“ঢাকা তো প্রথম,
দ্বিতীয়, তৃতীয় অবস্থানেই থাকে। বায়ু দূষণে আমরা প্রথম হয়েছি, এটা অত্যন্ত গর্বের বিষয়।
এর ফলে আমরা তো শেষ হয়ে যাচ্ছিই, পরবর্তী প্রজন্ম, বিশেষ করে শিশু এবং বৃদ্ধরা একেবারে
শেষ হয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ হিসেবে এটি ঠিক আছে। এর ফলে মানুষের গড় আয়ু কমে যাচ্ছে, পাশাপাশি
একটা বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে, আমাদের অর্থ ব্যয় বাড়ছে। রাস্তায় বের হলে যে পরিমাণ কাপড়-চোপড়
ধুতে হয়, ঘর-বাড়ি পরিষ্কার করতে হয়, টেবিলের ওপর আজকে পরিষ্কার করলে, কালকেই দেখবেন
আবার ধুলো জমে আছে। এর ফলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় বেশি শ্রম দিতে হয়। ব্যক্তিগত এবং
পারিবারিক ব্যয় বৃদ্ধি হয়। এটি আমরা গবেষণা করে দেখেছি, গড়ে মাসিক ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা
ব্যয় বেড়ে যায় এই সময়ে, যখন বায়ু দূষণ বেড়ে যায়।“ - বলছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের সাবেক
অতিরিক্ত মহাপরিচালক এবং পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো.
আবদুস সোবহান।
বর্তমান সময়ে
রাজধানী ঢাকা বায়ু দূষণে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে এবং বিগত কয়েকদিন থেকেই বায়ু দূষণে শীর্ষ
অবস্থানে ঢাকা। বায়ু দূষণে রাজধানী ঢাকার সমসাময়িক অবস্থান, এর কারণ এবং প্রতিকার-
এসব বিষয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেছেন প্রকৌশলী মো.
আবদুস সোবহান। পাঠকদের জন্য প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান- এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা
ইনসাইডারের নিজস্ব প্রতিবেদক আল মাসুদ নয়ন।
প্রকৌশলী মো.
আবদুস সোবহান বলেন, স্বাস্থ্যক্ষেত্রেও আর্থিক ব্যয় বৃদ্ধি হয়। গড় আয়ু কমে যাওয়ার সঙ্গে
সঙ্গে বিভিন্ন রোগও বেড়ে যায়। ফলে স্বাস্থ্যক্ষেত্রেও আর্থিক ব্যয় বেড়ে যায়। এছাড়াও
আমাদের স্থাপনাগুলো নষ্ট হচ্ছে। পথচারী পারাপারের জন্য যে ফুটওভার ব্রিজগুলো রয়েছে,
সেখানে ধুলা পড়ে জং ধরে যায়। যেখানে ধূলা পড়ে থাকে, ওরাতো ঠিকমতো পরিষ্কার করে না।
এর ফরে বিল্ডিং থেকে শুরু করে সমস্ত স্থাপনার আয়ুষ্কাল কমে যায়। এটাও একটা বিরাট অর্থনৈতিক
প্রভাব।
বায়ু দূষণের
কারণ সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান বলেন, প্রথমত ভ্রান্ত রিপোর্ট,
যেটা পরিবেশ অধিদপ্তর বলছে, দ্বিতীয়ত আমাদের উন্নয়ন কার্যক্রম, তৃতীয়ত সিটি করপোরেশন
এবং ওয়াসার বিভিন্ন কার্যক্রম। এই যে পরিবেশ অধিদপ্তরের একটি সমীক্ষা, এটি হয়েছে আজ
থেকে সাত-আট বছর আগে। সে সময়ে সমীক্ষায় বলা হয়েছে, বায়ু দূষণের এক নম্বর কারণ হচ্ছে
ইটভাটা, দুই নম্বর হচ্ছে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এবং তিন নম্বর হচ্ছে যানবাহনের দূষণ। ওই
সমীক্ষা দিয়েই অনেকে চালিয়ে দিতে চান, কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপট ভিন্ন। বর্তমানে গত
পাঁচ বছরে ঢাকা শহরে যে সমস্ত উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হচ্ছে, তা হলো এক, দুই নম্বর হলো ইটভাটা,
কারণ অনেকগুলো ইটভাটা ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে অথবা তারা উন্নত প্রযুক্তিতে গিয়েছে।
ঢাকা শহরের আশে-পাশে এখন আর তেমন ইটভাটা নেই। তার মানে হচ্ছে, ইটভাটা দুই নম্বরে চলে
এসেছে, এখন আর এক নম্বরে নাই।
তিনি বলেন,
এখন এক নম্বরে চলে এসেছে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড। গত পাঁচ বছরে সিটি করপোরেশন, ওয়াসার অনেকগুলো
প্রকল্প হয়েছে। ওরা পুরো শহর কেটেকুটে তছনছ করে রাখছে। এখনও তাই চলছে। দুই নম্বরে চলে
এসেছে যানবাহন, আমাদের যানবাহন, বিশেষ করে কাভার্ড ভ্যান প্রচুর পরিমাণে বাড়ছে। শুধু
যে ব্যক্তিগত গাড়ি বাড়ছে তা নয়, কাভার্ড ভ্যানও প্রচুর পরিমাণে বাড়ছে। এখন ঢাকা শহরে
দিন রাতে সব সময় যানবাহন চলছে। এসব যানবাহনগুলো ডিজেল চালিত। এসব ডিজেলের ধুয়ার কারণেও
বায়ু দূষণ বাড়ছে। এখন শোনা যাচ্ছে আরও নিম্নমানের ডিজেল ব্যবহারের জন্য আমদানি করা
হবে। এছাড়াও যানবাহনগুলো পুরাতন হচ্ছে। এরপর আমরা দেখছি ওয়াসা এবং সিটি করপোরেশন, মাসের
পর মাস রাস্তা কেটে রাখে, সেখানে প্রচুর ধুলা উৎপাদন হয়। এর পর হচ্ছে কন্সট্রাকশন,
নির্মাণ সামগ্রী পরিবহন। সিটি করপোরেশন-ওয়াসাসহ অন্যান্য সেবা সংস্থাসমূহ প্রচুর খোড়াখুড়ি
করে। এছাড়াও শীতকালে আমরা বিভিন্ন জিনিস পুরাই, যেমন খর-কুটো, লতা-পাতা- এগুলো থেকেও
বায়ু দূষণ হচ্ছে। তবে সারা বাংলাদেশের বায়ু দূষণের জন্য ইটভাটা এক নম্বর কারণ।
বায়ু দূষণ থেকে
প্রতিকারে জন্য কি ধরনের ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে? -এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রকৌশলী মো.
আবদুস সোবহান বলেন, আমরা প্রত্যেকে যদি নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করি। আমাদের মেগা প্রকল্পগুলো
যারা চালাচ্ছেন, তারা যদি বিদেশে এ কাজগুলো করতেন, তাহলে পরিবেশ বাদ দিয়ে কাজ করতে
পারতেন না। অথচ এখানে কিন্তু তারা কিছু করছেন না। মূল বিষয় হচ্ছে লাভ, কত লাভ উঠিয়ে
নেয়া যাবে? যত আমি লাভ উঠিয়ে নিতে পারবো, ততো কর্তৃপক্ষ আমার ওপর খুশি হবে। এদের প্রত্যেকের
পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নিতে হবে। বলা আছে, এ ধরনের প্রকল্প করতে হলে তাদের পরিবেশ
রক্ষায় কি কি ব্যবস্থা নিতে হবে। সেই ব্যবস্থাগুলো তারা নিচ্ছেন না। প্রকল্প পরিচালকও
নিচ্ছেন না, আবার যারা মনিটর করবেন, পরিবেশ অদিদপ্তর, তারাও মনিটর করছেন না। আইন আছে
কিন্তু আইনের কঠোর প্রয়োগ নেই। সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি আইনেরও কঠোর প্রয়োগ থাকতে
হবে।
তিনি বলেন,
ওয়াসা এবং সিটি করপোরেশনকে যেটুকু কাজ তারা করবেন, সেটুকু আগে করতে হবে। তা না করে
পুরো এলাকা কেটে ৬ মাস ফেলে রাখবে। অথচ যদি সেগমেন্ট ওয়াইজ কাজ করা হয়, একটা একটা করে
রাস্তা করেন, তাহলে আর পুরো এলাকাটা দূষিত হয় না। অংশবিশেষ এলাকা দূষিত হবে। কর্তা
ব্যক্তিরা, তারা সবাই এ বিষয়গুলো জানেন, বুঝেন কিন্তু কেন করেন না? এদেরকে এটা করতে
বাধ্য করতে হবে। আমাদের যেমন আইনের প্রয়োগ নেই এবং আমাদের নাগরিকরাও অনেক দুর্বল। আমাদেরকে
সোচ্চার হতে হবে। যানবাহনের ক্ষেত্রে উন্নতমানের জ্বালানি ব্যবহার করতে হবে। ফিটনেসবিহীন
গাড়ি চলাচল বন্ধ করতে হবে। এসব বিষয়ে সচেতনতা যেমন বৃদ্ধি করা দরকার, সেভাবে আইনও প্রয়োগ করা দরকার।
তিনি বলেন,
মূল কথা হচ্ছে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে শুরু করে, ওয়াসা, সিটি করপোরেশন, বিআরটিএ, রাজউকসহ
সংশ্লিষ্ট যারা দায়িত্বে রয়েছেন, তাদের যে আইনসিদ্ধ বিষয় রয়েছে সংগত কারণে সেগুলো পালন
করা এবং আইনের কঠোর প্রয়োগ করা। পাশাপাশি জনগনকে সচেতন করা এবং যারা এসব প্রকল্পের
সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন তাদেরকেও সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করা দরকার।
বায়ু দূষণ বাংলাদেশ ঢাকা পরিবেশ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
‘শেরাটন হোটেলের লিফটের ১৪ তলায় ওপেন টু দ্য স্কাই একটি জায়গা, ছাদের ওপর। সেখানে দেখলাম একটি মঞ্চ সংস্থাপন করা হয়েছে। সেখানে জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটি- লেখা আছে। মঞ্চের ওপরে দাঁড়িয়ে আছেন কমরেড ফরহাদ মজহার, উন্নয়ন বিকল্প নীতিনির্ধারনী গবেষণার কর্ণধার এবং আমাদের সতীর্ত গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের কৃতি ছাত্র শওকত মাহমুদ। স্বাগত বক্তব্য রেখেছেন কমরেড ফরহাদ মজহার। সেখানে শওকত মাহমুদ একটি ইশতেহার পাঠ করেন- অর্থাৎ একটি প্রস্তাবনা জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটির প্রস্তাবনা। সেখানে ড. ফারহাদ নামের একজন নারী সেখানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেছেন। তারপর সবাইকে নৈশভোজে আপ্যায়িত করা হয়েছে।’ - বলছিলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি এবং জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদ (জানিপপ) এর চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ।
গত ১৬ই মার্চ (বৃহস্পতিবার) রাজধানীর বনানীতে একটি পাঁচ তারকা হোটেলে লেখক ও কবি ফরহাদ মজহার ও সাংবাদিক শওকত মাহমুদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটির (ন্যাশনাল কমিটি ফর সিভিল রাইটস) নৈশভোজে অংশ নিয়েছেন বিরোধী দলের একাধিক রাজনৈতিক নেতা। সেখানে অতিথি হয়ে নৈশভোজে অংশ নিয়েছিলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি এবং জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদ (জানিপপ)- এর চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ। সেখানে কি হলো? - এ নিয়ে কথা হয়েছে প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ- এর সঙ্গে। বাংলা ইনসাইডারের সাথে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি জানিয়েছেন ওই নৈশভোজে ‘আলোচনার বিষয়বস্তু ’ কি ছিল। পাঠকদের জন্য প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ- এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের বিশেষ প্রতিনিধি আল মাসুদ নয়ন।
প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ বলেন, ‘সেখানে ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের ড. রেজা কিবরিয়া, মাহমুদুর রহমান মান্না, লে. জেনারেল (অব.) সোহরাওয়ার্দী প্রমুখ। আমি দ্বিতীয় সাড়িতে বসেছি। প্রায় শ’ খানেক লোক ছিলেন। পেছনে কিছু চেয়ার খালিও ছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন বাঙালি নারী নাগরিক- তিনিও উপস্থিত ছিলেন, নাম সীমা। আমাদের এনবিআর- এর সাবেক চেয়ারম্যান মজিদ মহোদয় সেখানে ছিলেন। সেখানে ইশতেহারে যে বিষয়টি লক্ষণীয় সেটি হচ্ছে, তারা উপসংহারে বলেছেন যে, যথাসম্ভব একটি বৃহত্তর ঐক্যের ভিত্তিতে যৌথ কিংবা একটি যুগপৎ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ব্যাপক জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চান তারা।’
তিনি বলেন, তারা গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করতে চান। অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ হবে নতুন গঠনতন্ত্র বা শাষনতন্ত্র প্রণয়নের সভা আহবান করা এবং জনগণের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে বাংলাদেশেকে নতুনভাবে একটি শাষনতন্ত্র উপহার দেওয়া। স্বাধীন নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন অর্থাৎ নির্বাচন কমিশন পূনর্গঠন এবং নির্বাচনের সময় সকল নির্বাহী ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের অধীনে নিয়ে আসা। নতুন গঠনতন্ত্র প্রণয়নের পরপরই অন্তর্বর্তী নতুন সরকার এবং নতুন গঠনতন্ত্রের ভিত্তিতে নতুন জাতীয় নির্বাচন হবে। নতুনভাবে বাংলাদেশ গঠনের এটাই সঠিক পথ বলে তারা মনে করেন।
প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ বলেন, ওখানে আমি অনেককেই দেখেছি- যারা দীর্ঘদিন ধরে এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত, যারা আয়োজক তাদের মতে, ১৯১৩ সালে তারা এই কমিটি গঠন করেছেন। নতুন করে তারা পুনরুজ্জীবিত করলেন এই কমিটি। এছাড়া ল্যাংলে-তে কাজ করেন বলে একজন পরিচয় দেন, অর্থাৎ আমেরিকাতে সিআইএ হেডকোয়ার্টারে তিনি কাজ করেন, নাম মাসুদ করিম। অনেক দিন থেকেই এই অঞ্চলে তাকে দেখা যায়, কখনও ব্যাংককে কখনও কাডমান্ডুতে, কখনও কলোম্বতে এবং দুবাইয়ে এসব জায়গায়- তিনি বাংলাদেশি আমেরিকান, তার এলাকা সিলেটে। আমাদের দেশের প্রথিতযশা অ্যাক্টিভিস্ট যারা রয়েছেন, তাদের সঙ্গে বিভিন্ন সময় তিনি বৈঠকে মিলিত হন। যাদের সঙ্গে তিনি (মাসুদ করিম) বৈঠকে মিলিত হয়েছেন, তাদের অনেকেই ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন। তাকে নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী একাধিক ব্যক্তি, যারা সোশ্যাল মিডিয়াতে সক্রিয় উপস্থাপক- তারা তাকে বিতর্কিতভাবে উপস্থাপন করেছেন।
তিনি বলেন, ফলে তাকে জড়িয়ে একটা রহস্য, একটা ধোঁয়াশা ওয়াকিবহাল মহলের মধ্যে আছে। এই আয়োজনটার টাকা কোত্থেকে এসেছে- এটা নিয়েও অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনা করেছেন। প্রায় ১২ লক্ষ্য টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু এই টাকা কোত্থেকে এসেছে সেটাতো কেউ বলেন নাই। তবে এইটা বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা হয়তো সহায়তা করেছেন।
তিনি বলেন, তারা একটি অন্তর্বর্তী সরকার চাচ্ছে- যে নতুন সরকার আসবে এবং একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করবে। একটা লম্বা সময় ধরে এই সরকার শাষনতন্ত্র প্রণয়ন অ্যাসেম্বলি করবে, এই প্রক্রিয়াটা তারা করবে। তারা দাবি করেছেন, ২০১৩ সাল থেকে তারা কাজ করছেন- এটা নিয়ে। তবে আমি মনে করি এটা বিএনপির উদ্যোগের কোনো আয়োজন না। কারণ সেখানে বিএনপির কোনো লোককে দেখা যায়নি। বিএনপির অনেকেই আমন্ত্রিত হয়ে সেখানে আসেননি।
প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ সাক্ষাৎকার জানিপপ শেরাটন হোটেল
মন্তব্য করুন
হুমায়ুন ফরীদি নিশো সুড়ঙ্গ তমা মির্জা সিনেমা রাফি হুমায়ুন ফরীদি
মন্তব্য করুন
‘১৯৯২ সাল থেকে এই সংগঠনের মাধ্যমে আমি জাতিসংঘের সাথে প্রতিবন্ধী বিষয়ক কাজ করেছি, অংশগ্রহণ করেছি। ইউএনস্কেপ- এর অ্যাওয়ার্ডটা এক বারই হয়েছে। এইটা হয়েছে ২০১২ সালে। এই অ্যাওয়ার্ডটা আমাকে দিয়েছে এই কারণে যে, ওনাদের বিবেচনায় আমার কাজের প্রতি তারা সন্তুষ্ট হয়েছে, এটা একটা ভিন্ন রকম কাজ ছিল এবং এই সেক্টরে যারা কাজ করেছেন- তাদের মধ্য থেকে আমার কর্মকাণ্ডটা প্রতিবন্ধী মানুষদের অধিকার প্রতিষ্ঠায়- তাদের উন্নয়নে অবদান রেখেছে এবং প্রতিবন্ধী বিষয়ক তাদের যে মানবাধিকার আছে- সেই কারণেই মূলত আমাকে এই অ্যাওয়ার্ডটি দেওয়া হয়। তাছাড়া ইউনাইটেড ন্যাশন কনভেনশন অন রাইটস অব পার্সোনাল ডিসাবিলিটি (ইউএনসিআরপিডি)- এটিও একটি আন্তর্জাতিক সনদ- এই সনদটি পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি দেশ স্বাক্ষর করেছে। এই সনদটি স্বাক্ষর করার ক্ষেত্রেও ১৯৯৬ সালের পরের দিকে আমি সম্পৃক্ত ছিলাম। এটিও একটি মানবাধিকার কনভেনশন- এটির মূল কথা হচ্ছে- আপনি যাই করেন প্রতিবন্ধী মানুষদের বাদ দিয়ে কিছু করা যাবে না।’- বলছিলেন বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী কল্যাণ সমিতির প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক এবং মানবাধিকার কর্মী আবদুস সাত্তার দুলাল।
২০১২ সালে ইউএনস্কেপ ডিসাবিলিটি রাইটস চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছেন বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী কল্যাণ সমিতির প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক এবং মানবাধিকার কর্মী আবদুস সাত্তার দুলাল। সম্প্রতি কথা হয় বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী কল্যাণ সমিতির প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক এবং মানবাধিকার কর্মী আবদুস সাত্তার দুলাল- এর সঙ্গে। বাংলা ইনসাইডারের সাথে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি জানিয়েছেন একজন প্রতিবন্ধী মানুষ হিসেবে তার এই অর্জন, প্রতিবন্ধীদের জন্য করণীয় এবং প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ- এর কথা। পাঠকদের জন্য আবদুস সাত্তার দুলাল- এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের বিশেষ প্রতিনিধি আল মাসুদ নয়ন।
আবদুস সাত্তার দুলাল বলেন, ইউএনসিআরপিডি-তে যেসব রাষ্ট্রসমূহ স্বাক্ষর করেছে, তারা তাদের রাষ্ট্রগুলোতে প্রতিবন্ধীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এখন আমরা এসডিজির কথা শুনছি- কেউ পিছনে পড়ে থাকবে না। এটাও কিন্তু আমরা প্রমোট করেছি। এমডিজি-তে প্রতিবন্ধী মানুষদের কথা ছিল না। এসডিজি-তে এই বিষয়টি তৈরি হয়েছে আমাদের প্রভাবের কারণে। সেখানে ‘নাথিং ইউথ আউট আস-অ্যাবাউট আস’- এইটা আমাদের একটা শ্লোগান। ‘নো ওয়ান লেফট বিহাইন্ড’- কেউ পেছনে পড়ে থাকবে না- এইটা কিন্তু এসডিজিতে যুক্ত হয়েছে। সতরাং সকলকে নিয়ে আপনাকে এগুতে হবে।
তিনি বলেন, পৃথিবীতে- এই সমাজ এই রাষ্ট্রে প্রতিবন্ধী মানুষদের অবদান আছে। আমি একজন প্রতিবন্ধী মানুষ, আমি প্রতিদিন খাচ্ছি, বাজার করছি, একটি জামা কিনছি- এতে সরকার পরোক্ষভাবে ট্যাক্স পাচ্ছে। এই ট্যাক্সতো আমি দিচ্ছি। বাংলাদেশে যদি এক কোটি প্রতিবন্ধী মানুষ থাকে- ১৫% ট্যাক্স যদি মানুষের কাছ থেকে সরকার পায়, তাহলে প্রতিবছর সরকার প্রতিবন্ধী মানুষের কাছ থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা ট্যাক্স পায়। এর প্রতিদান সরূপ সরকার যেন এতোটুকু বুঝতে পারে- তারা যেন প্রতিবন্ধী মানুষদের দায়িত্ব নেয়, ভূমিকা নেয়। বর্তমান সরকার প্রতিবন্ধী মানুষদের জন্য অনেকগুলো কাজ করেছে। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেশ কিছু কাজ করেছেন। আমরা ২০১০ সালে উনার সঙ্গে দেখা করেছি। বিশেষ করে একটি আইন- ‘প্রতিবন্ধী সুরক্ষা আইন- ২০১৩’ তিনি অনুমোদন করেছেন। ভাতাটাকে তিনি অনুমোদন করেছেন।
আবদুস সাত্তার দুলাল বলেন, আরও অনেক ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নে কাজ করছে সরকার। শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধীদের বৃত্তি দিচ্ছে। এছাড়া প্রতিবন্ধীদের চাকরির ব্যবস্থাও করছে সরকার। আজকে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে, তিনি এই প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করছেন। মানুষের ভেতরে এই পরিবর্তনগুলো কিভাবে এসেছে, কারণ আমাদের কাজ, আমরা কাজ করেছি। এইটাকে এক সময় দয়ার কাজ মনে করা হতো, করুণা করা হতো। প্রতিবন্ধীদের বাদ রাখা হতো। অনেক ধনী পরিবারে তাদেরকে আলাদা করে রাখা হতো, বেঁধে রাখা হতো। এখন আর সেই জায়গা নেই। এখন পরিবর্তন হয়ে গেছে। অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে। প্রতিবন্ধী মানষরা সাড়া বিশ্বে আজকে তারা একত্রিত হয়েছে। প্রতি ৬ জনে একজন প্রতিবন্ধী বলা হয়, এটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গত বছরের বিশ্ব প্রতিবেদন অনুযায়ী। এটা সারা পৃথিবীতে এখন সার্বজনীনভাবে বলা হচ্ছে ১৫% মানুষ প্রতিবন্ধী মানুষ।
আবদুস সাত্তার দুলাল প্রতিবন্ধী কল্যাণ সমিতি ইউএনস্কেপ ডিসাবিলিটি রাইটস চ্যাম্পিয়ন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশীদ বলেছেন, কোনো দেশ অন্য আরেকটি দেশের শাসন ব্যবস্থা বা সাংবিধানিক ক্ষমতা নিয়ে কথা বলতে পারে না, অধিকার নেই। সে হিসেবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কথা বলা আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে সরাসরি হস্তক্ষেপের সামিল।
শেরাটন হোটেলের লিফটের ১৪ তলায় ওপেন টু দ্য স্কাই একটি জায়গা, ছাদের ওপর। সেখানে দেখলাম একটি মঞ্চ সংস্থাপন করা হয়েছে। সেখানে জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটি- লেখা আছে। মঞ্চের ওপরে দাঁড়িয়ে আছেন কমরেড ফরহাদ মজহার, উন্নয়ন বিকল্প নীতিনির্ধারিনী গবেষণার কর্ণধার এবং আমাদের সতীর্ত গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের কৃতি ছাত্র শওকত মাহমুদ। স্বাগত বক্তব্য রেখেছেন কমরেড ফরহাদ মজহার। সেখানে শওকত মাহমুদ একটি ইশতেহার পাঠ করেন- অর্থাৎ একাটি প্রস্তাবনা জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটির প্রস্তাবনা। সেখানে ড. ফারহাদ নামের একজন নারী সেখানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেছেন। তারপর সবাইকে নৈশভোজে আ্যপায়িত করা হয়েছে।
‘১৯৯২ সাল থেকে এই সংগঠনের মাধ্যমে আমি জাতিসংঘের সাথে প্রতিবন্ধী বিষয়ক কাজ করেছি, অংশগ্রহণ করেছি। ইউএনস্কেপ- এর অ্যাওয়ার্ডটা এক বারই হয়েছে। এইটা হয়েছে ২০১২ সালে। এই অ্যাওয়ার্ডটা আমাকে দিয়েছে এই কারণে যে, ওনাদের বিবেচনায় আমার কাজের প্রতি তারা সন্তুষ্ট হয়েছে, এটা একটা ভিন্ন রকম কাজ ছিল এবং এই সেক্টরে যারা কাজ করেছেন- তাদের মধ্য থেকে আমার কর্মকাণ্ডটা প্রতিবন্ধী মানুষদের অধিকার প্রতিষ্ঠায়- তাদের উন্নয়নে অবদান রেখেছে এবং প্রতিবন্ধী বিষয়ক তাদের যে মানবাধিকার আছে- সেই কারণেই মূলত আমাকে এই অ্যাওয়ার্ডটি দেওয়া হয়। তাছাড়া ইউনাইটেড ন্যাশন কনভেনশন অন রাইটস অব পার্সোনাল ডিসাবিলিটি (ইউএনসিআরপিডি)- এটিও একটি আন্তর্জাতিক সনদ- এই সনদটি পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি দেশ স্বাক্ষর করেছে। এই সনদটি স্বাক্ষর করার ক্ষেত্রেও ১৯৯৬ সালের পরের দিকে আমি সম্পৃক্ত ছিলাম। এটিও একটি মানবাধিকার কনভেনশন- এটির মূল কথা হচ্ছে- আপনি যাই করেন প্রতিবন্ধী মানুষদের বাদ দিয়ে কিছু করা যাবে না।’- বলছিলেন বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী কল্যাণ সমিতির প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক এবং মানবাধিকার কর্মী আবদুস সাত্তার দুলাল।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেছেন, বিভিন্ন স্কুলে মডেল টেস্ট নেয়ার প্রচলন রয়েছে। এ ধরনের প্রচলন থাকার কারণে আবার ওই স্কুলগুলো বিভিন্ন ধরনের কোচিংও চালায় এবং এগুলো এখন বাণিজ্যিক রূপ নিয়েছে। স্কুলগুলোতে এ ধরনের বাণিজ্যিক মানসিকতা দূর করবে ২০২৩ সালে শুরু হওয়া নতুন শিক্ষাক্রম।