ইনসাইড টক

আমার জার্নিটা এত সহজ ছিলো না: বাঁধন

প্রকাশ: ০৩:৫৮ পিএম, ১০ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

জনপ্রিয় অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ সিনেমায় অভিনয় বিশ্বব্যাপী পরিচিতি পেয়েছেন তিনি। আবদুল্লাহ মোহাম্মাদ সাদ নির্মিত এই সিনেমার জন্য বাঁধনের ঝুলিতে জমা পড়েছে অনেক আন্তর্জাতিক সম্মাননা। এবার সিনেমাটির জন্য সেরা অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করলেন বাঁধন।

বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফেম মিলনায়তনে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২১ প্রদান করা হয়। এ সময় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পুরস্কার প্রাপ্তির অনুভুতি সহ সমসাময়িক কাজ নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের কথা হয় এই অভিনেত্রীর। 



বাংলা ইনসাইডার: প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার গ্রহন, কেমন লাগছে বিষয়টি? 

বাঁধন: আসলে প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে রাষ্ট্রীয় এ সর্বচ সম্মাননা গ্রহণ করার এই অনুভূতি  ভীষণ আনন্দের, ভীষণ সম্মানের। আসলে অনুভূতিটা বলে বুঝাতে পারবো না। কারণ অনেক অল্প সময়েই সব কিছু হয়েছে। আমি যখন পুরস্কারটি নিয়ে পিছনে বসে ছিলাম তখন সত্যিকার অর্থে আমার খুব কান্না পাচ্ছিলো। কারণ আমার জার্নিটা এত সহজ ছিলো না। এত বছর পর তাও প্রায় ১৭ বছর পর এই সম্মাননা পেলাম এটি আমার জন্য অনেক আনন্দের। 



বাংলা ইনসাইডার: প্রধানমন্ত্রীর সাথে কী কোন কথা হয়েছে? 

বাঁধন: আপার সাথে আমার আসলে ঐভাবে কথা হয়নি। তবে যতটুকু সময় পেয়েছি ততটুকুর মাঝে আমি আপাকে ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ ছবিটি দেখার অনুরোধ করেছি এবং দেখে তার পতিক্রিয়া জানাতে বলেছি। কারণ এই সিনেমাটি বাংলাদেশকে বিশ্বের মানচিত্রে এক অন্য জায়গায় নিয়ে গিয়েছে।



বাংলা ইনসাইডার: নতুন কি কাজ করছেন?

বাঁধন:  আসলে তেমন ভাবে এখন কোন কাজ করছি না তবে ওটিটি প্লাটফর্ম হইচইয়ের জন্য একটি কাজ করছি। পাশপাশি কয়েকটি নতুন কাজের কথা চলছে সব ঠিক হলে জানাবো। 

আজমেরি হক বাঁধন   রেহানা মরিয়ম নূর   জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড টক

‘আওয়ামী লীগ যারা পছন্দ করে না, তাদেরতো একটি জায়াগায় যেতে হবে’

প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ৩০ মে, ২০২৩


Thumbnail

যারা সরকার, আওয়ামী লীগ বা নৌকা পছন্দ করে না, তাদেরতো একটি জায়াগায় যেতে হবে। তাই আমি সবাইকে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী ধরেই ২১ জুনের নির্বাচনের জন্য পূর্ণ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।‘– কথাগুলো বলছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। 

আগামী ২১ জুন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এই নির্বাচনে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী। তবে বিএনপি এই নির্বাচনে কোন প্রার্থী দেয়নি। শেষ মুহুর্তে নির্বাচন করবে না বলে জানান আরিফুল হক চৌধুরী। বিএনপি’র প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন এই নির্বাচনকে কতটা গুরুত্বের সাথে দেখছেন এবং সিলেট নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি এসব বিষয়ে বাংলা ইনসাডারের সাথে কথা হয় আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর। পাঠকদের জন্য আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী-এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের নিজস্ব প্রতিবেদক আসাদুজ্জামান খান।

সিলেট সিটি নির্বাচনে যেহেতু বিএনপি’র কোন প্রার্থী নেই, এই নির্বাচনটিকে কতটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ মনে করছেন? - এমন প্রশ্নের উত্তরে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, আমি মনে করি সিলেট নির্বাচনে প্রতিযোগিতা হবে। আমি প্রত্যেক প্রার্থীকে প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করেই কাজ করছি। আমি কখনোই মনে করছি না যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে না। বিষয়টি হচ্ছে, যারা সরকার, আওয়ামী লীগ বা নৌকা পছন্দ করে না, তাদেরতো একটি জায়াগায় যেতে হবে। তাই আমি সবাইকে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী ধরেই ২১ জুনের নির্বাচনের জন্য পূর্ণ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

যেহেতু লম্বা সময় আপনি দেশের বাইরে ছিলেন, সেহতু সিলেটের মানুষের সাথে আপনার সংযোগ নেই বলে অনেকে মনে করছে। এ বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন? – এমন প্রশ্নে আনোয়ারুজ্জামান বলেন, এটা সম্পূর্ণ ভুল। সিলেটের মানুষের সাথে আমার সংযোগ আগেও ছিল, এখনও আছে। মানুষজন আমাকে উল্টো ইতিবাচকভাবে নিয়েছে। যেহেতু আমি বিদেশে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং লোকাল গভর্মেন্টে ভলেন্টিয়ার হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছি এটিকে সবাই ইতিবাচকভাবেই নিচ্ছে। আর আমি কিন্তু রাজনীতি থেকে কখনোই অনুপস্থিত ছিলাম না। আমি একজন তৃণমূলের রাজনৈতিক কর্মী। আমার জন্ম সিলেটে, আমার স্কুল কলেজও সিলেটেই। আমি রাজনীতি শুরু করেছি সিলেটে। সেই হিসেবে বিগত প্রত্যেকটি নির্বাচনে আমি কাজ করেছি। ড. এ কে মোমেন সাহেবের নির্বাচনে আমি কাজ করেছি। সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান সাহেবের পক্ষেও আমি কাজ করেছি। 

সিলেট শহরকে আপনি কিভাবে দেখতে চান, আপনার পরিকল্পনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সিলেটের প্রধান সমস্যা হল নালা-নর্দমার ময়লা-আবর্জনা। সিলেট নগরটিকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে হবে। সিলেটে জলাবদ্ধতাও একটি বড় সমস্যা, একটু বৃষ্টি হলেই শহর ডুবে যায়। আমরা চাই এই জলাবদ্ধতা থেকে সিলেটবাসীকে মুক্ত করতে। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন করা, সুরমা নদি খনন, শহর রক্ষা বাধ ইত্যাদি ব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করব। 

তিনি বলেন, নগরবাসীর নিরপত্তা নিশ্চিত করতে পুরো শহরকে সিসিটিভি’র আওতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা আছে আমাদের। আমাদের ১ হাজারের মত লোক এখন আউটসোর্সিং করছে, আমাদের টার্গেট এই সংখ্যাকে ৫০ হাজারে নিয়ে যাওয়া। সিটিতে আমরা একটি হাব খুলে দিব এবং আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলে পে-পালকে নিয়ে আসার একটি পরিকল্পনা আমাদের আছে। এতে করে টাকা নিয়ে আসতে তাদের সুবিধা হবে। আমাদের সিলেটে যেহেতু কোন ইন্ডাস্ট্রি নেই, সে হিসেবে আমরা পর্যটন খাতকে আরও প্রাধান্য দিব। যাতে পর্যটন নগরী হিসেবে সিলেট আরও সমৃদ্ধ হয়ে উঠে।


মন্তব্য করুন