ইনসাইড টক

‘যুগপৎ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ব্যাপক জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চান তারা’

প্রকাশ: ০৪:০৫ পিএম, ১৮ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ।

‘শেরাটন হোটেলের লিফটের ১৪ তলায় ওপেন টু দ্য স্কাই একটি জায়গা, ছাদের ওপর। সেখানে দেখলাম একটি মঞ্চ সংস্থাপন করা হয়েছে। সেখানে জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটি- লেখা আছে। মঞ্চের ওপরে দাঁড়িয়ে আছেন কমরেড ফরহাদ মজহার, উন্নয়ন বিকল্প নীতিনির্ধারনী গবেষণার কর্ণধার এবং আমাদের সতীর্ত গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের কৃতি ছাত্র শওকত মাহমুদ। স্বাগত বক্তব্য রেখেছেন কমরেড ফরহাদ মজহার। সেখানে শওকত মাহমুদ একটি ইশতেহার পাঠ করেন- অর্থাৎ একটি প্রস্তাবনা জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটির প্রস্তাবনা। সেখানে ড. ফারহাদ নামের একজন নারী সেখানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেছেন। তারপর সবাইকে নৈশভোজে আপ্যায়িত করা হয়েছে।’  - বলছিলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি এবং জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদ (জানিপপ) এর চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ।        

গত ১৬ই মার্চ (বৃহস্পতিবার) রাজধানীর বনানীতে একটি পাঁচ তারকা হোটেলে লেখক ও কবি ফরহাদ মজহার ও সাংবাদিক শওকত মাহমুদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটির (ন্যাশনাল কমিটি ফর সিভিল রাইটস) নৈশভোজে অংশ নিয়েছেন বিরোধী দলের একাধিক রাজনৈতিক নেতা। সেখানে অতিথি হয়ে নৈশভোজে অংশ নিয়েছিলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি এবং জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদ (জানিপপ)- এর চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ। সেখানে কি হলো? -  এ নিয়ে কথা হয়েছে প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ- এর সঙ্গে। বাংলা ইনসাইডারের সাথে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি জানিয়েছেন ওই নৈশভোজে  ‘আলোচনার বিষয়বস্তু ’ কি ছিল। পাঠকদের জন্য প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ- এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের বিশেষ প্রতিনিধি আল মাসুদ নয়ন।

প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ বলেন, ‘সেখানে ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের ড. রেজা কিবরিয়া, মাহমুদুর রহমান মান্না, লে. জেনারেল (অব.) সোহরাওয়ার্দী প্রমুখ। আমি দ্বিতীয় সাড়িতে বসেছি। প্রায়  শ’ খানেক লোক ছিলেন। পেছনে কিছু চেয়ার খালিও ছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন বাঙালি নারী নাগরিক- তিনিও উপস্থিত ছিলেন, নাম সীমা। আমাদের এনবিআর- এর সাবেক চেয়ারম্যান মজিদ মহোদয় সেখানে ছিলেন। সেখানে ইশতেহারে যে বিষয়টি লক্ষণীয় সেটি হচ্ছে, তারা উপসংহারে বলেছেন যে, যথাসম্ভব একটি বৃহত্তর ঐক্যের ভিত্তিতে যৌথ কিংবা একটি যুগপৎ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ব্যাপক জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চান তারা।’

তিনি বলেন, তারা গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করতে চান। অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ হবে নতুন গঠনতন্ত্র বা শাষনতন্ত্র প্রণয়নের সভা আহবান করা এবং জনগণের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে বাংলাদেশেকে নতুনভাবে একটি শাষনতন্ত্র উপহার দেওয়া। স্বাধীন নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন অর্থাৎ নির্বাচন কমিশন পূনর্গঠন এবং নির্বাচনের সময় সকল নির্বাহী ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের অধীনে নিয়ে আসা। নতুন গঠনতন্ত্র প্রণয়নের পরপরই অন্তর্বর্তী নতুন সরকার এবং নতুন গঠনতন্ত্রের ভিত্তিতে নতুন জাতীয় নির্বাচন হবে। নতুনভাবে বাংলাদেশ গঠনের এটাই সঠিক পথ বলে তারা মনে করেন। 

প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ বলেন, ওখানে আমি অনেককেই দেখেছি- যারা দীর্ঘদিন ধরে এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত, যারা আয়োজক তাদের মতে, ১৯১৩ সালে তারা এই কমিটি গঠন করেছেন। নতুন করে তারা পুনরুজ্জীবিত করলেন এই কমিটি। এছাড়া ল্যাংলে-তে কাজ করেন বলে একজন পরিচয় দেন, অর্থাৎ আমেরিকাতে সিআইএ হেডকোয়ার্টারে তিনি কাজ করেন, নাম মাসুদ করিম। অনেক দিন থেকেই এই অঞ্চলে তাকে দেখা যায়, কখনও ব্যাংককে কখনও কাডমান্ডুতে, কখনও কলোম্বতে এবং দুবাইয়ে এসব জায়গায়- তিনি বাংলাদেশি আমেরিকান, তার এলাকা সিলেটে। আমাদের দেশের প্রথিতযশা অ্যাক্টিভিস্ট যারা রয়েছেন, তাদের সঙ্গে বিভিন্ন সময় তিনি বৈঠকে মিলিত হন। যাদের সঙ্গে তিনি (মাসুদ করিম) বৈঠকে মিলিত হয়েছেন, তাদের অনেকেই ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন। তাকে নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী একাধিক ব্যক্তি, যারা সোশ্যাল মিডিয়াতে সক্রিয় উপস্থাপক- তারা তাকে বিতর্কিতভাবে উপস্থাপন করেছেন। 

তিনি বলেন, ফলে তাকে জড়িয়ে একটা রহস্য, একটা ধোঁয়াশা ওয়াকিবহাল মহলের মধ্যে আছে। এই আয়োজনটার টাকা কোত্থেকে এসেছে- এটা নিয়েও অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনা করেছেন। প্রায় ১২ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু এই টাকা কোত্থেকে এসেছে সেটাতো কেউ বলেন নাই। তবে এইটা বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা হয়তো সহায়তা করেছেন।

তিনি বলেন, তারা একটি অন্তর্বর্তী সরকার চাচ্ছে- যে নতুন সরকার আসবে এবং একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করবে। একটা লম্বা সময় ধরে এই সরকার শাষনতন্ত্র প্রণয়ন অ্যাসেম্বলি করবে, এই প্রক্রিয়াটা তারা করবে। তারা দাবি করেছেন, ২০১৩ সাল থেকে তারা কাজ করছেন- এটা নিয়ে। তবে আমি মনে করি এটা বিএনপির উদ্যোগের কোনো আয়োজন না। কারণ সেখানে বিএনপির কোনো লোককে দেখা যায়নি। বিএনপির  অনেকেই আমন্ত্রিত হয়ে সেখানে আসেননি।     


প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ   সাক্ষাৎকার   জানিপপ   শেরাটন হোটেল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড টক

‘এখন সবচেয়ে জরুরী হলো দলকে এক কেন্দ্রে নিয়ে আসা’

প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ২৯ মে, ২০২৩


Thumbnail

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, বিএনপি এখন একটা ফানুসে পরিণত হয়েছে, একটা সার্কাসে পরিণত হয়েছে। তারা জনগণের যে অভিব্যক্তি, সেটা বুঝতে পারছে না। গাজীপুরের জনগণ একটি জিনিস প্রমাণ করেছে যে জনগণ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তার সংকল্পের সাথে তারা এক এবং অভিন্ন। যেকারণে বিএনপি এখন নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে। কিন্তু তাদের এই নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র জনগণ ব্যর্থ করে দিয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের ব্যাপক উপস্থিতি হবে। ভোটাররা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়ে বিএনপিকে রেড কার্ড দেখাবে।

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন সদ্য সমাপ্ত হয়েছে। সামনে আরও কয়েকটি সিটি নির্বাচন রয়েছে এবং এরপর দেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এসমস্ত বিষয় নিয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে আলাপচারিতায় জাহাঙ্গীর কবির নানক এসব কথা বলেন।

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হেরে যাওয়ার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, জয়-পরাজয় এটা স্বাভাবিক। কিন্তু বিরোধী দলগুলো বিদেশীদের কাছে বুঝানোর অপচেষ্টা করেছে যে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নিরপেক্ষে নির্বাচন সম্ভব নয়। কিন্তু সেটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। কাজেই এখানে সত্যের জয় হয়েছে, এখানে বাংলাদেশের সংবিধানের জয় হয়েছে, এখানে শেখ হাসিনার জয় হয়েছে।

গাজীপুরের মতো আগামী জাতীয় নির্বাচন নিরপেক্ষ করার কি সম্ভব কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, নির্বাচন তো এমনি হওয়া উচিত। আমি বিশ্বাস করি, জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে কারণ জনগণ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে উন্নয়ন, অগ্রগতি এবং শান্তি পেয়েছে এবং যে স্বপ্ন দেখেছে, স্বপ্নের বাস্তবায়ন দেখেছে কাজেই জনগণ শেখ হাসিনার পক্ষেই থাকবে। এখানে আমি একটি বিষয় বলে রাখতে চাই সেটি হলো ১৯৭০ সালে নির্বাচন হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর নৌকার নির্বাচন আর এবারের নির্বাচনের প্রতীক হবে শেখ হাসিনার নৌকার নির্বাচন। শেখ হাসিনার নৌকা নিয়ে যে গ্রহণযোগ্য প্রার্থী দাঁড়াবেন তাকে মানুষ বিপুল ভোট জয়যুক্ত করবে।

আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিরসনে দলের সিদ্ধান্ত জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের এই প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, চেষ্টা করলে যে কোনো ব্যাপারে সফল হওয়া যায়। আমি সিলেটের উদাহরণ দিয়ে বলতে পারি সিলেটে বহু যোগ্য প্রার্থী সিটি নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলো, দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলো। লোকে বলে গত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মরহম বদর উদ্দিন আহমেদ কামরান সাহেব পরাজিত হয়েছে আমাদের দলীয় কোন্দলের কারণে। কিন্তু আমি আপনাকে বলতে পারি এবার সিলেট রাজনীতিতে যে কোনো সময়ের চেয়ে দল ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছে দলীয় প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামানের পক্ষে। দলকে ঐক্যবদ্ধ করা, কাউন্সিল করা এটা কিন্তু আমাদের দায়িত্ব এবং কর্তব্য। যার যার দায়িত্ব তাকে যথাযথভাবে পালন করতে হবে এবং দায়িত্ব পালন করলে ফল যে আসে তার প্রমাণ সিলেটে নির্বাচনে পাবেন। 

তিনি আরও বলেন, সিলেটের এর চেয়েও শোচনীয় পরিবেশ ছিলো নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে। সে নির্বাচনে আমরা প্রমাণ করে দিয়েছি যে ব্যক্তি বিশেষের ইচ্ছা-অনিচ্ছায় নেতাকর্মীরা প্রভাবিত হয় না। নেতাকর্মীরা কারও ব্যক্তিগত কর্মকর্তা বা কর্মচারী নয়। পোড় খাওয়া নেতাকর্মীরা তারা শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল। কাজেই শেখ হাসিনার নেতৃত্বেকে সামনে রেখে এক কেন্দ্রে উপস্থিত করা হল আমাদের দায়িত্ব এবং কর্তব্য। আমরা গিয়ে শুধু ভাষণ দিয়ে আসলাম এটি আমাদের দায়িত্ব-কর্তব্য নয়। এখন সবচেয়ে জরুরী হলো দলকে এক কেন্দ্রে নিয়ে আসা। শেখ হাসিনাকে কেন্দ্র করে এক কেন্দ্রে নিয়ে আসা। তাহলে যে কোনো পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগই জয় লাভ করবে। দল ঐক্যবদ্ধ থাকবে এবং আগামী নির্বাচনে ভূমিধস বিজয় নিশ্চিত হবে।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড টক

‘আমার বিশ্বাসের জায়গাটা ভঙ্গ হয়েছে’


Thumbnail

‘নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে, মানুষ তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পেরেছে। যারা অপপ্রচার করেছিল, মিথ্যাচার করেছিল যে, এই সরকারের আমলে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যায় না। অতীতেও তাদের সে কথা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। গাজীপুরের নির্বাচনে সেটা আরও মিথ্যা প্রমাণিত হলো যে, তারা যে অপ্রপচার করেছে, ষড়যন্ত্র করেছে, নির্বাচন অবাধ হয় না, সুষ্ঠু হয় না, গণতন্ত্রের মানসকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে- সেটা জনগণ ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তাদের এই মিথ্যাচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিয়েছে। তাদের মিথ্যাচার, ষড়যন্ত্রের জবাব দিয়েছে।’- বলছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন।      

সম্প্রতি সম্পন্ন হয়েছে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আজমত উল্লা খান ১৬ হাজারের বেশি ভোটে পরাজিত হয়েছেন। বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত নেতা, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন। কিন্তু এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট নেতা, মন্ত্রী  আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছিলেন, নির্বাচনে সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এতো কিছুর পরও কেন পরাজিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আজমত উল্লা খান? সর্বোপরি গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন কেমন হয়েছে?- এসব বিষয়ে কথা হয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন -এর সঙ্গে। তিনি জানিয়েছেন গাজীপুর সিটি নির্বাচন বিষয়ে বিভিন্ন প্রসঙ্গ। পাঠকদের জন্য এস এম কামাল হোসেন -এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের বিশেষ প্রতিনিধি আল মাসুদ নয়ন। 

গাজীপুর নির্বাচনে আজমত উল্লা সাহেবের পরাজয়ের কারণ কি? - এমন প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেন, ‘এটা আমরা আমাদের দলীয় ফোরামে আলোচনা করে জানাবো। যারা ওইখানে টিম লিডার ছিল, সমন্বয়কারী ছিল, তারা এটা মূল্যায়ন করবেন, মূল্যায়ন করার পরে এ বিষয়ে আমরা জানাবো।’ 

‘আপনি কি মনে করেন দলীয় যে শীর্ষ নেতারা এই নির্বাচনের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন, তাদের কি কোনো ধরনের অবহেলা, কোনো ধরনের গাফিলতি কিংবা শুধু দলীয় নেতা-কর্মীদের ওপরই এই নির্বাচন নিয়ে নির্ভর করা- এসব কারণে কি আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পরাজয় ঘটতে পারে বলে আপনি মনে করেন?’- এমন প্রশ্নে এস এম কামাল হোসেন বলেন, ‘আমি মনে করি জননেত্রী শেখ হাসিনার যে উন্নয়নের মহাযজ্ঞ- বাংলাদেশের জনগণের কল্যাণে যা করেছেন, সেই ক্ষেত্রে জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি মানুষের যে আস্থা, ভালোবাসা আছে, আমরা যদি তৃণমূলের কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থাকি, তাহলে নৌকাকে কেউ হারাতে পারবে না। এটা হচ্ছে আমার ধারণা। সেই ক্ষেত্রে এখানে কি হয়েছে, তা টিম লিডার বা সমন্বকারী- তা জবাব দিবে।’

‘গাজীপুরে জাহাঙ্গীর আলম তার মায়ের নির্বাচনের সমন্বয়কারী ছিলেন তিনি নিজে, একজন একক একা মানুষ, তিনি আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত একজন নেতা। বিগত সময়ে গাজীপুরের অনেক উন্নয়ন হয়েছে, সেটা জাহাঙ্গীর আলম মেয়র থাকাকালীন সময়েই হয়েছে। আওয়ামী লীগের সময়েই গাজীপুরের এই উন্নয়ন সাধন হয়েছে। এদিকে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে অনেক বয়জেষ্ঠ্য নেতারা সেখানে নির্বাচনী প্রচারে থাকা সত্বেও জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন কেন পাশ করলেন, এ বিষয়ে কিছু বলবেন কি?’- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে বললাম তো- টিম লিডার মন্তব্য করবে। এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’

‘কেন পাশ করলেন জাহাঙ্গীর আলমের মা?’- প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘জনগণ ভোট দিয়েছে, তাই পাশ করেছে।’

‘সেই ক্ষেত্রে ওয়ার্ড কাউন্সিলর কিংবা আওয়ামী লীগের কোনো নেতাদের পেছন থেকে গোপনে কোনো ইন্ধন আছে কি না?’- প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘বললাম তো, ওইখানকার যে সমন্বয়কারী মির্জা আজম সাহেব, তিনি এই ব্যাপারে একটা রিপোর্ট দিবেন, সেই রিপোর্টের আলোকে তখন কথা বলব।’

তিনি বলেন, ‘আমি শুধু একটা কথা বলতে পারি, আমার যে বিশ্বাস, সেই বিশ্বাসের জায়গা থেকে- আমি মনে করি,আমার বিশ্বাসের জায়গাটা ভঙ্গ হয়েছে।’

এস এম কামাল হোসেন   গাজীপুর   সিটি নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড টক

‘বন্ড পেপারে সাইন করে সিংহের খাঁচার ভেতর ঢুকে ছিলাম’

প্রকাশ: ০৪:১০ পিএম, ২৬ মে, ২০২৩


Thumbnail

মার্শাল আর্ট-এ পারদর্শী ড্যানি সিডাক ১৯৮৬ সালে ‘লড়াকু’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পা রাখেন। ‘বনের রাজা টারজান’, ‘সুপারম্যান’, ‘গরিবের রাজা রবিনহুড’, ‘সিংহ পুরুষ’, ‘লেডী রেম্বো’, ‘বাঘা বাঘিনি’ ও ‘রুপের রানি গানের রাজা’সহ বেশকিছু জনপ্রিয় সিনেমা উপহার দিয়েছেন ড্যানি সিডাক। চলচ্চিত্রে কখনই তিনি ডামি ব্যবহার করতেন না। 

প্রথম সিনেমা ‘লড়াকু’তে নিজ হাতে ভেঙেছেন ১২ ইঞ্চি পুরু বরফ। এরপর তিনি বাঘ, সিংহ ও অজগর সাপের সঙ্গে সরাসরি লড়াই করেছেন। এসব করতে গিয়ে একবার নির্ঘাত মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন বলে বাংলা ইনসাইডারকে  জানান এই অভিনেতা। 

ড্যানি সিডাক বলেন, নির্মাতা দেলোয়ার জাহান ঝন্টু ভাই আমাকে বললেন- বাঘ, সাপের সঙ্গে লড়াই করেছো, এবার কিসের সঙ্গে লড়াই করবা। তোমার সঙ্গে এবার ২০ জন পালোয়ান দিব। আমি বলেছি- আমি একাই এবার সিংহের সঙ্গে লড়াই করবো’। ঝন্টু ভাই বললেন- সত্যি সত্যি পারবা? আমি বললাম, সত্যি পারবো। 

যথারীতি আমি আর সহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর ভারতে চলে গেলাম। ভারতের ত্রিবান্দ্রাম নামক এক জায়গায় সার্কাস দলের সঙ্গে কথা বলি। তাদেরকে বলি, আমি সিংহের লড়াই করবো। কিছুতেই ওরা রাজি হচ্ছিলো না। ওরা আমাকে বলেছিল- তুমি কি পাগল সরাসরি ফাইট করবা। সিংহ তো তোমাকে চিনে না। যে পালেন, তাকে চিনে। আমি তারপরও বলি, আমি পারবো। তোমরা পাশে থাইকো। 

বন্ড পেপারে সাইন করে শুটিং শুরু করেন ড্যানি সিডাক। তিনি বলেন, বন্ড পেপারে সাইন করে ওদের রাজি করালাম। আমাকে সিংহের খাঁচার ভেতর ঢুকিয়ে তালা মেরে দেওয়া হলো। পরিচালকের কথামতো শট দিতে গিয়ে আমি সিংহটাকে পেছন থেকে ধরি। আধা মিনিটের মধ্যে আমাকে মাথা দিয়ে বাড়ি মেরে সিংহটা আমাকে নিয়ে পড়ে গেল। ঘুরে কামড় দিতে চেয়েছে আমাকে। তার আগে পা দিয়ে মারছিল। মনে হচ্ছিল, আমার শরীরটাকে লোহার রড দিয়ে পেটাচ্ছে। আমি পারছিলাম না। বার বার বলছিলাম, আমি আর পারছি না। এর পরে লোহার ক্যাচি দিয়ে আমাকে কোনোমতে উদ্ধার করে। এর পরে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। আমার শরীরে ১০২ ডিগ্রি জ্বর আসে।

এর পরও হাল ছাড়েনি ড্যানি সিডাক। পরের দিন আবারও সিংহের সঙ্গে লড়াই করেন। ড্যানি সিডাক বলেন, পরের দিন সকালে গিয়েছি। ওরা অন্য একটি সিংহ নিয়ে আসলো। আমাকে বুদ্ধি শিখিয়ে দিলো। বললো- যখন দেখবা সিংহের ঘাড়ের লোম দাঁড়িয়ে গেছে তখন তুমি সামনে থেকো না। সেটা খেয়াল করেই আমি শুটিংটা করেছি। সিংহের খাঁচা থেকে বের হওয়ার পর দেখতে পাই, বাইরে হাজার হাজার তামিল লোক জড়ো হয়ে গেছে। তারা দেখতে এসেছে, সিংহের সঙ্গে সরাসরি লড়াই করেছে!

উল্লেখ্য, আশি ও নব্বইয়ের দশকের খল অভিনেতা ড্যানি সিডাক এখনও চলচ্চিত্রে নিয়মিত অভিনয় করে চলেছেন। অভিনয়ের বাইরে চলচ্চিত্র প্রযোজনা ও পরিচালনাও করেছেন তিনি।

ড্যানি সিডাক   বনের রাজা টারজান   সুপারম্যান   গরিবের রাজা রবিনহুড  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড টক

‘প্রত্যেকের প্রতি প্রত্যেকের মমত্ববোধ ও ভালোবাসাটা থাকা জরুরী’

প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ১৯ মে, ২০২৩


Thumbnail

দর্শকপ্রিয় অভিনেতা রাশেদ মামুন অপু। ছোট পর্দার পাশাপাশি কাজ করছেন নিয়মিত বড় পর্দাতেও। দুই জায়গাতেই তিনি তার অভিনয়ের মুনশিয়ানা দেখিয়েছেন। পাশাপাশি ওয়েব ফিল্মে দিয়েও বেশ আলোচনায় উঠে আসেন তিনি। চলচ্চিত্র-ওটিটি  দুই জায়গাতেই নিজের সর্বচ্চটুকু দিয়ে বেশ প্রশংসা পাচ্ছেন এই অভিনেতা। সমসাময়িক কাজ নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের  সাথে কথা হলো সময়ের এই আলোচিত অভিনেতার। 

বাংলা ইনসাইডার: বেশীরভাগ কাজেই নেগেটিভ চরিত্রে দেখা যাচ্ছে এর কারণ কী?

অপু: প্রতিটি কাজে নেগেটিভ চরিত্রটি বেঁছে নিয়েছি কারণ এই জায়গাতে অভিনয়ের অনেক জায়গা থাকে। সিনেমার ক্ষেত্রে নায়ক ছাড়া অন্য কোন চরিত্রে তেমন অভিনয় করার সুযোগ থাকে না। পাশাপাশি এই চরিত্রটি করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।

বাংলা ইনসাইডার: দীর্ঘদিন পর ফের হল মুখী হচ্ছেন দর্শক। বিষয়টি আপনি কিভাবে দেখছেন?

অপু: আমি যখন অনেক ছোট ছিলাম তখন বেদের মেয়ে জোসনা দেখতে গিয়েছিলাম। আমার বাবা একজন ব্যাংক কর্মকর্তা ছিলেন। সে সময় ব্যাংকের সবাই মিলে সিনেমাটি দেখতে গিয়েছিলাম। সেই যে ভালো লাগার উচ্ছ্বাস তা এতদিন পর পরাণ সিনেমায় দেখতে পেলাম। একজন অভিনেতার এরচেয়ে আর বড় প্রাপ্তি কী হতে পারে? পরিবারের সবাইকে নিয়ে সিনেমা দেখার যে আনন্দ তা মুখে বলে প্রকাশ করার মত না।

বাংলা ইনসাইডার: ইদানীং প্রায়ই দেখা যাচ্ছে এক সাথে কয়েকটি ছবি মুক্তি পেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই তর্কে জড়াল। বিষয়টি নিয়ে আপনার মতামত কি?

অপু: ছোট্ট একটা ইন্ডাস্ট্রি আমাদের। দীর্ঘ খরার পর আবার নতুন করে সবে মাত্র ঘুরে দাঁড়তে শুরু করেছে। এখানে সবার মনোভাব এক হওয়া উচিত। অন্যদের কাজ গুলোও নিজের কাজ মনে করা উচিত কেননা অন্য একজনের কাজ ভালো চললে আমার নিজের কাজটাও ভালো চলবে। প্রত্যেকের প্রতি প্রত্যেকের মমত্ববোধ ও ভালোবাসাটা থাকা জরুরী। নয়তো এই ইন্ডাস্ট্রি বেশী দূর যেতে পারবে না।

বাংলা ইনসাইডার: অনেকেরই অভিনয়ে আইডল বলতে একজন থাকে। তা আপনার অভিনয়ের ক্ষেত্রে কে আইডল?

অপু: আমার নির্দিষ্ট কোনো আইডল নেই। আমি আমার প্রয়োজনে কাল্পনিক একজন আইডল তৈরি করে ফেলি। সেটি আরেকটি অপু। আমি যেটি দেখতে চাই, ভাবতে চাই, মনে করতে চাই বা আমি যাকে ধারণ করি তাঁর মাঝে সেটি দেখতে চাই, তাকে দিয়ে উৎসাহী হতে চাই।


রাশেদ মামুন অপু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড টক

‘এতদিন পর মনে হচ্ছে প্রকৃত ভালোবাসা পাচ্ছি’

প্রকাশ: ০৩:৫৮ পিএম, ০৫ মে, ২০২৩


Thumbnail

এবার ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত ৮টি ছবির মাঝে অন্যতম একটি ‘জ্বীন’। সজল-পূজার ‘জ্বীন’ সিনেমাটি ইতোমধ্যে দর্শক মনে জায়গা করে নিয়েছে। পাশাপাশি ছবিটি দেখে অনেকেই প্রশংসা করছেন অভিনেতা সজলের। ঈদে এমন সাফল্য  ও সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সাথে কথা হলো সজলের। 



বাংলা ইনসাইডার: ঈদে ‘জ্বীন’ মুক্তির পর বেশ প্রশংসা পাচ্ছেন। কেমন লাগছে বিষয়টি? 

সজল: বড়পর্দায় নতুনভাবে জার্নি শুরু করেছি। এ সিনেমার জন্য দর্শকের এতটা প্রশংসা পাব ভাবিনি। অনেকদিন পর দেখছি আমাদের সিনেমাটি দেখার জন্য সিনেমা হলে মহিলা দর্শকও আসছেন। অনেকে সঙ্গে শিশুদেরও নিয়ে আসছেন। নব্বই দর্শকে বাংলা সিনেমা  দেখার জন্য মহিলা দর্শকদের এমন আগ্রহ দেখা যেত। আমি নিজেই সে সময় আমার আম্মুর সঙ্গে সিনেমা হলে যেতাম। প্রেক্ষাগৃহে তার হাত ধরেই প্রথম সিনেমা দেখেছি। আমি বিশ্বাস করি, এমন সিনেমা নিয়মিত নির্মাণ হলে দর্শক সিনেমা হলে আসবেই।

এতদিন পর মনে হচ্ছে প্রকৃত ভালোবাসা পাচ্ছি, দেশের মানুষ আমাকে যে এত ভালোবাসে। দর্শকরা আগ্রহের সঙ্গে জ্বীন সিনেমা দেখছে, আবার আমাকে  জানাচ্ছেও সে কথা। সত্যি, তাদের ভালো লাগা, ভালোবাসায় ভেসে যাচ্ছি আমি। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।



বাংলা ইনসাইডার: নায়িকা পূজার সাথে আপনার রসায়ণটা কেমন ছিল শুটিংয়ে? 

সজল: পুজা কাজের বিষয়ে খুব সিরিয়াস। এছাড়া তার সঙ্গে শুটিংয়ে বন্ধুর মতো নানা রকম খুনসুটি হতো। যার কারণে সিনেমার প্রতিটি দৃশ্য ধারণে আমাদের জন্য সহজ হতো।

বাংলা ইনসাইডার: সামনে আর কোন কোন সিনেমায় দর্শক আপনাকে দেখতে পাবে? 

সজল: আগামীতে দর্শক আরও কয়েকটি সিনেমায় আমাকে দেখতে পাবেন। এর মধ্যে সেগুলোর কোনোটির কাজও শেষ হয়েছে। সেগুলো হলো হৃদি হকের ‘৭১’ সেইসব দিন’, ‘জাহিদ হোসেনের ‘সুবর্ণভূমি’, আবু সায়িদের ‘সংযোগ’। 



জ্বীন   পূজা   সজল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন