দুই পর্দার দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী সোহানা সোবা। ‘আয়না’, ‘চন্দ্রগ্রহণ’, ‘খেলাঘর’ কিংবা ‘প্রিয়তমেষু’র মতো চলচ্চিত্রে অভিনয় করে যেমন দেশীয় দর্শকদের মনে শক্ত ভিত গড়েছেন, তেমনি ‘ষড়রিপু’র মতো সিনেমা দিয়ে কলকাতার দর্শকদের মনেও জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। আবার ছোট পর্দায় অভিনয় করেও নিজের আলাদা অবস্থান তৈরি করেছেন সোহানা সাবা।
গত মাসে জন্মদিন ছিল এই অভিনেত্রীর। জন্মদিনের একদিন আগে উড়াল দেন মালদ্বীপ। কারণ, তিনি এই বিশেষ দিনটির অপেক্ষায় থাকেন সারাবছর। নেটওয়ার্কবিহীন কেটেছে মালদ্বীপের এক সপ্তাহের দিন-রাত। দেশে ফিরেও কেটেছে ব্যস্ত সময়। সদ্য দেশে ফিরে জন্মদিনের আনন্দঘন মুহূর্ত ও সমসাময়িক প্রসঙ্গে বাংলা ইনসাইডার এর বিনোদন প্রতিবেদক আসিফ আলম এর সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।
বিদেশের মাটিতে জন্মদিন কেমন কেটেছে?
সোহানা সাবা: এবারই প্রথম ঘটা করে জন্মদিন পালন করেছি দেশের বাইরে। বিদেশের মাটিতে চমৎকার একটি অভিজ্ঞতা হয়েছে। জন্মদিনের ১ ঘণ্টা আগে সেখানে পোঁছাই। রুমে প্রবেশ করেই সারপ্রাইজ হই। পুরো রুম সাজিয়ে রাখা ছিল। তা দেখে ইমোশনাল হয়ে যাই। দারুণ একটি মুহূর্ত ছিল। যা বলে বোঝানো যাবে না। আমার বন্ধুরা আমাকে সারপ্রাইজ দিতে এমন আয়োজন করেছেন। এক সপ্তাহের প্রতিটি দিনের প্রতি মুহূর্তে তারা জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এক সপ্তাহজুড়ে জন্মদিন পালন করেছি।
মালদ্বীপ স্বপ্নের মতো একটি জায়গা। সেই স্বপ্নের জায়গায় আমার বিশেষ দিন কেটেছে পছন্দের বন্ধুদের সাথে। ৩৬৫ দিনের মধ্যে আমার জন্মদিন সবচেয়ে প্রিয় দিন। আমি সবসময় চেয়েছি এই দিনটি বিশেষভাবে কাটাতে। কাউকে সারপ্রাইজ দিতে আমার ভালো লাগে না। তবে, সারপ্রাইজ হতে অসম্ভব ভালো লাগে। এই কয়দিনের প্রতিটি সেকেন্ড আমার জন্মদিনের সেরা উপহার ছিল। দেশে ফেরার পর এখনও জন্মদিনের উপহার পাচ্ছি। ভালোবেসে কেউ আমাকে উইশ করলেও আমি তাতে অনেক খুশি হই। আমার সাত বছরের ছেলে একটা ভিডিও বার্তার মাধ্যমে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছে। ভিডিওটি ওর শিক্ষক বানাতে সহযোগিতা করেছে। সবকিছুই আমার কাছে বিশেষ ছিল।
প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান খামারবাড়ি নিয়ে অনেক পরিকল্পনার কথা বলেছিলেন, কাজের অগ্রগতি?
সোহানা সাবা: যখনই এ প্রতিষ্ঠান থেকে কাজ শুরু করি দেশে তখন হঠাৎ করে করোনার হানা। শুরু করেও বন্ধ করে দিতে হয়। আমাদের এক ধরনের বেঁচে থাকার যুদ্ধ করতে হয়েছে। আল্লাহর রহমতে ধীরে ধীরে সবকিছু স্বাভাবিক হচ্ছে। নতুন করে আবার কাজ শুরু করব। বর্তমানে প্রস্তুতি চলছে। চলতি বছরই দুটি প্রজেক্টের কাজ শুরু করার ইচ্ছে আছে। এরই মধ্যে আমার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে একটি ওয়েব সিরিজ মুক্তি পেয়েছে।
‘বলি’ ওয়েব সিরিজ নিয়ে জানতে চাই-
সোহানা সাবা: সম্প্রতি কুয়াকাটায় ওয়েব সিরিজটির শুটিং শেষ করেছি। খুব শিগগিরই ডাবিং শেষ করব। এটি পরিচালনা করছেন শঙ্খ দাস গুপ্ত।। এ ওয়েব সিরিজে আমার চরিত্রের নাম আনারকলি। ব্যতিক্রম একটি গল্প। আশা করি, ‘বলি’ মুক্তি পেলে দর্শকরা পছন্দ করবেন।
অনেক দিন ধরেই একা আছেন। একাকীত্ব ছুঁয়ে যায় না, নতুন জীবন নিয়ে কি ভাবছেন?
সোহানা সাবা: আমি অতিরিক্ত ছোটবেলায় বিয়ে করেছি। সেই সংসারের অভিজ্ঞতা ভালো ছিল না বলেই একা জীবন বেছে নিয়েছি। নতুন করে সংসারের ব্যাপারে এখনই ভাবছি না। যখন ভাবনায় আসবে তখন বুঝে শুনে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেব। আর ভুল করতে চাই না। এখন ভুল করার মতো বয়স বা সময় নেই। এটি এখন আমার জীবনের বড় সিদ্ধান্ত। সিঙ্গেল জীবন উপভোগ করছি। সারাজীবন এভাবেই উপভোগ করতে চাই। চলার পথে যদি নতুন কেউ আসে, মনে হয় যদি তাকে বিশ্বাস করে বাকি জীবনটা কাটানো যাবে, তাহলেই ভেবে দেখব। কিন্তু এই মুহূর্তে সেই ভাবনাটা নেই। এখন জীবনটাকে উপভোগ করতে চাই।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ঘরের দরজা ভেঙে বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী সাদি মহম্মদের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কুমিল্লা শহরে নিজেদের বাড়িতে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। এ ধরনের আত্মহত্যার ঘটনা চলছে। আত্মহত্যা প্রতিরোধের উপায় কী অথবা আত্মহত্যা করতে চাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ মানুষটির প্রতি পরিবার, সমাজ, গণমাধ্যমের ভূমিকা কতটুকু—এসব নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে কথা বলেছেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক হেলাল উদ্দীন আহমেদ। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের প্রতিবেদক খাদিজা ভৌমী।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, ভারতের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ও মদদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে বা আছে—বিএনপির এধরনের কথাবার্তা স্রেফ তাদের হঠকারিতা। ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা যেভাবে আমাদের সহযোগিতা করেছে আপনি কি সেটা অস্বীকার করতে পারবেন কিংবা তাদের অবদানকে কোন ভাবে অবমূল্যায়ন করতে পারবেন? এটা কোন ভাবেই সম্ভব না। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ভারতের অবদানের জন্যই তারা আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু রাষ্ট্র।