‘বঙ্গবন্ধু তো তাঁর সমগ্র জীবনে- তিনি শুধু মানুষের জন্য কাজ করেছেন। এবং যত দিন যাচ্ছে ততো বেশি- বঙ্গবন্ধু আমাদের জন্য কি করে গেছেন- তা প্রকাশিত হচ্ছে। এক সময় তো আমরা এগুলো জানতে পারতাম না। বঙ্গবন্ধু সুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে আমরা বঙ্গবন্ধুর ডায়েরি থেকে যে বই তিনটি পেয়েছি- এটাতো ইতিহাসের তিনটি আকরগ্রন্থ। এবং ‘কনফিডেন্সিয়াল ডায়েরি অন দ্যা নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’- এই যে ১৪ খণ্ডের, ৬২ হাজার পৃষ্ঠার যে অমূল্য সম্পদ- সেখান থেকে ১৪ খণ্ডের মধ্যে ১১ খণ্ড ইতিমধ্যে বের হয়েছে। এখানে পাকিস্তান গোয়েন্দা সংস্থারা পাকিস্তানের সরকারের পক্ষ হয়ে তারা বঙ্গবন্ধুকে প্রতিমুহূর্তে অনুসরণ করতো। এই রিপোর্টগুলো যখন প্রকাশিত হচ্ছে তখন জানা যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু এই বাঙালি জাতির জন্য কি কি করে গেছেন এবং তারা (পাকিস্তানিরা) কি দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখেছেন বঙ্গবন্ধুকে। স্কুল, কলেজে যখন পড়তাম- তখন শুনেছি বঙ্গবন্ধুর ঘুমানোর সময় ছিল না। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর এই তিনটি আকরগ্রন্থ এবং ‘সিক্রেটস ডকুমেন্টস অন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’- যে ১১ খণ্ড ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে- এগুলো তো আমাদের চোখ খুলে দিচ্ছে। আমি জ্ঞান হওয়ার পর থেকেই বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে জানা-শোনার চেষ্টা করেছি। এটার জন্য আমি দেশের বিভিন্ন জায়গার মানুষের সাথে কথা বলেছি, যারা বঙ্গবন্ধুকে কাছ থেকে দেখেছেন তাদের সাথে কথা বলেছি, সাক্ষাৎকার নিয়েছি।’- বলছিলেন বাংলা একাডেমি পুরষ্কারপ্রাপ্ত বঙ্গবন্ধু বিষয়ক গবেষক সুভাষ সিংহ রায়।
সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু বিষয়ক গবেষণার জন্য বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরষ্কার পেয়েছেন সাবেক ছাত্রনেতা, কলামিস্ট, বঙ্গবন্ধু বিষয়ক গবেষক সুভাষ সিংহ রায়।- এই পুরষ্কার প্রাপ্তিতে তাঁর অনুভূতি, গবেষণালব্ধ সময়কাল এবং গবেষণা থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন তথ্য- এসব বিষয় নিয়েই বাংলা ইনসাইডারের সাথে কথা হয়েছে বঙ্গবন্ধু বিষয়ক গবেষক সুভাষ সিংহ রায়- এর সঙ্গে। তিনি বাংলা ইনসাইডারের সাথে একান্ত আলাপচারিতায় জানিয়েছেন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরষ্কার প্রাপ্তিতে তার অনুভূতি, গবেষণা থেকে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত এবং এই গবেষণার সময়কাল- সে সব বিষয়। পাঠকদের জন্য সুভাষ সিংহ রায় - এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার- এর নিজস্ব প্রতিবেদক আল মাসুদ নয়ন।
সুভাষ সিংহ রায় বলেন, ১৯৫৪ সালে বঙ্গবন্ধুর বয়স যখন ৩৪ বছর তখন শাহ আব্দুল করিম, তিনি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গান লিখেছেন এবং বঙ্গবন্ধুকে বাংলার নয়নতারা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। ১৯৫২ সালে বঙ্গবন্ধুর বয়স যখন ৩২ বছর, তখন তিনি নয়া চীনে (বর্তমান চীন) আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলনে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলনে তিনি যা যা দেখেছেন এবং যা যা আমাদের করণীয়, কৃষিতে তাদের আগ্রহের জায়গা, শিল্পখাতে আগ্রহের জায়গা, নারীর অংশগ্রহণের আগ্রহের জায়গা, তিনি তা অত্যন্ত খুটিয়ে খুটিয়ে দেখেছেন এবং তাঁর ডায়েরিতে লিখে রেখেছেন।- আমরা তো এই অমূল্য সম্পদ আকরগ্রন্থ পেতাম না, যদি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের সে সুযোগ করে না দিতেন।
সুভাষ সিংহ রায় বলেন, ১৯৫২ সালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলনে বাংলায় বকতৃতা দিয়েছিলেন। পাকিস্তানের সরকার তখন ক্ষমতাসীন এবং সবেমাত্র ১৯৫২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু কারামুক্ত হলেন (১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সময় তিনি কারাগারে ছিলেন)। কারামুক্ত হয়েই সেপ্টেম্বর মাসে তিনি নয়াচীনে আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলনে গেলেন। সেখানে তিনি বাংলায় বক্তৃতা দিলেন। সেখানে অনেকের সাথে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করতে গিয়েছিলেনে একজন বিখ্যাত লেখক মনোজ বসু। তিনি (বঙ্গবন্ধু) যখন বাংলায় বক্তৃতা করলেন, তখন মনোজ বসু ছুটে এসে শেখ মুজিবুর রহমানকে জড়িয়ে ধরে বললেন, ‘সারা পৃথিবীতে বাংলার মান তুমিই কেবল রেখেছ’।
তিনি বলেন, ১৯৭৪ সালে ১৭ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধুর সৃজনশীল কূটনৈতিক দক্ষতায় চীনের দুই দু’বার ভেটো দেবার পরও তিনি আমাদের জাতিসংঘের সদস্য পদ লাভ করিয়ে দিয়েছেন। ২৫ সেপ্টেম্বর তিনি জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেষনে বাংলায় ভাষণ দিয়েছেন। সেই ভাষণ এখন সারা পৃথিবীর নির্যাতিত, নিপীড়িত, বঞ্চিত মানুষের জন্য এখনও পথ দেখাচ্ছে। তিনি তার ভাষণে যে বলেছিলেন- ‘সবার সাথেই বন্ধুত্ব এবং কারো সাথেই বৈরিতা নয়’। দুই মাস আগেই বঙ্গবন্ধুর এই উক্তি জাতিসংঘের মুখবন্ধে তারা যুক্ত করেছেন।
এই পুরষ্কারপ্রাপ্তিতে তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী (যাকে অনুপ্রেরণার উৎস মনে করেন) এবং যারা যারা এই গবেষণায় তাকে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সাহায্য-সহযোগীতা করেছেন তাদের সকলের প্রতি ধন্যবান জ্ঞাপন করেন। আর অনুভূতির কথা যদি বলেন, তা বলে প্রকাশ করা যাবে না। ১৯৮৩/৮৪ সালে ঢাকা বিশ্বদ্যালয়ে ছাত্র থাকা অবস্থায় এই গবেষণা শুরু করেছিলেন, আর প্রাপ্তিটা এলো ২০২৩ সালে বলেও জানান তিনি।
শাহ আব্দুল করিম বঙ্গবন্ধু বাংলার নয়নতারা সুভাস সিংহ রায় বঙ্গবন্ধু গবেষক বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ঘরের দরজা ভেঙে বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী সাদি মহম্মদের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কুমিল্লা শহরে নিজেদের বাড়িতে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। এ ধরনের আত্মহত্যার ঘটনা চলছে। আত্মহত্যা প্রতিরোধের উপায় কী অথবা আত্মহত্যা করতে চাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ মানুষটির প্রতি পরিবার, সমাজ, গণমাধ্যমের ভূমিকা কতটুকু—এসব নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে কথা বলেছেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক হেলাল উদ্দীন আহমেদ। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের প্রতিবেদক খাদিজা ভৌমী।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, ভারতের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ও মদদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে বা আছে—বিএনপির এধরনের কথাবার্তা স্রেফ তাদের হঠকারিতা। ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা যেভাবে আমাদের সহযোগিতা করেছে আপনি কি সেটা অস্বীকার করতে পারবেন কিংবা তাদের অবদানকে কোন ভাবে অবমূল্যায়ন করতে পারবেন? এটা কোন ভাবেই সম্ভব না। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ভারতের অবদানের জন্যই তারা আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু রাষ্ট্র।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ও চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক বলেছেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার স্বাস্থ্য খাতের দায়িত্ব পেয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। গতকাল তিনি আনুষ্ঠানিক ভাবে এই দায়িত্ব ভার গ্রহণ করেছেন। এর আগে বাংলাদেশের কেউই এই দায়িত্বে ছিলেন না। আমরা খুবই সৌভাগ্যবান যে, আমরা সায়মা ওয়াজেদকে আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে পাচ্ছি। এটা বাংলাদেশ তথা এদেশের জনগণের জন্য একটি বিরাট প্রাপ্তি। সায়মা ওয়াজেদ স্বাস্থ্য খাতে খুব অভিজ্ঞ একজন ব্যক্তিত্ব। আমরা জানি সে অনেক দিন ধরে সারা বিশ্বে অটিজম এবং নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডার নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞ উপদেষ্টা প্যানেলেরও সদস্য। তাছাড়া ডব্লিউএইচওর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে ‘অটিজম-বিষয়ক শুভেচ্ছা দূত’ হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করছেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেছেন, টিআইবি এখন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর ভূমিকা পালন করছে। টিআইবি এবং সিপিডি যারা করে এরা একই ঘরানার। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন পদ্মা সেতু জনগণের অর্থায়নে করার ঘোষণা করেন সে সময় এরা বলেছিল বাংলাদেশে এটা অসম্ভব। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করলে অর্থনীতির একটা ধস নামবে, অর্থের অপচয় হবে। টিআইবি তো কোন সময় বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ভালো চোখে দেখে না। টিআইবি’র এখানে (বাংলাদেশ) যারা নেতৃত্ব দেন তারা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রুমে বসে মনগড়া বিবৃতি দেয়। তারা জনগণের চোখের ভাষা বুঝে না বরং তারা পিছনের দরজা দিয়ে কোনো রকম নিজের গাড়িতে একটি পতাকা লাগানো যায় কিনা সেই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকে এবং এই স্বপ্নে বিভোর থাকে। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে টিআইবি মনগড়া তথ্য-উপাত্ত জাতির সামনে হাজির করে জাতিকে বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।