প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেছেন, আমি আগেও বলেছি আমাদের দেশে ভ্যাকসিন ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠা করা যায়। ভ্যাকসিন ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠা করা উচিত। আমরা সক্ষম। আমাদের অবকাঠামো আছে, সক্ষমতা আছে। শুধু কিছু টেকনোলজি এবং র-মেটারিয়্যাল সাপ্লাই করা হয়, তাহলে বাংলাদেশ টিকা তৈরি অবশ্যই করতে পারে। আমি কিন্তু বিভিন্ন সময় দাবি জানিয়ে আসছি। বাংলাদেশে টিকা তৈরির ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। তাহলে অন্যদের উপর আমদানি নির্ভর যেন আর না হতে হয়। তাতে আমরা নিজেরাই টিকা তৈরি করতে পারবো এবং নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে প্রয়োজনে আমরা বিদেশে রপ্তানি করবো।
ভ্যাকসিন ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠা সহ নানা বিষয় নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেছেন অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ। পাঠকদের জন্য অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের নিজস্ব প্রতিবেদক মাহমুদুল হাসান তুহিন।
অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, শুধু তাই না, অনেক গরীব দেশ যারা টিকা পায় না, তাদেরকেও প্রয়োজনে টিকা দিয়ে সাহায্য-সহযোগিতাও করতে পারবো। আমাদের প্রধানমন্ত্রী যা বলেছেন, তা যথাযথ এবং ঠিকই বলেছেন। আমাদের প্রথম অগ্রগতি হলো, এটি তৈরি হওয়াটাই এটিই তো অগ্রগতি। অন্যদেশ থেকে আনা লাগবে না, এটিও তো অগ্রগতি। এই যে ইন্ডিয়া হঠাৎ করে বন্ধ করে দিয়েছে। হঠাৎ করে বন্ধ করে দিলে আপনি তো পাবেন না। সুতরাং আমরা আত্মনির্ভরশীল হবো, এটাও তো অগ্রগতি। যদি আমরা প্রচুর টিকা উৎপাদন করতে পারি, চাহিদা মেটাতে পারি, এটাও অগ্রগতি। চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি করতে পারলে এটাও অগ্রগতি। পাশাপাশি গরীব দেশগুলোকে যদি সাহায্য করতে পারি, সব মিলেয়ে এগুলো সবই অগ্রগতি। শুধু করোনার টিকাই নয়, আমরা ইচ্ছা করলে অন্যান্য ভ্যাকসিনও তৈরি করতে পারবো। অনেক টিকা তৈরি হয়ও আমাদের দেশে।
এ প্রকল্পে দুর্নীতির কোনো বিষয় থাকবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। যেহেতু দুর্নীতির অভিযোগ আছে, এখানে যাতে না হয়, তার জন্য আগে থেকেই সতর্ক থাকতে হবে, পদক্ষেপ নিতে হবে। আমরা যদি চেষ্টা না করি, গা ছাড়া দিয়ে থাকলে তো আর হবে না। দুর্নীতির অভিযোগের তো কোনো শেষ নাই।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।