ভাবুন তো কেমন লাগবে আমরা আকাশে উড়ন্ত হুডখোলা গাড়িতে চড়ে হাত নাড়তে নাড়তে সকালবেলা স্কুলে, কলেজে, বিশ্ববিদ্যালয়ে, অফিসে যাচ্ছি! পরনে আছে কোর্ট ও টাই, পরিপাটি চুল, গায়ে মাখানো সুগন্ধি। কেবল মাত্র ব্রেকফাস্ট সেরে স্মার্ট IPAD নিয়ে ঘর থেকে বের হওয়া। নেই কোনো কালো ধোয়া কিংবা ডাস্টবিন থেকে আসা দুর্গন্ধ কিংবা কাক ও কুকুরের উচ্ছিষ্ট নিয়ে কাড়াকাড়ি। যেখানে থাকবে নির্মল বাতাস কোমল রোদ আর ফুরফুরে মেজাজ। উপরে নীলাকাশ আর নিচের গহীন সবুজ বন আর সারিসারি মনমুগ্ধকর আকাশচুম্বী ভবন! সবাই হাসি খুশি – নেই বৈষম্য। এটাই কি তবে স্মার্ট রাষ্ট্র বাংলাদেশ?
না
ঠিক এরকম ইউটোপিয়া বা কল্পনার রাষ্ট্র
নয় স্মার্ট বাংলাদেশ। অবশ্যই সেখানে আছে আনন্দ আর আনন্দ, অবশ্যই
সেখানে বৈষম্য গ্রহণযোগ্য নয় তবে আছে
সকলের মতামতের মূল্য। আমরা প্রতি মুহূর্তেই সরকারি সিদ্ধান্তে মতামত দিতে পারবো একটি শক্তিশালী সাইবার নেটওয়ার্কে থেকে। অর্থাৎ আমাদের সরকার হবে কত বেশি মানুষের
কথার মূল্য দেয়া যায় সেই ভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা। নাগরিকদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা এমনি
একটি পর্যায়ে উন্নীত করা যাতে তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণে সংযুক্ত হতে উদ্দীপ্ত হবে। অর্থাৎ, নলেজ নেশন গড়া হবে স্মার্ট বাংলাদেশের শিক্ষানীতি।
নাগরিকদের
শিক্ষার মান এমন পর্যায়ে উন্নীত হবে যে সে হবে
বিশ্বমান বসকল প্রকার সংকীর্ণতা অতিক্রম করে। সৃজনশীলতাকে মূল্যায়ন করা হবে এবং সৃজনশীল নাগরিক সৃষ্টিতে জ্ঞানের রাজ্যে যাতে বিচরণ করতে কোনো প্রকার বাধা অনুভব না করে সেজন্য
বিশ্ব জ্ঞানভাণ্ডারে থাকে অবারিত প্রবেশাধিকার। সেখানে এমন ব্যক্তি নেতৃত্ব থাকবে সকল প্রকার সমালোচনাকে সানন্দে গ্রহণ করে-একটি ভুবন বিজয়ী মুশকি হাসি দিয়ে নাগরিকের আকাংখা পূরণ করবেন যেমন বাবা মা সন্তানকে চমকে
দিতে প্রিয় জিনিসটি বিছানায় মাথার পাশে ঘুমোনোর সময় রেখে দেন যাতে সন্তান জেগে উঠে আনন্দে একটি হাসি দেয় - আর বলে তোম
জিয়ো হাজার সাল।
আসলে
স্মার্ট বাংলাদেশ মানে কল্পনার ফানুস উড়ানো নয় – বাস্তবায়নযোগ্য একটি অর্থনীতি, সমাজব্যবস্থা, পরিবেশ, বাসোপযোগী একটি পৃথিবী, এবং
সুশাসন।
Georgios Ouzounis আমাদেরকে
একটি স্মার্টসিটির রূপরেখা দিয়েছেন। সেখানে তিনি স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট পিপল, স্মার্ট এনভায়রনমেন্ট, স্মার্ট গভর্নেন্স, স্মার্ট মবিলিটি, এবং স্মার্ট লিভিং সম্পর্কে একটি চিত্র দিয়েছেন। স্মার্ট ইকোনমি বা অর্থিনীতি বলতে
তিনি ওইরকম একটি অর্থনীতির যেখানে থাকবে প্রতিযোগিতা, উদ্ভাবনী প্রেরণা, শিল্পোদ্যোগ, অর্থনৈতিক ইমেজ ও ট্রেডমার্কস, উৎপাদনশীলতা,
শ্রমবাজারে নমনীয়তা, আন্তর্জাতিক সন্নিবেশ, এবং রূপান্তরের সক্ষমতা।
Georgios Ouzounis মনে
করেন স্মার্টনেস পরিমাপ হবে শিক্ষা দিয়ে। দেখা হবে একজন ব্যক্তি কি পরিমাণ সময়
জ্ঞানচর্চায় জীবনের মূল্যবান সময় পার করেছেন। স্মার্ট রাষ্ট্রের বিভিন্ন ধর্ম, ভাষা, বর্ণের মানুষ মিলেমিশে সৌহার্দ সম্পর্ক বজায় রেখে বসবাস করবে। একদিকে থাকবে সৃজনশীলতা অন্যদিকে থাকবে নমনীয়তা। সমাজ জীবনে স্মার্ট নাগরিক কেবল নির্বাক তাকিয়ে দেখবেনা বরং তার থাকবে সক্রিয় অংশগ্রহণ। মুক্তমনের মানুষ হবেন বিশ্বমানব।
স্মার্ট
গভর্নেন্স বলতে Georgios Ouzounis অংশীজনের অর্থ পূর্ণ অংশগ্রহণকে বোঝাতে চেয়েছেন। সেজন্য তাদের থাকবে তথ্যের ভাণ্ডারে অবারিত অনুপ্রবেশের সুযোগ ও আকাংখা। স্বচ্ছতা,
জবাবদিহিতা হবে স্মার্ট গভর্নেন্স এর অবিচ্ছেদ্য বৈশিষ্ট্য।
স্মার্ট
মবিলিটির অন্যতম দিক একটি সুপরিকল্পিত যোগাযোগ ব্যবস্থা। অর্থাৎ আপনার বাসা থেকে যাত্রা করে আপনার গন্তব্যে পৌঁছাতে সময় অপচয় হবেনা। যানজটে বসে নিজের মাথার চুল ছিড়বেননা।বরং সারা শহরে, দেশজুড়ে থাকবে গৌরবের মেট্রোরেল। আন্তর্জাতিক গন্তব্যে যেতে থাকবে সহজ পদ্ধতি। নেই বিমানবন্দরের ঝক্কি ঝামেলা। থাকবে ই-পাসপোর্ট, ই-ভিসা।
স্মার্ট
এনভায়রনমেন্ট মানে আকর্ষণীয় সবুজ শ্যামল প্রকৃতির বাংলাদেশ, টেকসই সম্পদ ব্যবস্থাপনা, দূষণমুক্ত বায়ু ও পরিবেশ। থাকবে
পরিবেশ সুরক্ষার সর্বোচ চেষ্টা ও সংকল্প।
Georgios Ouzounis স্মার্ট
লিভিং মানে গুণগতভাবে উন্নত জীবনযাপনের সুযোগ সৃষ্টি ও তাকে কাজে
লাগানোকে বোঝাতে চেয়েছেন। ব্যক্তির নিরাপত্তা হবে সর্বোচ প্রতিস্রুতি, উঁচু মানের ঘরবাড়ি, নিকট সন্নিকটে ভালো শিক্ষার ব্যবস্থা ও পরিবেশ। উঁচু
মানের স্বাস্থ্যসেবা হবে শহর-গ্রামে। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী হবে মজবুত। উপরে বর্ণিত বৈশিষ্ট্য থেকে আরও নতুন ও অবাক করা
প্রযুক্তি দিয়ে গড়া হবে স্মার্ট বাংলাদেশ।
স্মার্ট
বাংলাদেশ সম্পর্কিত মোটাদাগের এই শব্দগুলোকে বিস্তৃত
ঘটালে এক বিশাল মানচিত্র/রূপকল্প আমাদের চোখের সমানে ভেসে উঠবে। স্মার্ট বাংলাদেশ অঙ্কুরিত হতে শুরু করেছে মাত্র মেট্রোরেল -পদ্মা –মধুমতি সেতু আর ডিজিটাল বাংলাদেশের
মধ্যদিয়ে। আমরা এখন আছি অনুভূমিক উন্নয়নের পর্যায়ে। স্মার্ট বাংলাদেশ হলে সেই উন্নয়ন হবে উলম্ব ও অনুভূমিক উন্নয়নের
এক সংযোগ যা বঙ্গবন্ধুর সোনার
বাংলার বাস্তব রূপ।
স্মার্ট
বাংলাদেশ থাকবে না জাহাজ ঘাটের
কুলি কিংবা ক্যাম্পাসের টোকাই। তবে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে লাগবে শক্তিশালী নেতৃত্ব। অনেকটা মৌমাছির মতো ফোটা ফোটা মধু সংগ্রহ করে সম্পদের ভান্ডার তৈরী করা। এই মধু সেই
মধু নয়-এই মধু
হলো জ্ঞান। আমাদের জ্ঞান ভান্ডার যত সমৃদ্ধ হবে
ততই আমরা উন্নত হবো। আমরা তখন রোবট – কৃত্রিম মেধাকে অর্জন ও কাজে লাগাতে
পারবো। কারণ স্মার্ট বাংলাদেশের চালিকা শক্তি হবে কৃত্রিম মেধা ও প্রাকৃতিক মেধার
এক সম্মানিত রূপ। অনেকটা হীরের মতো যেখানে মানুষের মেধা প্রতিফলিত হবে যন্ত্রের মাঝে। তবে আমাদের সৃষ্ট যন্ত্র চিন্তাও করতে সক্ষম হবে। যান্ত্রিক জীবন নয় অবারিত স্বাধীনতার
চাবি স্মার্ট বাংলাদেশ।
স্মার্ট বাংলাদেশ অভিযাত্রার আহবান বন্দে আলী মিয়ার "যাবে তুমি ভাই যাবে মোর সাথে আমাদের ছোট গাঁয়ে" নয়; আমরা এবার যাত্রা শুরু করবো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ অর্জনের যেখানে থাকবে না গণতন্ত্রের কান্না, শৃংখলিত বাক স্বাধীনতা, কিংবা দারিদ্র, অনাহার, কালোধোঁয়া, বিষাক্ত বাতাস। স্মার্ট বাংলাদেশ এক বৈষম্যহীন সোনার বাংলা।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪
আজ ২৪ এপ্রিল। গত বছর এই দিনে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সে হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আজ এক বছর পূর্ণ হল। অঙ্কের হিসেবে এক বছর সময় অনেক কম মনে হলেও এই সময় তিনি সেরা সাফল্য অর্জন করেছেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন যে সময় দায়িত্ব গ্রহণ করেন সে সময়টা ছিল নির্বাচনী বছর। বাংলাদেশে নির্বাচন শেষ পর্যন্ত হবে কিনা, দেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যত কোন দিকে যাবে ইত্যাদি নানা রকম শঙ্কা ছিল অনেকের মধ্যে। দায়িত্ব গ্রহণের পর রাষ্ট্রপতির প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা। নির্বাচন বিষয়টি যদিও নির্বাচন কমিশনের কাজ। কমিশন এটা আয়োজন করে থাকে। কিন্তু এর পিছনে আসল কাজটি করেছেন রাষ্ট্রপতি।
দেশে একটি সুষ্ঠু
নির্বাচন করা এবং সেটাকে দেশে-বিদেশি সবার কাছে যোগ্য করে তোলার আসল কাজটি করতে হয়েছে
রাষ্ট্রপতিকে। এই কাজটি রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন শেষ পর্যন্ত খুব ভালো ভাবে এবং
সফল ভাবে করতে সক্ষম হয়েছেন। গত এক বছরে এটিই এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির সেরা অর্জন বা
সেরা সাফল্য বলে আমি মনে করি। রাষ্ট্রপতি যদি শেষ পর্যন্ত নির্বাচন সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ
ভাবে না করতে পারতেন তাহলে দেশের গণতন্ত্র এক বড় ঝুঁকির মধ্যে পড়ত। কিন্তু রাষ্ট্রপতি
সেটি ভালো ভাবে সামাল দিতে পেরেছেন। আমাদের গণতন্ত্র রক্ষা পেয়েছে, গণতন্ত্রের জয় হয়েছে।
আমি একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে এ কথা না বললেই নয় যে, রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিনকে নিয়ে আমি ব্যক্তিগত ভাবে গর্বিত। কারণ দেশের এক নম্বর নাগরিক বা
রাষ্ট্রপতি হওয়া সত্বেও তিনি যেভাবে সবার সাথে মিশেন সেটা অতুলনীয়। একজন মানুষ প্রকৃত
অর্থেই মাটির মানুষ না হলে তার পক্ষে এটা করা সম্ভব নয়। এখনও রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের
গায়ে গ্রামের সেই ধুলোবালির গন্ধ পাওয়া যায়। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার যে ধ্যান
ধারণা থাকার কথা সেটাও তার মধ্যে অত্যন্ত প্রখর এবং সেই চেতনা তিনি সকলের মাঝে ছড়িয়ে
দেয়ার চেষ্টা করেন বলেই আমার কাছে দৃশ্যমান হয়। সেজন্য আমি ব্যক্তিগত ভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা এবং তার দল আওয়ামী লীগ ধন্যবাদ দিতে চাই যে, তারা এ রকম একজন রাষ্ট্রপতিকে
এই পদে মনোনয়ন দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিনের মনোনয়ন শুরুতে সবাইকে অবাক
করলেও সেটা ছিল আমাদের অগত্যা। কারণ অনেকে তার সম্পর্কে সঠিক ভাবে জানতেন না। অথচ তিনি
একজন স্থানীয় নেতা হয়েও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করেছিলেন। এমনকি
পাবনার মত একটি জেলা শহরে থেকে তিনি এটি করেছেন। আমরা সেটার মাহাত্ম্য বুঝতে না পারলেও
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকরী ষড়যন্ত্রকারীরা ঠিকই বুঝতে পেরেছিলেন আর সেজন্য রাষ্ট্রপতিকে গ্রেপ্তার
করেছিলেন। আমি প্রয়াত স্বাস্থ্যমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন ইউসুফের কাছে শুনেছি যে রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিন এবং তার (প্রয়াত স্বাস্থ্যমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন ইউসুফ হাত পা খাটের
সাথে বেঁধে রাখা হয়েছিল। এভাবে অনেক দিন তিনি জেল খেটেছেন। এরপর তিনি জেলে থেকেই আইন
পাশ করেন। তিনি পরীক্ষা দিয়ে চাকরি নেন এবং জেলা জজ পর্যন্ত হয়ে তিনি তার চাকরির জীবন
শেষ করেন। পরে তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতির সাথে সরাসরি যুক্ত হন। তিনি আওয়ামী
লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য হিসেবে এবং আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের নির্বাচন কমিশনের
প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন
করছেন। রাষ্ট্রপতি হলেও এখনও তিনি আগের মতই সহজ-সরল রয়ে গেছেন। তার এই সরলতা ইতিমধ্যে
সাধারণ মানুষের মন জয় করেছে।
গত এক বছরে রাষ্ট্রপতির আরেকটি উল্লেখ্য করার মত সাফল্য হল যে,
তিনি এমন ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন বা এখন পর্যন্ত তার কাজকর্ম কিংবা সিদ্ধান্তগুলো
দেখে বুঝার উপায় নেই যে তিনি আগে কখনও কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। রাষ্ট্রের
অভিভাবক হিসেবে তিনি তার নিরপেক্ষতা ধরে রাখতে পেরেছেন। রাষ্ট্রের সকলের কাছে গ্রহণযোগ্যতা
পেয়েছেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিদের তালিকা পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিন সহ সর্বশেষ তিনজন রাষ্ট্রপতি গণ মানুষের রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিজেকে
প্রমাণ দিতে পেরেছেন। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, এরপর অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ
এবং মো. সাহাবুদ্দিন তারা প্রত্যেকই অতি সাধারণ জীবন যাপন করে আপামর জনগণের মন জয় করে
নিতে পেরেছেন। রাষ্ট্রপতি হবার আগে যে সাধারণ জীবন যাপন করেছেন রাষ্ট্রপতি হবার পরও
একই ভাবে থেকেছেন।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিদের তালিকায় এমন রাষ্ট্রপতিও আছেন যারা রাষ্ট্রপতি
হবার আগে এক রকম ছিলেন পরে আবার অন্যরকম ভাবে আবির্ভূত হয়েছে। রাষ্ট্রপতি হবার আগে
যে আদর্শ ধারণ করতেন রাষ্ট্রপতির চেয়ার বসলে তাদের সেই আদর্শের বিচ্যুক্তি ঘটে। কিন্তু
এক্ষেত্রে এই তিনজন ব্যক্তি সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। তারা আগে যা ছিলেন রাষ্ট্রপতি হবার
পর একই রকম থেকেছেন, আদর্শচ্যুত হননি। মো. সাহাবুদ্দিন যে আদর্শ ধারণ করেন সেই আদর্শে
তিনি তার কাজকর্ম সফলতা সাথে করে যাচ্ছেন। আমরা তার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৯:২৬ পিএম, ২১ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
১৯৯৮ সাল। বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চাকুরী করি। স্থানীয় চাইনিজ রেস্তোরাতে একটি সেমিনার হবে। ঢাকা থেকে ওষুধ কোম্পানির এক কর্মকর্তা এসেছেন। তিনি একই মেডিকেলে আমার এক বছরের সিনিয়র। বেশ খাতিরের বড় ভাই। তিনি তাঁর ব্যাগ থেকে একটি যন্ত্র বের করলেন। যন্ত্রটি অন করার পর দেখি সেটি একটি কম্পিউটার। কোন তার ছাড়া কম্পিউটার। জিজ্ঞেস করলাম, ভাই কি জিনিস এটা, নাম কি ? বললেন, ল্যাপটপ। জীবনে এই প্রথম আমার ল্যাপটপ দেখা। তবে নাম শুনেছি এর তিন বছর আগে, ১৯৯৫ সালে। যখন নাম শুনেছি, তখন বুঝিনি জিনিসটা কি ?
দেশের শীর্ষ স্থানীয় গণমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ বিক্রির বিষয়টি এখন ‘টক অব দ্য টাউন’। বাংলাদেশের বিভিন্নি গ্রুপ কোম্পানি এই প্রতিষ্ঠানটি কেনার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করছে বলেও সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। যদিও প্রতিষ্ঠানটির সম্পাদক মতিউর রহমানের এতে শেয়ার রয়েছে। তিনিও প্রতিষ্ঠানটির মালিক। মালিকানা থাকলেও এখন মতিউর রহমান তার সম্পাদক পদটা নিশ্চিত করতে চান। সেজন্য তিনি কর্ণফুলী গ্রুপের কাছে প্রতিষ্ঠানটি বিক্রি করার জন্য খুব আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু বিভিন্ন বাস্তব কারণে কর্ণফুলীগ্রুপের কাছে প্রতিষ্ঠানটি বিক্রির বিষয়টিতে রাজি হয়নি বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।
আজ ২৪ এপ্রিল। গত বছর এই দিনে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সে হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আজ এক বছর পূর্ণ হল। অঙ্কের হিসেবে এক বছর সময় অনেক কম মনে হলেও এই সময় তিনি সেরা সাফল্য অর্জন করেছেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন যে সময় দায়িত্ব গ্রহণ করেন সে সময়টা ছিল নির্বাচনী বছর। বাংলাদেশে নির্বাচন শেষ পর্যন্ত হবে কিনা, দেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যত কোন দিকে যাবে ইত্যাদি নানা রকম শঙ্কা ছিল অনেকের মধ্যে। দায়িত্ব গ্রহণের পর রাষ্ট্রপতির প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা। নির্বাচন বিষয়টি যদিও নির্বাচন কমিশনের কাজ। কমিশন এটা আয়োজন করে থাকে। কিন্তু এর পিছনে আসল কাজটি করেছেন রাষ্ট্রপতি।
প্রথম দফায় উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন শেষ হয়েছে গতকাল। কিন্তু অবাক করার বিষয় যে, একমাত্র পলকের শ্যালক ছাড়া আর কেউই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। অথচ আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনা আছে যে, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী, এমপিদের পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা কেউ নির্বাচন করতে পারবেন। দলের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনা ইতোমধ্যে সুস্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। মন্ত্রী, এমপিদের পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে যারা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তাদেরকে প্রত্যাহারের জন্য তিনি নির্দেশও দিয়েছেন। তিনি শেষ পর্যন্ত কেউই তা মানেননি। এতে করে সুস্পষ্ট ভাবে তারা আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনাকে অমান্য করেছে। যা দলীয় সিদ্ধান্তের লঙ্ঘন এবং গুরুতর অপরাধও বলে আমি মনে করি।
দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভূমিধস বিজয়ের পর ১১ জানুয়ারি যে নতুন সরকার গঠন করেন আজ তার ১০০ তম দিন। এক কঠিনতম সময়ে তিনি এই সরকার গঠন করেছেন। কিছু বুদ্ধিজীবী নির্বাচনের আগে আগে নানান রকম কথাবার্তা বললেও সাধারণ মানুষ ঠিকই জানত যে, শেখ হাসিনাই আবার সরকার গঠন করবেন। কারণ তারা জানেন যে, শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই। সরকার গঠনের পরও কিন্তু তাকে কঠিনতম সময় পার করতে হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি সফলতা পাচ্ছেন। এজন্য একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমিও মনে করি যে, দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই।