ইনসাইড টক

‘খালেদা জিয়ার রাজনীতি করতে বাধা নেই ঠিক, আবার রাজনীতি করলে বিপদে পড়বেন’

প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারবেন না—তাঁর মুক্তির সময় এমন কোনো শর্ত সরকার দেয়নি। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এর এমন বক্তব্যে এর উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপি নেতাদের অনেকে। তাঁরা বলেছেন, এর পেছনে মানুষকে বিভ্রান্ত করা সরকারের উদ্দেশ্য থাকতে পারে।

বিএনপির নেতারা বলছেন, হঠাৎ করেই খালেদা জিয়ার রাজনীতির বিষয়টি সরকারের পক্ষ থেকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে তোলা হচ্ছে। কারণ ইতোদিন সরকারের পক্ষ থেকে অনেকেই বলে আসছিলেন যে অসুস্থতার জন্য মানবিক কারণে সরকারের নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়া মুক্ত রয়েছেন। ফলে বিএনপি নেত্রী অন্য কোনো কর্মকাণ্ড চালাতে পারবেন না। কিন্তু এখন আইনমন্ত্রী ভিন্ন বক্তব্য দিচ্ছেন বলে মনে করছেন বিএনপি নেতাদের অনেকে।

এব্যাপারে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশীদ বলেন, খালেদা জিয়া শারীরিক ভাবে অসুস্থ্য। এ কারণেই মূলত তাঁর সাজা স্থগিত রেখে তিনি মুক্তি পেয়েছেন। কিন্তু এখন তিনি যদি রাজনীতিতে সক্রিয় হন তাহলে প্রমাণিত হবে তিনি অসুস্থ্য নন, শারীরিক ভাবে সুস্থ্য। এখন কথা হল তিনি শারীরিক ভাবে সুস্থ্য হলে তাকে আবার জেলে যেতে হবে। কারণ তাঁর শারীরিক অসুস্থ্যতার জন্যই মানবিক বিবেচনা থেকে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এখন সরকারের কথা অনুযায়ী তাঁর রাজনীতি করতে বাধা নেই এটি যেমন সত্যি আবার তিনি রাজনীতি করতে গেলে বিপদে পড়বেন এটাও সত্যি। কারণ তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে তিনি শারীরিক ভাবে অসুস্থ্য। এখন যদি তিনি আবার রাজনীতিতে সক্রিয় হন তার মানে তিনি সুস্থ্য। আর সুস্থ্য হলে তাকে আবার সাজা ভোগ করতে জেলে যেতে হবে।

খালেদা জিয়ার রাজনীতি করার বিষয়ে সরকারের ওপর কোনো আন্তর্জাতিক চাপ রয়েছে কিনা জানতে চাইলে রাষ্ট্রবিজ্ঞানী  ড. হারুন-অর-রশীদ বলেন, আমি মনে করি না এ ধরনের কোনো চাপ সরকারের ওপর আছে। এখানে সরকার দেখাতে চাচ্ছে যে, আমরা খালেদা জিয়ার রাজনীতি করার ওপর কোনো বিধি নিষেধ আরোপ করি নাই। কিন্তু খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে গেলে তিনি আবার বিপদে পড়বেন। কারণ তিনি সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তাঁর তো সাজা মওকুফ করা হয়নি। তিনি মানবিক বিবেচনায় কারাগারের বাইরে আছেন। সুতরাং তিনি যখন সুস্থ্য হলে প্রমাণিত হবেন তাকে কারাগারে যেতে হবে।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড টক

'নতুন করে ঘুরিয়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা আর এই সম্পূর্ণ সাহায্যটা করেছে আমার হাজব্যান্ড'

প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ২৪ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

রেহানা আক্তার একসময় শোবিজ অঙ্গনে সাড়া জাগানো 'লাইলী খ্যাত' অভিনেত্রী। যিনি বাংলাদেশের প্রথম সারির অভিনেতা মাফুজ আহমেদ, জাহিদ হাসান থেকে শুরু করে মোশারফ করিম পর্যন্ত সবার সাথে নাটকে অভিনয় করেছেন।পেয়েছিলেন জনপ্রিয়তা ও সেই মেয়েটি এখন ফ্রান্স প্রবাসী, প্রবাসে জনপ্রিয়তায় শীর্ষস্থানীয় একজন ব্লগার। তার ফেইসবুক পেইজ ও ইউটিউবে বর্তমানে ফলোয়ারের সংখ্যা লক্ষাধিক। সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে এই অভিনেত্রীর সাথে কথা হলো বাংলা ইনসাইডারের। 



বাংলা ইনসাইডার:  নাটক থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেয়ার কারণ কী?

রাখি: অনেকে বলে ছোটবেলা থেকে তার স্বপ্ন থাকে অভিনেত্রী হবে শিল্পী হবে আমার ধারণাটা একটু অন্যরকমই ছিল। আমার যখন জ্ঞান বুদ্ধি হয় আমি যখন স্কুলে পড়াশোনা করি তখন থেকে আমার গানের উপর একটা ঝুঁকি ছিল আমি গান করতাম।এখনো করি গান। কিন্তু অভিনয় নাটকে আসাটা একদম অন্যরকম ছিল ২০০৯ এন টিভি সুপারহিরো সুপার হিরোইনের আমার অভিনয়ে যাত্রা শুরু আমি ওই ফটোসুন্দরীতে অডিশন দিই অডিশন দিয়ে আমার ঢাকায় আসা তারপর থেকে আমার অভিনয়ের যাত্রা শুরু অনেকদিন পার হয়ে যায় অভিনয়ের সাথে অনেক নির্মাতাদের অনেক গুণী ডিরেক্টরদের সাথে আমার অভিনয় করার সুযোগ হয়েছে একটা সময় ২০১৬ তে যখন অভিনয়ের উপরে নাটকের এমন একটা সংকট এমন একটা বিশৃঙ্খলা শুরু হয় তখন থেকে আস্তে আস্তে নাটক থেকে সরে দাঁড়ানোর ডিসিশন নেই।



বাংলা ইনসাইডার: ইউটিউব চ্যানেল নিয়ে কাজ করার চিন্তা কিভাবে আসলো? 

রাখি: ২০১৮ সালে ফ্রান্সে চলে আসি। এখানে  আসার পর নিজের মধ্যে কেমন জানি একটা ডিপ্রেশন কাজ করত কোনো কিছুই ভালো লাগতো না যেহেতু আমি অভিনয় জগতের মেয়ে একটা অন্যরকম একটা খারাপ লাগতো কি করব কি করব বুঝে উঠতে পারতাম না রাস্তায় গাড়িগুলো গুনতাম এত পরিমাণ ডিপ্রেশনে থাকতাম আমি যেটা বলার বাইরে ছিল।  একটা সময় আমার মাথায় আসলো আমি কেন বসে আছি আমি তো হ্যাঁ আমি টিভি নাটকে অভিনয় করতে পারছি না। ২০১৯ এ নভেম্বরের ৬ তারিখে হুট করে মাথায় আসে যে আমি এটা ইউটিউব চ্যানেল খুলি যেটাতে আমি আমার অভিনয়ের টাইপের ব্লগিং গুলো শেয়ার করব।  আমি অনেক ব্লগিং ভিডিও দেখতাম তারপর আমার মাথায় আসে সবাই তো বইয়ের ভাষায় কথা বলে আমি না হয় নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে ভিডিওগুলো বানায় হয়তোবা আমারে কথাগুলো অনেকের কাছে ভালো লাগবে। তারপর আর আমাকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি একের পর এক আমার ভিডিও ভাইরাল হওয়া শুরু করে এখনো অব্দি আমার ইউটিউবে সাবস্ক্রাইবার এর সংখ্যা তিন লক্ষ ৩১ হাজার আর আমার ফেসবুক ফলোয়ারের সংখ্যা প্রায় ১৯ লক্ষ৷ মাঝে আমার একটা চ্যানেল হ্যাক করা হয় অনেক বিষণ্নতা কাজ করে তারপর আবার নতুন করে ঘুরিয়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা আর এই সম্পূর্ণ সাহায্যটা করেছে আমার হাজব্যান্ড।  ও যদি আমার ক্যামেরা না ধরত বা ও যদি আমাকে সাহস না দিত আমি এতদূর কখনোই আসতে পারতাম না।  আজ ও সাহস দেওয়ার কারণে ও সাহায্য করার কারণে আমি এতটুকু পর্যন্ত আসছি। 

বাংলা ইনসাইডার: নতুন নাটক নিয়ে পরিকল্পনা কী?

রাখি: নাটক, অভিনয়  আমার রক্তে মিশে আছে। আমি আবার যখন বাংলাদেশে যাবো তখন আবার অভিনয় করবো কারণ এখনো তো আমি অভিনয় করছি ইউটিউবিং যে করছি কাঁচা মরিচ দিয়ে খাচ্ছি ভাত যে খাচ্ছি ক্যামেরার সামনে এটাও অভিনয় হয়তোবা অনেকে বুঝে অনেকে বোঝেনা।

রাখি   অভিনেত্রী   ইউটিউব   ব্লগার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড টক

‘আমাদের সংসদীয় ব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর যে ক্ষমতা ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর একই ক্ষমতা’

প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ২২ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশীদ বলেছেন, কোনো দেশ অন্য আরেকটি দেশের শাসন ব্যবস্থা বা সাংবিধানিক ক্ষমতা নিয়ে কথা বলতে পারে না, অধিকার নেই। সে হিসেবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কথা বলা আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে সরাসরি হস্তক্ষেপের সামিল।

সদ্য প্রকাশিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক মানবাধিকার প্রতিবেদনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশীদ এসব কথা বলেন। পাঠকদের জন্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশীদ এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক শান্ত সিংহ।

অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশীদ বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ধরনের সরকার ব্যবস্থা আছে। যেমন যুক্তরাজ্যে সংসদীয় গণতন্ত্র ব্যবস্থা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসন ব্যবস্থা। আমাদের হল সংসদীয় গণতন্ত্র ব্যবস্থা। এভাবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নিজস্ব ইতিহাস, ঐহিত্য, ভাষা ইত্যাদির আলোকে একটা শাসন ব্যবস্থা গড়ে উঠে। সে জায়গায় আমাদের সংসদীয় ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে এবং আমাদের সংসদীয় ব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর যে ক্ষমতা ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর একই ক্ষমতা। আমাদের এখানে অতিরিক্ত কিছুই নেই। 

তিনি বলেন, আমরা যেহেতু ব্রিটিশ সংসদীয় ব্যবস্থা অনুসরণ করি সেহেতু আমাদের সংসদীয় ব্যবস্থায় তো প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা থাকবেই। ব্রিটেনে এটাকে 'প্রাইম মিনিস্ট্রি সিস্টেম' বলা হয়। অর্থাৎ প্রাইম সিনিস্টারকে কেন্দ্র করে সরকার আবর্তিত হয়। বিট্রিশ কলোনীর শাসন ব্যবস্থার ধারাবাহিক হিসেবে বা ঐতিহ্য হিসেবে আমরা সেটাই অনুসরণ করি। সুতরাং আপনি এটা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো সুযোগ বা নৈতিক অধিকার নেই। 

বিশিষ্ট এই রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বলেন, কূটনীতির সম্পর্কের জায়গায় অন্য একটি দেশ আমাদের কোনো ব্যবস্থা সম্পর্কে তাদের মতামত দিতে পারে কিন্তু আমাদের শাসনতন্ত্র নিয়ে কথা বলার অধিকার রাখে না। শাসনতন্ত্র কি ভাবে চলবে সেটি ঠিক করবে এদেশের জনগণ। আমাদের শাসনতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে, লাখো শহীদের রক্তে। কাজেই এই শাসন ব্যবস্থা নিয়ে কারো কথা বলার অধিকার নেই। এটা নিয়ে কথা বলার অধিকার রাখে এদেশের জনগণ। তারাই সিদ্ধান্ত নিবে দেশে কি ধরনের শাসনতন্ত্র কায়েম হবে। কার ক্ষমতা কি হবে ইত্যাদি।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড টক

‘যুগপৎ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ব্যাপক জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চান তারা’

প্রকাশ: ০৪:০৫ পিএম, ১৮ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ।

‘শেরাটন হোটেলের লিফটের ১৪ তলায় ওপেন টু দ্য স্কাই একটি জায়গা, ছাদের ওপর। সেখানে দেখলাম একটি মঞ্চ সংস্থাপন করা হয়েছে। সেখানে জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটি- লেখা আছে। মঞ্চের ওপরে দাঁড়িয়ে আছেন কমরেড ফরহাদ মজহার, উন্নয়ন বিকল্প নীতিনির্ধারনী গবেষণার কর্ণধার এবং আমাদের সতীর্ত গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের কৃতি ছাত্র শওকত মাহমুদ। স্বাগত বক্তব্য রেখেছেন কমরেড ফরহাদ মজহার। সেখানে শওকত মাহমুদ একটি ইশতেহার পাঠ করেন- অর্থাৎ একটি প্রস্তাবনা জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটির প্রস্তাবনা। সেখানে ড. ফারহাদ নামের একজন নারী সেখানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেছেন। তারপর সবাইকে নৈশভোজে আপ্যায়িত করা হয়েছে।’  - বলছিলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি এবং জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদ (জানিপপ) এর চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ।        

গত ১৬ই মার্চ (বৃহস্পতিবার) রাজধানীর বনানীতে একটি পাঁচ তারকা হোটেলে লেখক ও কবি ফরহাদ মজহার ও সাংবাদিক শওকত মাহমুদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটির (ন্যাশনাল কমিটি ফর সিভিল রাইটস) নৈশভোজে অংশ নিয়েছেন বিরোধী দলের একাধিক রাজনৈতিক নেতা। সেখানে অতিথি হয়ে নৈশভোজে অংশ নিয়েছিলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি এবং জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদ (জানিপপ)- এর চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ। সেখানে কি হলো? -  এ নিয়ে কথা হয়েছে প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ- এর সঙ্গে। বাংলা ইনসাইডারের সাথে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি জানিয়েছেন ওই নৈশভোজে  ‘আলোচনার বিষয়বস্তু ’ কি ছিল। পাঠকদের জন্য প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ- এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের বিশেষ প্রতিনিধি আল মাসুদ নয়ন।

প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ বলেন, ‘সেখানে ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের ড. রেজা কিবরিয়া, মাহমুদুর রহমান মান্না, লে. জেনারেল (অব.) সোহরাওয়ার্দী প্রমুখ। আমি দ্বিতীয় সাড়িতে বসেছি। প্রায়  শ’ খানেক লোক ছিলেন। পেছনে কিছু চেয়ার খালিও ছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন বাঙালি নারী নাগরিক- তিনিও উপস্থিত ছিলেন, নাম সীমা। আমাদের এনবিআর- এর সাবেক চেয়ারম্যান মজিদ মহোদয় সেখানে ছিলেন। সেখানে ইশতেহারে যে বিষয়টি লক্ষণীয় সেটি হচ্ছে, তারা উপসংহারে বলেছেন যে, যথাসম্ভব একটি বৃহত্তর ঐক্যের ভিত্তিতে যৌথ কিংবা একটি যুগপৎ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ব্যাপক জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চান তারা।’

তিনি বলেন, তারা গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করতে চান। অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ হবে নতুন গঠনতন্ত্র বা শাষনতন্ত্র প্রণয়নের সভা আহবান করা এবং জনগণের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে বাংলাদেশেকে নতুনভাবে একটি শাষনতন্ত্র উপহার দেওয়া। স্বাধীন নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন অর্থাৎ নির্বাচন কমিশন পূনর্গঠন এবং নির্বাচনের সময় সকল নির্বাহী ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের অধীনে নিয়ে আসা। নতুন গঠনতন্ত্র প্রণয়নের পরপরই অন্তর্বর্তী নতুন সরকার এবং নতুন গঠনতন্ত্রের ভিত্তিতে নতুন জাতীয় নির্বাচন হবে। নতুনভাবে বাংলাদেশ গঠনের এটাই সঠিক পথ বলে তারা মনে করেন। 

প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ বলেন, ওখানে আমি অনেককেই দেখেছি- যারা দীর্ঘদিন ধরে এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত, যারা আয়োজক তাদের মতে, ১৯১৩ সালে তারা এই কমিটি গঠন করেছেন। নতুন করে তারা পুনরুজ্জীবিত করলেন এই কমিটি। এছাড়া ল্যাংলে-তে কাজ করেন বলে একজন পরিচয় দেন, অর্থাৎ আমেরিকাতে সিআইএ হেডকোয়ার্টারে তিনি কাজ করেন, নাম মাসুদ করিম। অনেক দিন থেকেই এই অঞ্চলে তাকে দেখা যায়, কখনও ব্যাংককে কখনও কাডমান্ডুতে, কখনও কলোম্বতে এবং দুবাইয়ে এসব জায়গায়- তিনি বাংলাদেশি আমেরিকান, তার এলাকা সিলেটে। আমাদের দেশের প্রথিতযশা অ্যাক্টিভিস্ট যারা রয়েছেন, তাদের সঙ্গে বিভিন্ন সময় তিনি বৈঠকে মিলিত হন। যাদের সঙ্গে তিনি (মাসুদ করিম) বৈঠকে মিলিত হয়েছেন, তাদের অনেকেই ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন। তাকে নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী একাধিক ব্যক্তি, যারা সোশ্যাল মিডিয়াতে সক্রিয় উপস্থাপক- তারা তাকে বিতর্কিতভাবে উপস্থাপন করেছেন। 

তিনি বলেন, ফলে তাকে জড়িয়ে একটা রহস্য, একটা ধোঁয়াশা ওয়াকিবহাল মহলের মধ্যে আছে। এই আয়োজনটার টাকা কোত্থেকে এসেছে- এটা নিয়েও অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনা করেছেন। প্রায় ১২ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু এই টাকা কোত্থেকে এসেছে সেটাতো কেউ বলেন নাই। তবে এইটা বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা হয়তো সহায়তা করেছেন।

তিনি বলেন, তারা একটি অন্তর্বর্তী সরকার চাচ্ছে- যে নতুন সরকার আসবে এবং একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করবে। একটা লম্বা সময় ধরে এই সরকার শাষনতন্ত্র প্রণয়ন অ্যাসেম্বলি করবে, এই প্রক্রিয়াটা তারা করবে। তারা দাবি করেছেন, ২০১৩ সাল থেকে তারা কাজ করছেন- এটা নিয়ে। তবে আমি মনে করি এটা বিএনপির উদ্যোগের কোনো আয়োজন না। কারণ সেখানে বিএনপির কোনো লোককে দেখা যায়নি। বিএনপির  অনেকেই আমন্ত্রিত হয়ে সেখানে আসেননি।     


প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ   সাক্ষাৎকার   জানিপপ   শেরাটন হোটেল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড টক

‘হুমায়ুন ফরীদি বড় অভিনেতা হওয়ার পরেও তাকে পুরস্কৃত করা হয়েছে কম’

প্রকাশ: ০৩:৫৯ পিএম, ১৭ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

ভার্সেটাইল অভিনেতা আফরান নিশো। বিভিন্ন সময় তাকে দর্শক বিচিত্র সব চরিত্রে দেখেছেন। ছোটপর্দায় ব্যাপক জনপ্রিয় এই অভিনেতা। তার নাটক মানেই ইউটিউবে মিলিয়ন মিলয়ন ভিউ।নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতেও বেশ সরব হয়েছেন এই অভিনেতা। তাঁর ভক্তদের দীর্ঘদিনের দাবি, তাকে বড়পর্দায় দেখা। অবশেষে সিনেমায় নাম লিখালেন তিনি। সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের  সাথে কথা হয় হালের আলোচিত এই অভিনেতার।

বাংলা ইনসাইডার: আপনার ওজন দেখেই মনে বেশ কমিয়েছেন। ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমার জন্যই কি ওজন কমানো? 

নিশো: এই সিনেমার জন্য ওজন কমিয়েছি ব্যাপারটা তা না। আমার নিজের জন্যই আমি ওজন কমিয়েছি। আসলে ওজন বাড়ানো সহজ কমানো কঠিন। আমার ৯১ কেজি থেকে এখন ৭৮ কেজিতে নিয়ে এসেছি। মোটামুটি ১৩ কেজির মত ওজন কমিয়েছিল। যেটা নিজের জন্য দরকার ছিল,পাশাপাশি  সিনেমার ক্যারেক্টারের সঙ্গে অনেকটা সেটা যায়। 

বাংলা ইনসাইডার: লম্বা ক্যারিয়ারে এতোদিন পর কেন মনে হল ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমাটাই করি?

নিশো: প্রত্যেক গল্পে নিজস্ব বিউটি থাকে। এই গল্পে নিশ্চয়ই ভালো লাগা আছে বলে আমাকে কানেক্ট করেছে। টিমে যারা আছে সবার কাছে প্রশ্ন ছিল গল্পটা কী ভাবিয়েছে নাকি কাজ করতে হয় তাই করছো? প্রত্যেকে সন্তোষজনকভাবে উত্তর দিয়েছে। তাই মনে হচ্ছে দর্শকরাও কানেক্ট করবেন। আমি সবসময় কাজে সততা রেখেছি। প্রতিটি কাজের আগে নার্ভাস হই, চ্যালেঞ্জ লাগে। যেহেতু এটা সিনেমা তাই যেমন বেশি অ্যাফোর্ড থাকবে তেমনভাবে রিল্যাক্স পাবো। সিনেমার জায়গাটা এখন চেঞ্জ হয়েছে। আমার পূর্বে যারা কাজ করেছেন তাদের সারাবছর ফিল্মে ব্যস্ততা দেখিনি। আমি আগে ফিল্মে আসার সৎ সাহসটা পাইনি। কিন্তু এখন ফিল্মে অনেক কিছু দেখে ‘জাস্ট ওয়াও ফ্যাক্ট’ কাজ করে। মনে হয়েছে এখন সিনেমা করা যায়। কেন ২০ বছর সিনেমা করিনি এটা আমার জন্য কোনো প্রেসার না। একটি সিনেমা করে দেখি কেমন লাগে এমন ভাবনা আমার কোনোদিনই ছিল না। পেশাদারভাবে এই সেক্টরে কাজ করতে পারবো কিনা সেটা সবসময় দেখেছি। এখন মনে হয়েছে একেবারে সঠিক সময়। একজন অভিনেতাকে পেশাদারিত্ব রাখতে গেলে বছরে কমপক্ষে দুই তিনটি সিনেমা করা লাগে। কারণ এটাই রুটি রুজি। আগে আমি পেশাদারভাবে আসতে পারছিলাম না বলে নাটকে ছিলাম। এখন সবকিছু বিবেচনা করে দেখলাম দিন বদলাচ্ছে।

বাংলা ইনসাইডার: আপনি ওয়েবে কাজ শুরুর পরে নাটক কমিয়ে দিয়েছেন, এবার সিনেমায় ব্যস্ত হলে কীভাবে নাটকে ফিরবেন?

নিশো: আমি নাটক থেকে বেড়ে ওঠা মানুষ। কিন্তু বারবারই বলি, যখন প্ল্যাটফর্ম সুইচ করি, তখন সেই প্ল্যাটফর্মের ব্যস্ততা আমাকে অন্য প্ল্যাটফর্মে কাজ করতে দেয় না। এখন সিনেমা যদি ওয়ার্ক করে, ফিল্মে যদি একটি জায়গা তৈরি হয়, তখন স্বাভাবিকভাবেই ফিল্ম নিয়ে থাকতে হবে। কারণ, সবাই সিনেমার জন্য ডাকবেন।

বাংলা ইনসাইডার: ‘সুড়ঙ্গ’ নিয়ে কতটা আশাবাদী? 

নিশো: প্রথম কাজে একটু রিস্ক থাকে। যেহেতু সবাই আমরা হার্ড ওয়ার্কিং সবাই ডেডিকেটেড। আমাদের ডিওপি এক মাসের বেশি সময় ধরে এটার সাথে কাজ করছে। পুরো টিম এক সঙ্গে আছে। ভালো কিছু হবে আশা করি। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।

বাংলা ইনসাইডার: আপনার অর্জিত সব পুস্কারই আপনি হুমা হুমায়ুন ফরীদিকে দিয়ে থাকেন। আসলে এর কারণটা কি? 

নিশো:  আমি সর্বপ্রথম ব্যক্তি হুমায়ুন ফরীদির প্রেমে মশগুল হয়েছি, পরে তার পারফর্মেন্সে মুগ্ধ হয়েছি। আমি তাকে অনুসরণ করিনা, অনুকরণ করি কিছু কিছু ক্ষেত্রে। তার এটিটিউড ভাইব আমার সাথে মিলে যায়। তার সাথে আমার কনভারসেশন মিলতো, মেন্টাল কানেকশন ছিল। তিনি বড় অভিনেতা হওয়ার পরেও তাকে পুরস্কৃত করা হয়েছে কম। তাই আমার নিজস্ব ইচ্ছা আমার সকল পুরস্কার তাকে দেই। এটা আমার একধরনের প্রতিবাদ। উনি যে মাপের অভিনেতা তাকে সেই উঁচুমানের চরিত্রগুলো আমরা তাকে দিতে পারিনি।

হুমায়ুন ফরীদি   নিশো   সুড়ঙ্গ   তমা মির্জা   সিনেমা   রাফি   হুমায়ুন ফরীদি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড টক

‘আপনি যাই করেন, প্রতিবন্ধী মানুষদের বাদ দিয়ে কিছু করা যাবে না’

প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ১৬ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

‘১৯৯২ সাল থেকে এই সংগঠনের মাধ্যমে আমি জাতিসংঘের সাথে প্রতিবন্ধী বিষয়ক কাজ করেছি, অংশগ্রহণ করেছি। ইউএনস্কেপ- এর অ্যাওয়ার্ডটা এক বারই হয়েছে। এইটা হয়েছে ২০১২ সালে। এই অ্যাওয়ার্ডটা আমাকে দিয়েছে এই কারণে যে, ওনাদের বিবেচনায় আমার কাজের প্রতি তারা সন্তুষ্ট হয়েছে, এটা একটা ভিন্ন রকম কাজ ছিল এবং এই সেক্টরে যারা কাজ করেছেন- তাদের মধ্য থেকে আমার কর্মকাণ্ডটা প্রতিবন্ধী মানুষদের অধিকার প্রতিষ্ঠায়- তাদের উন্নয়নে অবদান রেখেছে এবং প্রতিবন্ধী বিষয়ক তাদের যে মানবাধিকার আছে- সেই কারণেই মূলত আমাকে এই অ্যাওয়ার্ডটি দেওয়া হয়। তাছাড়া ইউনাইটেড ন্যাশন কনভেনশন অন রাইটস অব পার্সোনাল ডিসাবিলিটি (ইউএনসিআরপিডি)- এটিও একটি আন্তর্জাতিক সনদ- এই সনদটি পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি দেশ স্বাক্ষর করেছে। এই সনদটি স্বাক্ষর করার ক্ষেত্রেও ১৯৯৬ সালের পরের দিকে আমি সম্পৃক্ত ছিলাম। এটিও একটি মানবাধিকার কনভেনশন- এটির মূল কথা হচ্ছে- আপনি যাই করেন প্রতিবন্ধী মানুষদের বাদ দিয়ে কিছু করা যাবে না।’- বলছিলেন বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী কল্যাণ সমিতির প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক এবং মানবাধিকার কর্মী আবদুস সাত্তার দুলাল

২০১২ সালে ইউএনস্কেপ ডিসাবিলিটি রাইটস চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছেন বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী কল্যাণ সমিতির প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক এবং মানবাধিকার কর্মী আবদুস সাত্তার দুলাল। সম্প্রতি কথা হয় বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী কল্যাণ সমিতির প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক এবং মানবাধিকার কর্মী আবদুস সাত্তার দুলাল- এর সঙ্গে। বাংলা ইনসাইডারের সাথে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি জানিয়েছেন একজন প্রতিবন্ধী মানুষ হিসেবে তার এই অর্জন, প্রতিবন্ধীদের জন্য করণীয় এবং প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ- এর কথা। পাঠকদের জন্য আবদুস সাত্তার দুলাল- এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের বিশেষ প্রতিনিধি আল মাসুদ নয়ন। 

আবদুস সাত্তার দুলাল বলেন, ইউএনসিআরপিডি-তে যেসব রাষ্ট্রসমূহ স্বাক্ষর করেছে, তারা তাদের রাষ্ট্রগুলোতে প্রতিবন্ধীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এখন আমরা এসডিজির কথা শুনছি- কেউ পিছনে পড়ে থাকবে না। এটাও কিন্তু আমরা প্রমোট করেছি। এমডিজি-তে প্রতিবন্ধী মানুষদের কথা ছিল না। এসডিজি-তে এই বিষয়টি তৈরি হয়েছে আমাদের প্রভাবের কারণে। সেখানে ‘নাথিং ইউথ আউট আস-অ্যাবাউট আস’- এইটা আমাদের একটা শ্লোগান।  ‘নো ওয়ান লেফট বিহাইন্ড’- কেউ পেছনে পড়ে থাকবে না- এইটা কিন্তু এসডিজিতে যুক্ত হয়েছে। সতরাং সকলকে নিয়ে আপনাকে এগুতে হবে। 

তিনি বলেন, পৃথিবীতে- এই সমাজ এই রাষ্ট্রে প্রতিবন্ধী মানুষদের অবদান আছে। আমি একজন প্রতিবন্ধী মানুষ, আমি প্রতিদিন খাচ্ছি, বাজার করছি, একটি জামা কিনছি- এতে সরকার পরোক্ষভাবে ট্যাক্স পাচ্ছে। এই ট্যাক্সতো আমি দিচ্ছি। বাংলাদেশে যদি এক কোটি প্রতিবন্ধী মানুষ থাকে- ১৫% ট্যাক্স যদি মানুষের কাছ থেকে সরকার পায়, তাহলে প্রতিবছর সরকার প্রতিবন্ধী মানুষের কাছ থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা ট্যাক্স পায়। এর প্রতিদান সরূপ সরকার যেন এতোটুকু বুঝতে পারে- তারা যেন প্রতিবন্ধী মানুষদের দায়িত্ব নেয়, ভূমিকা নেয়। বর্তমান সরকার প্রতিবন্ধী মানুষদের জন্য অনেকগুলো কাজ করেছে। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেশ কিছু কাজ করেছেন। আমরা ২০১০ সালে উনার সঙ্গে দেখা করেছি। বিশেষ করে একটি আইন- ‘প্রতিবন্ধী সুরক্ষা আইন- ২০১৩’ তিনি অনুমোদন করেছেন। ভাতাটাকে তিনি অনুমোদন করেছেন।

আবদুস সাত্তার দুলাল বলেন, আরও অনেক ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নে কাজ করছে সরকার। শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধীদের বৃত্তি দিচ্ছে। এছাড়া প্রতিবন্ধীদের চাকরির ব্যবস্থাও করছে সরকার। আজকে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে, তিনি এই প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করছেন। মানুষের ভেতরে এই পরিবর্তনগুলো কিভাবে এসেছে, কারণ আমাদের কাজ, আমরা কাজ করেছি। এইটাকে এক সময় দয়ার কাজ মনে করা হতো, করুণা করা হতো। প্রতিবন্ধীদের বাদ রাখা হতো। অনেক ধনী পরিবারে তাদেরকে আলাদা করে রাখা হতো, বেঁধে রাখা হতো। এখন আর সেই জায়গা নেই। এখন পরিবর্তন হয়ে গেছে। অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে। প্রতিবন্ধী মানষরা সাড়া বিশ্বে আজকে তারা একত্রিত হয়েছে। প্রতি ৬ জনে একজন প্রতিবন্ধী বলা হয়, এটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গত বছরের বিশ্ব প্রতিবেদন অনুযায়ী। এটা সারা পৃথিবীতে এখন সার্বজনীনভাবে বলা হচ্ছে ১৫% মানুষ প্রতিবন্ধী মানুষ।     


আবদুস সাত্তার দুলাল   প্রতিবন্ধী কল্যাণ সমিতি   ইউএনস্কেপ ডিসাবিলিটি রাইটস চ্যাম্পিয়ন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন