জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, এখানে যদি ভারত-পাকিস্তান বিশ্বকাপের খেলা হত তাহলে কিছু ভারতের সাপোর্টার থাকতো কিছু পাকিস্তানের সাপোর্টার থাকতো। কিন্তু বাংলাদেশের সাথে যখন বাংলাদেশের মাঠে খেলা হচ্ছে এবং যেহেতু প্রচুর পাকিস্তানি বাংলাদেশে থাকে চাকরি করে, এরা যদি পতাকা উড়ায় তাহলে ঠিক আছে।
বাংলাদেশিদের পাকিস্তান প্রীতি সহ নানা বিষয় নিয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক মাহমুদুল হাসান তুহিন।
অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, কিন্তু বাংলাদেশের বাঙ্গালী ছেলেরা যাদের বাংলাদেশে জন্ম তারা পাকিস্তানি পতাকা নিয়ে শুধু উড়চ্ছে না, দেখলাম একজন বলছে যে, আমরা কেন পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়ে গেলাম। আমি জানিনা ওর বাপ আছে কিনা? ওর বাপেরে জিজ্ঞেস করলেই তো হয়। ওর বাপ-দাদা যদি থেকে থাকে তাহলে পাকিস্তানের কি মজাটা ছিল, এই মজাটা বুঝতো। পাকিস্তান যদি থাকতো পুরো টিম খেলা তো দূরের কথা, একজন বাঙ্গালীও থাকতো না।
তিনি আরও বলেন, আমি বহুদিন ধরে বলছি, আমাদের যে ছিটমহল আছে কতগুলো, বাংলাদেশে যে কিছু যায়গা আছে ভারতের ভিতরে, ভারতের কিছু যায়গা আছে বাংলাদেশের ভিতর। এইটা পাকিস্তানেরও কতগুলো ছিটমহল বাংলাদেশে রয়ে গেছে। ছিটমহল মানে এই মানুষগুলো বাংলাদেশে থাকে, বাংলায় কথা বলে, কিন্তু মন-মানসিকতায় এরা পাকিস্তানি। এই পাকিস্তানি ছিটমহলবাসী যারা আছে এরাই একমাত্র এই কাজ করতে পারে। এটার নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের নাই।
অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, পাকিস্তানিরা প্র্যাকটিস করার সময় ওরা করছে যে পতাকা লাগায়। এটা আমিরাতেও লাগিয়েছে এখানেও লাগিয়েছে। এটা আমি মেনে নিলাম যে পাকিস্তানিরা লাগিয়েছে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হওয়ার জন্য। কিন্তু তারপরও পাকিস্তানের মনে রাখা উচিৎ ছিল এটা বাংলাদেশ। অন্য দেশে যেয়ে লাগানো আর বাংলাদেশে পাকিস্তানি পতাকা লাগানো এক জিনিস না। কারণ, একটা রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ, তারা বহু মানুষ হত্যা করছে, মা-বোনের ইজ্জত লুণ্ঠনের বিনিময়ে তারা এই দেশ ত্যাগ করেছে। এটা বাংলাদেশে করা উচিৎ হয়নি। কিন্তু এখন তো দেখতেছি এটা ওদের করার দরকার হয়নি, এখানেই প্রচুর ছেলে, নতুন প্রজন্ম এরাই করছে। আমি কেবলই বলবো এরা পাকিস্তানের অধিবাসী বাংলাদেশে বসবাস করতেছে, ছিটমহলে বসবাস করেছে। বাংলাদেশেই কিন্তু এরা পাকিস্তানের অধিবাসী।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ঘরের দরজা ভেঙে বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী সাদি মহম্মদের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কুমিল্লা শহরে নিজেদের বাড়িতে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। এ ধরনের আত্মহত্যার ঘটনা চলছে। আত্মহত্যা প্রতিরোধের উপায় কী অথবা আত্মহত্যা করতে চাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ মানুষটির প্রতি পরিবার, সমাজ, গণমাধ্যমের ভূমিকা কতটুকু—এসব নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে কথা বলেছেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক হেলাল উদ্দীন আহমেদ। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের প্রতিবেদক খাদিজা ভৌমী।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, ভারতের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ও মদদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে বা আছে—বিএনপির এধরনের কথাবার্তা স্রেফ তাদের হঠকারিতা। ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা যেভাবে আমাদের সহযোগিতা করেছে আপনি কি সেটা অস্বীকার করতে পারবেন কিংবা তাদের অবদানকে কোন ভাবে অবমূল্যায়ন করতে পারবেন? এটা কোন ভাবেই সম্ভব না। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ভারতের অবদানের জন্যই তারা আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু রাষ্ট্র।