খালেদা জিয়া কি তবে আবার জেলে যাবেন? দুর্নীতির মামলায় সাজা পেয়ে বেগম খালেদা জিয়া নিজ বাড়িতে বসবাস করছেন। সন্তান তারেক রহমান পরিবার পরিজন নিয়ে লন্ডনে আছেন। সেখান থেকে দলকে নির্দেশনা দিচ্ছেন। সুখেই আছেন তারা। কিন্তু দলের কর্মীরা হয়তো তেমন সুবিধা করতে পারছেন না। সেজন্য তারা আন্দোলন করতে চাইছে ক্ষমতার ভাগ পাওয়ার জন্য। সরকার আন্দোলনের সুযোগ দিয়ে আবার কঠোর অবস্থানে কেন যাচ্ছেন বোধগম্য নয়। তেমনি শান্তি ও অহিংস আন্দোলনের পরিবর্তে বিরোধীদল সহিংসতার আভাস দিচ্ছেন সেটাও বোধগম্য নয়। আমরা স্বাধীনতার ৫০ বছর পার করেছি। ২৯০ বছর ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন, ২৩ বছর পাকিস্তানী শোষণের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি, এরপর ১৯৭৫ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত দেশি সামরিক শাসকের সঙ্গে সংঘাত করে বেঁচে আছি। এভাবে আর কতকাল আমাদের লড়াই করতে হবে?
সারা পৃথিবীতে যেভাবে নির্বাচন হয় সেভাবেই বাংলাদেশে নির্বাচন হোক আমাদের সকলের কাম্য। কিন্তু নতুন করে বিএনপি বায়না ধরেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিতে হবে। আর সেই সরকার আনতে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে নানা অপপ্রচার করে আসছে। বাংলাদেশের অবস্থা আমি বলছিনা খুব ভালো। তবে সেটাকে উন্নত করতে বিরোধীদলের গঠনমূলক রাজনীতি আমাদের সকলের কাম্য। আমরা এরই মাঝে আভাস পেয়েছি সরকার নিজেদের দলে শুদ্ধি অভিযান চালাবে। ফলে দুর্নীতি, নিপীড়ন, নির্যাতন থেকে জন্য কিছুটা স্বস্তি পাবে। তাতে করে সরকারের গ্রহণযোগ্য উঁচুমাত্রায় পৌঁছে যাবে।
সরকার নানা ভাবে সফল। সুতরাং আগামী নির্বাচনে তাদের বিজয় সুনিশ্চিত। কিন্তু আন্তর্জাতিক অর্থনীতি ও রাজনীতি সেই বিজয়ের পথে নির্বাচনের আগে থেকেই কাটা ছড়াচ্ছে। সরকারকে বিব্রত করে, অসহনীয় পরিস্থিতি সৃষ্টি করে যারা ক্ষমতায় যেতে ষড়যন্ত্র করছেন তাদের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাবধান বাণী : খালেদাকে আবার জেলে যেতে হবে। ওরকম সাবধান বাণী কিন্তু তিনি নিজদলের কর্মী নেতাদেরকেও দিয়েছেন। জনগণ তাকিয়ে আছে যোগ্যদের পদায়ন, মনোনয়ন ও সম্মানিত করবেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী। এবং সেজন্য তিনি নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন। জনগণের আশা তারা সঠিক ব্যক্তিকে সঠিক জায়গায় দেখতে পাবে।
একটি সাধারণ অভিযোগ সরকারের বিরুদ্ধে - আমলাদের আধিপত্য। সরকার সেখানে কি করবে আমরা জানিনা - তবে পদ না থাকা সত্ত্বেও সেখানে গণ পদোন্নতি হচ্ছে। অন্যদিকে চাকুরীর আশায় লক্ষ লক্ষ যুবক -যুবতী আবেদনের পর আবেদন করে চলেছেন। তাদের জন্য সরকার কি ভাবছে সেটা স্পষ্ট নয়। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা হাল যেমন নড়বড়ে তেমনি আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। আমাদের যোগাযোগ খাতে বা বিদ্যুৎ খাতে অনেক উন্নয়ন হলেও শিক্ষা খুবই অবহেলিত। সেখানে প্ৰয়োজন অতিরিক্ত বাজেট। তাতে করে কর্মসংস্থান হবে, অর্থনৈতিক কর্মকান্ড চলবে এবং জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠন সম্ভব হবে।
আজ শুত্রুবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী শিক্ষার পরিধি বৃদ্ধির পক্ষে সুন্দর যুক্তি দিচ্ছিলেন। আমার কাছে ওনার সেই বক্তব্য ভালো লেগেছে। অনুষ্ঠানটি ছিল মাননীয় উপাচার্যের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান। শিক্ষার বিকাশে, নতুনত্ব আনতে আমি ২০১০ সালে একটি নৈতিক উন্নয়ন কেন্দ্রের প্রস্তাব দিয়েছিলাম। সারা বিশ্ব আজ নৈতিক শিক্ষার জন্য বিভিন্ন ধরনের নীতিবিদ্যার অধ্যয়নের ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু আমাদের বিভাগ, কলা অনুষদ এবং একাডেমিক কাউন্সিল সেটা পাশ করলেও সিন্ডিকেট সেটিকে অনুমোদন দেয়নি। অথচ এমন কিছু অপ্রচলিত বিষয়ের প্রসার ঘটানো হয়েছে যা প্রতিদিনের সমালোচনায় স্থান পাচ্ছে।
এরকম পরিস্থিতিতে আবার একটি চেষ্টা আমি করতে চাই। নীতিবিদ্যার ব্যাপকতাকে বিবেচনা করে পরিকল্পনা, প্রশাসন, শিক্ষা, আইন, উন্নয়ন, রাজনীতি, পলিসি, স্বাস্থ্য, বিজ্ঞান, গবেষণা, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, সুষম বণ্টন, মানবাধিকার, স্বাধীনতা বিষয়ের একটি ইন্টারডিসিপ্লিনারি শিক্ষা কার্যক্রম চালুর প্রস্তাবনা গ্রন্থিত করেছি। সেটির নাম নির্ধারণ করেছি - শেখ রাসেল সেন্টার ফর এথিক্স এন্ড পাবলিক অ্যাফেয়ার্স। শেখ রাসেল নামটি বঙ্গবন্ধু রেখেছিলেন বিশ্ববিখ্যাত দার্শনিক বার্ট্রান্ড রাসেলের নামের সঙ্গে মিলে রেখে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে প্রায় শিশু রাসেল সম্পর্কে বলতে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু নাকি বঙ্গমাতাকে দার্শনিক বার্ট্রান্ড রাসেলের বই পড়ে শোনাতেন। এখন আমরা একটি যুদ্ধ দেখছি এবং তার ভয়াবহতাও দেখছি। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শান্তির পক্ষে জাতিসংঘে জোরালো যুক্তি ও ভাষণ দিয়েছেন। বাংলাদেশকে তিনি শান্তির বাংলাদেশ বানাতে চান। সেই সময় কেন খালেদা জিয়াকে আবার জেলে যেতে হবে? খালেদা জিয়া কি তবে শান্তির বাংলাদেশ চান না? তিনি তো ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। কেন তিনি দেশের জন্য না ভেবে ক্ষমতার কথা ভাবছেন? তিনি কতবার প্রধানমন্ত্রী হলে শান্ত হবে জানতে পারি কি?
এটি একবিংশ শতাব্দী। আজকের তরুণরা ভিন্নভাবে সবকিছুকে দেখে। তারা বিশৃঙ্খলা চায় না। সুতরাং - শান্তির রাজনীতি যেন আমাদের পাথেয় হয়। দুর্নীতিকে, আমলাতন্ত্রকে, মোকাবেলা না করে উন্নয়ন, শান্তি অর্জন সম্ভব হবে কি? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী - সবকিছু ঢেলে সাজাবার প্রয়োজন। সবখানে অযোগ্য লোকে ভোরে গেছে। শুধু খালেদা জিয়াকে জেলে পাঠিয়ে উন্নয়নের আলো ছড়িয়ে দেয়া সম্ভব হবে কি ? লিটমাস টেস্ট হিসেবে গাইবান্ধা নির্বাচনকে জনগণ নিয়েছে। পেশি শক্তি ও টাকার খেলায় আজও মানুষের মুক্তি বন্দিশালায়। বঙ্গবন্ধু সেই বন্দিশালা থেকে মুক্ত করতে চেয়েছিলেন। ভারত থেকে পাকিস্তান, পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ আমরা পেয়েছি। কিন্তু দেশ এখনো কলোনি ও বাজার উভয় রয়ে গেছে। বঙ্গবন্ধু সেখান থেকে আমাদের মুক্ত করেছিলেন। কিন্তু আমার আবার ১৫ আগস্ট থেকে বন্দি আছি। সেই মুক্তির স্বাধ যেন জাতি আপনার হাত থেকে জনগণ পায় যেভাবে খালেদা জিয়া মুক্তি পেয়েছেন। আমাদের কষ্ট হচ্ছে সংসার চালাতে। অপরদিকে প্রতিদিন রাজপথে নতুন নতুন মডেলের গাড়ি নামছে। সামাজিক বৈষম্য বাড়ছে। দুর্বৃত্তরা এখন বুক ফুলিয়ে চলছে। কেবল খালেদা জিয়াকে জেলে নিলেই সমাধান হবে কি ? আপনার আরও কঠোর হওয়া প্রয়োজন। অযোগ্যদের বিদায় দিন -দল থেকে, সরকার থেকে, সমাজ থেকে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে আমলাতন্ত্র থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আর সেজন্য শিক্ষায় মনোযোগ দেয়া প্রয়োজন।
শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড - সেটা এখন যাদের হাতে তাদের যোগ্যতা নিয়ে সমাজে সমুচা সিঙ্গারা খেতে খেতে হাসাহাসি চলে। সেখানে চোরেরা দাপটে চলে। জাতিকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে গোল্ডেন হ্যান্ডশেক দেয়ার প্রয়োজন পড়লে দ্বিধা করা ভুল হবে। মানুষ যোগ্য ব্যক্তির শাসন চায়। সেজন্য শুদ্ধি অভিযান সময়ের দাবি। আপনি বাংলাদেশকে র্যাংকিংয়ে উন্নত করে মধ্যে আয়ের দেশ বানিয়েছেন, আজকের তরুণদের আশা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে র্যাঙ্কিংয়ে উন্নত করতে ভালো মানের শিক্ষক, উচ্চমানের উপাচার্য নিয়োগ দেবেন। প্ৰয়োজনে বিদেশ থেকে শিক্ষক -উপাচার্য আনলে জনগণ আশার আলো দেখবে। আপনি কি তরুণদের কথা শুনবেন কি? আমাদের কেউ কেউ বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টাডি সেন্টার করছেন। এভাবে শিক্ষার উন্নয়ন কোথাও সম্ভব হয়েছে কি?
শুদ্ধি অভিযান সরকার আন্দোলন নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ১১:৫৯ এএম, ২৬ মার্চ, ২০২৪
যার গন্তব্য স্থান কোথায় সেটা ঠিক নাই, তিনি রাস্তায় গাড়ি বা রিক্সা যেভাবেই যান না কেন সে শুধু উদ্দেশ্যহীন ভাবে ঘুরে বেড়াবেন। কারণ তার তো গন্তব্য ঠিক নাই। সে গুলশান যাবে, না নিউ মার্কেট যাবে কোথায় যাবে জানে না। বিএনপির অবস্থা এখন ঠিক তাই। তারা জানেই না তাদের আন্দোলনের গন্তব্য কোথায়। জানে না বলেই তারা একের পর এক ভুল করে রাজনীতির কানাগলিতে ঢুকে যাচ্ছে। এর একটি উৎকৃষ্ট প্রমাণ হলো হঠাৎ করে তারা ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছে। কিন্তু আমাদের বাস্তবতা বুঝতে হবে যে, ভারতীয় পণ্য বর্জন সম্ভব কিনা? এখানে একটা কথা উল্লেখ্য করতে চাই যে, এদেশের জনগণ কার কথায় বিশ্বাস করেন? জনগণ বিশ্বাস করেন একমাত্র দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার কথা। কারণ তিনি যেটা বলেন সেটা করেন। তিনি যদি কোন প্রশ্নবোধক ডাকও দেন তাহলেও বহু লোক সেটাকে গ্রহণ করবে। কারণ তার প্রতি তাদের বিশ্বাস আছে। আর যে দলের নেতারা প্রায় সবাই হয় সাজাপ্রাপ্ত অথবা জামিনে আছে তাদের কথায় কোন লোক কানে দিবে না।
দ্বিতীয়ত হচ্ছে যারা ভারতীয় পণ্য বর্জনের কথা বলছেন তারা তো ভোরে উঠেই আগে ভারতীয় টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত ব্রাশ করেন। দৈনন্দিন জীবনে যা ব্যবহার করি সবই তো ভারতীয় পণ্য। আমাদের বাজারে কোন জিনিস কিনতে গেলে তো ভারতীয় পণ্যটিই বেশি খুঁজি। তাহলে এখন কি আপনারা পেস্ট দিয়ে ব্রাশ না করে কয়লা ব্যবহার করতে চান? সেটা আপনারা করতে পারেন। কয়লার আজকাল দামও অনেক। আবার ঝামেলা হলো সহজে যাওয়া যায় না। সুতরাং সেটাও আপনাদের জন্য অসুবিধা।
কথায় আছে পাগলে কি না বলে ছাগলে কিনা খায়। সে ধরনের একটা রাজনৈতিক কর্মসূচি আপনারা দিয়ে দিলেন কোন কিছু না ভেবে। কিন্তু বাস্তবতা হলো এর মধ্য দিয়ে আপনারা আরও রাজনৈতিক গহ্বরে ঢুকে গেলেন। এখন ভাবে ঢুকছেন সেখান থেকে আর কোন দিন বের হতে পারবেন কিনা সেটা একটা প্রশ্ন।
আমরা এখন বিশ্বায়নের যুগে বাস করি। এখন বিশ্বের কোন দেশেরই নিজস্ব পণ্য বলে কিছু নেই। আমাদের সবাইকে সবার ওপর নির্ভর করতে হয়। সেখানে আপনারা ভারতকে বর্জন করবেন কি করে। ভারত তো সবচেয়ে নিকটতম প্রতিবেশি দেশ। তার আগে আমাদের মনে রাখতে হবে ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা যুদ্ধ করেছি। সে সময় আমাদের ৩০ লাখ সহযোদ্ধা শহীদ হয়েছেন। এর সাথে আরও ১০ থেকে ১৫ হাজজার ভারতীয় সৈন্য বাংলাদেশের জন্য বাংলাদেশের মাটিতে তাদের রক্ত ঝড়িয়েছেন। আামরা না হয় আমাদের দেশের জন্য রক্ত দিয়েছি। কিন্তু ভারতীয়রা তো জীবন দিয়েছে প্রতিবেশির জন্য। সুতরাং ভারতের সাথে আমাদের কন্ধনটা হলো রক্তের। রক্ত দিয়ে ভারতের জনগণের সাথে বাংলাদেশের জনগণের বন্ধুত্ব। সেই বন্ধুত্ব আপনি পণ্য বর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ করবেন কি করে? বাসায় আপনার বউ থেকে শুরু করে বাসার কাজের মেয়ে সবাই ভারতের শাড়ি ব্যবহার করেন। তাহলে আগে তাকে বলবেন যে, আপনারা ভারতীয় পণ্য বর্জন করুন।
রিজভী সাহেব বঙ্গবাজার থেকে একটি চাদর কিনে এনে আগুনে পুড়িয়ে দিয়ে একটা নাটক করেছেন মাত্র। বঙ্গবাজারে আরও অনেক কিছু পাওয়া যায় যেগুলো ভারতের নামে চলে। এটা আমরা জানি। রমজান মাসে ইফতারে আপনি পিয়াজু রাখছেন। এটা বাঙালিদের ইফতারের একটা ঐতিহ্য বলতে পারেন। এটা আমরা খাবই। কিন্তু পেঁয়াজ তো আসে ভারত থেকে। তাহলে এখন তো আপনাকে ইফতারে পিয়াজুও বাদ দিতে হবে। এভাবে আপনি কত বাদ দিবেন। অনেক সময় ভারত থেকে ঝড় আসে। সে সময় তাহলে বাতাসও আপনি নিবেন না। এটা বর্জন করবেন। এটা কি সম্ভব? যদি সম্ভবই না হয় তাহলে পাগলের প্রলাপ বলে কি আর আন্দোলন হয়। পাগল তো তার নিজের ভালোটা বুঝে। আপনাদের ভারতীয় পণ্য বর্জনের আহ্বান দিন শেষে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগকেই লাভবান করবে। কারণ আপনাদের আন্দোলনের কোন গন্তব্যই নেই। কোন রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আন্দোলন করলে জনগণের কাছে যেতে পারবেন সেটাও আপনারা বুঝেন না। আপনারা পড়ে আছেন ভারতরে পণ্য বর্জনের ডাক নিয়ে। ফলে জনগণের আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু এদিকে চাপা পড়ে যাবে। আর সরকারও মহা আরাশ আয়েশে চলবে। আমি জানি না, কোন উৎস থেকে টাকা পয়সা পেয়ে আপনারা নতুন করে এই স্লোগান শুরু করেছেন। কিন্তু আপনাদের এই ডাকে বেনিফিশিয়ারি আওয়ামী লীগই। কারণ আপনারা এবার বিএনপিকে দলগতভাবে কবরে নামানোর জন্য প্রচেষ্টায় নেমেছেন।
মন্তব্য করুন
একাত্তরের ২৫ মার্চের ভয়ালরাত্রি মর্মদাহিক চেতনা প্রবাহের কালখণ্ড।
২০১৭ সালের ১১ মার্চ জাতীয় সংসদে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালোরাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর
বর্বরোচিত ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডকে ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে পালনের এবং আন্তর্জাতিকভাবে
এ দিবসের স্বীকৃতি আদায়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত
হয়েছে। এর আগে ২৫ মার্চকে ‘আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস’ হিসেবে পালনের দাবি ওঠে বাংলাদেশের
সর্বস্তরের মানুষের কাছ থেকে।
এ কথা সকলের কাছে পরিষ্কার যে, নয়মাসে ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হওয়া নিয়ে
কোনো বিতর্ক চলতে পারে না। কারণ রবার্ট পেইন তার Massacre, The Tragedy of
Bangladesh গ্রন্থে ইয়াহিয়া খানের উদ্ধৃতি দিয়েছেন এভাবে- Kill three million of
them and the rest will eat out of our hands. পাকিস্তানি শাসকদের এই সিদ্ধান্তের কারণে
দৈনিক গড়ে ছয় হাজারের বেশি মানুষ খুন হয় সারা বাংলাদেশে। এজন্য ১৯৭১ সালে মার্কিন সিনেটর
এডওয়ার্ড কেনেডি ভারতের শরণার্থী শিবিরগুলো পরিদর্শন করে পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে
সরাসরি গণহত্যা চালানোর অভিযোগ আনেন। ‘গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস’-এ বাংলাদেশের
হত্যাযজ্ঞকে বিশ শতকের ৫টি ভয়ঙ্কর গণহত্যার অন্যতম বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ২০০২ সালে
যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘নিরাপত্তা বিষয়ক আর্কাইভ’ তাদের অবমুক্তকৃত
দলিল প্রকাশ করে। সেখানে বাংলাদেশের নারকীয় হত্যালীলাকে ‘জেনোসাইড’ হিসেবে চিহ্নিত
করা হয়। ঢাকায় অবস্থিত মার্কিন কূটনৈতিকরা সেসময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ব্যাপক গণহত্যার
বর্ণনা দিয়ে ওয়াশিংটনে বার্তা প্রেরণ করেছিল। মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিকরা
একাধিক লেখায় এবং বিশ্বখ্যাত পত্রিকা টাইম, নিউইয়র্ক টাইমস প্রভৃতির সম্পাদকীয়তে পাকিস্তানিদের
গণহত্যা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয়। উপরন্তু ১৯৭২ সালে পাকিস্তানে গঠিত
‘হামাদুর রহমান কমিশন’ তাদের পরাজয় অনুসন্ধান করতে গিয়ে প্রমাণ পায় বাংলাদেশে পাকিস্তানি
সেনাদের ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ ও নারী নির্যাতনে ঘটনার। আর এই ভয়ঙ্কর গণহত্যায় কেঁপে উঠেছিল
বিশ্ববিবেক। জর্জ হ্যারিসন ও পণ্ডিত রবিশংকর ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ আয়োজন করেন। দার্শনিক
আঁদ্রে মালরোর নেতৃত্বে গঠিত হয় ‘আন্তর্জাতিক ব্রিগেড’। প্যারিস ও লন্ডনে সরব হয়ে ওঠেন
মানবতাবাদী নেতৃবৃন্দ। বাংলাদেশে পাকিস্তানিদের দ্বারা সংঘটিত গণহত্যা ব্যাপক এবং নিষ্ঠুরতার
দলিল হিসেবে আজও বিশ্বকে নাড়া দেয়।
আসলে বিংশ শতাব্দীতেই ঘটেছে কোটি মানুষের প্রাণসংহার। বিশ্বযুদ্ধ
ও জাতিনিধনের সেই পরিকল্পিত ও ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ ‘জেনোসাইড’ অভিধা পেয়েছে। হিটলারের কনসেনট্রেশন
ক্যাম্প থেকে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানিদের বন্দিশিবির সেই জেনোসাইডের নির্মম ইতিহাসের কথা
বলে। অ্যান্থনী মাসকারেনহাস তাঁর ‘দ্যা রেপ অব বাংলাদেশ’ গ্রন্থের ‘গণহত্যা’ অধ্যায়ে
লিখেছেন ‘সারা প্রদেশ জুড়ে হত্যাকাণ্ডের সুব্যবস্থার নমুনার সঙ্গে জেনোসাইড বা গণহত্যা
শব্দটির আভিধানিক সংজ্ঞার হুবহু মিল রয়েছে।’ তিনি প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা এবং পাকিস্তানি
সেনা কর্মকর্তার মুখ থেকে জেনেছিলেন গণহত্যার লক্ষবস্তু ছিল- ক) বাঙালি সৈনিক, পুলিশ,
আনসার প্রভৃতি খ) হিন্দু সম্প্রদায় গ) আওয়ামী লীগের লোক ঘ) কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী
ঙ) অধ্যাপক ও শিক্ষক যাঁরা বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত। তবে তিনি এটাও লক্ষ
করেছিলেন যে সেনাবাহিনীর নৃশংসতা ছিল নির্বিচার। নিরপরাধ, সাধারণ মানুষকেও শত্রু হিসেবে
গণ্য করেছিল তারা। তাছাড়া তাদের গণহত্যা ছিল ‘শোধন প্রক্রিয়া’ যাকে শাসকগোষ্ঠী রাজনৈতিক
সমস্যার সমাধান বলে মনে করত। সেই সঙ্গে এই বর্বরোচিত উপায়ে প্রদেশটিকে উপনিবেশে পরিণত
করাও ছিল এর অন্যতম উদ্দেশ্য। পাকিস্তানিদের ভাষ্য ছিল- ‘বিচ্ছিন্নতার হুমকি থেকে রক্ষা
করার উদ্দেশ্যে পূর্ব পাকিস্তানকে চিরদিনের জন্য পবিত্র করতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। সেজন্য
যদি বিশ লাখ লোককে হত্যা করতে হয় এবং প্রদেশটিকে তিরিশ বছরের জন্য উপনিবেশ হিসেবে শাসন
করতে হয়, তবুও।’ শাসকদের এ ধরনের মানসিকতার সঙ্গে পশ্চিমাংশের মানুষের ঐক্য ছিল। আর
এজন্যই ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ বলেছিলেন, ‘পশ্চিম পাকিস্তানের
জনগণ হলেন গণহত্যার নীরব দর্শক।’
বাংলাদেশে ১৯৭১-এ পাকিস্তানি শাসক ও তাদের দোসর আলবদর, আলশামস ও রাজাকার বাহিনী পরিকল্পিতভাবে হত্যাযজ্ঞ, ব্যাপক ধ্বংসলীলা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, হিন্দু জনগোষ্ঠী নিধন ও বিতাড়ন, রাজনৈতিক ভিন্নমতাবলম্বীদের নির্যাতন, মুক্তিযোদ্ধাদের নির্বিচারে হত্যা করেছিল। বাঙালি জাতির প্রতি বিদ্বেষ ও ঘৃণা থেকে তাদের ২৫ মার্চের ‘অপারেশন সার্চলাইট’ শুরু হয়েছিল। সুপরিকল্পিত গণহত্যা ও জাতিগত নিধনযজ্ঞ জেনোসাইড হিসেবে গণ্য হয়েছে। হিটলারের নাজি বাহিনী ইহুদি ও রাশিয়ার যুদ্ধবন্দিদের সঙ্গে যে বর্বরতা দেখিয়েছিল ঠিক একইরকম আচরণ ছিল পাকিস্তানিদের। নিষ্ঠুরতা, পাশবিকতা এবং সাম্প্রদায়িক দৃষ্টি ছিল ঠিক ইহুদিদের প্রতি নাজিদের মতো। নাজিরা ইহুদিদের নিচুজাতের মানুষ হিসেবে বিবেচনা করত এবং তাদের নিধনযজ্ঞের মধ্য দিয়ে ইউরোপের সমস্যা সমাধান করতে চেয়েছিল। অনুরূপভাবে পাকিস্তানি সেনা অফিসারদের মনোভাব ছিল Bengalees have been cleansed and selected properly for at least one generation. নাজিরা প্রথমে তরুণ, যুবক এবং সমর্থ পুরুষদের হত্যা দিয়ে নিধনযজ্ঞ শুরু করলেও শিশু, বৃদ্ধ, নারীদের নির্বিচারে নিধন করতে থাকে ১৯৪১ সালে বলকান অঞ্চল থেকে। যুদ্ধবন্দি হত্যাসহ অন্যান্য নিষ্ঠুরতায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছায় তারা। তাদের অত্যাচারের সঙ্গে পাকিস্তানের সেনাদের আরো মিল রয়েছে হিন্দু নিধনের ঘটনায়। একাত্তরে হিন্দুদের প্রতি শাসকদের দৃষ্টিভঙ্গি ছিল সুচিন্তিত ও নির্মম।
কারণ তারা ধর্মভিত্তিক হত্যাকাণ্ডকে বৈধ করে তুলেছিল। তারা মনে করত পাকিস্তানের জন্ম হয়েছে এই উপমহাদেশের হিন্দু আধিপত্যের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র আবাসভূমির জন্য মুসলমানদের বিদ্রোহের কারণে। এই হিন্দু বিদ্বেষ মনোভাব বছরের পর বছর লালিত হয়ে এসেছে। এজন্য জেনোসাইডে হিন্দু নিশ্চিহ্ন অনিবার্য হয়ে উঠেছিল। জনৈক গবেষকের ভাষায়- ‘পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আক্রমণের পর গোটা দেশে কেবল একটি উদীয়মান ও অস্তগামী রাষ্ট্রের মধ্যে যুদ্ধ হয়নি একাধিক জাতিগত দ্বন্দ্বও শুরু হয়ে যায়। এতে উভয়পক্ষের নির্যাতন শুরু হয় তবে এর সূত্রপাত ঘটে ২৫শে মার্চের আক্রমণের পর। পাকিস্তানি সরকারের পরিকল্পনার শিকার হয় দুই জনগোষ্ঠী সবচেয়ে বেশি। এর প্রথম শিকার হয় হিন্দু সম্প্রদায়, যাদের কেবল নির্যাতন করা হয়নি বরং তাকে সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও পারিবারিক ভিত্তি ক্ষতিগ্রস্ত এমনকি ধ্বংসও করা হয়। হিন্দুরা তাদের হৃত অবস্থান কোনদিন উদ্ধার করতে পারেনি বাংলাদেশেও। সম্প্রদায়গতভাবে তারাই ১৯৭১ সালের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠী।’ এমনকি ধর্ষণকেও তারা বৈধ বলে মনে করত। চীনের নানকিং-এ জাপানি সেনা কর্তৃক ধর্ষণ, রাশিয়াতে নাৎসিদের বলাৎকার এবং আর্মেনিয়া ও বসনিয়ার নারী নির্যাতনের সাযুজ্য রয়েছে বাঙালি নারী ধর্ষণের ঘটনায়। পাকিস্তানিদের বাঙালি নারী ধর্ষণের লক্ষ ছিল পরিবার, সম্প্রদায় ও জাতিকে মানসিকভাবে আহত ও পঙ্গু করা। মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে গেরিলা যুদ্ধে পরাজিত ও বাঙালি জাতিকে বশীভূত করতে না পারার যাতনা তারা মিটাত নারী ধর্ষণ করে। এটা ছিল ভয়ঙ্কর মনোবিকারজাত। সার্বরা মুসলিম নারীদের ধর্ষণ করেছিল ইথনিক ক্লিনজিং-এর উপায় হিসেবে। দেশ-বিদেশী গবেষক ও সাংবাদিকদের রচনায় যুদ্ধকালীন এসব নির্মম বাস্তবতাই উন্মোচিত হয়েছে।
বিশ শতকের জেনোসাইডের তালিকায় পাকিস্তান একটি অপরাধী রাষ্ট্রের
নাম। কারণ লাখো বাঙালির প্রাণের বিনিময়ে তারা সেদিন তাদের ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে
চেয়েছিল। অথচ বাঙালি জাতিগোষ্ঠী ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের আগে পশ্চিম পাকিস্তানের ওপর
কোনোরূপ অন্যায় পীড়ন করেনি। তবু বাঙালির প্রতি পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকদের বর্বর ও
নৃশংস আচরণ বিশ্বের কাছে তাদের ঘৃণ্য মানসিকতাকে প্রকাশ করে দিয়েছিল। পাকিস্তানিদের
আক্রমণ ও হত্যাকাণ্ড ছিল ফ্যাসিস্টদের মতো। তাই তারা পোষণ করেছিল জাতি বা ধর্ম সম্প্রদায়
বিদ্বেষ; হত্যা করেছিল নিরীহ নিরপরাধ জনসাধারণকে। সেই পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড আমাদের
২৫ মার্চের দাবিকে আরো বেশি তাৎপর্যবহ করে তুলেছে। ২৫ মার্চ ‘আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস’
হবে পৃথিবীর মানব জনগোষ্ঠীকে নির্মম নিধনের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য উচ্চকণ্ঠ এবং
হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের একমাত্র ভরসার দিন। আশা করা যায় এই
দিবসের চেতনা গণহত্যার বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ করবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
যার গন্তব্য স্থান কোথায় সেটা ঠিক নাই, তিনি রাস্তায় গাড়ি বা রিক্সা যেভাবেই যান না কেন সে শুধু উদ্দেশ্যহীন ভাবে ঘুরে বেড়াবেন। কারণ তার তো গন্তব্য ঠিক নাই। সে গুলশান যাবে, না নিউ মার্কেট যাবে কোথায় যাবে জানে না। বিএনপির অবস্থা এখন ঠিক তাই। তারা জানেই না তাদের আন্দোলনের গন্তব্য কোথায়। জানে না বলেই তারা একের পর এক ভুল করে রাজনীতির কানাগলিতে ঢুকে যাচ্ছে। এর একটি উৎকৃষ্ট প্রমাণ হলো হঠাৎ করে তারা ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছে। কিন্তু আমাদের বাস্তবতা বুঝতে হবে যে, ভারতীয় পণ্য বর্জন সম্ভব কিনা? এখানে একটা কথা উল্লেখ্য করতে চাই যে, এদেশের জনগণ কার কথায় বিশ্বাস করেন? জনগণ বিশ্বাস করেন একমাত্র দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার কথা। কারণ তিনি যেটা বলেন সেটা করেন। তিনি যদি কোন প্রশ্নবোধক ডাকও দেন তাহলেও বহু লোক সেটাকে গ্রহণ করবে। কারণ তার প্রতি তাদের বিশ্বাস আছে। আর যে দলের নেতারা প্রায় সবাই হয় সাজাপ্রাপ্ত অথবা জামিনে আছে তাদের কথায় কোন লোক কানে দিবে না।
একাত্তরের ২৫ মার্চের ভয়ালরাত্রি মর্মদাহিক চেতনা প্রবাহের কালখণ্ড। ২০১৭ সালের ১১ মার্চ জাতীয় সংসদে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালোরাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বর্বরোচিত ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডকে ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে পালনের এবং আন্তর্জাতিকভাবে এ দিবসের স্বীকৃতি আদায়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। এর আগে ২৫ মার্চকে ‘আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস’ হিসেবে পালনের দাবি ওঠে বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষের কাছ থেকে।
বঙ্গবন্ধু উপলব্ধি করেছিলেন যে, দেশের উন্নয়নের জন্য চিকিৎসা এবং চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতি সবচেয়ে জরুরি। চিকিৎসার যদি উন্নতি না হয়, চিকিৎসা ব্যবস্থার যদি উন্নতি না হয়, মানুষ যদি সুস্বাস্থ্যের অধিকারী না হন তাহলে দেশ গড়া সম্ভব নয়। সেজন্য বঙ্গবন্ধু একটা সুন্দর নীতিমালা পরিকল্পনা গড়ে তোলেন। ওই সময়ই সেটা ছিল আধুনিক যুগোপযোগী এবং বিজ্ঞানসম্মত। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল বঙ্গবন্ধু যে নীতিমালা তখন চালু করে গিয়েছেন সেই পদ্ধতিতে আজকের দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা একে এক করে বাস্তবায়ন করে চলেছেন। যার মূল ভিত্তি বঙ্গবন্ধু স্থাপন করেছেন।
সাম্প্রতি ‘স্বাধীনতা সুফল পেতে চাই চিকিৎসা বিজ্ঞান গবেষণা জাতির পিতার হাতে সূচনা, দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা দিলেন দিক নির্দেশনা’ শীর্ষক এক গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিপ্রেক্ষিতের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীর। বৈঠকে আলোচক হিসেবে অধ্যাপক ডা. শাহ মনির হোসেন যে আলোচনা করেছেন তার চুম্বক অংশ প্রকাশ করা হলো।