‘যে দৈনিকটি দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে মেনে নিতে পারে না। স্বাধীন দেশে থেকে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে কটাক্ষ করে কথা বলে, এ ধরনের কোনো গণমাধ্যম এই দেশে থাকার দরকার নেই। এই সরকারের আমলেই প্রথম আলো পত্রিকাটির নিবন্ধন প্রকাশ পায়। তখন থেকেই পত্রিকাটি এই সরকারের বিরুদ্ধেই কাজ করা শুরু করেছে। এই সরকারের বিরুদ্ধে কাজ করা মানেই ধরে নিতে হবে, এই সরকারের পক্ষে না। আবার বিএনপিকেও সে মাইনাস করার চেষ্টা করেছে। প্রথম আলোর গতিবিধি প্রকাশ পাওয়াটা খুবই দুষ্কর ব্যাপার। আবার হযরত মুহাম্মদ (সা:)-কে নিয়ে কুটক্তি করেছে, সেটাও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেটার জন্য আবার সরকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার জন্য সরকারের কাছেও মাফ চায়নি, রাষ্ট্রের কাছেও মাফ চায়নি প্রথম আলো। এটা একটা দূরভিসন্ধি। তাদের হাত কতদূর লম্বা- তা সরকারকেই বের করতে হবে। আমরা চাই এরকম যেন না হয়। এরকম পত্রিকা আমরা চাই না।’- বলছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং অভিনয় শিল্পী আহসানুল হক মিনু।
গত বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রথম আলো পত্রিকার নিবন্ধন বাতিল ও চক্রান্তকারীদের শাস্তি চেয়ে মানব-বন্ধন করেছে স্বাধীনতা-সচেতন নাগিরক সমাজ। এই মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রেখেছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং অভিনয় শিল্পী আহসানুল হক মিনু। গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিয়ে কটাক্ষ করে একজন শিশুর উদ্ধৃতি দিয়ে প্রথম আলো যে সংবাদ পরিবেশন করেছিল, তারই প্রতিবাদে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এই মানববন্ধন নিয়েই কথা হয় বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং অভিনয় শিল্পী আহসানুল হক মিনুর সঙ্গে। বাংলা ইনসাইডারের সাথে একান্ত আলাপকালে তিনি জানিয়েছেন দৈনিকটির স্বাধীনতা ও সরকার বিরোধী কর্মকাণ্ড এবং দৈনিকটির বিরুদ্ধে প্রতিবাদের কথা। পাঠকদের জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং অভিনয় শিল্পী আহসানুল হক মিনুর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের বিশেষ প্রতিনিধি আল মাসুদ নয়ন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আহসানুল হক মিনু বলেন, যে দেশে থেকে দেশকে অমর্যাদা করবে, এটা আমরা চাই না। এরকম পত্রিকা আমরা চাই না, এরকম পত্রিকা আমাদের রাষ্ট্র যেন দ্রুত বাতিল করে- এটাই চাইব আমরা। কিছুদিন আগে একজন জঙ্গিকে এই পত্রিকা বীর বানিয়েছে। যে ব্যক্তিটি জঙ্গি ছিল, তাকে তারা বীর বানালো। এখন এদের ভাবমূর্তি বোঝা বড় মুশকিল। এরা কোন পথে চলছে, আমার ধারণা হয়, এদের হাতের সংখ্যা কতটুকু আছে, তা জানার দরকার নেই। কিন্তু সরকারকে সচেতন হতে হবে। সরকার যাতে এর হাতটাকে গুটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। সরকার যেন দেশের স্বার্থে এই সংবাদপত্র থাকবে কি না, তার নিশ্চয়তা সরকারকেই দিতে হবে। এই পত্রিকা আমরা চাই না।
তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধ করে দেশটা স্বাধীন করেছি। আমরা চাই সংবাদপত্র দেশের কথা বলবে, দেশের দুঃখ-কষ্টের কথা বলবে। দেশে কোনো অন্যায় হলে, সে কথা বলবে। কিন্তু দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিয়ে দেশবিরোধী কোনো কথা বলা যাবে না।
আহসানুল হক মিনু বলেন, এই পত্রিকাটির উৎপত্তি কোথা থেকে? পাকিস্তানের একটি পত্রিকার সাথে যুক্ত হয়ে এই পত্রিকাটির উৎপত্তি। পাকিস্তানের ডন পত্রিকার অর্থ হচ্ছে ভোরের আলো। ডন অর্থ হচ্ছে ভোর, সুবহে সাদিক অর্থাৎ আধার কেটে যে আলোটা হয়, সেটা হচ্ছে ভোর। তার সাথে মিল রেখেই কিন্তু এই পত্রিকা প্রথম আলো। এদের সাথেও যুক্ত আছে এরা। আমার সোজাসুজি কথা, দেশের স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস- এসব জাতীয় দিবসগুলোকে বিকৃত করা চলবে না।
তিনি বলেন, শিশু আইনে একটা নিয়ম আছে, শিশুকে নিয়ে যা-তা কিছু করা যায় না। শিশু আইন আছে, শিশুকে নিয়ে কাজ করতে হলে শিশু আইন মেনেই সেটা করতে হবে। একজন শিশুকে দিয়ে দেশের বিরুদ্ধে কথা বলানোর চেষ্টা করা- এটা খুবই অন্যায়। সেই কাজটিই করেছে এই পত্রিকা। সেই ক্ষেত্রে আমি বলবো, এই পত্রিকার নিবন্ধন বাতিল করা উচিৎ। যারা এ ধরনের কাজ করে, এই কাজের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নিবে সরকার। কারণ এই পত্রিকার নিবন্ধন দিয়েছে রাষ্ট্র, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধেই যদি কাজ করে, তবে রাষ্ট্র সে বিষয়ে নিশ্চয়ই পদক্ষেপ নিবে। যে কারণে এর প্রকাশনাকে বাতিল করতে পারে। জার্মানিতে যেরকম একটি পত্রিকা জার্মানির বিরুদ্ধে কথা বলেছিল, সে পত্রিকার নিবন্ধন বাতিল করেছিল জার্মান সরকার। এরকম পদক্ষেপ নিতে হবে। সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে।
অভিনয় শিল্পী আহসানুল হক মিনু বলেন, প্রথম আলো বাইরে থেকে শিল্পীদের বিভিন্ন উন্নয়ন করছে দেখা গেলেও তারা শিল্পীদের অকল্যাণে কাজ করে। কল্যাণ কোরাইয়া নামের একজন অভিনয় শিল্পীর নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটানোর মূলে প্রথম আলো। এ কারণে কল্যাণ কোরাইয়ার বাবাও দুঃখে-কষ্টে, অপমানে মারা গেছেন।
তিনি বলেন, কোনো রাজনৈতিক দলের হয়ে নয়, একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে, একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে এই সংবাদপত্রটিকে আইনের আওতায় আনা দরকার বলেই আমি মনে করি এবং এ দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা অভিনয় শিল্পী আহসানুল হক মিনু প্রথম আলো
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ঘরের দরজা ভেঙে বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী সাদি মহম্মদের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কুমিল্লা শহরে নিজেদের বাড়িতে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। এ ধরনের আত্মহত্যার ঘটনা চলছে। আত্মহত্যা প্রতিরোধের উপায় কী অথবা আত্মহত্যা করতে চাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ মানুষটির প্রতি পরিবার, সমাজ, গণমাধ্যমের ভূমিকা কতটুকু—এসব নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে কথা বলেছেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক হেলাল উদ্দীন আহমেদ। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের প্রতিবেদক খাদিজা ভৌমী।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, ভারতের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ও মদদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে বা আছে—বিএনপির এধরনের কথাবার্তা স্রেফ তাদের হঠকারিতা। ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা যেভাবে আমাদের সহযোগিতা করেছে আপনি কি সেটা অস্বীকার করতে পারবেন কিংবা তাদের অবদানকে কোন ভাবে অবমূল্যায়ন করতে পারবেন? এটা কোন ভাবেই সম্ভব না। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ভারতের অবদানের জন্যই তারা আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু রাষ্ট্র।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ও চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক বলেছেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার স্বাস্থ্য খাতের দায়িত্ব পেয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। গতকাল তিনি আনুষ্ঠানিক ভাবে এই দায়িত্ব ভার গ্রহণ করেছেন। এর আগে বাংলাদেশের কেউই এই দায়িত্বে ছিলেন না। আমরা খুবই সৌভাগ্যবান যে, আমরা সায়মা ওয়াজেদকে আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে পাচ্ছি। এটা বাংলাদেশ তথা এদেশের জনগণের জন্য একটি বিরাট প্রাপ্তি। সায়মা ওয়াজেদ স্বাস্থ্য খাতে খুব অভিজ্ঞ একজন ব্যক্তিত্ব। আমরা জানি সে অনেক দিন ধরে সারা বিশ্বে অটিজম এবং নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডার নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞ উপদেষ্টা প্যানেলেরও সদস্য। তাছাড়া ডব্লিউএইচওর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে ‘অটিজম-বিষয়ক শুভেচ্ছা দূত’ হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করছেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেছেন, টিআইবি এখন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর ভূমিকা পালন করছে। টিআইবি এবং সিপিডি যারা করে এরা একই ঘরানার। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন পদ্মা সেতু জনগণের অর্থায়নে করার ঘোষণা করেন সে সময় এরা বলেছিল বাংলাদেশে এটা অসম্ভব। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করলে অর্থনীতির একটা ধস নামবে, অর্থের অপচয় হবে। টিআইবি তো কোন সময় বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ভালো চোখে দেখে না। টিআইবি’র এখানে (বাংলাদেশ) যারা নেতৃত্ব দেন তারা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রুমে বসে মনগড়া বিবৃতি দেয়। তারা জনগণের চোখের ভাষা বুঝে না বরং তারা পিছনের দরজা দিয়ে কোনো রকম নিজের গাড়িতে একটি পতাকা লাগানো যায় কিনা সেই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকে এবং এই স্বপ্নে বিভোর থাকে। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে টিআইবি মনগড়া তথ্য-উপাত্ত জাতির সামনে হাজির করে জাতিকে বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।