‘এ ঘটনাটি মিথ্যা। একটা গ্রুপ প্রচার করতেছে, গুজব করতেছে- এটা গুজবেরই একটা অংশ। বিদ্যুৎ নিয়ে একটা গুজব ছড়ানো হচ্ছে- আমার নাম নিয়ে যে- উনার বাড়ি ঘেরাও করা হয়েছে- এগুলো আসলে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এটি একটি মিথ্যা। আমার একটি বক্তব্য ছিল সংসদে অনেক আগে, বক্তব্যটা নিয়ে তারা ভুলভাবে ব্যাখ্যা করে প্রতিদিনই ফেসবুকে আলোচনা, সমালোচনা করে। প্রকৃতপক্ষে আমার যে বক্তব্যটা ছিল, সে বক্তব্যটা ছিল আমার এলাকাভিত্তিক কিছু আলোচনা। কারণ আমরা যে কাজগুলো করি, সে কাজগুলো সংসদে আলোচনা করি এবং আবার যে কাজগুলো দরকার, সেটাও আমরা সংসদে বিভিন্ন মন্ত্রী মহোদ্বয়ের কাছে চাই, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অবগত করি। ওইভাবেই একটা বক্তব্য দেওয়া ছিল, আমার অঞ্চল- মানিকগঞ্জ-২ আসন, সিঙ্গাইর, হরিরামপুর এবং সদরের তিনটি ইউনিয়নসহ ২৭টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভায় আমরা শতভাগ বিদ্যুতায়ন করেছি।’ - বলছিলেন লোকগানের জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী এবং সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম।
সম্প্রতি ফেসবুকসহ সোশ্যাল মিডিয়ায় বিদ্যুতের দাবিতে লোকগানের জনপ্রিয় শিল্পী এবং সংসদ সদস্য ‘মমতাজের বাড়ি ঘেরাও করা হয়েছে’ - বলে একটি অপপ্রচার এবং প্রপাগান্ডা ছড়ানো হয়েছে। এ খবর পৌঁছায় স্বয়ং মমতাজের কান পর্যন্তও। পরে তিনি এই নিয়ে ফেসবুক লাইভে এসে জানিয়েছেন তার বক্তব্য। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার এই বক্তব্য ভাইরাল হয়েছে, ট্রলও হয়েছে। এসব বিষয় নিয়েই কথা হয় লোকগানের জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী এবং সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম- এর সাথে। তিনি বাংলা ইনসাইডারের সাথে একান্ত আলাপচারিতায় জানিয়েছেন প্রকৃত সত্য ঘটনা। পাঠকদের জন্য লোকগানের জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী এবং সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম- এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের বিশেষ প্রতিনিধি আল মাসুদ নয়ন।
সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম বলেন, ‘আগে আমি যখন এখানে দায়িত্বে ছিলাম না, তখন এখানে ৩০ শতাংশ মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ ছিল। আর আমি এখানে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আমরা এই কাজগুলো করতে করতে আল্লাহর রহমতে শতভাগ আমাদের বিদ্যুতায়ন হয়েছে। ওইটাই আমার বক্তব্য ছিল যে- শতভাগ বিদ্যুৎ দিয়েছি। এক সময় যখন এলাকায় থাকতাম, মানুষজন শুধু বলতো, মা-বোনেরা এসে বলতো, আপা কিছু চাই না, আমাদের শুধু একটা মিটারের ব্যবস্থা করে দিন। এই মিটার এক সময় এ অঞ্চলে রত্নের মতো ছিল মানুষের কাছে। আমার আগে যারা এখানে দায়িত্বে ছিলেন, তারা অনেকেই একটি মিটারের জন্য ২০ থেকে ৩০/৪০ হাজার টাকাও নাকি মানুষের কাছ থেকে নিতো। এ ধরনের অভিযোগ ছিল।’
মমতাজ বলেন, ‘কিন্তু আসলে এই মিটার তারা কোনোদিন দিতে পারে নাই। পরে যখন আমি দায়িত্ব নিয়ে আমাদের বিদ্যুৎ মন্ত্রীকে ফোন করে বললাম, আমার এখানে মিটার লাগবে, ফোন লাউড স্পিকারে ছিল। আমার এখানে ইউনিয়নের অনেক চেয়ারম্যান ছিল, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ছিল। উনি সবার সামনেই বললেন, কতগুলো লাগবে? আমি আমার নেতৃবৃন্দদের বললাম, কতগুলো লাগবে। তারা বললেন, দুই/তিন হাজার চান। তখন আমি বললাম, ২/৩ হাজার লাগবে। সাথে সাথে মন্ত্রী আমাকে বললেন, দুই/তিন হাজার না, কালকে আমি আপনার ওইখানে পাঁচ হাজার মিটার পাঠানোর ব্যবস্থা করছি। এর পরে একটার পর একটা দিয়েছেন। পরে ইউনিয়ন পরিষদে মাইকিং করে করেও আমরা মিটার দিয়েছি, বলেছি আপনারা আবেদন করেন, আমাদের পর্যাপ্ত মিটার আছে। সে জন্য আমার অঞ্চলটায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন হয়েছে।’
সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম বলেন, ‘এই কথাটাই আমি সংসদে বলছিলাম যে- এখন ফেরিওয়ালাদের মতো- ‘মিটার লাগবে কি মিটার? বিদ্যুৎ লাগবে কি বিদ্যুৎ?’- এরকম আমরা বলে বেড়াচ্ছি। তার মানে মাইকিং করে আমরা বলতেছি, মিটার লাগবে কি মিটার। এমন একটা ভালো অবস্থা। বিদ্যুতের যে আসলেও এতো উন্নয়ন হয়েছে, সেই প্রশংসা আমি কেন সবাই করেছে। এই ধরনের বিদ্যুতের এতো সুন্দর ব্যবস্থা কোনো সরকারের আমলে কখনোই হয় নাই।’
তিনি বলেন, ‘এখন যে লোডশেডিংটা হচ্ছে- এটা সাময়িক একটা সঙ্কট। এটাতো আর দুই/এক দিনে হয় নাই। করোনার মহামারি গেছে, তারপর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, বৈশ্বিক মন্দা, ডলারের দাম বাড়া- আমাদের ছোট্ট একটা দেশ। সবকিছুইতো আমরা চাইলে সমাধান করতে পারি না। আমাদের বাইরে থেকেও-তো কিছু সহযোগিতা বা বিভিন্ন ধরনের আমদানি করতে হয়। সেগুলো যখন আমাদের ব্যাঘাত ঘটেছে- তখনই এই বৈশ্বিক মন্দার মধ্যে আমাদের এই সঙ্কটটা দেখা দিয়েছে। এটাকে আমাদের ধৈর্যের সাথে মোকাবেলা করতে হবে।’
‘সোশ্যাল মিডিয়াতে যে প্রপাগান্ডা এবং অপপ্রচার চালাচ্ছে, এটা কারা চালাচ্ছে? এইটা নিয়ন্ত্রণে কি করণীয় বলে আপনি মনে করেন?’ -এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘এটা সরকারের আসলে যারা ভালো চায় না, কোনো ভালো কথাও তারা শুনতে চায় না- এটাতো একটা গ্রুপ আছেই, যারা সরকার বিরোধী। দেশে এবং দেশের বাইরে বসে যারা এই ভিডিওগুলো বানায়, বিশেষ করে ভিডিওগুলোর তল্লাশি করতে গেলে দেখা যায়, বেশিরভাগ আইডি ভুয়া, তাছাড়া তারা দেশে বসে এগুলো করে না। তারা দেশের বাইরে বসে ভিডিও বানিয়ে বানিয়ে এই প্রপাগান্ডা এবং সরকার বিরোধী অপপ্রচারগুলো চালায়। এখন এটার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সচেতন আছে। সরকারও সচেতন আছে। কিন্ত আসলে মানুষের মন মানসিকতারও পরিবর্তন দরকার।’
বিদ্যুৎ মমতাজ অপপ্রচার প্রপাগান্ডা
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ঘরের দরজা ভেঙে বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী সাদি মহম্মদের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কুমিল্লা শহরে নিজেদের বাড়িতে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। এ ধরনের আত্মহত্যার ঘটনা চলছে। আত্মহত্যা প্রতিরোধের উপায় কী অথবা আত্মহত্যা করতে চাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ মানুষটির প্রতি পরিবার, সমাজ, গণমাধ্যমের ভূমিকা কতটুকু—এসব নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে কথা বলেছেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক হেলাল উদ্দীন আহমেদ। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের প্রতিবেদক খাদিজা ভৌমী।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, ভারতের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ও মদদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে বা আছে—বিএনপির এধরনের কথাবার্তা স্রেফ তাদের হঠকারিতা। ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা যেভাবে আমাদের সহযোগিতা করেছে আপনি কি সেটা অস্বীকার করতে পারবেন কিংবা তাদের অবদানকে কোন ভাবে অবমূল্যায়ন করতে পারবেন? এটা কোন ভাবেই সম্ভব না। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ভারতের অবদানের জন্যই তারা আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু রাষ্ট্র।