কয়েকদিন আগে আমি একটি অর্থনৈতিক সম্মেলনের
কথা শুনছিলাম, যেখানে একজন আফ্রিকান মহিলা উপস্থাপক অর্থনীতিবিদকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন,
"আমেরিকার ৩০ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি ঋণ রয়েছে, কেন আপনি আমেরিকাকে বিশ্বের সবচেয়ে
ঋণগ্রস্ত দেশ বলছেন না, যখন আফ্রিকার কয়েক বিলিয়ন ডলার ঋণের দেশগুলোকে আপনি ঋণগ্রস্ত
দেশ বলছেন, বলেছেন তারা ঋণখেলাপি হয়ে যাবে।" অর্থনীতিবিদ হেসে বললেন, "আমেরিকানদের
ঋণ হল ডলারে, তারা শীঘ্রই তা পরিশোধ করার চাপে নেই বা তারা আরও ডলার ছাপাতে পারে তা
সোধ করার জন্য। তারা এখনও আরও বেশি ঋণ নিতে পারে এবং উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধিতে বিনিয়োগ
করতে পারে। তবে আফ্রিকান এবং উন্নয়নশীল দেশগুলি ডলার ছাপাত পারে না। তাদের পণ্য, প্রাকৃতিক
সম্পদ এবং কাঁচামাল বিক্রি করে ডলার উপার্জন করতে হয়, যার দাম পশ্চিমা দেশগুলিতে নির্ধারণ
করা হয় এবং তাদের ডলারে (বা পাউন্ড বা ইউরো) বিশ্ব ব্যাংক, আইএমএফ, অন্যান্য উন্নয়ন
এবং বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলিকে সময়মতো সুদ সহ ঋণ পরিশোধ করতে হয়। যদি এই দেশগুলি তাদের
খনিজ, কাঁচামাল এবং তাদের দেশীয় পণ্যগুলি থেকে উপকৃত হতে না পারে, তাদের অর্থনীতিতে
বিনিয়োগ ও উন্নতি করতে না পারে এবং অবকাঠামো তৈরি না করতে পারে, অর্থনীতিকে শক্তিশালী
না করতে পারে, তাহলে তারা কীভাবে তাদের সব ঋণ পরিশোধ করতে এবং স্বনির্ভর হতে পারবে”?
ঋণ খেলাপি হলে, টাকা ধার করা আরও কঠিন হয়ে যায়। আরও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয় এবং সুদের হার অনেক বেশি হয়। এমনকি সেই দেশগুলোও বেশি ধার নিতে পারে না, কারণ কেউ টাকা ধার দিতে চায় না। ঋণী দেশগুলো যেন ঋণখেলাপি না হয়, IMF তাদের ঋণ শোধ করার জন্য আরও ঋণ দেয়, যার ফলে সেই দেশ গুলো আরও ঋণে ডুবে যায়। তখন আরো সীমাবদ্ধতা এবং কঠোরতা ছাড়া ঋণ পুনর্গঠন সহজ হয় না। উন্নয়নশীল দেশগুলির কঠিন উপার্জনের বৈদেশিক মুদ্রা (ডলার, পাউন্ড বা ইউরো) বেশিরভাগই ঋণ পরিশোধের জন্য ব্যবহৃত হয় যার ফলে প্রবৃদ্ধি এবং ভবিষ্যতের জন্য সামাজিক খাত এবং অবকাঠামো উন্নয়নে উচ্চ মূল্যে ধনী দেশগুলি থেকে সমাপ্ত পণ্যের পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তি কেনার জন্য তাদের সামান্যই ডলার অবশিষ্ট থাকে। ২০১৯ সালে আমি প্রযুক্তিগত সহায়তার জন্য জাম্বিয়া গিয়েছিলাম এবং আমি দেখেছি জাম্বিয়াকে তার আয়ের ৬০% (কাঁচামাল এবং খনিজ বিক্রির পাশাপাশি রাজস্ব ট্যাক্স সংগ্রহ দ্বারা আয় করা) ব্যায় করতে হয় প্রতি বছর তার কর সহ কিস্তির ঋণ পরিশোধের জন্য। বাকি ৪০% আয় দিয়ে দেশ চালানো যথেষ্ট নয় তাই তাদের আরও ধার নিতে হয়। জাম্বিয়া কখন তার ঋণের বোঝার এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে, কেউ জানে না। এটাই নির্মম বাস্তবতা। উন্নয়নশীল দেশগুলি ডলারের (পাউন্ড বা ইউরোর) নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে কোন প্রতিকার হবে না। অন্যদিকে ধনী দেশগুলো তাদের আধিপত্য বজায় রাখতে এই স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে সব কিছু করবে। তাদের নির্দেশিত এবং বর্ণিত আন্তর্জাতিক নিয়ম, গণতন্ত্র, বাক স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার বজায় রাখার নামে এমনকি প্রয়োজনে জাতীয় অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে, দেশ আক্রমণ করবে বা শাসন/শাসক পরিবর্তন করবে। তারা এখন একটি নতুন অস্ত্র আবিষ্কার করেছে - তথাকথিত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা এবং তাদের রিজার্ভ ব্যাঙ্কে জমা রাখা উন্নয়নশীল দেশের কষ্টার্জিত ডলার বাজেয়াপ্ত করা। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে, আপনি আপনার দেশের কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা পাচার করছেন, বিদেশে তাদের ব্যাংকে ডলার বা পাউন্ড বা সুইস ফ্রাংকে জমা করছেন, একদিন আপনার টাকাও বাজেয়াপ্ত হতে পারে।
সেদিন আমি ইংল্যান্ডের ব্যাংক প্রধানের
সাথে যুক্তরাজ্যের বর্তমান দারুন খারাপ আর্থিক পরিস্থিতি সম্পর্কে কথা বলার সাথে বিবিসির
সাক্ষাত্কার শুনছিলাম। তিনি বলেন কোভিডের সময় সরকার ও কোষাগারের মাধ্যমে বড় ধরনের
ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকার এবং কোষাগারের দ্বারা বিপুল পরিমাণ ধার নেওয়া এবং
আরও অর্থ ছাপানোর পাশাপাশি জনগণের সাথে সৎ না হওয়া সম্পর্কে কথা বলেছিলেন। ইউক্রেনে
যুদ্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে জনগণকে তাদের সাথে না নেওয়া, রাশিয়ার
বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা এবং দৈনন্দিন জীবনে এর নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে সঠিক
কথা না বলা। ইউক্রেনের বিলিয়ন বিলিয়ন ব্যয় কোথা থেকে আসবে এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে
বিশেষ করে জ্বালানি, গ্যাস, সার এবং কৃষি পণ্যের উপর নিষেধাজ্ঞার কারণে সাধারণ জনগণকে
কী অসুবিধার সম্মুখীন হতে হবে, কত এবং কতদিন তাদের ভোগান্তি চালিয়ে যেতে হবে সে সম্পর্কে
সৎ না হওয়া। তিনি আরও বলেন, আমেরিকা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নেও একই ধরনের ভুল করা হচ্ছে
(বেশি টাকা ধার করা এবং অধিক টাকা ছাপানো এবং জনগন কে সঠিক তথ্য জানানোর ক্ষেত্রে সৎ
না হওয়া)। কতদিন তারা পুতিনের যুদ্ধকে তাদের রাজনৈতিক ও নীতিগত ব্যর্থতার জন্য দায়ী
করবে! যার ফলে মূল্যস্ফীতি এবং জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ছে। বিশেষ করে হতদরিদ্র মানুষগুলো
দুর্ভোগে পড়েছে। দীর্ঘমেয়াদী মন্দা শুরু হয়েছে। বৃদ্ধি এবং উন্নয়ন থমকে গেছে। ইংল্যান্ডের
ব্যাংক প্রধানের অত্যন্ত সৎ এবং সাহসী কথাবার্তা এবং মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকার
কথা শুনে এবং দেখে আমি অবাক হয়েছিলাম।
আমি কয়েরদিন আগে নিউ ইয়র্ক টাইমস এর
একটি নিবন্ধ পড়ছিলাম (আমি নিয়মিত সাবস্ক্রাইবার এবং দৈনিক NYT পড়ি)। লেখক অনেক গর্বের
সাথে এবং আনন্দের সাথে লিখেছেন "স্প্যানিশ উপকূলে অনেক গ্যাস বোঝাই জাহাজগুলি
অপেক্ষা করছে কারণ ইউরোপ, তাদের ব্যাপক জ্বালানী কেনাকাটা করার সফলতার কারনে এত বেশি
গ্যাস রিজার্ভ করে রেখেছে যে, আগত জ্বালানী সহ জাহাজ গুলো থেকে রিজার্ভ ট্যাঙ্কে জ্বালানী
স্থানান্তর করার আর জায়গা নেই। ইউরোপ এখনও ইউক্রেনের নীচে চলমান পাইপলাইনের মাধ্যমে
রাশিয়া থেকে প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রায় ৭ শতাংশের একটি ছোট সরবরাহ পাচ্ছে। যদি সেই
প্রবাহ বিচ্ছিন্ন হয়, তবে বেশ কয়েকটি দেশ আবদ্ধ হবে।” জ্বালানি ও গ্যাস ইউরোপীয়
দেশগুলোতে পাঠানো, জ্বালানি ও গ্যাসের উচ্চমূল্যের (জ্বালানি ও গ্যাস উৎপাদন রাতারাতি
বেশি হতে পারে না, এটি সীমিত) কারণে উন্নয়নশীল দেশগুলি সেই জ্বালানি ও গ্যাসের সমস্ত
অ্যাক্সেস হারিয়েছে। এ কারণে উন্নয়নশীল দেশগুলোর মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে, দারিদ্র্যতা
বাড়ছে, ক্ষুধা ও দুর্ভিক্ষ তাদের দরজায় কড়া নাড়ছে, কিন্তু নিউইয়র্ক টাইমসের কলামিস্ট
এ বিষয়ে একটি কথাও লেখেননি। মনে হচ্ছে সীমিত অর্থনৈতিক সক্ষমতা সম্পন্ন উন্নয়নশীল
দেশগুলোর জীবনের চেয়ে ইউরোপীয় দেশগুলোর জীবনের মূল্য অনেক বেশী, এবং উন্নয়নশীল দেশ
এবং এর জনসংখ্যা সবই সমান্তরাল ক্ষতি (acceptable collateral damage) হবে, তার কে পাত্তা
দেয়! আমি এটি সম্পর্কে NYT নিবন্ধের পাঠক কলামে লিখেছিলাম কিন্তু আমার লেখাটা তারা
পোস্ট করেনি।
দুই সপ্তাহ আগে আমি হল্যান্ডে গিয়েছিলাম।
আমার স্ত্রীর পরিবারের সদস্যরা আমাদের একটি রেস্টুরেন্টে রাতের খাবারের জন্য আমন্ত্রণ
জানিয়েছিল। আমি বিনয়ের সাথে এবং এখনও তরুণ ওয়েটারের অনুমতি নিয়ে তার নিজের জীবনযাত্রার
খরচ এবং বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি শান্তভাবে বললেন পরিস্থিতি
খুব খারাপ। বাড়ীর ভাড়া, খাবার, দৈনন্দিন সবচেয়ে প্রয়োজনীয় পণ্য, জ্বালানি, বিদ্যুতের
দাম বেড়েছে। তিনি একজন স্কুল শিক্ষক এবং এখন কোনোভাবে তার জীবিকা নির্বাহের জন্য তাকে
ওই রেস্টুরেন্টে রাতের খাবারের সময় এই অতিরিক্ত কাজটি নিতে হয়েছে।
হল্যান্ড থেকে তারপর আমি লিভারপুল,
যুক্তরাজ্যে যাই। রেলস্টেশন থেকে আমার অ্যাপার্টমেন্টে ট্যাক্সিতে যাওয়ার সময় আমি
উবার ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করেছিলাম তার অর্থনৈতিক ও জীবিকার অবস্থার কথা। তিনি বললেন
খুব খারাপ অবস্থা। ইতিমধ্যে, তিনি তার সমস্ত সঞ্চয় ব্যয় করেছেন। তার উপার্জন দিয়ে
সে কোনোভাবে অনেক খরচ কমিয়ে তার পরিবার আর সংসার চালাতে পারছে কিন্তু কোনো অর্থ সঞ্চয়
করতে পারছে না। আমি ভাবছিলাম বাংলাদেশ থেকে আসা অভিবাসী ও অভিবাসী শ্রমিকদেরও একই অবস্থা
হবে যারা ইউরোপ বা অন্যান্য পশ্চিমের দেশে কাজ করে কোনো না কোনোভাবে জীবিকা নির্বাহ
করছেন, কোনো সঞ্চয় ছাড়াই। তারা কিভাবে এই অবস্থায় বাংলাদেশে টাকা পাঠাবে! ভাবলাম
বাংলাদেশে রেমিট্যান্স কমছে তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
ব্রিটিশ টিভি এবং কাগজপত্র দেখুন এবং
পড়ুন, সেখানে জীবন ও জীবিকার, বিশেষ করে জনসংখ্যার দরিদ্র অংশের ভয়াবহ পরিস্থিতির
চিত্র পাবেন। ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি, খাবারের দাম বেড়েছে, বাড়ির ভাড়া বৃদ্ধির
কারনে অনেকেই তাদের বাড়ির ভাড়ার জায়গা খালি করছে সস্তার খোঁজে, বন্ধকী পেমেন্ট বেশি
সুদের হার বাড়ার কারনে অনেকেই তাদের বাড়ি হারাবেন বা ভবিষ্যতে কিনতে পারবেন না। কিছু
পরিবার প্রতিদিনের কয়েক বেলার খাবার এড়িয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছে। বা বেঁচে থাকার জন্য
কম দামের জাঙ্ক অস্বাস্থ্যকর খাবার কিনছে। ফুড ব্যাঙ্কে দান করা খাবারের অভাব চলছে
কারণ অনেকেই যারা খাবার দান করতেন তারা আর দান করতে সক্ষম না। তাই অনেক দরিদ্র পরিবার
বিনামূল্যে দানের খাদ্য ভবিষ্যতে হয়ত পাবেন না। গ্যাস ও বিদ্যুতের উচ্চমূল্যের কারণে
কত মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হবে বা মারা যাবে, কেউ এখনও জানে না। পশ্চিমা অনেক দেশেও একই
অবস্থা।
আমি বাংলাদেশের পত্রিকায় পড়ছিলাম যে
IMF বাংলাদেশ সরকারের দেয়া ভর্তুকি দেখছে, বিশ্লেষণ করছে। তারপরে আমি বিশ্লেষণ শুরু
করি ইউরোপীয় দেশগুলি আর আমেরিকা জ্বালানী এবং কৃষিতে কী ভর্তুকি দেয়। বিশেষজ্ঞরা
খুঁজে পেয়েছেন যে ২০১৫ সাল থেকে সামগ্রিক জ্বালানীর ভর্তুকির পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে,
২০১৯ সালে ১৭৬বিলিয়ন ইউরোতে পৌঁছেছে এবং ২০২০ বেড়ে দাঁড়ায় ১৭৭ বিলিয়ন ইউরোতে। পরিবহন
খাত ছিল প্রধান সুবিধাভোগী, জীবাশ্মের জ্বালানি ব্যবহার সমর্থন করতে ৪৯ বিলিয়ন ইউরোর
বেশি ব্যবহার করা হয়েছে, জ্বালানি, ডিজেলের দাম কমাতে ট্যাক্স বিরতি সহ। সামগ্রিকভাবে,
পরিবহণ খাত মোট সরকারী সহায়তার ৪৪% পেয়েছে। ২০১৯ সালে দেশ অনুসারে EU কৃষি ভর্তুকি,
€৩৮.২ বিলিয়ন কৃষকদের সরাসরি অর্থ প্রদানের জন্য এবং ১৩.৮ বিলিয়ন গ্রামীণ উন্নয়নে
ব্যয় করা করেছে। আরও ২.৪ বিলিয়ন ইউরো কৃষি পণ্যের বাজারকে সমর্থন করতে দেয়া হয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড এনার্জি স্টাডি ইনস্টিটিউট রিপোর্ট করেছে যে জীবাশ্ম জ্বালানী শিল্পে সরাসরি ভর্তুকি প্রতি বছর মোট $২০ বিলিয়ন, যার ৮০% তেল এবং গ্যাসের দিকে যাচ্ছে। উপরন্তু, ২০১৯ থেকে ২০২১ পর্যন্ত, ট্যাক্স ভর্তুকি প্রায় $১১.৫ বিলিয়ন ফেডারেল রাজস্ব হ্রাস করবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০১৭ এবং ২০১৯ এর মধ্যে উৎপাদন ভর্তুকি ২৮% বৃদ্ধি পেয়েছে। মার্কিন সরকার বর্তমানে কৃষক এবং কৃষিজমির মালিকদের প্রতি বছরে নগদ $২৫ বিলিয়ন প্রদান করে। কংগ্রেস সাধারণত পাঁচ বছরের খামার বিলের মাধ্যমে খামার ভর্তুকির সংখ্যা আইন করে।
আইএমএফের ১৯০টি সদস্য দেশ রয়েছে। প্রতিটি
দেশ তাদের অনুদান অনুযায়ী % ভোট পাওয়ার ক্ষমতা অর্জন করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সর্বোচ্চ
অবদানকারী হবার কারনে তাদের সর্বোচ্চ ভোট দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে, তাই তারা ঋণ দেওয়ার
যেকোনো প্রস্তাবে ভেটো দিতে পারে। যদি আমরা ধনী পশ্চিমা দেশগুলির মধ্যে মোট ভোটের ক্ষমতার
% একত্রিত করি তবে আমরা বুঝতে পারবো IMFএর সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং ব্যবস্থাপনায় তাদের
কী ক্ষমতা রয়েছে। যদি আমরা মনে করি যে অনেক সিদ্ধান্ত তাদের রাজনৈতিক একটি অনুষঙ্গ
এবং ক্ষমতা অনুযায়ী নেওয়া হয় না, তাহলে আমরা বোকার স্বর্গে বাস করছি। আইএমএফ ঋণ
গ্রহণকারী দেশগুলিকে যেভাবেই হোক তাদের ঋণের অর্থ ফেরত নিশ্চিত করবে। আমরা কখনই ভুলব
না বিশ্বব্যাংক এবং আইএমএফ কাঠামোগত সামঞ্জস্য কর্মসূচির আরোপিত সামাজিক খাতের বিনিয়োগ
হ্রাস করার ফলে ঋণ গ্রহণকারী দেশগুলোর ক্ষতিগ্রস্ত প্রবৃদ্ধি এবং ঋণ পরিশোধের অক্ষমতা
বৃদ্ধি এবং ক্রমবর্ধমান নির্ভরতা সহ দেশগুলিতে তৈরি হওয়া কষ্টের কথা।
উপরের সমস্ত কারণ বিবেচনা করে, বাংলাদেশ
সরকার উচ্চতর রেমিটেন্স আশা করতে পারে না কারণ সকল অভিবাসী/শ্রমিক বাংলাদেশীদের জীবন
বাঁচানোর উচ্চ খরচের কারনে তাদের সঞ্চয় কমে যাচ্ছে। অর্থনৈতিক মন্দা, মুদ্রাস্ফীতি,
জীবনযাত্রার উচ্চ ব্যয়, খাদ্য, কাপড় ও অন্যান্য পণ্যের জন্য ঋণ গ্রহণ এবং সংরক্ষণের
হারের কারণে পশ্চিমা দেশগুলিতে ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে তাই বাংলাদেশ থেকে রপ্তানিও
ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। পশ্চিমা দেশগুলোর বেশী মাএায় সীমিত সরবরাহ গ্রহন এবং উচ্চমূল্য
আর আরপিত নিষেধাজ্ঞার কারনে বাংলাদেশের জ্বালানি, গ্যাস, সার এবং খাদ্য কেনা কঠিন হবে।
অন্যদিকে দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদ, সরকারি কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীরা সাধারণ জনগণের অবস্থার
কথা চিন্তা করেন না। আকাশ ছোঁয়া দুর্নীতি, বাড়ছে ঋণ খেলাপি। কঠিন অর্জিত বৈদেশিক
মুদ্রা লুটপাট, লন্ডারিং কারনে বাংলাদেশের পরিস্থিতি আরও কঠিন হচ্ছে। উপরন্তু জানি
না আমরা পশ্চিমা দেশগুলি থেকে অপ্রয়োজনীয় আর বিলাসবহুল পণ্য কেনা বন্ধ করেছি কিনা।
অন্যদিকে পশ্চিমা ধনী দেশগুলো শীঘ্রই জ্বালানি, গ্যাস, ফার্টিলাইজার বা গ্যাসের ওপর
তাদের নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে যাচ্ছে না।
বিরোধী দল ও তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা একসঙ্গে
কাজ না করে বর্তমান পরিস্থিতির অযাচিত সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছে। তাদের একমাত্র লক্ষ্য
ক্ষমতা দখল করা। অনেক তথাকথিত বুদ্ধিজীবী আইএমএফকে মিথ্যা আখ্যান প্রদান করছে দেখে
অবাক হয়েছি। বর্তমান অর্থনৈতিক মন্দা এবং ইউক্রেনে সমঝোতামূলক শান্তি এবং যুদ্ধের
অবসানের নীতির কোন পরিবর্তন না হওয়ার সাথে যেমন যুক্তরাজ্যে অনেকেই প্রশ্ন করছেন লেবার
পার্টি ক্ষমতায় আসলে জীবনযাপন এবং জীবিকা আরও ভাল করার জন্য তারা কী করবে, একইভাবে
আমি বিএনপি সহ অন্য সব দলের নেতাদের এবং ডঃ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য সহ অন্যান্য বুদ্ধিজীবীদের
জিজ্ঞাসা করতে চাই যে তারা বর্তমানের ভৌগোলিক অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা
করে আজকের, আগামীকাল এবং পরশু পরিস্থিতি আরও ভাল করতে কী করবে? ক্ষমতায় এসে লাখ লাখ
বাংলাদেশীর জীবনকে উন্নত করতে তারা ভিন্নভাবে কী করবে? যখন হাতি এবং ঘোড়া ডুবে যাচ্ছে,
তখন তারা কি করতে পারে যাতে সাধারন জনগন বর্তমানের খুব রুক্ষ নদীতে নিরাপদে সাঁতার
কাটে ওপারে যেতে পারবে?
স্পিগেলের (একটি জার্মান নামকরা সংবাদপত্র)
সাংবাদিক একজন আফ্রিকান রাষ্ট্রপতিকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে অ-মিত্র (non-aligned) দেশগুলি
সংঘর্ষে মার্কিন পক্ষ বেছে নেবে কিনা তা পরিষ্কার নয়। “আমি আফ্রিকার একটি দেশের প্রেসিডেন্টকে
জিজ্ঞেস করেছিলাম যে কেন তিনি পশ্চিম থেকে নয়, চীন থেকে 5G প্রযুক্তি নিচ্ছেন। তিনি
আমাকে বললেন, আমরা একটি ছোট উন্নয়নশীল দেশ, তাই যে কোন দেশ আমাদের উপর যেভাবেই হোক
গুপ্তচরবৃত্তি করবে। তাই আমি চাইনিজ প্রযুক্তিও নিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কারন এটি সস্তা,"
আমাদের সবার একই কথা বিবেচনা করতে হবে দেশকে সামনে চলার জন্য।
বাংলাদেশ (আমি বিশ্বাস করি করি এখনও সঠিক পথে চলছে) ভালভাবে উন্নয়ন করছিল, মানব উন্নয়ন সূচক প্রতি বছর উচ্চতর হচ্ছিল। বাংলাদেশ মানব উন্নয়ন অনেককে দেখিয়েছে যে একটি শক্তিশালী এবং দূরদর্শী নিবেদিত নেতৃত্বের সাথে কি অসাধারন উন্নতি করা যেতে পারে। কিন্তু এখন অনেক ধনী দেশের সাথে আমরাও সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছি। আমাদের সৎ হতে হবে এবং বর্তমান বাস্তবতাকে মেনে নিতে হবে এবং সকলকে জাতীয় গর্বের সাথে বর্তমান ও আসন্ন কষ্ট কাটিয়ে একসাথে কাজ করতে হবে। প্রতিটি মেঘের আড়ালে রয়েছে রূপালী আস্তরণ এবং সূর্য। আসুন নিজের প্রতি আস্থা রাখি, নিজের অহংকার, মর্যাদা ও সার্বভৌমত্বকে বিক্রি না করি।
Prof Dr Quazi Monirul Islam, MBBS, MPH, FRCOG
Senior Specialist, International Centre for Migration, Health and Development
Former Senior Specialist (Maternal and Newborn), Liverpool School of Tropical Medicine, UK
Former WHO Director and Country Representative to Thailand and Namibia
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৯:২৬ পিএম, ২১ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪
এখন টক অফ দ্য কান্ট্রি হচ্ছে প্রথম আলো বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। যদি
প্রথম আলো কে বা কারা কিনবে সেটা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত না। তবে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর
রহমান চাইবেন কোথায় গেলে তার চাকরির নিশ্চয়তা থাকবে। সেভাবেই তিনি বিক্রি করার চেষ্টা
করবেন।
প্রথম আলো বিক্রির বিষয়টির পাশাপাশি একই রকম আরেকটি প্রশ্ন সামনে
আসছে। আর সেটা হলো প্রথম আলোর পরে কে? তাহলে কি প্রথম আলোর পরে ডেইলি স্টার? তবে এটা
নির্ভর করবে প্রথম আলোর কি ভাগ্য হয় তার ওপর। আমার ধারণা যারাই প্রথম আলো কিনেন না
কেন তারা প্রথম দিকে মতিউর রহমান সাহেবকে রাখলেও পরবর্তীতে ছয় মাস থেকে এক বছরের মধ্যে
সম্পাদক পরিবর্তন করবে। আর প্রথম আলো যদি কোন যুক্তিপূর্ণ লোকের কাছে দেয় তাহলে আমার
মতে এখানে সম্ভবত আনিসুল হক সাহেব সম্পাদক হবেন। কারণ তার প্রতি লোকের অনেক শ্রদ্ধাবোধ
আছে এবং তিনি সবসময় একটা রেড লাইন রক্ষা করে চলেন। এটা আমরা সকলেই জানি। তার সাথে
অনেকেরই ভালো সম্পর্ক এবং তিনি খুবই জ্ঞানী
লোক।
এর আগে মতিউর রহমান যখন একতা থেকে আজকের কাগজে যান, তখন তার উদ্দেশ্যই
ছিল যে, একটি পত্রিকা কীভাবে চলে সেটা শেখা এবং এখান থেকে একসাথে সাংবাদিক নিয়ে বেরিয়ে
যাওয়া। তিনি সেটা করেছিলেন। তারপর ভোরের কাগজ থেকে একই কাজ করেছেন। সুতরাং তার সত্যিকারের
নীতিবোধ বলতে যেটা বোঝায় সেটা দুর্ভাগ্যবশত তিনি প্রমাণ করতে পারেননি।
তিনি এক সময় কমিউনিস্টদের সাথে থাকলেও এখন তার চেয়ে বড় দক্ষিণপন্থী
পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়াই কঠিন। এ কারণে প্রথম আলো যে বিক্রি হবে এই ব্যাপারে সাধারণ লোকের
ভিতরে এখন আর কোন সন্দেহ নেই।
এখন প্রথম আলোর পরে ডেইলি স্টারের কী হবে এই নিয়ে আলাপ আলোচনা হচ্ছে
এবং এই আলাপ আলোচনা খুব দীর্ঘদিন যে চলবে তা না। আমার মনে হয় জুন-জুলাই মাসের ভিতরেই
এর একটা ফয়সালা হয়ে যাবে। কারণ স্বাভাবিক ভাবেই বুঝি যে, একটি পত্রিকা পাঠকপ্রিয়তা
পেতে বেশ সময় লাগে। এটা একদিন দুইদিনের ব্যাপার না। আবার ঠিক তেমনিভাবে যখন পাঠকপ্রিয়তা
কমতে থাকে সেটাও একদিন দুইদিনে হয় না। ধীরে ধীরে হয়। এই মিডিয়া জগতের নিয়মই তাই।
আমি ১৯৬১ সালে পত্রিকা বলতে শুধুমাত্র ইত্তেফাক এর কথাই জানতাম।
সেই ধারণা থেকে বলতে পারি এখন প্রথম আলোর যদি কিছু কর্মী এর চেয়ে ভালো কোন সুযোগ সুবিধা
দেখেন তাহলে তারা বিক্রি হওয়ার আগেই চলে যাবেন। কারণ স্বাভাবিকভাবেই একজন সাংবাদিকের
একটা ক্যারিয়ার আছে এবং প্রথম আলোর মতো পত্রিকাতে কাজ করে তিনি তো যে কোন পত্রিকায়
যেতেও পারবেন না। তার কারণ গেলে তার ওই লেখার যে মান সেটা মূল্যায়ন নাও হতে পারে। তবে
আমার ধারণা প্রথম আলোতে কাজ করেছেন এমন যে কাউকে টেকনিক্যাল গ্রাউন্ডে অনেক গুরুত্ব
দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে আমি অবাক হব না যদি দু এক মাসের ভিতরে দেখা যায় যে আস্তে আস্তে
প্রথম আলো বিভিন্ন কর্মী অন্য পত্রিকায় যাওয়া শুরু করে দিয়েছেন।
ব্যাংক মার্জারের যেমন একটি ঘটনা বর্তমানে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, ঠিক
তেমনি পত্রিকা জগতেও শিল্প গোষ্ঠীর যে গন্ডগোলের ঘটনা ঘটেছে এটিও ব্যাংক মার্জারের
ঘটনার পর্যায়ে চলে যাবে। ব্যাংকিং ক্ষেত্রে দেখা যায়, দুটি ব্যাংক একীভূত হচ্ছে। আর
এদিকে দেখা যাবে, সংবাদকর্মীরা অন্য পত্রিকায় চলে যাচ্ছে।
তবে আমার মনে হয় না, এখন যে অবস্থা চলছে এতে প্রথম আলো আর আগের
মতো প্রথম আলো থাকতে পারবে। এটা কিছুতেই সম্ভব না এটি মোটামুটিভাবে নিশ্চিত। তাই আমার
মনে হয় প্রথম আলো সেই ব্যাংক মার্জারের পর্যায়ে চলে এসেছে। এখন অন্য পত্রিকা যাদের
আছে, তারাও প্রথম আলো কিনে নিতে পারেন। এটি সম্ভব। এরকম শিল্পগোষ্ঠীর কোন কমতি বর্তমানে
বাংলাদেশে নেই। যে কোন শিল্প গোষ্ঠীই এটা কিনবে।
তবে আমি আশা রাখব, যারাই প্রথম আলো কিনবে, তারা যেন অন্তত পক্ষে
এটা খেয়াল রাখে যাতে সাংবাদিকদের কোন ক্ষতি না হয়। সুতরাং এদেশের একজন সাধারণ নাগরিক
হিসেবে আমার দাবী হচ্ছে সাংবাদিকরা যেন ক্ষতিগ্রস্থ না হয়।
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৯:০৬ পিএম, ১৫ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
প্রথম দফায় উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন শেষ হয়েছে গতকাল। কিন্তু অবাক করার বিষয় যে, একমাত্র পলকের শ্যালক ছাড়া আর কেউই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। অথচ আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনা আছে যে, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী, এমপিদের পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা কেউ নির্বাচন করতে পারবেন। দলের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনা ইতোমধ্যে সুস্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। মন্ত্রী, এমপিদের পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে যারা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তাদেরকে প্রত্যাহারের জন্য তিনি নির্দেশও দিয়েছেন। তিনি শেষ পর্যন্ত কেউই তা মানেননি। এতে করে সুস্পষ্ট ভাবে তারা আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনাকে অমান্য করেছে। যা দলীয় সিদ্ধান্তের লঙ্ঘন এবং গুরুতর অপরাধও বলে আমি মনে করি।
দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভূমিধস বিজয়ের পর ১১ জানুয়ারি যে নতুন সরকার গঠন করেন আজ তার ১০০ তম দিন। এক কঠিনতম সময়ে তিনি এই সরকার গঠন করেছেন। কিছু বুদ্ধিজীবী নির্বাচনের আগে আগে নানান রকম কথাবার্তা বললেও সাধারণ মানুষ ঠিকই জানত যে, শেখ হাসিনাই আবার সরকার গঠন করবেন। কারণ তারা জানেন যে, শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই। সরকার গঠনের পরও কিন্তু তাকে কঠিনতম সময় পার করতে হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি সফলতা পাচ্ছেন। এজন্য একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমিও মনে করি যে, দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই।
বারো বছর আগের কথা। ডেভিড ক্যামেরুন তখন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। সে সময় একদিন তিনি একটি হাসপাতালের ওয়ার্ডে ঢুকে পড়লেন। রোগীর অনুমতি সাপেক্ষে রোগীর সাথে ছবি তুলতে গেলেন। বাঁধ সাধলেন ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা একজন চিকিৎসক। জীবাণু প্রতিরোধের কোন পদক্ষেপ না নিয়ে এবং চিকিৎসকের অনুমতি ব্যতিরেকে তিনি ওই কাজটি করছিলেন। ডেভিড ক্যামেরুন তাঁর ভুল বুঝতে পেরেছিলেন সাথে সাথে। ক্ষমা চাইলেন এবং ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে গেলেন।
এখন টক অফ দ্য কান্ট্রি হচ্ছে প্রথম আলো বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। যদি প্রথম আলো কে বা কারা কিনবে সেটা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত না। তবে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান চাইবেন কোথায় গেলে তার চাকরির নিশ্চয়তা থাকবে। সেভাবেই তিনি বিক্রি করার চেষ্টা করবেন। প্রথম আলো বিক্রির বিষয়টির পাশাপাশি একই রকম আরেকটি প্রশ্ন সামনে আসছে। আর সেটা হলো প্রথম আলোর পরে কে? তাহলে কি প্রথম আলোর পরে ডেইলি স্টার? তবে এটা নির্ভর করবে প্রথম আলোর কি ভাগ্য হয় তার ওপর