আজ ৪ঠা জানুয়ারি ছাত্রলীগের
৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। অতীতে দিবসটি উপলক্ষে ছাত্রলীগ নেতাদের বলতে শোনা গিয়েছে,
অপরাধীদের জায়গা হবে না ছাত্রলীগে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ
সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রত্যাশা করেছেন নতুন বছরে ছাত্র রাজনীতি ইতিবাচক ধারায় ফিরবে।
কারণ অপরাধে জড়িত থাকায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতাদের বহিষ্কার করা
হয়েছে। ছাত্রলীগ নেতা হয়ে অপরাধ করলেই তাকে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে
দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। তবে বেশ কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় ২০২২
সাল অবধি দেশজুড়ে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মীকেও নির্মমভাবে খুন করেছে প্রতিপক্ষরা।
ভালো-মন্দ মিলে বিভিন্ন পরিস্থিতির মধ্যে বর্তমান কমিটি ২০২২ সালে দায়িত্ব গ্রহণের
পর ছাত্রলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে অঙ্গীকার করেছে- গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের
ধারাবাহিকতা বজায় রেখে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণ করবে।
আমরা জানি বঙ্গবন্ধুর আমল
থেকে ছাত্রলীগ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করছে। এজন্য করোনাভাইরাস মহামারিকালে
কিংবা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধজনিত সংকটে সাধারণ মানুষের পাশে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা
দাঁড়িয়েছে। মহামারির মধ্যে তারা মৃতদেহ সৎকার করেছে, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক বিতরণসহ
সাধারণ মানুষকে সচেতন করার সব কৌশল অবলম্বন করেছে। কোথাও অক্সিজেন সিলিন্ডারের অভাব
দেখা দিলে নেতাকর্মীরা বিনামূল্যে সেটি সরবরাহ করেছে। এম্বুলেন্স সার্ভিস দিয়েছে বিনামূল্যে।
বোরো মৌসুমে হাওরাঞ্চলে ধানকাটা শ্রমিকের অভাব দেখা দিলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ধান
কেটে কৃষকের বাড়ি পৌঁছে দিয়েছে। এমনকি শিক্ষার্থীদের বাড়িভাড়া ও অন্যান্য আর্থিক সমস্যায়
তাদের পাশে থেকে সমস্যা সমাধানে চেষ্টা করেছে। ছাত্রলীগের নেতাদের ভাষ্য, শেখ হাসিনা
যে সিদ্ধান্ত দেন সেই আলোকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ পরিচালিত হয়। নেত্রী যে নির্দেশনা দিচ্ছেন
সেগুলো তারা পালন করে যাচ্ছেন। তাদের মতে, ছাত্রলীগ একটি আদর্শিক ছাত্র সংগঠন, ছাত্রলীগ
৫০ লাখ নেতাকর্মীর সংগঠন, শিক্ষার্থীদের সংগঠন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে নেত্রীর
নির্দেশনা বাস্তবায়ন করাই তাদের অন্যতম কাজ।
উল্লেখ্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি সময়ের দাবিতেই বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা
করেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ভাষার অধিকার, শিক্ষার অধিকার, বাঙালির স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠা,
দুঃশাসনের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান, সর্বোপরি স্বাধীনতা ও স্বাধিকার আন্দোলনের ছয় দশকের
সবচেয়ে সফল সাহসী সারথি এই সংগঠন। বঙ্গবন্ধু যতদিন এই সংগঠনের সঙ্গে ছিলেন ততদিন সোনার
বাংলা বিনির্মাণে কর্মী গড়ার পাঠশালা হিসেবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কাজ করে গেছে। শিক্ষা,
শান্তি ও প্রগতির পতাকাবাহী এই সংগঠন বিদ্যার সঙ্গে বিনয়, শিক্ষার সঙ্গে দীক্ষা, কর্মের
সঙ্গে নিষ্ঠা, জীবনের সঙ্গে দেশপ্রেম এবং মানবীয় গুণাবলির সংমিশ্রণ ঘটিয়েছে সূচনাকাল
থেকেই। ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ বঙ্গবন্ধু ছাত্রলীগের সমাবেশে বলেছিলেন, ‘দানবের সঙ্গে লড়াইয়ে
যে কোনো পরিণতিকে মাথা পেতে বরণের জন্য আমরা প্রস্তুত। ২৩ বছর রক্ত দিয়ে এসেছি। প্রয়োজনবোধে
বুকের রক্তগঙ্গা বইয়ে দেব। তবু সাক্ষাৎ মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়েও বাংলার শহীদদের রক্তের
সঙ্গে বেইমানি করব না।’ মুক্তিযুদ্ধে এ সংগঠনের ১৭ হাজার বীর যোদ্ধা তাদের বুকের তাজা
রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা অর্জনে অবদান রাখেন।
যেহেতু বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে
ধারণ আর নেত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়ন করেই ছাত্রলীগ পথ চলে এজন্য শেখ হাসিনার প্রত্যাশা নিয়ে কিছু কথা বলা দরকার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর একটি প্রবন্ধে ছাত্র রাজনীতির মূল লক্ষ সম্পর্কে লিখেছেন-
‘ছাত্র রাজনীতির মূল লক্ষ্য হচ্ছে সমাজ, দেশ ও রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ নেতৃত্বদানে নিজেকে
গড়ে তোলা।’ (শেখ হাসিনা রচনাসমগ্র ১, পৃ ১৭৯) এজন্য তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার
উপযুক্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছিলেন ১৯৯৪ সালে। তিনি
আরো লিখেছেন ‘আমরা শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাসের বিরোধী।’ ২০২২ সালে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়
বাংলাদেশ নির্মাণের নতুন প্রজন্মের সাহসী সৈনিকরা অনেকেই নেতৃত্বে এগিয়ে এসেছেন। আর
জননেত্রী শেখ হাসিনার যুগোপোযোগী নেতৃত্বের কারণে দেশ এগিয়ে চলেছে। এর আগে কারও মুখের
দিকে না তাকিয়ে শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাসে জড়িতদের বিরুদ্ধে ‘যথাযথ ব্যবস্থা’ নেওয়ার নির্দেশ
দিয়েছিলেন তিনি। তিনি বলেছিলেন, ‘এখানে একটা নির্দেশ আমি দিতে চাই, যারাই এ ধরনের সমস্যা
সৃষ্টি করবে বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাস করবে, যে দলের হোক, কে কোন দলের সেটা দেখার
কথা না, যারা এ ধরনের কর্মকাণ্ড করবে সাথে সাথে তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নিতে হবে।’
ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালেও তিনি বলেছেন, ‘কী পেলাম চিন্তা না করে
জনগণকে কী দিলাম- সেই চিন্তা কর।’ উপরন্তু তিনি তাদের লেখাপড়ায় মনোযোগী হতে বলেছেন
এবং উৎসাহব্যঞ্জক কথায় নানান দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন। তাঁর মতে, এই ছাত্রদের মধ্য থেকেই
গড়ে উঠবে আগামী দিনের নেতৃত্ব। তারাই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। দেশ ও জাতির সেবা করা
তথা দেশপ্রেমিক হওয়ার ওপরও তিনি গুরুত্বারোপ করেন। শেখ হাসিনা নিজে ষাটের দশকে ছাত্রলীগের
সক্রিয় কর্মী ছিলেন আর বঙ্গবন্ধুর আদর্শে পথ চলছেন দীর্ঘদিন। এজন্য তাঁর কথাগুলো খুবই
গুরুত্বপূর্ণ। ফলে ছাত্রলীগ সম্পর্কে নানারকম অভিযোগের অবসানও হচ্ছে। তিনি অবগত আছেন
কিছু ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীর অসদাচরণ সম্পর্কে। তিনি জানেন ছাত্রলীগের ছেলে-মেয়েরা
মেধাবী হলেও লেখাপড়ায় মনোযোগী নয়। চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজিতে জড়িয়ে আছে আরো কিছু ছাত্র।
সব পরিস্থিতি জেনেই তিনি তরুণদের উদ্দেশ্যে তাঁর প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন।
জননেত্রী শেখ হাসিনার যুগোপোযোগী
নেতৃত্বের কারণে দেশ এগিয়ে চলেছে। ২০০৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত একটানা ক্ষমতায় আসীন
আওয়ামী লীগ। সেই ২০০৮ সালের নির্বাচন থেকেই তরুণ ভোটারদের কথা তাঁর মনে এসেছে, এজন্য
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের আগে তিনি নির্বাচনি ইশতেহারটিও প্রাণপ্রাচুর্যে
ভরা তরুণদের কাছে উপস্থাপন করেছিলেন। তাঁর প্রত্যাশা ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন স্বপ্ন নয়,
বাস্তব। মেট্রোরেলের উদ্বোধনের দিন (২৮ ডিসেম্বর ২০২২)তিনি বলেছেন, এখন দেশ হবে
SMART, দেশকে এগিয়ে নিতে চান তিনি, বাংলাদেশের মানুষ ভাল থাকুক, সুখে থাকুক, উন্নত
জীবন পাক- এটাই তাঁর প্রত্যাশা। এজন্য ছাত্রসংগঠন রাজনীতির নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করলে
তাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। আমাদের মত উন্নয়নশীল দেশে উন্নয়নের অনেক অন্তরায়ের
মধ্যে একটি অন্তরায় হল নোংরা ছাত্ররাজনীতি। অভিযোগ রয়েছে, বর্তমান ছাত্র সংগঠনগুলোর
নেতৃত্ব ছাত্রদের ন্যায্য দাবি-দাওয়াসহ জাতীয় ইস্যুতে সোচ্চার হওয়ার চেয়ে নিজেদের আখের
গোছাতেই ব্যস্ত। এই প্রবণতা থেকে ছাত্রদের মুক্ত করতে পারে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার।
জননেত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের একজন নেত্রী হিসেবে পাকিস্তান আমলে ‘ইডেন মহাবিদ্যালয়
ছাত্রী সংসদ’-এ ভিপি পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর মেয়ে হিসেবে নন, সে সময়
তাঁর মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে সাধারণ ছাত্রীদের মন জয় করে নির্বাচিত হন। এটি ছিল আদর্শের
জয়। এই আদর্শভিত্তিক সংগঠন ছাত্রদের পথপ্রদর্শক।
অবশ্য দু’দশক আগে বঙ্গবন্ধু
কন্যা শেখ হাসিনা ছাত্রদের দিয়ে দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার চিন্তা করেন। ১৯৯৪ সালে
তাঁর লিখিত ‘শিক্ষিত জনশক্তি অর্থনৈতিক উন্নয়নের পূর্বশর্ত’ শীর্ষক প্রবন্ধে আমাদের
শিক্ষা ব্যবস্থাকে বাস্তবমুখী করে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন তিনি। দেশের উৎপাদনমুখী কর্মকাণ্ডের
সঙ্গে শিক্ষিত যুবক-তরুণীদের যথাযথভাবে সম্পৃক্ত করাই তাঁর লক্ষ্য ছিল। প্রতিটি ছাত্র
যাতে তাদের নিজস্ব স্বাভাবিক মেধা-মনন, ক্ষমতা ও প্রবণতা অনুযায়ী পেশা বেছে নিতে পারে
তার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করা তাঁর অন্তরের চাওয়া ছিল। সেসময় তাঁর প্রত্যয়দদৃপ্ত
উচ্চারণ হলো- ‘শিক্ষাঙ্গনে শান্তি ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে আমরা বদ্ধপরিকর।’ আগেই বলা
হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অস্থিরতা বিরাজ করলে তা প্রতিবিধানে তিনি সবসময়ই উদ্যমী ভূমিকা
পালন করেছেন। উক্ত প্রবন্ধে তিনি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দিয়ে নিরক্ষরতা দূর করার
কথা বলেছিলেন। একই কথা ছাত্রলীগকে এখনও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি। উপরন্তু তিনি ফেল করা
হতাশ শিক্ষার্থীদের নিয়ে ভেবেছিলেন। উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের দেশের সম্পদ উৎপাদনে
ও গঠনমূলক কাজে নিয়োজিত করার কথাও লিখেছেন। সময়োপযোগী ও বাস্তবমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ
করে তাদের সমাজের দায়িত্ববান নাগরিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার কথা ছিল তাঁর লেখায়। দুই
দশক আগের এসব ভাবনার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে বর্তমান রাষ্ট্র পরিচালনায়। গত মহাজোট সরকারের
অন্যতম কীর্তি জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ প্রণয়ন। ‘শিক্ষানীতি ২০১০’-এ ছাত্রদের চরিত্র
গঠনের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। শিক্ষানীতির ‘শিক্ষার উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য’ তিন- অংশে
বলা হয়েছে: ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করে তোলা ও তাদের চিন্তা-চেতনায়
দেশাত্মবোধ, জাতীয়তাবোধ এবং তাদের চরিত্রে সুনাগরিকের গুণাবলি (যেমন: ন্যায়বোধ, অসাম্প্রদায়িক
চেতনাবোধ, কর্তব্যবোধ, মানবাধিকার সচেতনতা, মুক্তবুদ্ধির চর্চা, শৃঙ্খলা, সৎ জীবনযাপনের
মানসিকতা, সৌহার্দ্য, অধ্যবসায় ইত্যাদি) বিকাশ ঘটানো’ হবে।
এ কথা সত্য, মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তীকালে
ছাত্ররাজনীতির রূপ পাল্টেছে। ২০২০-২০২২ সালের ছাত্ররাজনীতি এবং ষাট-সত্তর দশকের ছাত্ররাজনীতি
কখনই এক নয়। কারণ মুক্তিযুদ্ধের পর ছাত্ররাজনীতি এবং বর্তমানের রাজনৈতিক বাস্তবতার
রাজনীতি একেবারেই ভিন্ন। মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশে ছাত্রসংখ্যা এবং বর্তমানের ছাত্র
সংখ্যার মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে একটা
স্পৃহা কাজ করতো, দেশকে স্বাধীন করতে হবে। কারণ এর মাধ্যমে বাংলাদেশের আলাদা একটা ভূখণ্ড
হবে এবং বাংলাদেশ তার আত্মপরিচয় হিসেবে জাতীয় সংগীত ও পতাকা পাবে। সর্বোপরি পৃথিবীর
বুকে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে।
১৯৭১ সালে ছাত্ররা যুদ্ধ করেছে দেশের বাইরের শক্তি পাকিস্তানের সঙ্গে। কিন্তু বর্তমানে
ছাত্রসংগঠনগুলো দেশের ভেতরে অর্থাৎ ঘরের ভেতরের শত্রুর সঙ্গে যুদ্ধ করছে। বর্তমানে
বাংলাদেশের ভেতর এমন কতকগুলো সংগঠন রয়েছে যারা বাঙালি এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতানাকে ধারণ
করে না এবং যারা ধারণ করে তাদেরকে দমন করার চেষ্টা করে। এরা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙতেও
সাহস দেখায়। ফলে বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের চিন্তা-চেতনা হল কীভাবে বাংলাদেশকে
সমৃদ্ধশালী এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করা যায়। আওয়ামী লীগ সরকারের
চিন্তা-চেতনা ও কর্মসূচির সাথে ছাত্রলীগের চিন্তা-চেতনার একটা গভীর মিল রয়েছে। বাংলাদেশ
ছাত্রলীগ সরকারের এই কর্মসূচিকে সমর্থন করে এবং এর সফলতার জন্য কাজ করে। অন্যদিকে ছাত্রলীগ
শিক্ষা নিয়ে রাজনীতি করে। তাই ছাত্রলীগের প্রধান মন্ত্র হল শিক্ষা ব্যবস্থাকে পরিচালনা
করা। একবিংশ শতাব্দীর ছাত্রদের এই স্বপ্ন ও আকাক্সক্ষার পিছনে রয়েছে বিংশ শতাব্দীর
বিশ্বব্যাপী ছাত্র রাজনীতির প্রাণিত ইতিহাস। বিংশ শতাব্দী ছিল বিশ্বব্যাপী ছাত্র রাজনীতির
অঢেল অর্জন আর অধিকার আদায়ের স্মরণীয় যুগ। একারণে এই একবিংশ শতাব্দীর বিশ্বায়নের যুগে
দাঁড়িয়ে ওই শতাব্দীর শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ যোগ্যতা ও মেধার মাধ্যমে জাতীয় রাজনীতিতে
ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করার বিষয়টি আমরা উপলব্ধি করতে পারছি। কেবল রাজনীতি নয় পরিবেশ,
অর্থনীতি এবং সমাজ পরিবর্তনের নানা ক্ষেত্রে তারা পাঠসূচির বাইরে অবদান রেখেছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিবুর রহমান তাঁর জীবনের সর্বশেষ অর্থাৎ ১৯৭৪ সালের বিজয় দিবসের ভাষণে বলেছিলেন
: ‘একটি কথা আমি প্রায়ই বলে থাকি। আজো বলছি, সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার মানুষ চাই।’
সেদিন তিনি আরো বলেছিলেন, ‘চরিত্রের পরিবর্তন না হলে এ অভাগা দেশের ভাগ্য ফেরানো যাবে
কিনা সন্দেহ। স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতি ও আত্মপ্রবঞ্চনার ঊর্ধে থেকে আমাদের সকলকে আত্মসমালোচনা,
আত্মসংযম এবং আত্মশুদ্ধি করতে হবে। মনে রাখতে হবে আপনি আপনার কর্তব্য দেশের জনগণের
প্রতি কতটা পালন করেছেন, সেটাই বড় কথা।’ চরিত্র পরিবর্তনের যে কথা তিনি বলেছিলেন তা
বর্তমান ছাত্রসমাজের ক্ষেত্রে একান্তই প্রযোজ্য। কারণ কৃষক-শ্রমিকের পর দেশের উন্নয়নের
চাকা ঘুরছে তাদের হাত দিয়ে। জাতির পিতা যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলায় বার বার বলতেন, স্বাধীনতা
অর্জন করা যত সহজ, রক্ষা করা আরও কঠিন। তিনি স্বাধীনতার অর্জনকে সাফল্যের স্বর্ণশিখরে
নিতে আদর্শ ও ত্যাগের মহিমায় একটি জাতিকে নৈতিক চরিত্রে দাঁড় করানোর আকুতি জানিয়েছেন।
তাঁর নিরাভরণ সাদামাটা জীবনের ছবি এখনো উজ্জ্বল হয়ে আছে। তার আদর্শের অনুসারী হয়েই
আত্মসমালোচনা, আত্মসংযম আর আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে আদর্শের রাজনীতির পথে হাঁটতে হবে বর্তমান
ছাত্র সমাজকে। এই শতাব্দীর বিশ্বের সর্ববৃহৎ ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। গৌরব,
ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের দীর্ঘ পথচলায় ছাত্রলীগ বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করেই রাজনীতির
সুস্থ ধারা অব্যাহত রাখবে- প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমাদের এটাই প্রত্যাশা।
ছাত্রলীগ ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী স্মার্ট বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাজনীতি
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪
আজ ২৪ এপ্রিল। গত বছর এই দিনে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সে হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আজ এক বছর পূর্ণ হল। অঙ্কের হিসেবে এক বছর সময় অনেক কম মনে হলেও এই সময় তিনি সেরা সাফল্য অর্জন করেছেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন যে সময় দায়িত্ব গ্রহণ করেন সে সময়টা ছিল নির্বাচনী বছর। বাংলাদেশে নির্বাচন শেষ পর্যন্ত হবে কিনা, দেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যত কোন দিকে যাবে ইত্যাদি নানা রকম শঙ্কা ছিল অনেকের মধ্যে। দায়িত্ব গ্রহণের পর রাষ্ট্রপতির প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা। নির্বাচন বিষয়টি যদিও নির্বাচন কমিশনের কাজ। কমিশন এটা আয়োজন করে থাকে। কিন্তু এর পিছনে আসল কাজটি করেছেন রাষ্ট্রপতি।
দেশে একটি সুষ্ঠু
নির্বাচন করা এবং সেটাকে দেশে-বিদেশি সবার কাছে যোগ্য করে তোলার আসল কাজটি করতে হয়েছে
রাষ্ট্রপতিকে। এই কাজটি রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন শেষ পর্যন্ত খুব ভালো ভাবে এবং
সফল ভাবে করতে সক্ষম হয়েছেন। গত এক বছরে এটিই এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির সেরা অর্জন বা
সেরা সাফল্য বলে আমি মনে করি। রাষ্ট্রপতি যদি শেষ পর্যন্ত নির্বাচন সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ
ভাবে না করতে পারতেন তাহলে দেশের গণতন্ত্র এক বড় ঝুঁকির মধ্যে পড়ত। কিন্তু রাষ্ট্রপতি
সেটি ভালো ভাবে সামাল দিতে পেরেছেন। আমাদের গণতন্ত্র রক্ষা পেয়েছে, গণতন্ত্রের জয় হয়েছে।
আমি একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে এ কথা না বললেই নয় যে, রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিনকে নিয়ে আমি ব্যক্তিগত ভাবে গর্বিত। কারণ দেশের এক নম্বর নাগরিক বা
রাষ্ট্রপতি হওয়া সত্বেও তিনি যেভাবে সবার সাথে মিশেন সেটা অতুলনীয়। একজন মানুষ প্রকৃত
অর্থেই মাটির মানুষ না হলে তার পক্ষে এটা করা সম্ভব নয়। এখনও রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের
গায়ে গ্রামের সেই ধুলোবালির গন্ধ পাওয়া যায়। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার যে ধ্যান
ধারণা থাকার কথা সেটাও তার মধ্যে অত্যন্ত প্রখর এবং সেই চেতনা তিনি সকলের মাঝে ছড়িয়ে
দেয়ার চেষ্টা করেন বলেই আমার কাছে দৃশ্যমান হয়। সেজন্য আমি ব্যক্তিগত ভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা এবং তার দল আওয়ামী লীগ ধন্যবাদ দিতে চাই যে, তারা এ রকম একজন রাষ্ট্রপতিকে
এই পদে মনোনয়ন দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিনের মনোনয়ন শুরুতে সবাইকে অবাক
করলেও সেটা ছিল আমাদের অগত্যা। কারণ অনেকে তার সম্পর্কে সঠিক ভাবে জানতেন না। অথচ তিনি
একজন স্থানীয় নেতা হয়েও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করেছিলেন। এমনকি
পাবনার মত একটি জেলা শহরে থেকে তিনি এটি করেছেন। আমরা সেটার মাহাত্ম্য বুঝতে না পারলেও
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকরী ষড়যন্ত্রকারীরা ঠিকই বুঝতে পেরেছিলেন আর সেজন্য রাষ্ট্রপতিকে গ্রেপ্তার
করেছিলেন। আমি প্রয়াত স্বাস্থ্যমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন ইউসুফের কাছে শুনেছি যে রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিন এবং তার (প্রয়াত স্বাস্থ্যমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন ইউসুফ হাত পা খাটের
সাথে বেঁধে রাখা হয়েছিল। এভাবে অনেক দিন তিনি জেল খেটেছেন। এরপর তিনি জেলে থেকেই আইন
পাশ করেন। তিনি পরীক্ষা দিয়ে চাকরি নেন এবং জেলা জজ পর্যন্ত হয়ে তিনি তার চাকরির জীবন
শেষ করেন। পরে তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতির সাথে সরাসরি যুক্ত হন। তিনি আওয়ামী
লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য হিসেবে এবং আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের নির্বাচন কমিশনের
প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন
করছেন। রাষ্ট্রপতি হলেও এখনও তিনি আগের মতই সহজ-সরল রয়ে গেছেন। তার এই সরলতা ইতিমধ্যে
সাধারণ মানুষের মন জয় করেছে।
গত এক বছরে রাষ্ট্রপতির আরেকটি উল্লেখ্য করার মত সাফল্য হল যে,
তিনি এমন ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন বা এখন পর্যন্ত তার কাজকর্ম কিংবা সিদ্ধান্তগুলো
দেখে বুঝার উপায় নেই যে তিনি আগে কখনও কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। রাষ্ট্রের
অভিভাবক হিসেবে তিনি তার নিরপেক্ষতা ধরে রাখতে পেরেছেন। রাষ্ট্রের সকলের কাছে গ্রহণযোগ্যতা
পেয়েছেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিদের তালিকা পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিন সহ সর্বশেষ তিনজন রাষ্ট্রপতি গণ মানুষের রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিজেকে
প্রমাণ দিতে পেরেছেন। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, এরপর অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ
এবং মো. সাহাবুদ্দিন তারা প্রত্যেকই অতি সাধারণ জীবন যাপন করে আপামর জনগণের মন জয় করে
নিতে পেরেছেন। রাষ্ট্রপতি হবার আগে যে সাধারণ জীবন যাপন করেছেন রাষ্ট্রপতি হবার পরও
একই ভাবে থেকেছেন।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিদের তালিকায় এমন রাষ্ট্রপতিও আছেন যারা রাষ্ট্রপতি
হবার আগে এক রকম ছিলেন পরে আবার অন্যরকম ভাবে আবির্ভূত হয়েছে। রাষ্ট্রপতি হবার আগে
যে আদর্শ ধারণ করতেন রাষ্ট্রপতির চেয়ার বসলে তাদের সেই আদর্শের বিচ্যুক্তি ঘটে। কিন্তু
এক্ষেত্রে এই তিনজন ব্যক্তি সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। তারা আগে যা ছিলেন রাষ্ট্রপতি হবার
পর একই রকম থেকেছেন, আদর্শচ্যুত হননি। মো. সাহাবুদ্দিন যে আদর্শ ধারণ করেন সেই আদর্শে
তিনি তার কাজকর্ম সফলতা সাথে করে যাচ্ছেন। আমরা তার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৯:২৬ পিএম, ২১ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
দেশের শীর্ষ স্থানীয় গণমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ বিক্রির বিষয়টি এখন ‘টক অব দ্য টাউন’। বাংলাদেশের বিভিন্নি গ্রুপ কোম্পানি এই প্রতিষ্ঠানটি কেনার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করছে বলেও সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। যদিও প্রতিষ্ঠানটির সম্পাদক মতিউর রহমানের এতে শেয়ার রয়েছে। তিনিও প্রতিষ্ঠানটির মালিক। মালিকানা থাকলেও এখন মতিউর রহমান তার সম্পাদক পদটা নিশ্চিত করতে চান। সেজন্য তিনি কর্ণফুলী গ্রুপের কাছে প্রতিষ্ঠানটি বিক্রি করার জন্য খুব আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু বিভিন্ন বাস্তব কারণে কর্ণফুলীগ্রুপের কাছে প্রতিষ্ঠানটি বিক্রির বিষয়টিতে রাজি হয়নি বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।
আজ ২৪ এপ্রিল। গত বছর এই দিনে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সে হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আজ এক বছর পূর্ণ হল। অঙ্কের হিসেবে এক বছর সময় অনেক কম মনে হলেও এই সময় তিনি সেরা সাফল্য অর্জন করেছেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন যে সময় দায়িত্ব গ্রহণ করেন সে সময়টা ছিল নির্বাচনী বছর। বাংলাদেশে নির্বাচন শেষ পর্যন্ত হবে কিনা, দেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যত কোন দিকে যাবে ইত্যাদি নানা রকম শঙ্কা ছিল অনেকের মধ্যে। দায়িত্ব গ্রহণের পর রাষ্ট্রপতির প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা। নির্বাচন বিষয়টি যদিও নির্বাচন কমিশনের কাজ। কমিশন এটা আয়োজন করে থাকে। কিন্তু এর পিছনে আসল কাজটি করেছেন রাষ্ট্রপতি।
প্রথম দফায় উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন শেষ হয়েছে গতকাল। কিন্তু অবাক করার বিষয় যে, একমাত্র পলকের শ্যালক ছাড়া আর কেউই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। অথচ আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনা আছে যে, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী, এমপিদের পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা কেউ নির্বাচন করতে পারবেন। দলের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনা ইতোমধ্যে সুস্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। মন্ত্রী, এমপিদের পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে যারা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তাদেরকে প্রত্যাহারের জন্য তিনি নির্দেশও দিয়েছেন। তিনি শেষ পর্যন্ত কেউই তা মানেননি। এতে করে সুস্পষ্ট ভাবে তারা আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনাকে অমান্য করেছে। যা দলীয় সিদ্ধান্তের লঙ্ঘন এবং গুরুতর অপরাধও বলে আমি মনে করি।
দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভূমিধস বিজয়ের পর ১১ জানুয়ারি যে নতুন সরকার গঠন করেন আজ তার ১০০ তম দিন। এক কঠিনতম সময়ে তিনি এই সরকার গঠন করেছেন। কিছু বুদ্ধিজীবী নির্বাচনের আগে আগে নানান রকম কথাবার্তা বললেও সাধারণ মানুষ ঠিকই জানত যে, শেখ হাসিনাই আবার সরকার গঠন করবেন। কারণ তারা জানেন যে, শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই। সরকার গঠনের পরও কিন্তু তাকে কঠিনতম সময় পার করতে হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি সফলতা পাচ্ছেন। এজন্য একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমিও মনে করি যে, দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই।
বারো বছর আগের কথা। ডেভিড ক্যামেরুন তখন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। সে সময় একদিন তিনি একটি হাসপাতালের ওয়ার্ডে ঢুকে পড়লেন। রোগীর অনুমতি সাপেক্ষে রোগীর সাথে ছবি তুলতে গেলেন। বাঁধ সাধলেন ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা একজন চিকিৎসক। জীবাণু প্রতিরোধের কোন পদক্ষেপ না নিয়ে এবং চিকিৎসকের অনুমতি ব্যতিরেকে তিনি ওই কাজটি করছিলেন। ডেভিড ক্যামেরুন তাঁর ভুল বুঝতে পেরেছিলেন সাথে সাথে। ক্ষমা চাইলেন এবং ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে গেলেন।