। কেমন লাগছে বিষয়টি?

অমি: পুরস্কার তো সবসময়ই একধরণের অনুপ্রেরণা দেয়। ভালো লাগা তো অবশ্যই কাজ করে। ব্যাচেলর পয়েন্ট সম্পর্কিত যেকোনো জিনিসই আমার জন্য আসলে একটু আবেগের।পর পর তিনবার শ্রেষ্ঠ নির্মাতার পুরস্কার পেলাম ব্যাচেলর পয়েন্টের জন্য, আলহামদুলিল্লাহ। এটা আসলে অডিয়েন্সের কনটেন্ট এখন।অডিয়েন্স ভালোবাসছে এজন্যই এখন পইর্যন্ত পুরস্কার পাচ্ছি, মানুষের ভালোবাসাও পাচ্ছি।



বাংলা ইনসাইডার: ঈদে আপনার 'বিদেশ' নামের একটি নাটক আসছে। নাটকটি নিয়ে জানতে চাচ্ছিলাম... 

অমি: উত্তাল সমুদ্রে ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে আমরা টানা শুটিং করেছি।  প্রচন্ড ঝুকিপূর্ণ একটি কাজ ছিল আমাদের সবার জন্য।  তার উপর ঝড়, বৃষ্টি সবকিছু মিলিয়ে পুরো টিমের সবাই প্রচন্ড পরিমাণ কষ্ট করেছে। সবার প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। একটি ভালো কাজের জন্য আর্টিস্ট এবং কলাকুশলী  সবাই ঝাপিয়ে পরেছে। সবার একটাই চেষ্টা  ছিলো,ভালো কাজ করার। আমরা আমাদের বেস্ট এফোর্ট দিয়ে "বিদেশ" এর শুটিং করেছি। আশাকরি এই ঈদে "বিদেশ" আপনাদেকে অন্যরকম বিনোদন দিবে। আর এই কাজটির জন্য যিনি আমাকে পেছন থেকে সবচেয়ে বেশি সাপোর্ট এবং সাহস দিয়েছেন, তিনি আমাদের প্রোডিউসার "আকবর হায়দার মুন্না " ভাই। তাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই রকম একটি বিশাল এবং সাহসী কাজের পরিকল্পনা করার জন্য। ধন্যবাদ মাসুদ ভাইকে।

বাংলা ইনসাইডার: ব্যাচেলর পয়েন্ট সিজন ৫ নিয়ে কি কোনো পরিকল্পনা আছে?

অমি: ব্যাচেলর পয়েন্ট নিয়ে সবাই প্রশ্ন করে যে সিজন ৫ নিয়ে কী ভাবছি। আসলে আমি কিছু ওটিটির কাজ নিয়ে ব্যস্ত। তারপর সিনেমা নিয়েও হয়তো কিছু ভাববো। সবকিছু মিলে একটা সিজন করতে গেলে অনেক বেশী সময় লাগে। ঐ পরিমাণ সময় আসলে এই মুহূর্তে দিতে পারছি না। হ্যাঁ, দর্শক এখন মুখিয়ে আছে। তবে, দর্শক আমাকে অনেক বেশী অনেক বেশী ভালোবাসা দিয়ে দিয়েছে। এখন আমি কোনো রকম করে একটা সিজন বানিয়ে তো দর্শককে দিতে পারবো না। দর্শকের অনেক আশাও আছে। দর্শককে আমার একটা ঠিকঠাক জিনিস দিতে হবে। সব মিলিয়ে আসলে আমার অনেক সময় দরকার। আমি আসলে এখনও নিশ্চিত না যে ব্যাচেলর পয়েন্টের গল্পটি যেখানে শেষ করেছি তারপর গল্পটিকে কোন দিকে নেওয়া যায়। কাবিলাকে কোথায় দেখবো, শুভ’র কী হবে,  হাবুকে কোথায়  দেখবো- এগুলো নিয়ে আমি আসলে নিশ্চিত না। আমার আসলে সময় লাগবে ব্যাচেলর পয়েন্ট নিয়ে কাজ করতে বা ভাবতে। সব কিছু গুছিয়ে যদি আমি ঠিকঠাক কিছু প্ল্যান করতে পারি, সেক্ষেত্রে সিজন ৫ বানাবো। তা না হলে এই পর্যন্তই থাকবে আরকি।




ব্যাচেলর পয়েন্ট সিজন ৫   কাজল আরেফিন অমি   বিদেশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড টক

‘পত্রিকায় যে কোনো সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার দায়িত্ব সম্পাদকের’

প্রকাশ: ০৪:০৩ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

‘আমি আজকের পত্রিকায় দেখলাম যে, একটি ভুল সংবাদ, খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভুল সংবাদ দৈনিক প্রথম আলোতে ছাপা হওয়ার জন্যে, যে সাংবাদিক খবরটা দিয়েছেন সম্ভবত তার নামে মামলা হয়েছে এবং সম্ভবত তাকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। আমি ১৯৬১ সাল থেকে পত্রিকা জগতের সাথে যুক্ত। আমরা এটা সবাই জানি, পত্রিকার যে কোনো সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার দায়িত্ব সম্পাদকের। পত্রিকায় যে কোনো অনেক খবরই আসতে পারে, বিশেষ করে এ রকম একটি স্পর্শকাতর খবর, এতে অবশ্যই যদি কোনো দায়-দায়িত্ব বর্তায়, তাহলে প্রধান দায়িত্ব হবে সম্পাদকের’- বলছিলেন কমিউনিটি ক্লিনিক  ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী।  

গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় প্রকাশিত -‘পেটে ভাত না জুটলে স্বাধীনতা দিয়া কি করুম। বাজারে গেলে ঘাম ছুটে যায়। মাছ, মাংস আর চাইলের স্বাধীনতা লাগবো’- এমন উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদ প্রকাশকে কেন্দ্র করে যেসব মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে, তারই প্রেক্ষিতে দৈনিক প্রথম আলোর সাভার সংবাদদাতা গ্রেপ্তার হয়েছেন বলে জানা গেছে।  এসব বিষয় নিয়েই কথা হয় কমিউনিটি ক্লিনিক ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী-এর সঙ্গে। বাংলা ইনসাইডারের সাথে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি জানিয়েছেন এই সংবাদ প্রকাশের বিভিন্ন দিক নিয়ে। পাঠকদের জন্য অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী-এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের বিশেষ প্রতিনিধি আল মাসুদ নয়ন।  

অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলেন, ‘এর আগেও দেখেছি, সরকারের কি দুর্বলতা প্রথম আলোর ব্যাপারে আমি জানি না, তারা সব সময় কেইস করার সময় প্রথম আলোর যে সম্পাদক মতিউর রহমান, তাকে বাদ দিয়েই তারা (সরকার) মামলা-মোকদ্দমা সব কিছু চালু করেন। এতে এ দেশের একজন নাগরিক হিসেবে এবং দেশের একটি ষড়যন্ত্র বিষয়ক খবর হিসেবে, যেহেতু বঙ্গবন্ধুর সময়ে বাসন্তীকে তখন জাল পড়িয়ে একটা মিথ্যা সংবাদ দিয়ে সরকারকে বিব্রত করেছিল এবং পরিশেষে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরিবেশ সৃষ্টি হয়, তার জন্যই বাসন্তীর কথাটা অবশ্যই একটি অবদান রেখেছিল। ঠিক তেমনিভাবে তার জন্যই বর্তমান দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে, তারা যে কোনভাবেই হোক না কেন, রাজনৈকিভাবে বা ব্যক্তিগতভাবে হলেও শেষ করার জন্যই প্রথম আলো এই সংবাদটি করেছে। 

তিনি বলেন, এই সংবাদের জন্যে আমি অবিলম্বে প্রথম আালোর সম্পাদক মতিউর রহমানকে, সরকার তার (মতিউর রহমান) বিরুদ্ধে মামলা করুক, তাকে গ্রেপ্তার করার জন্য আমি দাবি জানাচ্ছি। এবং তা না হলে বুঝবো, সরকারের চেয়ে প্রথম আলোই বেশি শক্তিশালী। তা না হলে সরকারের উচিত প্রথম আলোর কাছেই দেশের দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, এটাকে হালকাভাবে দেখার কোনো সুযোগ নেই। 

অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলেন, প্রথম আলোর যিনি সম্পাদক, তিনি ইচ্ছা করেই, তিনি ঠিক একইভাবে পরিকল্পনা করে এই বাচ্চাটার কথাটা এমনভাবে দিয়েছেন এবং এটি অবশ্যই প্রথম আলোর একটি ষড়যন্ত্র বলে আমি মনে করি। সরকারকে শুধু চাপে ফেলার জন্যই নয়, এই দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করা এবং তাকে প্রয়োজনে রাজনৈতিক অথবা শারীরিকভাবে, যা বঙ্গবন্ধুকে করা হয়েছিল, যেন তাকেও (শেখ হাসিনাকেও) তা করা যায়, সেই একই পরিকল্পনা নিয়ে তারা কাজ করেছে বলে আমি বিশ্বাস করি। 

তিনি বলেন, আমি মনে করি প্রথম আলোকে ঘিরে যে একটা সুশীল সমাজ (সিভিল সোসাইটি) রয়েছে- এই সুশীল সমাজ নিশ্চয়ই এর সাথে যুক্ত রয়েছে বলে আমার ধারনা।

পত্রিকা   সংবাদ   সম্পাদক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড টক

‘বাংলাদেশ-আমেরিকা সম্পর্কে মিডিয়ার ভূমিকা অতিরঞ্জিত’

প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের চিঠিকে খুব গুরুত্ব দেয়ার কিছু নেই। কারণ এটি একটি গতানুগতিক চিঠি। গতানুগতিক এই কারণে যে, সেই চিঠির মূল উদ্দেশ্য হল ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন। শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে সেখানে কিছু প্রসঙ্গ টানা হয়েছে। এটুকুই মাত্র।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা শুভেচ্ছা বার্তায় গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। এ নিয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক শান্ত সিংহ। 

অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, একটি বিষয় খুব স্পষ্ট সেটি হল, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন আমাদের পক্ষে ছিল না। তারা পাকিস্তানকে সমর্থন করেছিল। সেজন্য স্বাভাবিক ভাবেই আমেরিকা এখন বাংলাদেশের ব্যাপারে ভালো কথা বলবে। এটা স্বাভাবিক চিঠিতে যে সমস্ত বিষয় নিয়ে কথা বলা হয়েছে সেগুলো আমরা ভালো করেই জানি। বাংলাদেশের যে সমস্ত বিষয়ে ঘাটতি আছে সেটিও বাংলাদেশ ভালো করে জানে এবং সেই ঘাটতি রাতারাতি সমস্যা হবে না। তবে এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই যে, আজকে বাংলাদেশের যত উন্নয়ন হয়েছে সেখানে জনগণের অংশ গ্রহণ ছিল না। অবশ্যই এই উন্নয়নে জনগণের একটা সক্রিয় অংশগ্রহণ আছে। সুতরাং জনগণের অংশগ্রহণের দিকেই আমাদের বেশি নজর দেয়া দরকার। আমেরিকা একটা বিবৃতি দিল আর আমরা সবাই সেটা নিয়ে লাফালাফি করলাম এটা ঠিক নয়। জো বাইডেনের চিঠির বিষয়টি আমেরিকাও এতোটা গুরুত্ব দিয়ে দেখে না। 

তিনি আরও বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের স্বাধীনতা দিবসে আমেরিকা যে বিবৃতি দিয়ে থাকে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সেটিই হয়েছে। মিডিয়া এটাকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। কেন দিয়েছে সেটা আমার বোধগম্য নয়। এটা একটা গতানুগতিক একটি চিঠি। একজন গবেষক হিসেবে এর বাইরে এই চিঠির গুরুত্ব আমার কাছে নেই।

আমেরিকার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক বহুমাত্রিক উল্লেখ্য করে ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, একাধিক খাতের সঙ্গে এই সম্পর্ক জড়িত। সুতরাং আমেরিকা বাংলাদেশের কোনো একটি বিষয় নিয়ে সমালোচনা বা কথা বলছে বলেই সম্পর্ক খারাপ হচ্ছে সেটা ভাবা অবান্তর। আমেরিকার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক সহজে খারাপ হয়ে যাবে সেটা ভাবার কোনো অবকাশই নেই। কারণ সম্পর্ক কখনো একটি নির্দিষ্ট বিষয়কে কেন্দ্র করে হয় না। আমেরিকা-বাংলাদেশ সম্পর্কে আমরা যত না লাভবান হই, তার চেয়ে বেশি লাভবান হয় আমেরিকা। বাংলাদেশ আমেরিকা থেকে যত না ব্যবসা বাণিজ্য করে তার থেকে অনেক বেশি ব্যবসা বাণিজ্য করে থাকে আমেরিকা। কাজেই দুই একটি বিষয়কে ইস্যু বানিয়ে শুধু শুধু গুরুত্ব দেয়া উচিত নয়। গুরুত্ব দেয়ার বিষয়টি মিডিয়া তৈরি করে থাকে তাদের স্বার্থের কারণে। দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে মিডিয়ার ভূমিকা অতিরঞ্জিত। কিন্তু আমাদের পেশাদারিত্বের বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। ছোট ছোট বিষয়গুলো এতো গুরুত্ব দিয়ে হিতে বিপরীত হতে পারে। তখন আমেরিকা সুযোগ নিতে চাইবে। কিন্তু প্রকৃত বিষয় হল আমরা কোনো একটি বিষয়কে যত গুরুত্ব দিয়ে থাকিেআমেরিকা নিজেরাও এতো বেশি গুরুত্ব দেয় না।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড টক

‘পেটের সুস্থতার জন্য সহজে হজম হয় এ রকম খাবার খাওয়া উচিত’

প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ২৬ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

রমজানে যেহেতু আমাদের দেহ ঘড়ি একটু অন্যভাবে চলে সেজন্য খাদ্যাভাসের দিকে বিশেষ নজর দেয়া দরকার বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল এর ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজির বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাঃ মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল। তিনি বলেন, আমরা যদি রমজানের মূল্য তাৎপর্য সংযম সেটা মেনে চলি তাহলে কিন্তু পেট ভালো রাখার কোন অসুবিধা থাকে না। কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছে রমজান মাসে আমাদের খাদ্যাভাস এবং আমাদের প্রাত্যহিক জীবনযাপনে দারুণ পরিবর্তন আসে। সে কারণেই হয়তো অনেকে পেটের পীড়ায় বেশি ভুগে থাকি। 

রমজানে পেট ভালো রাখা এবং এ সময় আমাদের খাদ্যাভাস কি রকম হওয়া উচিত ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেছেন।

অধ্যাপক ডাঃ মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল বলেন, আমাদের বায়োলজিক্যাল ঘড়ি সেটা কিন্তু বছরের এগারোটি মাস একই নিয়মে চলতে থাকে। ধরুন, আমরা কেউ সকাল ৬টায় ঘুম থেকে উঠি, কেউ ৮টায় উঠি, কেউ ১০টায় উঠি। কেউ হয়তো দুপুরে খাই, কেউ হয়তো খাই না। কেউ রাত ১০টায় খাই, কেউ রাত ২টায় খাই। যার যার দেহ ঘড়ি তার তার মতো করে চলতে থাকে। কিন্তু যখন রমজানের শুরুতেই হঠাৎ খাবার অভ্যাস পাল্টে ফেলি, আমরা খুব ভোরে সেহেরি করছি, সারাদিন কিছু খাচ্ছি না, ইফতার করছি, রাতে খাচ্ছি খাচ্ছি না, ভোরে আবার সেহেরি করছি, তখন কিন্তু আমাদের শরীরে সেটা খাপ খাইতে একটু সময় লাগে। সেজন্য অনেকের অনেক অভ্যাস উল্টা পাল্টা হয়ে যেতে পারে। সে জন্য আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। 

তিনি বলেন, আমরা রমজানে যে সমস্ত খাবার খাই সেগুলো স্বাস্থ্যকর খাবার বলা যাবে না, সেগুলো কম স্বাস্থ্যকর। এ সময় আমরা প্রচুর ভাজা পোড়া খাবার খাই। যেগুলো আমরা সচরাচর খাই না। কিন্তু রমজান মাসে আমাদের এ সমস্ত খাবার বেড়ে যায়। ফলে পেটে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। ফলে যাদের পেটে অসুখ আছে তাদের জন্য তো বটে, তাদের অসুখ নেই তাদেরও কতগুলো জিনিস মেনে চলা উচিত। আমি কখনো বলছি না, আপনি ভাজা পোড়া ছেড়ে দেন। এটা ছেড়ে দেওয়া কঠিন। এটা আমাদের হাজার বছর পুরনো অভ্যাস। এ সময় ভাজা পোড়া খাবার খান কিন্তু অল্প করে খান।

রমজানে কি ধরনের খাবার খাওয়া যেতে পারে জানতে চাইলে অধ্যাপক ডাঃ মামুন বলেন, এ সময় আপনারা ফল-ফলাদি খাবারের ওপর জোর দেন। এ সময় দুখ খান, যে সমস্ত খাবার হজমে সুবিধা সে সমস্ত খাবার খান। তেল যুক্ত খাবার, চর্বি যুক্ত খাবার এগুলো এড়িয়ে চলেন। এখানে কোনো সুর্নিদিষ্ট নিয়ম নেই যে আপনি এটা খেলে ভালো থাকবেন, কিংবা সেটা খেলে ভালো থাকবেন। সারা বছর আপনি যে ধরনের খাবার খান সে ধরনের খাবারই খাবেন। যেহেতু এ সময় আপনার দেহ ঘড়ি একটু অন্য ভাবে চলছে সেজন্য সহজে হজম হয় এ রকম খাবারগুলো খাবেন এবং প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। কারণ এ সময় গরম চলছে, আবার তীব্র রৌদ আছে সেজন্য আপনার হিট স্ট্রোক হতে পারে, ডিহাইড্রেশন হতে পারে। সেজন্য প্রচুর পানি খেতে হবে এবং পানি অবশ্যই বিশুদ্ধ হতে হবে। যত তত্র বিক্রি হওয়া ফলের রস কিংবা পানি খাবেন না। দূষিত পানি থেকে তৈরি খাবার খেলেও কিন্তু পেটের পীড়া, জন্ডিসের কারণ হতে পারে। 


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন