বিলম্ব হলেও বর্তমান মহামান্য রাষ্ট্রপতি মাইনাস ফর্মুলার বিপক্ষে কথা বলেছিলেন--
১৬জুলাই ২০০৭ইং ছিল বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস। সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নীল নক্সায় ধানমন্ডির সুধা সদন থেকে আটক করে এবং সংসদ ভবন এলাকায় স্থাপিত বিশেষ কারাগারে দীর্ঘ ১১ মাস আটক রেখেছিলেন। ১১জুন মুক্তি দিয়েছিলেন। রাজনৈতিক ও সরকারের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা মাইনাস ফর্মুলার পক্ষ নিয়ে দলের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কেন্দ্রীয় নেতাদের অপতৎপরতা বিগত হলেও ভূলে যাবার নয়।
১/১১ এ সেনা সমর্থিত অবৈধ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শাসনামলের শুরুতেই আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা গ্রেফতার,হয়রানি,নির্যাতনের সম্মূখীন হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অগণতান্ত্রিক কার্যক্রমের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সারির নেতাদের গ্রেফতার,মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির এক পর্যায়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে মিথ্যা মামলা সাজানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করে অবৈধ তত্ত্বাবধায়ক সরকার। রাজনীতিতে মাইনাস ফর্মুলার অংশ হিসেবে প্রথমেই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করা হয়। সদ্য ক্ষমতা থেকে বিদায়ী বিএনপি-জামায়াত জোটের নেতৃত্বাধীন পর পর পাঁচ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন সরকার প্রধান খালেদা জিয়াকে প্রথমে আটক না করার পক্ষ অবলম্বন গ্রহণ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। বিলম্বে বিএনপি নেত্রী বেগম জিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
মাইনাস ফর্মুলার রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয় জোটের শীর্ষ পর্যায়ের কয়েক জন নেতার সাথে কতিপয় নেতারা সেনা সমর্থিত অবৈধ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নেতৃত্বে পরবর্তীতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার লিপ্সায় ছিলেন।
২০০৭ সালের ১৫ জুলাই শেষে ১৬ জুলাই শুরুতে ধানমন্ডির সুধাসদনে বসবাসরত বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার বাসভবনে যৌথ বাহিনীর ঘেরাও খবর পেয়ে আতঙ্কিত হলাম। কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে ফোনালাপে অবগত হলাম গন মানুষের নেত্রীকে আটক করার প্রক্রিয়া চলছে। গভীর রাতে জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ অবলম্বন কারী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাইনাস ফর্মুলার প্রতিবাদী কন্ঠ বিশেষ করে অগ্নি কন্যা বেগম মতিয়া চৌধুরী, এডভোকেট সাহারা খাতুন ,ডঃ হাছান মাহমুদ,ক্যাপ্টেন (অবঃ) এ বি তাজুল ইসলাম সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দের সাথে ফোনালাপ করি-আমাদের করণীয় কী। গভীর রাত হওয়ায় শ্রদ্ধেয় নেতা জিল্লুর রহমান,সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী কে ঘুমিয়ে যাবার কারনে ফোনে পায়নি। জননেত্রী শেখ হাসিনা গ্রেফতারের প্রস্তুতিতে ভীত না হয়ে আমাদের অনেকের সাথেই ফোনে কথা বলে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন চালিয়ে যাবার সাহস জুগিয়েছিলেন। ১৬ জুলাই ভোরে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করে কোর্টে নেয়া প্রাক্কালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকেরা প্রতিবাদের শ্লোগানে মুখরিত করে যৌথ বাহিনীর হামলা,নির্যাতন এবং কয়েকজন নারী নেত্রী গ্রেফতার হয়েছিলেন। পাতানো কোর্টে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারে শুনানিতে এডভোকেট সাহারা খাতুন সহ আমাদের অন্যান্য আইনজীবীবৃন্দ অংশ গ্রহণ করেন। পাতানো কোর্টে জননেত্রী শেখ হাসিনার জামিন না মঞ্জুর করা হলো। কোর্ট থেকে কারাগারে যাবার প্রাক্কালে কোর্টে উপস্থিত আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর অন্যতম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী এবং আওয়ামী লীগের তৎকালীন আইন সম্পাদক এডভোকেট সাহারা খাতুন কে ডেকে কথা বলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে জননেতা জিল্লুর রহমানকে দায়িত্ব দিয়ে যান। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে জাতীয় সংসদ এলাকায় স্থাপিত অস্থায়ী কারাগারে নেয়া হয়। এদিকে বেগম মতিয়া চৌধুরী কোর্ট এলাকা থেকে আমাকে গাড়ীতে উঠিয়ে গুলশানে জিল্লুর রহমান সাহেবের বাসভবনে যাবার পথে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে আমাদেরকে। অনেক বাধা-চেষ্টার পর মতিয়া আপা এবং আমি গুলশান আইভি কর্নকডে জিল্লুর রহমান সাহেবের বাসায় পৌছতে সক্ষম হলাম। আমাদের গাড়ীর পিছনে বিভিন্ন টিভি-প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা এসে আইভি কর্নকডে জড়ো হয়। সাংবাদিকদের নীচে অবস্থান করার অনুরোধ করলে তারা অপেক্ষায় থাকেন। মতিয়া আপা আমাকে নিয়ে লিফটে ছয়তলায় উঠে বাসায় শ্রদ্ধেয় জিল্লুর রহমান কে নেত্রী গ্রেফতার বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন । বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করার জন্য জিল্লুর রহমান সাহেবকে অবহিত করা হয়। এদিকে ভবনের নীচে অপেক্ষারতঃ সাংবাদিকরা বার বার ফোন করে জিল্লুর রহমান সাহেবের সাক্ষাত নেয়ার জন্য তাড়া দিচ্ছিল। অনুমতি সাপেক্ষে পরক্ষণেই সাংবাদিকদের উপস্থিতি । ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে জিল্লুর রহমান সাহেব মতিয়া আপা ও আমাকে পাশে রেখে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার গ্রেফতারের প্রতিবাদ করে অবিলম্বে নেত্রীকে নিঃশর্ত মুক্তির দাবী জানান। তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হীন কার্যকলাপের সমালোচনা করেন । উল্লেখ্য বঙ্গবন্ধু কন্যার গ্রেফতারে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষ অবলম্বনকারী মাইনাস ফর্মুলার ষড়যন্ত্রকারীরা উল্যাসিত হয়ে বেশী দিন ঠিকে থাকতে পারেনি। তারাই বঙ্গবন্ধু কন্যাকে আটক রেখেই জাতীয় নির্বাচনে আগ্রহী ছিলেন। নেতা কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ফলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এগারো মাস আটক শেষে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় । তাই মাইনাস ফর্মুলার ষড়যন্ত্রের রাজনীতির সফলতার মুখ দেখেনি। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সংরক্ষিত কারাগারে আটক থাকাকালীন তাঁর নিঃশর্ত মুক্তির দাবীতে আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা রাজধানী সহ অন্যান্য এলাকার বিভিন্ন পেশার ২৫ লাখ মানুষের গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে (তেজগাঁও- বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) ২০০৮ সালের ২৮ এপ্রিল জমা করা হয়েছিল। ২৫ লাখ গণ স্বাক্ষর সংগ্রহ এবং প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে জমা কার্যক্রমে অন্যান্যের সাথে আমার ক্ষুদ্র ভুমিকা ছিল।
এদিকে জননেত্রী শেখ হাসিনা বন্দি অবস্থা থেকে মুক্তি এবং আমেরিকা হতে চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরার আগে ও পরে দলের ত্যাগী,পরীক্ষিত নেতা কর্মীদের তোপের মূখে সংস্কারবাদীরা অপদস্থের পাশাপাশি তাদের সিদ্ধান্ত পাল্টিয়ে মূলধারার রাজনীতিতে ফিরে এসে নিজেদের রক্ষায় সক্ষম হয়েছে। উল্লেখ করা যেতে যে, সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিরুদ্ধে আর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি আস্হাশীলে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দ্বিধা বিভক্ত ছিল। সেই সময় জীবনের ঝুকি মোকাবিলা করে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে যারা বলিষ্ঠ ভুমিকা রেখেছিলেন তারা অবশ্যই স্মরণীয় থাকবে। শ্রদ্ধেয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে রয়েছে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, বেগম মতিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসিম, প্রয়াত এডভোকেট সাহারা খাতুন, ওবায়দুল কাদের, প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, রাজি উদ্দীন রাজু, ক্যাপ্টেন (অব) এবি তাজুল ইসলাম, স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, ডাঃ দিপু মনি, হাবিবুর রহমান সিরাজ, প্রয়াত এডভোকেট রহমত আলী, ডঃ হাছান মাহমুদ, ঢাকা মহানগর নেতৃবৃন্দের মধ্যে এডভোকেট কামরুল ইসলাম, ফয়েজ উদ্দিন মিয়া, বজলুর রহমান, প্রয়াত আসলামুল হক,শাহে আলম মুরাদ, আব্দুল হক সবুজ, ডা দিলীপ রায়, হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন, আবুল কালাম আজাদ সহ আরো অনেকে। বর্তমান মহামান্য রাষ্ট্রপতি এডভোকেট আব্দুল হামিদ ঐ সময় সদ্য বিলুপ্ত সংসদে বিরোধী দলীয় উপনেতা ন্যাম ৪নং ভবনে অবস্থান করতেন, একই ভবনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ও ছিলেন। দলের একজন কর্মী হিসেবে বহু পূর্ব হতেই মহামান্যের সঙ্গে আমার পরিচয়-যোগাযোগ ছিল, তাছাড়া তাঁর নির্বাচনী এলাকার পাশ্ববর্তী অঞ্চলের নাগরিক ও আমি। প্রিয় নেত্রীর পক্ষে অবস্থান নেয়া নেতৃবৃন্দের পরামর্শে মাইনাস ফর্মুলার বিপক্ষে কথা বলানোর জন্য প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের নিয়ে অনেক নেতার দ্বারে দ্বারে ধর্ণা দিয়ে সফলতার পাশাপাশি ব্যর্থতার সম্মুখীন হয়েছি। তেমনি ভাবে তৎকালীন বিরোধী দলীয় উপনেতার অবস্থান ভবনে বার বার ধর্ণা দিয়েছি সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অগণতান্ত্রিক কার্যক্রমের বিরুদ্ধে কথা বলা এবং আটক বঙ্গবন্ধু কন্যার মুক্তি আন্দোলনে শরিক হওয়া। তিনি বিলম্ব হলেও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার পক্ষ অবলম্বন করে মিডিয়ায় সাক্ষাত দিয়েছিলেন।
জেনারেল (অব) সুবিদ আলী ভুঞা, প্রয়াত কর্নেল (অব) শওকত আলী, ডঃ এম এ জলিল জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তি আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন।
উল্লেখ করা যেতে পারে যে তৎ সময়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭জন সাংগঠনিক সম্পাদকের মধ্যে ৬জনই জননেত্রী 'শেখ হাসিনা' মাইনাস ফর্মুলার পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। মাইনাস ফর্মুলায় দলের কয়েক জন সিনিয়র নেতার ব্যর্থ চেষ্টা সফল হয়নি।
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সহ আরো নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলায় ব্যারিস্টার সফিক আহমেদ (সাবেক আইন মন্ত্রী), প্রয়াত ব্যারিস্টার রফিকুল হক, এডভোকেট গোলাম আরিফ টিপু সহ অন্যান্য আইনজীবীরা বিশেষ সংস্থার বাধার মোকাবিলা করেও কাজ করেছেন। ইলেকট্রনিক মিডিয়া (টিভি) টকশোতে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার পক্ষ অবলম্বন করে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অগণতান্ত্রিক কার্যক্রমের বিরুদ্ধে এডভোকেট স ম রেজাউল করিম সহ হাতে গোনা ক'জন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব কথা বলেছেন। আত্ম গোপনে থেকে ও জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ অবলম্বন ও মুক্তি আন্দোলনে বলিষ্ঠ ভুমিকা রেখেছিলেন মোফাজ্জল হোসেন মায়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আফম বাহাউদ্দিন নাসিম, মির্জা আযম, একেএম এনামুল হক শামীম। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার পক্ষে অবস্থান ও তাঁর মুক্তি আন্দোলনে সাবেক ছাত্র নেতাদের মধ্যে ছিলেন আহমদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল হক, সুভাষ সিংহ, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, এডভোকেট রিয়াজুল কাউছার, বলরাম পোদ্দার, শাহজাহান আলম সাজু,আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, এডভোকেট আফজাল হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মারুফা আক্তার পপি, সাইফুজ্জামান শিখর প্রমূখ। আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ তৃণমূলের নেতাকর্মীরা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আস্হাশীল হয়ে কাজ করেছে। তাছাড়া শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আব্দুল জলিল, কামাল আহমেদ মজুমদার, পংকজ দেবনাথ, ডঃ আওলাদ হোসেন সহ অনেকেই গ্রেফতার হয়েছিলেন। যারা সুবিধার প্রলোভনে পড়ে দলে খুনী খোন্দকার মোস্তাকদের ন্যায় বিশ্বস্ততার ভাব নিয়ে সর্বক্ষেত্রেই তাদের বিচরণ রয়েছে।
এতে ত্যাগী,নির্যাতিত,নিপীড়িত নেতাকর্মীরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। আমি প্রাণপ্রিয় নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
আল্লাহ্ মহান
জয় বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু
এম এ করিম
সাবেক সহ সভাপতি
বাংলাদেশ কৃষক লীগ -
সাবেক সহ সম্পাদক
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
কেন্দ্রীয় উপ কমিটি
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪
আজ ২৪ এপ্রিল। গত বছর এই দিনে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সে হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আজ এক বছর পূর্ণ হল। অঙ্কের হিসেবে এক বছর সময় অনেক কম মনে হলেও এই সময় তিনি সেরা সাফল্য অর্জন করেছেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন যে সময় দায়িত্ব গ্রহণ করেন সে সময়টা ছিল নির্বাচনী বছর। বাংলাদেশে নির্বাচন শেষ পর্যন্ত হবে কিনা, দেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যত কোন দিকে যাবে ইত্যাদি নানা রকম শঙ্কা ছিল অনেকের মধ্যে। দায়িত্ব গ্রহণের পর রাষ্ট্রপতির প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা। নির্বাচন বিষয়টি যদিও নির্বাচন কমিশনের কাজ। কমিশন এটা আয়োজন করে থাকে। কিন্তু এর পিছনে আসল কাজটি করেছেন রাষ্ট্রপতি।
দেশে একটি সুষ্ঠু
নির্বাচন করা এবং সেটাকে দেশে-বিদেশি সবার কাছে যোগ্য করে তোলার আসল কাজটি করতে হয়েছে
রাষ্ট্রপতিকে। এই কাজটি রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন শেষ পর্যন্ত খুব ভালো ভাবে এবং
সফল ভাবে করতে সক্ষম হয়েছেন। গত এক বছরে এটিই এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির সেরা অর্জন বা
সেরা সাফল্য বলে আমি মনে করি। রাষ্ট্রপতি যদি শেষ পর্যন্ত নির্বাচন সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ
ভাবে না করতে পারতেন তাহলে দেশের গণতন্ত্র এক বড় ঝুঁকির মধ্যে পড়ত। কিন্তু রাষ্ট্রপতি
সেটি ভালো ভাবে সামাল দিতে পেরেছেন। আমাদের গণতন্ত্র রক্ষা পেয়েছে, গণতন্ত্রের জয় হয়েছে।
আমি একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে এ কথা না বললেই নয় যে, রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিনকে নিয়ে আমি ব্যক্তিগত ভাবে গর্বিত। কারণ দেশের এক নম্বর নাগরিক বা
রাষ্ট্রপতি হওয়া সত্বেও তিনি যেভাবে সবার সাথে মিশেন সেটা অতুলনীয়। একজন মানুষ প্রকৃত
অর্থেই মাটির মানুষ না হলে তার পক্ষে এটা করা সম্ভব নয়। এখনও রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের
গায়ে গ্রামের সেই ধুলোবালির গন্ধ পাওয়া যায়। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার যে ধ্যান
ধারণা থাকার কথা সেটাও তার মধ্যে অত্যন্ত প্রখর এবং সেই চেতনা তিনি সকলের মাঝে ছড়িয়ে
দেয়ার চেষ্টা করেন বলেই আমার কাছে দৃশ্যমান হয়। সেজন্য আমি ব্যক্তিগত ভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা এবং তার দল আওয়ামী লীগ ধন্যবাদ দিতে চাই যে, তারা এ রকম একজন রাষ্ট্রপতিকে
এই পদে মনোনয়ন দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিনের মনোনয়ন শুরুতে সবাইকে অবাক
করলেও সেটা ছিল আমাদের অগত্যা। কারণ অনেকে তার সম্পর্কে সঠিক ভাবে জানতেন না। অথচ তিনি
একজন স্থানীয় নেতা হয়েও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করেছিলেন। এমনকি
পাবনার মত একটি জেলা শহরে থেকে তিনি এটি করেছেন। আমরা সেটার মাহাত্ম্য বুঝতে না পারলেও
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকরী ষড়যন্ত্রকারীরা ঠিকই বুঝতে পেরেছিলেন আর সেজন্য রাষ্ট্রপতিকে গ্রেপ্তার
করেছিলেন। আমি প্রয়াত স্বাস্থ্যমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন ইউসুফের কাছে শুনেছি যে রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিন এবং তার (প্রয়াত স্বাস্থ্যমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন ইউসুফ হাত পা খাটের
সাথে বেঁধে রাখা হয়েছিল। এভাবে অনেক দিন তিনি জেল খেটেছেন। এরপর তিনি জেলে থেকেই আইন
পাশ করেন। তিনি পরীক্ষা দিয়ে চাকরি নেন এবং জেলা জজ পর্যন্ত হয়ে তিনি তার চাকরির জীবন
শেষ করেন। পরে তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতির সাথে সরাসরি যুক্ত হন। তিনি আওয়ামী
লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য হিসেবে এবং আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের নির্বাচন কমিশনের
প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন
করছেন। রাষ্ট্রপতি হলেও এখনও তিনি আগের মতই সহজ-সরল রয়ে গেছেন। তার এই সরলতা ইতিমধ্যে
সাধারণ মানুষের মন জয় করেছে।
গত এক বছরে রাষ্ট্রপতির আরেকটি উল্লেখ্য করার মত সাফল্য হল যে,
তিনি এমন ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন বা এখন পর্যন্ত তার কাজকর্ম কিংবা সিদ্ধান্তগুলো
দেখে বুঝার উপায় নেই যে তিনি আগে কখনও কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। রাষ্ট্রের
অভিভাবক হিসেবে তিনি তার নিরপেক্ষতা ধরে রাখতে পেরেছেন। রাষ্ট্রের সকলের কাছে গ্রহণযোগ্যতা
পেয়েছেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিদের তালিকা পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিন সহ সর্বশেষ তিনজন রাষ্ট্রপতি গণ মানুষের রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিজেকে
প্রমাণ দিতে পেরেছেন। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, এরপর অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ
এবং মো. সাহাবুদ্দিন তারা প্রত্যেকই অতি সাধারণ জীবন যাপন করে আপামর জনগণের মন জয় করে
নিতে পেরেছেন। রাষ্ট্রপতি হবার আগে যে সাধারণ জীবন যাপন করেছেন রাষ্ট্রপতি হবার পরও
একই ভাবে থেকেছেন।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিদের তালিকায় এমন রাষ্ট্রপতিও আছেন যারা রাষ্ট্রপতি
হবার আগে এক রকম ছিলেন পরে আবার অন্যরকম ভাবে আবির্ভূত হয়েছে। রাষ্ট্রপতি হবার আগে
যে আদর্শ ধারণ করতেন রাষ্ট্রপতির চেয়ার বসলে তাদের সেই আদর্শের বিচ্যুক্তি ঘটে। কিন্তু
এক্ষেত্রে এই তিনজন ব্যক্তি সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। তারা আগে যা ছিলেন রাষ্ট্রপতি হবার
পর একই রকম থেকেছেন, আদর্শচ্যুত হননি। মো. সাহাবুদ্দিন যে আদর্শ ধারণ করেন সেই আদর্শে
তিনি তার কাজকর্ম সফলতা সাথে করে যাচ্ছেন। আমরা তার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৯:২৬ পিএম, ২১ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪
এখন টক অফ দ্য কান্ট্রি হচ্ছে প্রথম আলো বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। যদি
প্রথম আলো কে বা কারা কিনবে সেটা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত না। তবে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর
রহমান চাইবেন কোথায় গেলে তার চাকরির নিশ্চয়তা থাকবে। সেভাবেই তিনি বিক্রি করার চেষ্টা
করবেন।
প্রথম আলো বিক্রির বিষয়টির পাশাপাশি একই রকম আরেকটি প্রশ্ন সামনে
আসছে। আর সেটা হলো প্রথম আলোর পরে কে? তাহলে কি প্রথম আলোর পরে ডেইলি স্টার? তবে এটা
নির্ভর করবে প্রথম আলোর কি ভাগ্য হয় তার ওপর। আমার ধারণা যারাই প্রথম আলো কিনেন না
কেন তারা প্রথম দিকে মতিউর রহমান সাহেবকে রাখলেও পরবর্তীতে ছয় মাস থেকে এক বছরের মধ্যে
সম্পাদক পরিবর্তন করবে। আর প্রথম আলো যদি কোন যুক্তিপূর্ণ লোকের কাছে দেয় তাহলে আমার
মতে এখানে সম্ভবত আনিসুল হক সাহেব সম্পাদক হবেন। কারণ তার প্রতি লোকের অনেক শ্রদ্ধাবোধ
আছে এবং তিনি সবসময় একটা রেড লাইন রক্ষা করে চলেন। এটা আমরা সকলেই জানি। তার সাথে
অনেকেরই ভালো সম্পর্ক এবং তিনি খুবই জ্ঞানী
লোক।
এর আগে মতিউর রহমান যখন একতা থেকে আজকের কাগজে যান, তখন তার উদ্দেশ্যই
ছিল যে, একটি পত্রিকা কীভাবে চলে সেটা শেখা এবং এখান থেকে একসাথে সাংবাদিক নিয়ে বেরিয়ে
যাওয়া। তিনি সেটা করেছিলেন। তারপর ভোরের কাগজ থেকে একই কাজ করেছেন। সুতরাং তার সত্যিকারের
নীতিবোধ বলতে যেটা বোঝায় সেটা দুর্ভাগ্যবশত তিনি প্রমাণ করতে পারেননি।
তিনি এক সময় কমিউনিস্টদের সাথে থাকলেও এখন তার চেয়ে বড় দক্ষিণপন্থী
পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়াই কঠিন। এ কারণে প্রথম আলো যে বিক্রি হবে এই ব্যাপারে সাধারণ লোকের
ভিতরে এখন আর কোন সন্দেহ নেই।
এখন প্রথম আলোর পরে ডেইলি স্টারের কী হবে এই নিয়ে আলাপ আলোচনা হচ্ছে
এবং এই আলাপ আলোচনা খুব দীর্ঘদিন যে চলবে তা না। আমার মনে হয় জুন-জুলাই মাসের ভিতরেই
এর একটা ফয়সালা হয়ে যাবে। কারণ স্বাভাবিক ভাবেই বুঝি যে, একটি পত্রিকা পাঠকপ্রিয়তা
পেতে বেশ সময় লাগে। এটা একদিন দুইদিনের ব্যাপার না। আবার ঠিক তেমনিভাবে যখন পাঠকপ্রিয়তা
কমতে থাকে সেটাও একদিন দুইদিনে হয় না। ধীরে ধীরে হয়। এই মিডিয়া জগতের নিয়মই তাই।
আমি ১৯৬১ সালে পত্রিকা বলতে শুধুমাত্র ইত্তেফাক এর কথাই জানতাম।
সেই ধারণা থেকে বলতে পারি এখন প্রথম আলোর যদি কিছু কর্মী এর চেয়ে ভালো কোন সুযোগ সুবিধা
দেখেন তাহলে তারা বিক্রি হওয়ার আগেই চলে যাবেন। কারণ স্বাভাবিকভাবেই একজন সাংবাদিকের
একটা ক্যারিয়ার আছে এবং প্রথম আলোর মতো পত্রিকাতে কাজ করে তিনি তো যে কোন পত্রিকায়
যেতেও পারবেন না। তার কারণ গেলে তার ওই লেখার যে মান সেটা মূল্যায়ন নাও হতে পারে। তবে
আমার ধারণা প্রথম আলোতে কাজ করেছেন এমন যে কাউকে টেকনিক্যাল গ্রাউন্ডে অনেক গুরুত্ব
দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে আমি অবাক হব না যদি দু এক মাসের ভিতরে দেখা যায় যে আস্তে আস্তে
প্রথম আলো বিভিন্ন কর্মী অন্য পত্রিকায় যাওয়া শুরু করে দিয়েছেন।
ব্যাংক মার্জারের যেমন একটি ঘটনা বর্তমানে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, ঠিক
তেমনি পত্রিকা জগতেও শিল্প গোষ্ঠীর যে গন্ডগোলের ঘটনা ঘটেছে এটিও ব্যাংক মার্জারের
ঘটনার পর্যায়ে চলে যাবে। ব্যাংকিং ক্ষেত্রে দেখা যায়, দুটি ব্যাংক একীভূত হচ্ছে। আর
এদিকে দেখা যাবে, সংবাদকর্মীরা অন্য পত্রিকায় চলে যাচ্ছে।
তবে আমার মনে হয় না, এখন যে অবস্থা চলছে এতে প্রথম আলো আর আগের
মতো প্রথম আলো থাকতে পারবে। এটা কিছুতেই সম্ভব না এটি মোটামুটিভাবে নিশ্চিত। তাই আমার
মনে হয় প্রথম আলো সেই ব্যাংক মার্জারের পর্যায়ে চলে এসেছে। এখন অন্য পত্রিকা যাদের
আছে, তারাও প্রথম আলো কিনে নিতে পারেন। এটি সম্ভব। এরকম শিল্পগোষ্ঠীর কোন কমতি বর্তমানে
বাংলাদেশে নেই। যে কোন শিল্প গোষ্ঠীই এটা কিনবে।
তবে আমি আশা রাখব, যারাই প্রথম আলো কিনবে, তারা যেন অন্তত পক্ষে
এটা খেয়াল রাখে যাতে সাংবাদিকদের কোন ক্ষতি না হয়। সুতরাং এদেশের একজন সাধারণ নাগরিক
হিসেবে আমার দাবী হচ্ছে সাংবাদিকরা যেন ক্ষতিগ্রস্থ না হয়।
মন্তব্য করুন
আজ ২৪ এপ্রিল। গত বছর এই দিনে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সে হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আজ এক বছর পূর্ণ হল। অঙ্কের হিসেবে এক বছর সময় অনেক কম মনে হলেও এই সময় তিনি সেরা সাফল্য অর্জন করেছেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন যে সময় দায়িত্ব গ্রহণ করেন সে সময়টা ছিল নির্বাচনী বছর। বাংলাদেশে নির্বাচন শেষ পর্যন্ত হবে কিনা, দেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যত কোন দিকে যাবে ইত্যাদি নানা রকম শঙ্কা ছিল অনেকের মধ্যে। দায়িত্ব গ্রহণের পর রাষ্ট্রপতির প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা। নির্বাচন বিষয়টি যদিও নির্বাচন কমিশনের কাজ। কমিশন এটা আয়োজন করে থাকে। কিন্তু এর পিছনে আসল কাজটি করেছেন রাষ্ট্রপতি।
প্রথম দফায় উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন শেষ হয়েছে গতকাল। কিন্তু অবাক করার বিষয় যে, একমাত্র পলকের শ্যালক ছাড়া আর কেউই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। অথচ আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনা আছে যে, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী, এমপিদের পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা কেউ নির্বাচন করতে পারবেন। দলের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনা ইতোমধ্যে সুস্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। মন্ত্রী, এমপিদের পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে যারা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তাদেরকে প্রত্যাহারের জন্য তিনি নির্দেশও দিয়েছেন। তিনি শেষ পর্যন্ত কেউই তা মানেননি। এতে করে সুস্পষ্ট ভাবে তারা আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনাকে অমান্য করেছে। যা দলীয় সিদ্ধান্তের লঙ্ঘন এবং গুরুতর অপরাধও বলে আমি মনে করি।
দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভূমিধস বিজয়ের পর ১১ জানুয়ারি যে নতুন সরকার গঠন করেন আজ তার ১০০ তম দিন। এক কঠিনতম সময়ে তিনি এই সরকার গঠন করেছেন। কিছু বুদ্ধিজীবী নির্বাচনের আগে আগে নানান রকম কথাবার্তা বললেও সাধারণ মানুষ ঠিকই জানত যে, শেখ হাসিনাই আবার সরকার গঠন করবেন। কারণ তারা জানেন যে, শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই। সরকার গঠনের পরও কিন্তু তাকে কঠিনতম সময় পার করতে হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি সফলতা পাচ্ছেন। এজন্য একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমিও মনে করি যে, দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই।
বারো বছর আগের কথা। ডেভিড ক্যামেরুন তখন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। সে সময় একদিন তিনি একটি হাসপাতালের ওয়ার্ডে ঢুকে পড়লেন। রোগীর অনুমতি সাপেক্ষে রোগীর সাথে ছবি তুলতে গেলেন। বাঁধ সাধলেন ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা একজন চিকিৎসক। জীবাণু প্রতিরোধের কোন পদক্ষেপ না নিয়ে এবং চিকিৎসকের অনুমতি ব্যতিরেকে তিনি ওই কাজটি করছিলেন। ডেভিড ক্যামেরুন তাঁর ভুল বুঝতে পেরেছিলেন সাথে সাথে। ক্ষমা চাইলেন এবং ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে গেলেন।
এখন টক অফ দ্য কান্ট্রি হচ্ছে প্রথম আলো বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। যদি প্রথম আলো কে বা কারা কিনবে সেটা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত না। তবে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান চাইবেন কোথায় গেলে তার চাকরির নিশ্চয়তা থাকবে। সেভাবেই তিনি বিক্রি করার চেষ্টা করবেন। প্রথম আলো বিক্রির বিষয়টির পাশাপাশি একই রকম আরেকটি প্রশ্ন সামনে আসছে। আর সেটা হলো প্রথম আলোর পরে কে? তাহলে কি প্রথম আলোর পরে ডেইলি স্টার? তবে এটা নির্ভর করবে প্রথম আলোর কি ভাগ্য হয় তার ওপর