ইনসাইড টক

‘প্রশাসনের ফাঁদে আমরা কিন্তু খানিকটা ধরা খেয়ে গেছি’

প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ২৮ জানুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail

“মূলত বিএনপির আন্দোলনটাকে ধারাবাহিকভাবে এস্কেলেট (ধাপে ধাপে বৃদ্ধি) করতে হবে। টাইম বার্সেস ফারেনহাইট (সময় বনাম উত্তাপ বা চাঙ্গা), আমরা যদি গ্রাফে এটি দেখাই। তাহলে আমাদের সময় আছে মাত্র ১১ মাস। আবার নির্বাচনের আগে আছে ১০ মাস। তাহলে আমাদের গড়ে এদিকে ১০ মাস, ওদিকে ১০ মাস। বিএনপি যেভাবে এগুচ্ছিলো, অর্থাৎ ১০ই ডিসেম্বরের যে মহা সমাবেশ, সেখানে এসে বিএনপিকে আনেকটা নাজেহাল করলো প্রশাসন। তখন বিএনপি বনাম প্রশাসন হয়ে গেলো। ১০ই ডিসেম্বর প্রশাসন বলবে, উই উইল গিভ ইউ প্রটেকশন। কিন্তু প্রশাসন বলছে, আমরা তোমাকে এখানে করতে দিব না, ওখানে করতে দিব না, ওখানে করতে দিব। প্রশাসনের ইচ্ছেমাফিক একটি রাজনৈতিক দল কখনও চলতে পারে না। প্রশাসন একটি রাজনৈতিক দলের ইচ্ছমাফিক চলবে। অর্থাৎ আমি বলতে চাচ্ছি, ঘোড়ায় গাড়ি টানবে, গাড়িকে ঘোড়া টানবে না। আমরা বলবো, পল্টনে করবো, প্রশাসন বলবে, উই উইল গিভ ইউ দ্য সিকিউরিটি, কমফোর্ট। কিন্তু প্রশাসন বলছে, আমরা তোমাকে পল্টনে করতে দেব না। এতে কি হলো? ঘোড়া গাড়ি টানলো না, গাড়ি ঘোড়া টানলো।”- বলছিলেন বিএনপি দলীয় সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এবং বিএনপির বর্তমান নিবার্হী সদস্য ড. আ ন ম এহসানুল হক মিলন।                

একের পর বিএনপি সভা-সমাবেশসহ যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করছে, ‘পদযাত্রা’  ঘোষণা , এর আগে বিভাগীয় সমাবেশ করেছে বিএনপি, ঢাকায় এসে থমকে দাঁড়িয়েছে বিএনপির আন্দোলন- এছাড়াও বিএনপির ১০ দফা এবং রাষ্ট্র গঠনে রূপরেখার ২৭ দফা ঘোষণা এবং বিএনপির আন্দোলনের পরবর্তী বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা, পদক্ষেপ- এসব নিয়েই বাংলা ইনসাইডারের সাথে কথা হয়েছে বিএনপি দলীয় সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এবং বিএনপির বর্তমান নিবার্হী সদস্য ড. আ ন ম এহসানুল হক মিলনের সঙ্গে। তিনি বাংলা ইনসাইডারের সাথে একান্ত আলাপকালে জানিয়েছেন বিএনপির আন্দোলনের কর্মসূচি, পরিকল্পনা এবং প্রাপ্তির কথা। পাঠকদের জন্য  ড. আ ন ম এহসানুল হক মিলন- এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার- এর নিজস্ব প্রতিবেদক আল মাসুদ নয়ন। আজ প্রকাশ হচ্ছে এই সাক্ষাৎকারের প্রথম পর্ব।

ড. আ ন ম এহসানুল হক মিলন বলেন, এখানে আওয়ামী লীগ একটি খুব কঠিন পলিটিক্স করলো। প্রশাসনের সাথে আমাদের একটি বৈরী সম্পর্ক সৃষ্টি করার একটি ট্রেপ (ফাঁদ) করলো। এই ফাঁদে আমরা কিন্তু খানিকটা ধরা খেয়ে গেছি, প্রশাসনের ফাঁদে। আওয়ামী লীগ চাচ্ছে প্রশাসন বনাম বিএনপি হয়ে যাক, আওয়ামী লীগ বনাম বিএনপি না। এই জায়গাটায় খুব চাণক্য পলিটিক্স করেছে আওয়ামী লীগ। আমরা পল্টনে মিটিং করবো, তারা জনগণের ভোগান্তি হবে বিবেচনায় পল্টনে মিটিং করতে দিবে না। এটা আদৌ কোনো সত্য কথা নয়। যেখানেই মিটিং করুক, জনগণের ভোগান্তি হবেই। চীন-মৈত্রীর মাঠেই করুক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই করুক, যেখানেই করুক, জনগণের ভোগান্তি হবেই। আওয়ামী লীগ একটি খোরা যুক্তি খাড়া করলো, তারা পল্টনে সমাবেশ করতে দেবে না। আমরা পল্টন যদি দখল করতাম সমাবেশের জন্য, ৩/৪ ঘণ্টা সমাবেশে থাকতাম। তারা স্রেফ বলতে পারতো ৩ ঘণ্টার জন্য আপনারা পল্টনের রাস্তা ব্যবহার করবেন, ৩ ঘন্টার এক মিনিট বেশিও আপনার পল্টনের রাস্তা ব্যবহার করতে পারবেন না। হয়ে যেত এবং তারা আমাদেরকে ৩ ঘণ্টার জন্য সিকিউরিটি দিতো। 

তিনি বলেন, কিন্তু তারা বললো, পল্টনে করা যাবে না। প্রশাসনের এই বিমাতাসুলভ আচরণ আওয়ামী লীগ এটা করালো চালাকি করে। বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের সামনে যে আওয়ামী লীগ অফিস, ওটাতো চিরতরেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে বা জাতীয় পার্টির অফিসের সামনে যখন তাদের সমাবেশ হয়, তখন সেটাও তো বন্ধ হয়েই যায়। কিংবা শেরে বাংলা নগরে, চীন-মৈত্রীর মাঠে সমাবেশ করলে, সেটাও কিন্তু বন্ধ হয়েই যায়। আমরা তো শুধু তিন ঘন্টার জন্য চেয়েছিলাম। সারা বাংলাদেশে ৯টি সমাবেশ করে ১০ম সমাবেশে যে মমেন্টামটা  আমাদের গ্রো করেছিলো, যে গতিটা হয়েছিলো, প্রশাসনের সঙ্গে বৈরী ভাব করে সেটাকে তারা বাধাগ্রস্থ করলো। যেহেতু আমরা আস্তে আস্তে, আন্দোলনটা ধাপে ধাপে ওপরে উঠতেছিল, তারা আমাদের গতিটাকে প্রজেক্টাইলের মতো, অর্থাৎ একটা ঢিল ছুড়লে, এটা আকাশে উঠে আবার পড়তে থাকে, এটা পড়তে থাকলো নিচের দিকে। সে জায়গাটাতে আমাদেরকে খানিকটা পিছিয়ে দিয়েছে। তাহলে এখন আমাদের আন্দোলনে গতিপ্রকৃতি কি হবে? 

ড. আ ন ম এহসানুল হক মিলন বলেন, আন্দোলনটাকে তুঙ্গে ওঠানো, আমাদের দলের যে পরিকল্পনাটা ছিল, ২০২২ সালের আমাদের দলীয় সালতামামিতে, আমরা সম্পূর্ণভাবে সফল হয়েছি। আমাদের রাজনৈতিক দিকগুলো জনগণের সামনে তুলে ধরা, এটা আমরা সফল হয়েছি। কারণ ডিসেম্বরের ১০ তারিখে সমাবেশকে তারা প্রশাসন দ্বারা খানিকটা ব্যর্থ করতে পারলেও, মূলত আমরা ৯টি সমাবেশে প্রমাণ করেছি, সারা বাংলাদেশের ১৮ কোটি জনগণের মধ্যে আমাদের একটি অবস্থান আমরা সৃষ্টি করতে পেরেছি এবং আওয়াজ দিতে পেরেছি, যেটা ২০০৯ থেকে শুরু করে ২০১৪, ২০১৪ থেকে শুরু করে ২০১৮ এবং ২০১৮ থেকে শুরু করে বর্তমান, এই ১৪ বছরে সেরা আন্দোলন আমরা ২০২২-এ দেখিয়েছি। এতে এই জিনসিটাই প্রতয়ীমান হয়, বিএনপির যে ভোট ব্যাংক, সাপোর্ট ব্যাংক, জোট ব্যাংক, যেটি আমাদের রয়েছে, এটি একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ, এটি একটি কার্যকর।আমাদের সক্ষমতা আছে আন্দোলন করার, ২০২২ সালের সালতামামিতে এটা আমরা দেখতে পেয়েছি।


বিএনপি   আ ন ম এহসানুল হক মিলন   সাক্ষাৎকার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড টক

‘পেটের সুস্থতার জন্য সহজে হজম হয় এ রকম খাবার খাওয়া উচিত’

প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ২৬ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

রমজানে যেহেতু আমাদের দেহ ঘড়ি একটু অন্যভাবে চলে সেজন্য খাদ্যাভাসের দিকে বিশেষ নজর দেয়া দরকার বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল এর ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজির বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাঃ মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল। তিনি বলেন, আমরা যদি রমজানের মূল্য তাৎপর্য সংযম সেটা মেনে চলি তাহলে কিন্তু পেট ভালো রাখার কোন অসুবিধা থাকে না। কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছে রমজান মাসে আমাদের খাদ্যাভাস এবং আমাদের প্রাত্যহিক জীবনযাপনে দারুণ পরিবর্তন আসে। সে কারণেই হয়তো অনেকে পেটের পীড়ায় বেশি ভুগে থাকি। 

রমজানে পেট ভালো রাখা এবং এ সময় আমাদের খাদ্যাভাস কি রকম হওয়া উচিত ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেছেন।

অধ্যাপক ডাঃ মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল বলেন, আমাদের বায়োলজিক্যাল ঘড়ি সেটা কিন্তু বছরের এগারোটি মাস একই নিয়মে চলতে থাকে। ধরুন, আমরা কেউ সকাল ৬টায় ঘুম থেকে উঠি, কেউ ৮টায় উঠি, কেউ ১০টায় উঠি। কেউ হয়তো দুপুরে খাই, কেউ হয়তো খাই না। কেউ রাত ১০টায় খাই, কেউ রাত ২টায় খাই। যার যার দেহ ঘড়ি তার তার মতো করে চলতে থাকে। কিন্তু যখন রমজানের শুরুতেই হঠাৎ খাবার অভ্যাস পাল্টে ফেলি, আমরা খুব ভোরে সেহেরি করছি, সারাদিন কিছু খাচ্ছি না, ইফতার করছি, রাতে খাচ্ছি খাচ্ছি না, ভোরে আবার সেহেরি করছি, তখন কিন্তু আমাদের শরীরে সেটা খাপ খাইতে একটু সময় লাগে। সেজন্য অনেকের অনেক অভ্যাস উল্টা পাল্টা হয়ে যেতে পারে। সে জন্য আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। 

তিনি বলেন, আমরা রমজানে যে সমস্ত খাবার খাই সেগুলো স্বাস্থ্যকর খাবার বলা যাবে না, সেগুলো কম স্বাস্থ্যকর। এ সময় আমরা প্রচুর ভাজা পোড়া খাবার খাই। যেগুলো আমরা সচরাচর খাই না। কিন্তু রমজান মাসে আমাদের এ সমস্ত খাবার বেড়ে যায়। ফলে পেটে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। ফলে যাদের পেটে অসুখ আছে তাদের জন্য তো বটে, তাদের অসুখ নেই তাদেরও কতগুলো জিনিস মেনে চলা উচিত। আমি কখনো বলছি না, আপনি ভাজা পোড়া ছেড়ে দেন। এটা ছেড়ে দেওয়া কঠিন। এটা আমাদের হাজার বছর পুরনো অভ্যাস। এ সময় ভাজা পোড়া খাবার খান কিন্তু অল্প করে খান।

রমজানে কি ধরনের খাবার খাওয়া যেতে পারে জানতে চাইলে অধ্যাপক ডাঃ মামুন বলেন, এ সময় আপনারা ফল-ফলাদি খাবারের ওপর জোর দেন। এ সময় দুখ খান, যে সমস্ত খাবার হজমে সুবিধা সে সমস্ত খাবার খান। তেল যুক্ত খাবার, চর্বি যুক্ত খাবার এগুলো এড়িয়ে চলেন। এখানে কোনো সুর্নিদিষ্ট নিয়ম নেই যে আপনি এটা খেলে ভালো থাকবেন, কিংবা সেটা খেলে ভালো থাকবেন। সারা বছর আপনি যে ধরনের খাবার খান সে ধরনের খাবারই খাবেন। যেহেতু এ সময় আপনার দেহ ঘড়ি একটু অন্য ভাবে চলছে সেজন্য সহজে হজম হয় এ রকম খাবারগুলো খাবেন এবং প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। কারণ এ সময় গরম চলছে, আবার তীব্র রৌদ আছে সেজন্য আপনার হিট স্ট্রোক হতে পারে, ডিহাইড্রেশন হতে পারে। সেজন্য প্রচুর পানি খেতে হবে এবং পানি অবশ্যই বিশুদ্ধ হতে হবে। যত তত্র বিক্রি হওয়া ফলের রস কিংবা পানি খাবেন না। দূষিত পানি থেকে তৈরি খাবার খেলেও কিন্তু পেটের পীড়া, জন্ডিসের কারণ হতে পারে। 


মন্তব্য করুন


ইনসাইড টক

'নতুন করে ঘুরিয়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা আর এই সম্পূর্ণ সাহায্যটা করেছে আমার হাজব্যান্ড'

প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ২৪ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

রেহানা আক্তার একসময় শোবিজ অঙ্গনে সাড়া জাগানো 'লাইলী খ্যাত' অভিনেত্রী। যিনি বাংলাদেশের প্রথম সারির অভিনেতা মাফুজ আহমেদ, জাহিদ হাসান থেকে শুরু করে মোশারফ করিম পর্যন্ত সবার সাথে নাটকে অভিনয় করেছেন।পেয়েছিলেন জনপ্রিয়তা ও সেই মেয়েটি এখন ফ্রান্স প্রবাসী, প্রবাসে জনপ্রিয়তায় শীর্ষস্থানীয় একজন ব্লগার। তার ফেইসবুক পেইজ ও ইউটিউবে বর্তমানে ফলোয়ারের সংখ্যা লক্ষাধিক। সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে এই অভিনেত্রীর সাথে কথা হলো বাংলা ইনসাইডারের। 



বাংলা ইনসাইডার:  নাটক থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেয়ার কারণ কী?

রাখি: অনেকে বলে ছোটবেলা থেকে তার স্বপ্ন থাকে অভিনেত্রী হবে শিল্পী হবে আমার ধারণাটা একটু অন্যরকমই ছিল। আমার যখন জ্ঞান বুদ্ধি হয় আমি যখন স্কুলে পড়াশোনা করি তখন থেকে আমার গানের উপর একটা ঝুঁকি ছিল আমি গান করতাম।এখনো করি গান। কিন্তু অভিনয় নাটকে আসাটা একদম অন্যরকম ছিল ২০০৯ এন টিভি সুপারহিরো সুপার হিরোইনের আমার অভিনয়ে যাত্রা শুরু আমি ওই ফটোসুন্দরীতে অডিশন দিই অডিশন দিয়ে আমার ঢাকায় আসা তারপর থেকে আমার অভিনয়ের যাত্রা শুরু অনেকদিন পার হয়ে যায় অভিনয়ের সাথে অনেক নির্মাতাদের অনেক গুণী ডিরেক্টরদের সাথে আমার অভিনয় করার সুযোগ হয়েছে একটা সময় ২০১৬ তে যখন অভিনয়ের উপরে নাটকের এমন একটা সংকট এমন একটা বিশৃঙ্খলা শুরু হয় তখন থেকে আস্তে আস্তে নাটক থেকে সরে দাঁড়ানোর ডিসিশন নেই।



বাংলা ইনসাইডার: ইউটিউব চ্যানেল নিয়ে কাজ করার চিন্তা কিভাবে আসলো? 

রাখি: ২০১৮ সালে ফ্রান্সে চলে আসি। এখানে  আসার পর নিজের মধ্যে কেমন জানি একটা ডিপ্রেশন কাজ করত কোনো কিছুই ভালো লাগতো না যেহেতু আমি অভিনয় জগতের মেয়ে একটা অন্যরকম একটা খারাপ লাগতো কি করব কি করব বুঝে উঠতে পারতাম না রাস্তায় গাড়িগুলো গুনতাম এত পরিমাণ ডিপ্রেশনে থাকতাম আমি যেটা বলার বাইরে ছিল।  একটা সময় আমার মাথায় আসলো আমি কেন বসে আছি আমি তো হ্যাঁ আমি টিভি নাটকে অভিনয় করতে পারছি না। ২০১৯ এ নভেম্বরের ৬ তারিখে হুট করে মাথায় আসে যে আমি এটা ইউটিউব চ্যানেল খুলি যেটাতে আমি আমার অভিনয়ের টাইপের ব্লগিং গুলো শেয়ার করব।  আমি অনেক ব্লগিং ভিডিও দেখতাম তারপর আমার মাথায় আসে সবাই তো বইয়ের ভাষায় কথা বলে আমি না হয় নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে ভিডিওগুলো বানায় হয়তোবা আমারে কথাগুলো অনেকের কাছে ভালো লাগবে। তারপর আর আমাকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি একের পর এক আমার ভিডিও ভাইরাল হওয়া শুরু করে এখনো অব্দি আমার ইউটিউবে সাবস্ক্রাইবার এর সংখ্যা তিন লক্ষ ৩১ হাজার আর আমার ফেসবুক ফলোয়ারের সংখ্যা প্রায় ১৯ লক্ষ৷ মাঝে আমার একটা চ্যানেল হ্যাক করা হয় অনেক বিষণ্নতা কাজ করে তারপর আবার নতুন করে ঘুরিয়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা আর এই সম্পূর্ণ সাহায্যটা করেছে আমার হাজব্যান্ড।  ও যদি আমার ক্যামেরা না ধরত বা ও যদি আমাকে সাহস না দিত আমি এতদূর কখনোই আসতে পারতাম না।  আজ ও সাহস দেওয়ার কারণে ও সাহায্য করার কারণে আমি এতটুকু পর্যন্ত আসছি। 

বাংলা ইনসাইডার: নতুন নাটক নিয়ে পরিকল্পনা কী?

রাখি: নাটক, অভিনয়  আমার রক্তে মিশে আছে। আমি আবার যখন বাংলাদেশে যাবো তখন আবার অভিনয় করবো কারণ এখনো তো আমি অভিনয় করছি ইউটিউবিং যে করছি কাঁচা মরিচ দিয়ে খাচ্ছি ভাত যে খাচ্ছি ক্যামেরার সামনে এটাও অভিনয় হয়তোবা অনেকে বুঝে অনেকে বোঝেনা।

রাখি   অভিনেত্রী   ইউটিউব   ব্লগার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড টক

‘আমাদের সংসদীয় ব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর যে ক্ষমতা ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর একই ক্ষমতা’

প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ২২ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশীদ বলেছেন, কোনো দেশ অন্য আরেকটি দেশের শাসন ব্যবস্থা বা সাংবিধানিক ক্ষমতা নিয়ে কথা বলতে পারে না, অধিকার নেই। সে হিসেবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কথা বলা আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে সরাসরি হস্তক্ষেপের সামিল।

সদ্য প্রকাশিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক মানবাধিকার প্রতিবেদনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশীদ এসব কথা বলেন। পাঠকদের জন্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশীদ এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক শান্ত সিংহ।

অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশীদ বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ধরনের সরকার ব্যবস্থা আছে। যেমন যুক্তরাজ্যে সংসদীয় গণতন্ত্র ব্যবস্থা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসন ব্যবস্থা। আমাদের হল সংসদীয় গণতন্ত্র ব্যবস্থা। এভাবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নিজস্ব ইতিহাস, ঐহিত্য, ভাষা ইত্যাদির আলোকে একটা শাসন ব্যবস্থা গড়ে উঠে। সে জায়গায় আমাদের সংসদীয় ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে এবং আমাদের সংসদীয় ব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর যে ক্ষমতা ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর একই ক্ষমতা। আমাদের এখানে অতিরিক্ত কিছুই নেই। 

তিনি বলেন, আমরা যেহেতু ব্রিটিশ সংসদীয় ব্যবস্থা অনুসরণ করি সেহেতু আমাদের সংসদীয় ব্যবস্থায় তো প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা থাকবেই। ব্রিটেনে এটাকে 'প্রাইম মিনিস্ট্রি সিস্টেম' বলা হয়। অর্থাৎ প্রাইম সিনিস্টারকে কেন্দ্র করে সরকার আবর্তিত হয়। বিট্রিশ কলোনীর শাসন ব্যবস্থার ধারাবাহিক হিসেবে বা ঐতিহ্য হিসেবে আমরা সেটাই অনুসরণ করি। সুতরাং আপনি এটা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো সুযোগ বা নৈতিক অধিকার নেই। 

বিশিষ্ট এই রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বলেন, কূটনীতির সম্পর্কের জায়গায় অন্য একটি দেশ আমাদের কোনো ব্যবস্থা সম্পর্কে তাদের মতামত দিতে পারে কিন্তু আমাদের শাসনতন্ত্র নিয়ে কথা বলার অধিকার রাখে না। শাসনতন্ত্র কি ভাবে চলবে সেটি ঠিক করবে এদেশের জনগণ। আমাদের শাসনতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে, লাখো শহীদের রক্তে। কাজেই এই শাসন ব্যবস্থা নিয়ে কারো কথা বলার অধিকার নেই। এটা নিয়ে কথা বলার অধিকার রাখে এদেশের জনগণ। তারাই সিদ্ধান্ত নিবে দেশে কি ধরনের শাসনতন্ত্র কায়েম হবে। কার ক্ষমতা কি হবে ইত্যাদি।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড টক

‘যুগপৎ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ব্যাপক জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চান তারা’

প্রকাশ: ০৪:০৫ পিএম, ১৮ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ।

‘শেরাটন হোটেলের লিফটের ১৪ তলায় ওপেন টু দ্য স্কাই একটি জায়গা, ছাদের ওপর। সেখানে দেখলাম একটি মঞ্চ সংস্থাপন করা হয়েছে। সেখানে জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটি- লেখা আছে। মঞ্চের ওপরে দাঁড়িয়ে আছেন কমরেড ফরহাদ মজহার, উন্নয়ন বিকল্প নীতিনির্ধারনী গবেষণার কর্ণধার এবং আমাদের সতীর্ত গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের কৃতি ছাত্র শওকত মাহমুদ। স্বাগত বক্তব্য রেখেছেন কমরেড ফরহাদ মজহার। সেখানে শওকত মাহমুদ একটি ইশতেহার পাঠ করেন- অর্থাৎ একটি প্রস্তাবনা জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটির প্রস্তাবনা। সেখানে ড. ফারহাদ নামের একজন নারী সেখানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেছেন। তারপর সবাইকে নৈশভোজে আপ্যায়িত করা হয়েছে।’  - বলছিলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি এবং জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদ (জানিপপ) এর চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ।        

গত ১৬ই মার্চ (বৃহস্পতিবার) রাজধানীর বনানীতে একটি পাঁচ তারকা হোটেলে লেখক ও কবি ফরহাদ মজহার ও সাংবাদিক শওকত মাহমুদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটির (ন্যাশনাল কমিটি ফর সিভিল রাইটস) নৈশভোজে অংশ নিয়েছেন বিরোধী দলের একাধিক রাজনৈতিক নেতা। সেখানে অতিথি হয়ে নৈশভোজে অংশ নিয়েছিলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি এবং জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদ (জানিপপ)- এর চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ। সেখানে কি হলো? -  এ নিয়ে কথা হয়েছে প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ- এর সঙ্গে। বাংলা ইনসাইডারের সাথে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি জানিয়েছেন ওই নৈশভোজে  ‘আলোচনার বিষয়বস্তু ’ কি ছিল। পাঠকদের জন্য প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ- এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের বিশেষ প্রতিনিধি আল মাসুদ নয়ন।

প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ বলেন, ‘সেখানে ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের ড. রেজা কিবরিয়া, মাহমুদুর রহমান মান্না, লে. জেনারেল (অব.) সোহরাওয়ার্দী প্রমুখ। আমি দ্বিতীয় সাড়িতে বসেছি। প্রায়  শ’ খানেক লোক ছিলেন। পেছনে কিছু চেয়ার খালিও ছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন বাঙালি নারী নাগরিক- তিনিও উপস্থিত ছিলেন, নাম সীমা। আমাদের এনবিআর- এর সাবেক চেয়ারম্যান মজিদ মহোদয় সেখানে ছিলেন। সেখানে ইশতেহারে যে বিষয়টি লক্ষণীয় সেটি হচ্ছে, তারা উপসংহারে বলেছেন যে, যথাসম্ভব একটি বৃহত্তর ঐক্যের ভিত্তিতে যৌথ কিংবা একটি যুগপৎ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ব্যাপক জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চান তারা।’

তিনি বলেন, তারা গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করতে চান। অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ হবে নতুন গঠনতন্ত্র বা শাষনতন্ত্র প্রণয়নের সভা আহবান করা এবং জনগণের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে বাংলাদেশেকে নতুনভাবে একটি শাষনতন্ত্র উপহার দেওয়া। স্বাধীন নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন অর্থাৎ নির্বাচন কমিশন পূনর্গঠন এবং নির্বাচনের সময় সকল নির্বাহী ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের অধীনে নিয়ে আসা। নতুন গঠনতন্ত্র প্রণয়নের পরপরই অন্তর্বর্তী নতুন সরকার এবং নতুন গঠনতন্ত্রের ভিত্তিতে নতুন জাতীয় নির্বাচন হবে। নতুনভাবে বাংলাদেশ গঠনের এটাই সঠিক পথ বলে তারা মনে করেন। 

প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ বলেন, ওখানে আমি অনেককেই দেখেছি- যারা দীর্ঘদিন ধরে এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত, যারা আয়োজক তাদের মতে, ১৯১৩ সালে তারা এই কমিটি গঠন করেছেন। নতুন করে তারা পুনরুজ্জীবিত করলেন এই কমিটি। এছাড়া ল্যাংলে-তে কাজ করেন বলে একজন পরিচয় দেন, অর্থাৎ আমেরিকাতে সিআইএ হেডকোয়ার্টারে তিনি কাজ করেন, নাম মাসুদ করিম। অনেক দিন থেকেই এই অঞ্চলে তাকে দেখা যায়, কখনও ব্যাংককে কখনও কাডমান্ডুতে, কখনও কলোম্বতে এবং দুবাইয়ে এসব জায়গায়- তিনি বাংলাদেশি আমেরিকান, তার এলাকা সিলেটে। আমাদের দেশের প্রথিতযশা অ্যাক্টিভিস্ট যারা রয়েছেন, তাদের সঙ্গে বিভিন্ন সময় তিনি বৈঠকে মিলিত হন। যাদের সঙ্গে তিনি (মাসুদ করিম) বৈঠকে মিলিত হয়েছেন, তাদের অনেকেই ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন। তাকে নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী একাধিক ব্যক্তি, যারা সোশ্যাল মিডিয়াতে সক্রিয় উপস্থাপক- তারা তাকে বিতর্কিতভাবে উপস্থাপন করেছেন। 

তিনি বলেন, ফলে তাকে জড়িয়ে একটা রহস্য, একটা ধোঁয়াশা ওয়াকিবহাল মহলের মধ্যে আছে। এই আয়োজনটার টাকা কোত্থেকে এসেছে- এটা নিয়েও অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনা করেছেন। প্রায় ১২ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু এই টাকা কোত্থেকে এসেছে সেটাতো কেউ বলেন নাই। তবে এইটা বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা হয়তো সহায়তা করেছেন।

তিনি বলেন, তারা একটি অন্তর্বর্তী সরকার চাচ্ছে- যে নতুন সরকার আসবে এবং একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করবে। একটা লম্বা সময় ধরে এই সরকার শাষনতন্ত্র প্রণয়ন অ্যাসেম্বলি করবে, এই প্রক্রিয়াটা তারা করবে। তারা দাবি করেছেন, ২০১৩ সাল থেকে তারা কাজ করছেন- এটা নিয়ে। তবে আমি মনে করি এটা বিএনপির উদ্যোগের কোনো আয়োজন না। কারণ সেখানে বিএনপির কোনো লোককে দেখা যায়নি। বিএনপির  অনেকেই আমন্ত্রিত হয়ে সেখানে আসেননি।     


প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ   সাক্ষাৎকার   জানিপপ   শেরাটন হোটেল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড টক

‘হুমায়ুন ফরীদি বড় অভিনেতা হওয়ার পরেও তাকে পুরস্কৃত করা হয়েছে কম’

প্রকাশ: ০৩:৫৯ পিএম, ১৭ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

ভার্সেটাইল অভিনেতা আফরান নিশো। বিভিন্ন সময় তাকে দর্শক বিচিত্র সব চরিত্রে দেখেছেন। ছোটপর্দায় ব্যাপক জনপ্রিয় এই অভিনেতা। তার নাটক মানেই ইউটিউবে মিলিয়ন মিলয়ন ভিউ।নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতেও বেশ সরব হয়েছেন এই অভিনেতা। তাঁর ভক্তদের দীর্ঘদিনের দাবি, তাকে বড়পর্দায় দেখা। অবশেষে সিনেমায় নাম লিখালেন তিনি। সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের  সাথে কথা হয় হালের আলোচিত এই অভিনেতার।

বাংলা ইনসাইডার: আপনার ওজন দেখেই মনে বেশ কমিয়েছেন। ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমার জন্যই কি ওজন কমানো? 

নিশো: এই সিনেমার জন্য ওজন কমিয়েছি ব্যাপারটা তা না। আমার নিজের জন্যই আমি ওজন কমিয়েছি। আসলে ওজন বাড়ানো সহজ কমানো কঠিন। আমার ৯১ কেজি থেকে এখন ৭৮ কেজিতে নিয়ে এসেছি। মোটামুটি ১৩ কেজির মত ওজন কমিয়েছিল। যেটা নিজের জন্য দরকার ছিল,পাশাপাশি  সিনেমার ক্যারেক্টারের সঙ্গে অনেকটা সেটা যায়। 

বাংলা ইনসাইডার: লম্বা ক্যারিয়ারে এতোদিন পর কেন মনে হল ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমাটাই করি?

নিশো: প্রত্যেক গল্পে নিজস্ব বিউটি থাকে। এই গল্পে নিশ্চয়ই ভালো লাগা আছে বলে আমাকে কানেক্ট করেছে। টিমে যারা আছে সবার কাছে প্রশ্ন ছিল গল্পটা কী ভাবিয়েছে নাকি কাজ করতে হয় তাই করছো? প্রত্যেকে সন্তোষজনকভাবে উত্তর দিয়েছে। তাই মনে হচ্ছে দর্শকরাও কানেক্ট করবেন। আমি সবসময় কাজে সততা রেখেছি। প্রতিটি কাজের আগে নার্ভাস হই, চ্যালেঞ্জ লাগে। যেহেতু এটা সিনেমা তাই যেমন বেশি অ্যাফোর্ড থাকবে তেমনভাবে রিল্যাক্স পাবো। সিনেমার জায়গাটা এখন চেঞ্জ হয়েছে। আমার পূর্বে যারা কাজ করেছেন তাদের সারাবছর ফিল্মে ব্যস্ততা দেখিনি। আমি আগে ফিল্মে আসার সৎ সাহসটা পাইনি। কিন্তু এখন ফিল্মে অনেক কিছু দেখে ‘জাস্ট ওয়াও ফ্যাক্ট’ কাজ করে। মনে হয়েছে এখন সিনেমা করা যায়। কেন ২০ বছর সিনেমা করিনি এটা আমার জন্য কোনো প্রেসার না। একটি সিনেমা করে দেখি কেমন লাগে এমন ভাবনা আমার কোনোদিনই ছিল না। পেশাদারভাবে এই সেক্টরে কাজ করতে পারবো কিনা সেটা সবসময় দেখেছি। এখন মনে হয়েছে একেবারে সঠিক সময়। একজন অভিনেতাকে পেশাদারিত্ব রাখতে গেলে বছরে কমপক্ষে দুই তিনটি সিনেমা করা লাগে। কারণ এটাই রুটি রুজি। আগে আমি পেশাদারভাবে আসতে পারছিলাম না বলে নাটকে ছিলাম। এখন সবকিছু বিবেচনা করে দেখলাম দিন বদলাচ্ছে।

বাংলা ইনসাইডার: আপনি ওয়েবে কাজ শুরুর পরে নাটক কমিয়ে দিয়েছেন, এবার সিনেমায় ব্যস্ত হলে কীভাবে নাটকে ফিরবেন?

নিশো: আমি নাটক থেকে বেড়ে ওঠা মানুষ। কিন্তু বারবারই বলি, যখন প্ল্যাটফর্ম সুইচ করি, তখন সেই প্ল্যাটফর্মের ব্যস্ততা আমাকে অন্য প্ল্যাটফর্মে কাজ করতে দেয় না। এখন সিনেমা যদি ওয়ার্ক করে, ফিল্মে যদি একটি জায়গা তৈরি হয়, তখন স্বাভাবিকভাবেই ফিল্ম নিয়ে থাকতে হবে। কারণ, সবাই সিনেমার জন্য ডাকবেন।

বাংলা ইনসাইডার: ‘সুড়ঙ্গ’ নিয়ে কতটা আশাবাদী? 

নিশো: প্রথম কাজে একটু রিস্ক থাকে। যেহেতু সবাই আমরা হার্ড ওয়ার্কিং সবাই ডেডিকেটেড। আমাদের ডিওপি এক মাসের বেশি সময় ধরে এটার সাথে কাজ করছে। পুরো টিম এক সঙ্গে আছে। ভালো কিছু হবে আশা করি। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।

বাংলা ইনসাইডার: আপনার অর্জিত সব পুস্কারই আপনি হুমা হুমায়ুন ফরীদিকে দিয়ে থাকেন। আসলে এর কারণটা কি? 

নিশো:  আমি সর্বপ্রথম ব্যক্তি হুমায়ুন ফরীদির প্রেমে মশগুল হয়েছি, পরে তার পারফর্মেন্সে মুগ্ধ হয়েছি। আমি তাকে অনুসরণ করিনা, অনুকরণ করি কিছু কিছু ক্ষেত্রে। তার এটিটিউড ভাইব আমার সাথে মিলে যায়। তার সাথে আমার কনভারসেশন মিলতো, মেন্টাল কানেকশন ছিল। তিনি বড় অভিনেতা হওয়ার পরেও তাকে পুরস্কৃত করা হয়েছে কম। তাই আমার নিজস্ব ইচ্ছা আমার সকল পুরস্কার তাকে দেই। এটা আমার একধরনের প্রতিবাদ। উনি যে মাপের অভিনেতা তাকে সেই উঁচুমানের চরিত্রগুলো আমরা তাকে দিতে পারিনি।

হুমায়ুন ফরীদি   নিশো   সুড়ঙ্গ   তমা মির্জা   সিনেমা   রাফি   হুমায়ুন ফরীদি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন