নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ১৭ অক্টোবর, ২০২১
অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ বলেছেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি প্রসঙ্গে নাজনীন আহমেদ বলেন, আসলে সাধারণত এইভাবে তো দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে কথা বলা যায় না। এখানে অনেক রকম প্রোডাক্ট আছে। একেকটার বিষয় একেক রকম। ওভারঅল বলাটা মুশকিল। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ভাল জিনিস, এটা তো আর আমি বলবো না। দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়লে তার চাপ পড়ে আমাদের সাধারণ মানুষের উপর। কিন্তু এখানে একেকটা জিনিসের একেক কারণে দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি পায়। একই কারণে সব দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধি ব্যাপারটা তো এমন না।
দেশে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, জনজীবনে এর প্রভাব সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য ড. নাজনীন আহমেদ এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক মাহমুদুল হাসান তুহিন।
পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গে ড. নাজনীন আহমেদ বলেছেন, পেঁয়াজ নিয়ে এত আশ্চর্য হওয়ার তো কিছু নাই। প্রতি বছর আগস্ট-সেপ্টেম্বরের পরে পেঁয়াজের মূল্য বাড়বেই। তখন আমাদের দেশের পেঁয়াজ থাকে না। পেঁয়াজের মূল্য নিয়ে যত রিপোর্ট করবেন আর আতঙ্কিত হবেন, দাম ততো বাড়বে। কারণ এই সময়ে দেশে পেঁয়াজ থাকে না। সুতরাং প্রতি বছরই এই সময়ে দাম বাড়ে। প্রতি বছরই পেঁয়াজের দাম বেড়েছে, এটা তো বলার কিছু নাই। পেঁয়াজ এখন নাই। দেশি পেঁয়াজ যতদিন না ওঠে, ততদিন দাম বেশি থাকবে। ইন্ডিয়া ব্যান করে নাই, কিছু করে নাই। এই সমস্ত দাম প্রতিবছরই বেশি থাকবে। আগস্টের পরেও আমাদের দেশি পেঁয়াজ থাকে না। আগস্টের পরে আমাদের এমনিতেই দাম বাড়ে। তো এটা নিয়ে প্রতিবছর আলাদা করে বলার কিছু নাই। কিছুদিন পরে এমনিতেই দাম কমে যাবে। আর যখন দাম বাড়ে তখন সরকারের ওপেন মার্কেট সেলস বাড়াতে হবে। সেটাই হচ্ছে কথা।
তিনি আরও বলেন, আপনি যদি আপনার নিউজ আর্কাইভে দেখেন তাহলে দেখবেন, গত বছরও আপনি এই রিপোর্টই করেছিলেন অক্টোবর মাসে, পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। তো এটা কমে যাবে। কিছুদিন পরেই আমাদের শীতকালীন পেঁয়াজ আছে, সেটা বাজারে ওঠবে। আর জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে দাম আরো কমবে। একদম নরমাল হয়ে যাবে। তখন কৃষক দামও পাবে না। পেঁয়াজের দাম নিয়ে মূল কথা হচ্ছে, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, যেহেতু ইন্ডিয়া ব্যান করে নাই। এই উর্ধ্বগতিটা রেগুলার ঊর্ধ্বগতি। এ সময় দেশীয় পেঁয়াজ থাকে না। সেজন্য একটি রেগুলার ঊর্ধ্বগতি, গরীব মানুষদের যাতে সমস্যা না হয়, তার জন্য আমরা বড়লোকদের নরমাল কেনাকাটা করতে হবে। আপনাদের একটু রিপোর্ট কম করতে হবে, যাতে মানুষ আতঙ্কিত না হয়। আর ওপেন মার্কেট সেলস দিতে হবে।
সবজির ঊর্ধ্বগতির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সবজির দাম প্রতি বছরেই কিছু না কিছুর বাড়ে। লাস্ট সিজনে বন্যা ছিল। ঐ সময় কিছু ক্ষতি হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। অন্যথায়, আমি এখন যেটা বলছি যে, যে কোনো জিনিসের দাম পাঁচ টাকা বাড়লেও সেটা বেশি। কিন্তু এই সময় ধরেন আমাদের তো বন্যার কারণে সাপ্লাই চেইনে একটু পরিবর্তন হয়েছে। ফলে দামে কিছুটা প্রভাব আছে সেটা তো মানতেই হবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।