ইনসাইড থট

অর্থনীতিবিদদের অর্থনৈতিক জ্ঞান শূণ্য


Thumbnail

আমাদের দেশের গ্রামে প্রথম কথাটির খুব প্রচলন শুনেছি। এখন আসলে দেখছি শুধু গ্রামে নয়, ঢাকা শহর থেকে শুরু করে সবজায়গায় কথাটা কোনো না কোনোভাবে প্রচলিত। গ্রামে প্রতিবেশীর কোন সন্তান খুব জোরে লেখাপড়া করলে শব্দ আসে। তখন আওয়াজ শুনে প্রতিবেশী হিংসাবসত বলে যে, যতই লেখাপড়া করুক পরীক্ষায় পাশ করবে না। শেষে পরীক্ষা আসলো। পরীক্ষায় বেশ ভালো নাম্বার নিয়ে পাশ করল। পরে আরও লেখাপড়া করলো। তারপরে বলে লেখাপড়া করলে কি হয়, এরকম অনেকেই ডিগ্রী নিয়ে থাকে কিন্তু তারা চাকরী পায় না। ওই প্রতিবেশীর ছেলে বা সন্তান চাকরীও পেলো। তখন বলে চাকরী পেলেই কি হবে বেতন পাবে না। শেষে দেখা গেলো বেতন পেলো। তখন বলে বেতন পেলে কি হয়, ওই টাকা দিয়ে জিনিস কিনতে পারবেনা। তারপরে দেখা গেলো একসময় গরীব বাবার জন্যে একটু নতুন ঘর তুলে দিলো। অর্থাৎ প্রতিবেশীর কোনো ভবিষ্যতবাণী কাজে আসলো না। আমাদের দেশের বুদ্ধিজীবী অর্থনীতিবিদরা মোটামুটি ওই গ্রামের প্রতিহিংসাপরায়ণ প্রতিবেশীদের মতো। পাঠক লক্ষ করবেন, আমি বুদ্ধিজীবী অর্থনীতিবিদদের কথা বলছি। তাদের হয় কি, মগজে বুদ্ধি বিশেষ করে কু-বুদ্ধি বেশী রাখতে গিয়ে অর্থনীতির জ্ঞ্যান টা চাপা পরে গেছে। আছে শুধু কি করে এই দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার অর্থনীতিরি বিরুদ্ধে কথা বলা যায়।

একটু উদাহরণ হিসেবে বলি, সম্প্রতি আমাদের দেশে যখন আইএমএফ এর প্রতিনিধি দল আসে তার আগে দুটি পত্রিকা এবং এই সকল বুদ্ধিজীবী অর্থনীতিবিদরা বিভিন্নভাবে এবং অর্থনীতি যারা বুঝেনা তারাও অনেক লেখালেখি করলো যে, আইএমএফ শেষ পর্যন্ত আসবে না। আসলে পরেও কঠিন কঠিন শর্ত দিবে। তারা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত কোনো লোন দিবেনা। শেষ পর্যন্ত দেখা গেলো বাংলাদেশের সাথে আলাপ করে উভয় পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য সেরকম একটি ব্যবস্থায় আইএমএফ লোন দিলো। এখন আবার ওয়ার্ল্ড ব্যাংকও আসছে। অর্থাৎ, এই অর্থনীতিবিদদের ভবিষ্যতবাণী খুব একটা কাজে লাগেনি। তারপরে যখন লোন দেয়া হলো, তখন যা বললো তা শুনেও একটু হাসি লাগে। তারা বললো, প্রথম কিস্তি শোধ দিতেই অসুবিধা হবে। আরে, লোন পেয়েছে, প্রথম কিস্তি কখন ডিউ হবে- আগে তো আমরা প্রথম কিস্তি পাই তারপর না প্রথম কিস্তি শোধ দেয়ার প্রশ্ন উঠবে। মানে এদের হয়তো মাথা খারাপ হয়ে গেছে। যে কেনো তারা দার্শনিক শেখ হাসিনাকে কোনোভাবে দমিয়ে রাখতে পারছেনা। যখন দেখা গেলো রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হতে যাচ্ছে, স্বাভাবিকভাবে বিশ্ববাসীর সাথে বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়বে। যেমন আমাদের গার্মেন্ট যারা কিনবে তাদের যদি নিজেদেরই অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো না থাকে তবে তারা স্বাভাবিক এর চেয়ে কম ক্রয় করবে। তাতে আমাদের ফরেন এক্সচেঞ্জ কমতে বাধ্য। আমাদের যেসকল প্রবাসী কর্মীরা বিদেশে কাজ করে, সেখানে যদি অর্থনীতির মান কমে যায় তাহলে তারা আগের মত কর্মীও নিতে পারবেনা। এসকল তো স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। সেখানে দার্শনিক শেখ হাসিনা কি করলেন? দেখা গেলো অত মারফতি কথায় না গিয়ে যেটা সরকার প্রধান হিসবে বলা উচিত সকল দেশবাসীর উদ্দেশে বিশ্বের অবস্থা কি, বাংলাদেশের কি অবস্থা হবার সম্ভাবনা আছে সে কথা বিস্তারিত বললেন। এটি হচ্ছে তার রাষ্ট্র পরিচালনার পদ্ধতি। যে জনগণকে সাথে নিয়ে এবং জনগণের সহায়তা নিয়েই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র চালাতে হয়। তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা বললেন। গুরুত্বপূর্ণ কথাটি হচ্ছে, ‘’এক ইঞ্চি জায়গাও ফাঁকা রাখবেন না। সেখানে আপনারা চাষাবাদ করুন।‘’ যাতে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ থাকি এটার উপর জোর দিলেন তিনি। অর্থাৎ, যদি ভবিষ্যতে কোণরুপ এমন কোনো বিপদে বিশ্ববাসী পরে, তখন যেনো আমরা কোনরকম খাদ্য ঘাটতিতে না পরি কিংবা কিছুটা ঘাটতিতে পরলেও আমরা যেনো খেয়ে-পড়ে বাচতে পারি। এটার অর্থ এই না যে দেশে দুর্ভীক্ষ হয়ে যাচ্ছে।

খাদ্যের দিক থেকে বাংলাদেশে আমাদের যে খাদ্যাভ্যাস- আমি আগেও লিখেছি এবং বলেছি যে যেভাবে দার্শনিক শেখ হাসিনা তার দর্শন দিয়ে দেশ চালাচ্ছেন তাতে খাদ্য ঘাটতিতে পড়ার সম্ভবানা একদম নাই বললেই চলে। যেমন সম্প্রতিকালে আমি কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মী নিয়োগ দিয়েছি। নেত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন, কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া যেনো শতভাগ সৎ হয়। ৯৯.৯৯% না, শতভাগ সৎ হতে হবে। আমি অত্যন্ত গর্বের সাথে বলতে পারি, আমার সকল সহর্কমীরা অনকে পরশ্রিম করছেনে। বিশেষ করে স্বাস্থ্য সচিব সেবা . আনোয়ার থেকে শুরু করে আমাদের এমডি তুলসি রঞ্জন সাহা এবং আরো আমার সকল সহকর্মীৎ অত্যন্ত দক্ষতা এবং সততার সাথে নেত্রীর কথা অনুযায়ী সব করতে পেরেছি। এটার করার কারণ হচ্ছে দার্শনিক শেখ হাসিনার নির্দেশনা। এর সাথে তিনি পদ্ধতিগত কিছু বিষয়েও আলোচনা করেছেন। আমার সাথে তার যখন দেখা হয়, তিনি বলেছিলেন যে শুধু নিজে সৎ থাকলে চলবেনা। কার্যপদ্ধতি এবং আপনার অধীনে যারা কাজ করছেন তারাও সততার সাথে কাজটা করলো কি না সেই দায়িত্বও আপনার ঘারে পড়ে। সেইটাই মনে রেখেছি। এই নিয়োগ পরীক্ষার আগেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে আমাদের যেহেতু আমাদের প্রায় ১৪ হাজারের বেশী কমিউনিটি ক্লিনিক আছে এবং কমিউনিটি ক্লিনিকের সিস্টেম টাই এমন যে একজন কমিউনিটি ক্লিনিকে থাকে আরেকজন বাড়ি-বাড়ি গিয়ে তাদের বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা কিংবা পরিবার পরিকল্পনা নিয়ে উপদেশ দেয়। সুতরাং প্রত্যেক বাড়ির আনাচে-কানাচে কোনো জায়গা আছে কি না যেখানে খাদ্য উৎপাদন করা যায় সেখানে আমরা গাছ লাগাবো। এই দার্শনিক শেখ হাসিনার বক্তব্য অনুযায়ী আমরা একটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি যে কমিউনিটি ক্লিনিকে শুধু সেবা দিবোনা, যারা যারা কমিউনিটি ক্লিনিকের বিভিন্ন বাড়ি বাড়ি যায় সেখানে যদি কিছু জায়গা ফাঁকা থাকে সেখানে আমরা এই কাজটি করবো। আমরা ঠিক করেছি এই কর্মসূচি শুরু করার আগে আমরা টুঙ্গিপাড়া যাবো। সেখানে সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেখানে ঘুমিয়ে আছেন সেখানে শ্রদ্ধা জানিয়ে আমাদের কাজটি টুঙ্গিপাড়ার কাছেই যে কমিউনিটি ক্লিনিকটা দার্শনিক শেখ হাসিনা প্রথম উদ্বোধন করেছিলেন সেখানে যেয়ে লোককে উদ্বুদ্ধ করবো, সেখানে যদি কোনো ফাঁকা জায়গা থাকে তাহলে সেখানে গাছ লাগাবো। তারপর বঙ্গমাতার নামে যে হাসপাতাল শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান সেখানেও স্টাফ কোয়ার্টারের এখানেও জায়গা রয়েছে। সেখানকার পরিচালকের সাথে আমার কথা হয়েছে। তারা সেখানেও আমাদের জন্য জায়গা মার্ক করবেন এবং তারাও এটাকে আন্দোলন হিসেবে গ্রহণ করবেন। শেখ আশিনা টিএনও কে বলেছেন তারা করবেন, যুবলীগকে আহ্বান করেছেন, ছাত্রলীগরা করবেন। তাদের পাশাপাশি আমরা যারা কমিউনিটি ক্লিনিকে আমরাও করবো। সকলে মিলে এই যে দেশবাসীকে একতাবদ্ধ করতে পারছেন যাতে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ থাকি। বিশ্বের একটা কঠিন পরিস্থিতিতেও এই দর্শনটা তিনি যদি আগে থেকেই আমাদের মাঝে না জাগিয়ে দিতেন,  আগের থেকে না পরিষ্কার ভাবে এবং উনিতো নির্দেশ দিয়েছেন এক ইঞ্চি জায়গা যেনো ফাঁকা না থাকে। উনার কথার ভেতরে কোনো গ্যাপ নাই। আমাদের বুদ্ধিজীবী অর্থনীতিবিদদের মত না। যে তারা সবই বুঝেন আল্লাহর রহমতে, শুধু অর্থনীতিটা একটু কম বুঝেন।

আমার মনে হয় বাস্তব অর্থনীতির সাথে এদের কোনো যোগাযোগও নেই। কারণ হলো, এসি রুমে বসে বক্তব্য দেন। বিদেশ থেকে টাকা আসে, বড় বড় কথা বলেন এবং উনারা ভালো রিপোর্ট লেখতে পারেন। দেশের ক্ষতি করার জন্যে আবার তারা আলাদা পিএইচডি পাবার অধিকারী। তারা নিশ্চয়ই ডক্টরেট পাবেন। যেমন পদ্মা ব্রীজ বন্ধ করার জন্য চেষ্টা করেছিলেন। কেনো দেশে দূর্ভীক্ষ হচ্ছেনা এইটা নিয়ে তাদের ঘুম হচ্ছনা। কেনো নির্বাচনের আগে দেশে বিরোধী দলকে মাঠে এই দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা ব্যবস্থা নিলেন যাতে তারা নির্দ্বিধায় সভা-সমিতি করতে পারে, জনগণকে তাদের কথা জানাতে পারে। নির্বাচনে যেনো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হয় সেই ব্যাপার নিশ্চিত করা অবশ্যই ইলেকশন কমিশনের দায়িত্ব। কিন্তু তার সাথে সরকারেরও দায়িত্ব আছে। সরকারের দায়িত্ব কিন্তু সরকার পালন করে যাচ্ছে সরকারপ্রধান দার্শনিক শেখ হাসিনার নের্তৃত্বে। আমরা পত্র-পত্রিকায় দেখেছি ইলেকশন কমিশনও তাদের দায়িত্ব পালনে তাদের সাধ্য অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন। সুতরাং আগামী নির্বাচন সঠিক সময়ে ও সঠিকভাবেই হবে। এবং আমি আগেও বলেছি , এখনো বিশ্বাস করি পরিশেষে সব দলই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। আর যদি কেউ কারো অন্য কোনো মতলবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে সেটা অবস্যই তাদের নিজস্ব দলের সিদ্ধান্ত। তবে সেই সিদ্ধান্তের সম্ভাবনা কম কারণ হল তারা দলের নামে না হলেও অনেকেই দল থেকে বের হয়ে কিংবা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে দাড়াবেন। নির্বাচন এইবার প্রতিদ্বন্দ্বীতামূলক হবে। অনেকের ধারণা ছিলো যে নৌকা প্রতীক পেলেই নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে যাবো সেটা আর সম্ভব না। জনগণ কাকে নির্বাচিত করবে সেটার মালিক। দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক বার বার এবং খুবই স্পষ্টভাবে তার দলের লোক থেকে শুরু করে সমস্ত দেশবাসীকে জানিয়ে দিয়েছেন। এখানে শুধু আওয়ামী লীগ সীমাবদ্ধ না। স্বতন্ত্র হউক কিংবা অন্য যে কোনো দল, নির্বাচনের পূর্বশর্ত হচ্ছে জনগণের আস্থা অর্জন করা। সেটা না হলে হবেনা। সুতরাং আমি মনে করি, এই সকল বুদ্ধিজীবি যে অর্থনীতিবিদ তাদের কুবুদ্ধিটা কমিয়ে অর্থনীতি সম্পর্কে একটু ঝালাই করে নেয়া দরকার। তারা তো আল্লাহর রহমতে খেয়ে পড়ে ভালোই আছেন, স্বাস্থ্যও ভালোই দেখা যায়। সুতরাং তারা যেনো তাদের বুদ্ধি কিছুটা হলেও দেশের কাজে ব্যবহার করেন। তারা যেহেতু বিদেশ থেকে টাকা পান  সেহেতু হয়তো একটা শর্ত থাকে যে সরকারকে যদি তারা সমালোচনা না করেন তাহলে তাদের অর্থ কমে যাবে।  তোমাদের দায়িত্ব হচ্ছে সরকারকে ভালো কাজে প্রশংসা করা না। তোমার দায়িত্ব হচ্ছে ছিদ্র খোঁজা। তো ছিদ্র তারা খোঁজ করুক ক্ষতি নেই। কিন্তু তার সাথে দেশ যে কঠিন সময়ে এগিয়ে যাচ্ছে এবং বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে ভালো অবস্থায় আছে দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একথাটাও জনগণকে সবাই যেনো জানায় এবং সবারই এটা দায়িত্ব।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড থট

শেখ হাসিনা ছাড়া কেউই অপরিহার্য নয়


Thumbnail

প্রথম দফায় উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন শেষ হয়েছে গতকাল। কিন্তু অবাক করার বিষয় যে, একমাত্র পলকের শ্যালক ছাড়া আর কেউই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। অথচ আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনা আছে যে, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী, এমপিদের পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা কেউ নির্বাচন করতে পারবেন। দলের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনা ইতোমধ্যে সুস্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। মন্ত্রী, এমপিদের পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে যারা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তাদেরকে প্রত্যাহারের জন্য তিনি নির্দেশও দিয়েছেন। তিনি শেষ পর্যন্ত কেউই তা মানেননি। এতে করে সুস্পষ্ট ভাবে তারা আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনাকে অমান্য করেছে। যা দলীয় সিদ্ধান্তের লঙ্ঘন এবং গুরুতর অপরাধও বলে আমি মনে করি।

আওয়ামী লীগ যদি আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয় সেটি ভিন্ন কথা। কিন্তু আওয়ামী লীগ যদি টিকে থাকতে চায় তাহলে দলকে এবার কঠোর সিদ্ধান্ত নিতেই হবে। এটা এখন সময়ের দাবি। যারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি তারা ইনিয়ে বিনিয়ে এখন নানান অজুহাত তৈরি করছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের উচিত হবে এ সমস্ত অজুহাত না শোনা। কারণ যিনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করেছেন তিনি দলীয় সিদ্ধান্ত পরিপন্থি কাজ করেছেন এটা সুস্পষ্ট। সুতরাং এখানে দল উচিত তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা। দল করলে তাকে দলীয় শৃঙ্খলা মানতেই হবে। অনথায় দল থেকে বাদ দিতে হবে। যারা দলীয় সিদ্ধান্তের পরিপন্থী কাজ করেন তারা কখনই দলের জন্য মঙ্গলজনক নয়। এদের মত আট-দশ দলে না থাকলে আওয়ামী লীগের কিছু যায়-আসে না। একমাত্র আওয়ামী লীগ সভাপতি দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক ছাড়া আর কেউই আওয়ামী লীগের জন্য অপরিহার্য নয়। শেখ হাসিনাই কেবল মাত্র আওয়ামী লীগ এবং দেশের স্বার্থে অপরিহার্য। সুতরাং, এখন আমরা দেখতে চাই শৃঙ্খলা পরিপন্থীদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ কি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

যারা আওয়ামী লীগ সভাপতি নির্দেশনা অমান্য করেছেন তিনি দলের যত বড় নেতাই হোন না কেন তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা এখন সময়ের দাবি। দরকার হলে দল থেকে তাদেরকে বাদ দিতে হবে কিংবা বহিষ্কারের মতো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। শুধু বহিষ্কারই নয়, তাদের প্রাথমিক সদস্য পদও বাতিল করতে হবে। এতে করে কারও যদি এমপিত্ব চলে যায় তো যাবে। কিন্তু দলের শৃঙ্খলা ধরে রাখতে হবে দলের স্বার্থে। তাদের আসনে যে কাউকে নির্বাচন করে জিতে আসতে পারবেন। কোন মন্ত্রী এমপি আওয়ামী লীগের জন্য অপরিহার্য নয়। যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন উপজেলা গুলো প্রার্থী দিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে দল কী সিদ্ধান্ত নেয় সেটা দেখার জন্য গোটা দেশের মানুষ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের দিকে তাকিয়ে আছে।

অতীতে আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে দেখেছি দেশের বৃহত্তর স্বার্থে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে। বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে এবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও কঠোর পদক্ষেপ নেবেন এমনটি আশা আওয়ামী লীগের প্রতিটি তৃণমূল নেতাকর্মীর। এখন আওয়ামী লীগ শেষ পর্যন্ত কী সিদ্ধান্ত নেয় আমরা সেটার অপেক্ষা আছি।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড থট

শেখ হাসিনার সমালোচনা করলেও কেউই তার বিকল্প খুঁজে পান না


Thumbnail

দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভূমিধস বিজয়ের পর ১১ জানুয়ারি যে নতুন সরকার গঠন করেন আজ তার ১০০ তম দিন। এক কঠিনতম সময়ে তিনি এই সরকার গঠন করেছেন। কিছু বুদ্ধিজীবী নির্বাচনের আগে আগে নানান রকম কথাবার্তা বললেও সাধারণ মানুষ ঠিকই জানত যে, শেখ হাসিনাই আবার সরকার গঠন করবেন। কারণ তারা জানেন যে, শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই। সরকার গঠনের পরও কিন্তু তাকে কঠিনতম সময় পার করতে হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি সফলতা পাচ্ছেন। এজন্য একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমিও মনে করি যে, দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই। 

দার্শনিক শেখ হাসিনা এখন আগে দার্শনিক পরে রাষ্ট্রনায়ক। এতদিন তিনি ছিলেন আগে রাষ্ট্রনায়ক পরে এবং দার্শনিক। এখন তিনি আগে দার্শনিক পরে রাষ্ট্রনায়ক। কারণ তিনি একের পর এক দর্শনকে যেভাবে স্থায়ী রূপ দিয়ে যাচ্ছেন তাতে এদেশের সকলের মনোবলও বৃদ্ধি পাচ্ছে। নতুন মন্ত্রিসভাতেও তিনি দর্শনের প্রতিফলন ঘটিয়েছেন। তিনি পুরনোদের সাথে নতুনদের যুক্ত করে নেতৃত্বের একটি চমৎকার ভারসাম্য তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। যা আমরা এই ১০০ দিনে বুঝতে পেরেছি এই নতুন মন্ত্রিসভার কাজকর্মে। সেদিক থেকে আমি অনুধাবন করতে পারি যে, এই ১০০ দিনে দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা এখন পর্যন্ত শতভাগ সফল।

গোটা বিশ্ব এখন যুদ্ধের মধ্যে পড়েছে। করোনার পর থেকে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ গোটা বিশ্ব অর্থনীতিতে টলটলয়মান করে দিয়েছে। এখন আবার নতুন করে মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা শুরু হয়েছে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধে। বলা যায় বিশ্বে একটা মিনি বিশ্ব যুদ্ধ চলছে। গাজায় হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে প্রতিনিয়ত। এরকম পরিস্থিতিতে দার্শনিক শেখ হাসিনার সামনে বিরাট চ্যালেঞ্জ। তবে আশার কথা যে, এখন পর্যন্ত তিনি সঠিক পথে আছেন এবং সফল ভাবে পুরো পরিস্থিতি মোকাবিলা করে যাচ্ছেন। বিশ্বের অস্থির পরিস্থির কথা অনুধাবন করে তিনি প্রতিনিয়ত বিভিন্ন রকম নির্দেশনা দিচ্ছেন। যেমন-বিশ্ব বাজারে নতুন নতুন বাজারের সন্ধান। আমাদের যেন খাদ্য ঘাটতি পড়তে না হয় সেজন্য তিনি আগাম আমাদের সতর্ক করে দিচ্ছেন। পাশাপাশি আমাদের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়াতেও তিনি জোরালো ভাবে আহ্বান করেছেন। 

একজন জেনারেলকে কীভাবে বিচার করা হয়? তিনি কয়টি ব্যাটল জয় করলেন সেটা দিয়ে কিন্তু নয়। তাকে বিচার করা হয় যখন তিনি একটা ব্যাটলে হেরে যান এবং তার সৈন্যরা যখন পুরো ভেঙে পড়েন ঠিক সে সময় তিনি কীভাবে তার সৈন্যদের উজ্জীবিত করতে পারলেন সেটা বিবেচনায় নেওয়া হয়। দার্শনিক শেখ হাসিনাও সে রকম একজন জেনারেল, যে জেনারেল কঠিন সময়ে সাধারণ জনগণকে সবচেয়ে কম কষ্টে রেখে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন এবং ভবিষ্যতেও যেন তিনি সফল ভাবে নিয়ে যাবেন সেটা বলাই বাহুল্য। অনেকে তার সমালোচনা করছেন ঠিক কিন্তু কেউ তার বিকল্পের কথা বলতে পারছেন না। তিনি দলকে যেমন ধরে রেখেছেন বা নেতৃত্ব দিচ্ছেন ঠিক তেমনিভাবে সরকারকেও সঠিক পথে পরিচালনা করছেন। সুতরাং শেখ হাসিনার বিকল্প যে শেখ হাসিনাই এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। নতুন সরকারের প্রথম ১০০ দিনের মত সামনের দিনগুলোতে সাফল্য ধরে রাখবে এটাই আমরা প্রত্যাশা করি।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড থট

কতিপয় সাংবাদিক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর চেয়েও ক্ষমতাধর


Thumbnail

বারো বছর আগের কথা। ডেভিড ক্যামেরুন তখন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। সে সময় একদিন তিনি একটি হাসপাতালের ওয়ার্ডে ঢুকে পড়লেন। রোগীর অনুমতি সাপেক্ষে রোগীর সাথে ছবি তুলতে গেলেন। বাঁধ সাধলেন ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা একজন চিকিৎসক। জীবাণু প্রতিরোধের কোন পদক্ষেপ না নিয়ে এবং চিকিৎসকের অনুমতি ব্যতিরেকে তিনি ওই কাজটি করছিলেন। ডেভিড ক্যামেরুন তাঁর ভুল বুঝতে পেরেছিলেন সাথে সাথে। ক্ষমা চাইলেন এবং ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে গেলেন।

ভিন্ন চিত্র দেখলাম শনিবার সকালে বরিশাল সদর হাসপাতালে। দায়িত্বরত চিকিৎসক ওয়ার্ডে রাউন্ড দিতে যেয়ে দেখেন দুজন টিভি সাংবাদিক ওয়ার্ডে ভিডিও করছেন। ভিডিও শেষ হবার পর চিকিৎসক তাঁর রাউন্ড শুরু করলেন। রাউন্ড শুরু করতেই দুজন সাংবাদিক আবার ক্যামেরা ধরে চিকিৎসকের সাথে কথা বলা শুরু করলেন। চিকিৎসক তাদের পরিচয় জানতে চাইলেন। বিনয়ের সাথে নিচু স্বরে একে একে ২০ বার (গুনে নিশ্চিত হয়েই বলছি) সাংবাদিকের নাম জিজ্ঞেস করলেন, পরিচয় জানতে চাইলেন। উক্ত সাংবাদিক নাম বলেননি, পরিচয় দেননি। বরং উচ্চস্বরে উল্টা পাল্টা কথা বলেছেন, পাল্টা প্রশ্ন করেছেন। অবশেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক উর্ধতন কাউকে ফোন দেয়ার পর সাংবাদিক সাহেব তার নাম বলেছেন। এখানে দুটি প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে।  প্রথম প্রশ্ন হচ্ছে, সাংবাদিক দুজন কি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর চেয়েও ক্ষমতাধর হয়ে গেছেন ? দ্বিতীয় প্রশ্ন, সাংবাদিক দুজনকে কেন নাম বলতে হবে ? নাম, পদবি, পরিচয় থাকবে তাদের বুকে বা কোমরে প্রদর্শিত আই ডি কার্ডে। এখন দেখার বিষয়,  প্রদর্শিত স্থানে আই ডি ছিল কিনা ? না থাকলে থাকবে না কেন?

সাংবাদিক ও চিকিৎসকবৃন্দ ঘটনার ভিডিও চিত্র সমূহ পৃথকভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দিয়েছেন। সব গুলো ভিডিও কয়েকবার দেখেছি, পর্যালোচনা করেছি। দায়িত্বরত চিকিৎসক কখনোই উচ্চস্বরে কথা বলেননি। তিনি যথেষ্ট ধৈর্য্য, বুদ্ধিমত্তা ও সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। পক্ষান্তরে সাংবাদিক দুজন বারবার উচ্চস্বরে কথা বলেছেন। তাদের কথা বলার ধরণ দেখে মনে হয়েছে, এটি একটি মগের মুল্লুক। কর্তব্যরত চিকিৎসক ওয়ার্ড রাউন্ড শুরু করার আগে প্রতি রোগীর সাথে একজন এটেন্ডেন্ট ব্যাতিরেকে সবাইকে বের হবার কথা বলেছেন। সবাই বেরিয়ে না গেলে তিনি চিকিৎসা শুরু করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন। সেটাই নিয়ম।  সারা দুনিয়ায় সেটাই হয়ে থাকে। সাংবাদিকদ্বয় সেটি শুনতে নারাজ। এখানে তারা স্পষ্টতই সরকারি কাজে বাধা সৃষ্টি করেছেন, যা আইনত দণ্ডনীয়।  

দিন শেষে বেসরকারি টিভি চ্যানেলে দেখলাম সাংবাদিকদের হেনস্থা করেছে ডাক্তার। অথচ ভিডিও গুলি পর্যালোচনা করলে যে কেউ বলবেন, ডাক্তারকে হেনস্থা করেছে সাংবাদিকরা। আসলেই মগের মুল্লুক। ঘটনা কি ? আর সংবাদ শিরোনাম কি? এসব মগের মুল্লুকের রাজত্ব  থেকে জাতিকে পরিত্রান দেয়া প্রয়োজন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, বিএমএ, এফডিএসএর, বিডিএফ ও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ সমন্বয়ে একটি কমিটি করে দেয়া দরকার। কমিটি হাসপাতালে সাংবাদিক প্রবেশে ও তাদের দায়িত্ব নির্ধারণে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করবে। সে নীতিমালায় যাতে স্বাস্থ্য কর্মীদের কাজে বাধা প্রদান না করা হয়, রোগীর অনুমতি ব্যাতিরেকে তাদের ছবি, ভিডিও বা রোগ সংক্রান্ত কোন তথ্য প্রকাশ বা প্রচার না করা হয়, সেসব বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকা প্রয়োজন। তা না হলে হাসপাতাল সমূহে এ ধরণের অরাজকতা হতেই থাকবে, বাড়তেই থাকবে।  

লেখকঃ প্রবাসী চিকিৎসক, কলামিস্ট।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড থট

প্রথম আলোর পর কী ডেইলি স্টারও বিক্রি হবে?


Thumbnail

এখন টক অফ দ্য কান্ট্রি হচ্ছে প্রথম আলো বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। যদি প্রথম আলো কে বা কারা কিনবে সেটা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত না। তবে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান চাইবেন কোথায় গেলে তার চাকরির নিশ্চয়তা থাকবে। সেভাবেই তিনি বিক্রি করার চেষ্টা করবেন।

প্রথম আলো বিক্রির বিষয়টির পাশাপাশি একই রকম আরেকটি প্রশ্ন সামনে আসছে। আর সেটা হলো প্রথম আলোর পরে কে? তাহলে কি প্রথম আলোর পরে ডেইলি স্টার? তবে এটা নির্ভর করবে প্রথম আলোর কি ভাগ্য হয় তার ওপর। আমার ধারণা যারাই প্রথম আলো কিনেন না কেন তারা প্রথম দিকে মতিউর রহমান সাহেবকে রাখলেও পরবর্তীতে ছয় মাস থেকে এক বছরের মধ্যে সম্পাদক পরিবর্তন করবে। আর প্রথম আলো যদি কোন যুক্তিপূর্ণ লোকের কাছে দেয় তাহলে আমার মতে এখানে সম্ভবত আনিসুল হক সাহেব সম্পাদক হবেন। কারণ তার প্রতি লোকের অনেক শ্রদ্ধাবোধ আছে এবং তিনি সবসময় একটা রেড লাইন রক্ষা করে চলেন। এটা আমরা সকলেই জানি। তার সাথে অনেকেরই  ভালো সম্পর্ক এবং তিনি খুবই জ্ঞানী লোক।

এর আগে মতিউর রহমান যখন একতা থেকে আজকের কাগজে যান, তখন তার উদ্দেশ্যই ছিল যে, একটি পত্রিকা কীভাবে চলে সেটা শেখা এবং এখান থেকে একসাথে সাংবাদিক নিয়ে বেরিয়ে যাওয়া। তিনি সেটা করেছিলেন। তারপর ভোরের কাগজ থেকে একই কাজ করেছেন। সুতরাং তার সত্যিকারের নীতিবোধ বলতে যেটা বোঝায় সেটা দুর্ভাগ্যবশত তিনি প্রমাণ করতে পারেননি।

তিনি এক সময় কমিউনিস্টদের সাথে থাকলেও এখন তার চেয়ে বড় দক্ষিণপন্থী পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়াই কঠিন। এ কারণে প্রথম আলো যে বিক্রি হবে এই ব্যাপারে সাধারণ লোকের ভিতরে এখন আর কোন সন্দেহ নেই।

এখন প্রথম আলোর পরে ডেইলি স্টারের কী হবে এই নিয়ে আলাপ আলোচনা হচ্ছে এবং এই আলাপ আলোচনা খুব দীর্ঘদিন যে চলবে তা না। আমার মনে হয় জুন-জুলাই মাসের ভিতরেই এর একটা ফয়সালা হয়ে যাবে। কারণ স্বাভাবিক ভাবেই বুঝি যে, একটি পত্রিকা পাঠকপ্রিয়তা পেতে বেশ সময় লাগে। এটা একদিন দুইদিনের ব্যাপার না। আবার ঠিক তেমনিভাবে যখন পাঠকপ্রিয়তা কমতে থাকে সেটাও একদিন দুইদিনে হয় না। ধীরে ধীরে হয়। এই মিডিয়া জগতের নিয়মই তাই।

আমি ১৯৬১ সালে পত্রিকা বলতে শুধুমাত্র ইত্তেফাক এর কথাই জানতাম। সেই ধারণা থেকে বলতে পারি এখন প্রথম আলোর যদি কিছু কর্মী এর চেয়ে ভালো কোন সুযোগ সুবিধা দেখেন তাহলে তারা বিক্রি হওয়ার আগেই চলে যাবেন। কারণ স্বাভাবিকভাবেই একজন সাংবাদিকের একটা ক্যারিয়ার আছে এবং প্রথম আলোর মতো পত্রিকাতে কাজ করে তিনি তো যে কোন পত্রিকায় যেতেও পারবেন না। তার কারণ গেলে তার ওই লেখার যে মান সেটা মূল্যায়ন নাও হতে পারে। তবে আমার ধারণা প্রথম আলোতে কাজ করেছেন এমন যে কাউকে টেকনিক্যাল গ্রাউন্ডে অনেক গুরুত্ব দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে আমি অবাক হব না যদি দু এক মাসের ভিতরে দেখা যায় যে আস্তে আস্তে প্রথম আলো বিভিন্ন কর্মী অন্য পত্রিকায় যাওয়া শুরু করে দিয়েছেন।

ব্যাংক মার্জারের যেমন একটি ঘটনা বর্তমানে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, ঠিক তেমনি পত্রিকা জগতেও শিল্প গোষ্ঠীর যে গন্ডগোলের ঘটনা ঘটেছে এটিও ব্যাংক মার্জারের ঘটনার পর্যায়ে চলে যাবে। ব্যাংকিং ক্ষেত্রে দেখা যায়, দুটি ব্যাংক একীভূত হচ্ছে। আর এদিকে দেখা যাবে, সংবাদকর্মীরা অন্য পত্রিকায় চলে যাচ্ছে।

তবে আমার মনে হয় না, এখন যে অবস্থা চলছে এতে প্রথম আলো আর আগের মতো প্রথম আলো থাকতে পারবে। এটা কিছুতেই সম্ভব না এটি মোটামুটিভাবে নিশ্চিত। তাই আমার মনে হয় প্রথম আলো সেই ব্যাংক মার্জারের পর্যায়ে চলে এসেছে। এখন অন্য পত্রিকা যাদের আছে, তারাও প্রথম আলো কিনে নিতে পারেন। এটি সম্ভব। এরকম শিল্পগোষ্ঠীর কোন কমতি বর্তমানে বাংলাদেশে নেই। যে কোন শিল্প গোষ্ঠীই এটা কিনবে।

তবে আমি আশা রাখব, যারাই প্রথম আলো কিনবে, তারা যেন অন্তত পক্ষে এটা খেয়াল রাখে যাতে সাংবাদিকদের কোন ক্ষতি না হয়। সুতরাং এদেশের একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমার দাবী হচ্ছে সাংবাদিকরা যেন ক্ষতিগ্রস্থ না হয়।


প্রথম আলো   ডেইলি স্টার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড থট

ভুলের চোরাগলিতে আটকে গেছে বিএনপির রাজনীতি


Thumbnail

বিএনপির রাজনীতি এখন ভুলের চোরাগলিতে আটকে গেছে। রাজনীতিতে একের পর এক ভুল করার কারণে তারা এখন হতাশায় নিমজ্জিত। কোন কী বলতে হবে সেটার খেই হারিয়ে ফেলেছেন দলটির নেতাকর্মীরা। 

বিএনপি এখন দাবি করছে যে, তাদের ৬০ লাখ নেতাকর্মী জেলে আছেন। এখানে দুটি বিষয় খুব গুরুত্বপূর্ণ। একটি হল যদি ৬০ লাখ কর্মী তাদের থাকত তাহলে এতদিনে তারা কেন আন্দোলনে ব্যর্থ হল? যদি এত সংখ্যক নেতাকর্মী থাকত তাহলে তো অনেক আগেই সরকারের পতন ঘটে যেত। কারণ সরকারের পতন ঘটানোর জন্য এক লাখ নেতাকর্মী হলেই যথেষ্ট। কিন্তু এত সংখ্যক নেতাকর্মী নিয়েও তারা ব্যর্থ কেন! এত বড় সংখ্যক নেতাকর্মী নিয়ে তারা তাদের নেত্রীকে জেল থেকে মুক্ত করতে পারেনি। কোন আন্দোলনই তারা করতে পারল না! বরং তাদের নেত্রীকে সরকারের অনুকম্পায় ফিরোজায় থাকতে হচ্ছে। ফলে স্বভাবতই বিএনপির নেতাকর্মীর সংখ্যা কত সেটা একটা বড় প্রশ্ন। আর এত নেতাকর্মী থাকা সত্বেও তাদের নেতাকে লন্ডনে পালিয়ে থাকতে হচ্ছে! 

দ্বিতীয় আরেকটি বিষয় হল বিএনপির ৬০ লাখ নেতাকর্মী যদি জেলে থাকেন তাহলে দেশের জেলখানা গুলোর ধারণ ক্ষমতা কত। এবং সেখানে যদি বিএনপির নেতাকর্মীর সংখ্যাই হয় ৬০ লাখ তাহলে এর মধ্যে সাধারণ কয়েদি কোথায় আছেন। তাদেরকেই বা কোথায় রাখা হয়েছে।

কথায় আছে, পথের মাঝে পথ হারালে আর কি পথ ফিরে পাওয়া যায়! বিএনপির অবস্থায় এখন তাই। তারা রাজনীতির পথের মাঝে রাজনীতির পথ হারিয়ে ফেলেছেন। কোনটা রাজনীতি আর কোনটা রাজনীতি নয় সেটাও বিএনপির নেতাকর্মীরা বোধহয় ভুলে গেছেন কিংবা বুঝতে পারছেন না। অন্য আরেকটি কথায় আছে যে, স্বপ্নে যখন কেউ কিছু খাবে তখন পান্তা খাবে কেন? পোলাও কোরমা খাওয়াই ভালো। বিরিয়ানিও খাওয়া যেতে পারে। সুতরাং ৬০ লাখ না বলে তাদের বলা উচিত ছিল বাংলাদেশে তো প্রায় ১৮ কোটি লোক আছে এর মধ্যে ৬ কোটি লোকই বিএনপির নেতাকর্মী। তাহলে অত্যন্ত লোকে আরও ভালো ভাবে বুঝত যে, বিএনপি আসলেই অনেক বড় একটি শক্তিশালী দল এবং তাদের আন্তর্জাতিক মুরব্বিরা বুঝতে পারত যে, বিএনপির সাংগঠনিক অবস্থা অত্যন্ত ভালো। 

তবে বাস্তবতা হল বিএনপি ৬০ লাখ নেতাকর্মী দাবি করলেও আসলে তাদের কোন জনসমর্থনই নাই। যদি তাই থাকত তাহলে তারা নির্বাচন বিষয়টিকে এত ভয় পেত না। নির্বাচন বর্জনের মতো সিদ্ধান্ত নিত না। শুধু তাই নয়, বিদেশিও তাদের কোন বন্ধু নাই। যারা আছে সেই বন্ধুদের কথায় দলটি বরং এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে যাচ্ছে। দেশিয় বিএনপির যে সমস্ত বন্ধুরা ছিলেন, বিভিন্ন সময় বিএনপিকে সমর্থন দিয়ে কিছু লেখালেখি করতেন, তাদেরকে রাষ্ট্রক্ষমতার স্বপ্ন দেখাতেন তারাও এখন হারিয়ে গেছেন। সব কিছু মিলিয়ে দলটি এখন অনেকেটা এতিম হয়ে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে হয়ত সামনে দলটির নাম নিশানাও থাকবে না। যারা নিজের দলের নেতাকর্মীর সঠিক সংখ্যা জানেন না তাহলে বুঝতে হবে সেই দলটি এখন কোন পর্যায় গেছে। কতটা দেউলিয়া হলে একটি দলের নেতাকর্মীর সংখ্যা নিয়ে তারা নিজেরাই বিভ্রান্ত হন। সুতরাং দলটি যে অচিরেই হারিয়ে যেতে বসছে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন