ভাবুন তো কেমন লাগবে আমরা আকাশে উড়ন্ত হুডখোলা গাড়িতে চড়ে হাত নাড়তে নাড়তে সকালবেলা স্কুলে, কলেজে, বিশ্ববিদ্যালয়ে, অফিসে যাচ্ছি! পরনে আছে কোর্ট ও টাই, পরিপাটি চুল, গায়ে মাখানো সুগন্ধি। কেবল মাত্র ব্রেকফাস্ট সেরে স্মার্ট IPAD নিয়ে ঘর থেকে বের হওয়া। নেই কোনো কালো ধোয়া কিংবা ডাস্টবিন থেকে আসা দুর্গন্ধ কিংবা কাক ও কুকুরের উচ্ছিষ্ট নিয়ে কাড়াকাড়ি। যেখানে থাকবে নির্মল বাতাস কোমল রোদ আর ফুরফুরে মেজাজ। উপরে নীলাকাশ আর নিচের গহীন সবুজ বন আর সারিসারি মনমুগ্ধকর আকাশচুম্বী ভবন! সবাই হাসি খুশি – নেই বৈষম্য। এটাই কি তবে স্মার্ট রাষ্ট্র বাংলাদেশ?
না
ঠিক এরকম ইউটোপিয়া বা কল্পনার রাষ্ট্র
নয় স্মার্ট বাংলাদেশ। অবশ্যই সেখানে আছে আনন্দ আর আনন্দ, অবশ্যই
সেখানে বৈষম্য গ্রহণযোগ্য নয় তবে আছে
সকলের মতামতের মূল্য। আমরা প্রতি মুহূর্তেই সরকারি সিদ্ধান্তে মতামত দিতে পারবো একটি শক্তিশালী সাইবার নেটওয়ার্কে থেকে। অর্থাৎ আমাদের সরকার হবে কত বেশি মানুষের
কথার মূল্য দেয়া যায় সেই ভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা। নাগরিকদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা এমনি
একটি পর্যায়ে উন্নীত করা যাতে তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণে সংযুক্ত হতে উদ্দীপ্ত হবে। অর্থাৎ, নলেজ নেশন গড়া হবে স্মার্ট বাংলাদেশের শিক্ষানীতি।
নাগরিকদের
শিক্ষার মান এমন পর্যায়ে উন্নীত হবে যে সে হবে
বিশ্বমান বসকল প্রকার সংকীর্ণতা অতিক্রম করে। সৃজনশীলতাকে মূল্যায়ন করা হবে এবং সৃজনশীল নাগরিক সৃষ্টিতে জ্ঞানের রাজ্যে যাতে বিচরণ করতে কোনো প্রকার বাধা অনুভব না করে সেজন্য
বিশ্ব জ্ঞানভাণ্ডারে থাকে অবারিত প্রবেশাধিকার। সেখানে এমন ব্যক্তি নেতৃত্ব থাকবে সকল প্রকার সমালোচনাকে সানন্দে গ্রহণ করে-একটি ভুবন বিজয়ী মুশকি হাসি দিয়ে নাগরিকের আকাংখা পূরণ করবেন যেমন বাবা মা সন্তানকে চমকে
দিতে প্রিয় জিনিসটি বিছানায় মাথার পাশে ঘুমোনোর সময় রেখে দেন যাতে সন্তান জেগে উঠে আনন্দে একটি হাসি দেয় - আর বলে তোম
জিয়ো হাজার সাল।
আসলে
স্মার্ট বাংলাদেশ মানে কল্পনার ফানুস উড়ানো নয় – বাস্তবায়নযোগ্য একটি অর্থনীতি, সমাজব্যবস্থা, পরিবেশ, বাসোপযোগী একটি পৃথিবী, এবং
সুশাসন।
Georgios Ouzounis আমাদেরকে
একটি স্মার্টসিটির রূপরেখা দিয়েছেন। সেখানে তিনি স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট পিপল, স্মার্ট এনভায়রনমেন্ট, স্মার্ট গভর্নেন্স, স্মার্ট মবিলিটি, এবং স্মার্ট লিভিং সম্পর্কে একটি চিত্র দিয়েছেন। স্মার্ট ইকোনমি বা অর্থিনীতি বলতে
তিনি ওইরকম একটি অর্থনীতির যেখানে থাকবে প্রতিযোগিতা, উদ্ভাবনী প্রেরণা, শিল্পোদ্যোগ, অর্থনৈতিক ইমেজ ও ট্রেডমার্কস, উৎপাদনশীলতা,
শ্রমবাজারে নমনীয়তা, আন্তর্জাতিক সন্নিবেশ, এবং রূপান্তরের সক্ষমতা।
Georgios Ouzounis মনে
করেন স্মার্টনেস পরিমাপ হবে শিক্ষা দিয়ে। দেখা হবে একজন ব্যক্তি কি পরিমাণ সময়
জ্ঞানচর্চায় জীবনের মূল্যবান সময় পার করেছেন। স্মার্ট রাষ্ট্রের বিভিন্ন ধর্ম, ভাষা, বর্ণের মানুষ মিলেমিশে সৌহার্দ সম্পর্ক বজায় রেখে বসবাস করবে। একদিকে থাকবে সৃজনশীলতা অন্যদিকে থাকবে নমনীয়তা। সমাজ জীবনে স্মার্ট নাগরিক কেবল নির্বাক তাকিয়ে দেখবেনা বরং তার থাকবে সক্রিয় অংশগ্রহণ। মুক্তমনের মানুষ হবেন বিশ্বমানব।
স্মার্ট
গভর্নেন্স বলতে Georgios Ouzounis অংশীজনের অর্থ পূর্ণ অংশগ্রহণকে বোঝাতে চেয়েছেন। সেজন্য তাদের থাকবে তথ্যের ভাণ্ডারে অবারিত অনুপ্রবেশের সুযোগ ও আকাংখা। স্বচ্ছতা,
জবাবদিহিতা হবে স্মার্ট গভর্নেন্স এর অবিচ্ছেদ্য বৈশিষ্ট্য।
স্মার্ট
মবিলিটির অন্যতম দিক একটি সুপরিকল্পিত যোগাযোগ ব্যবস্থা। অর্থাৎ আপনার বাসা থেকে যাত্রা করে আপনার গন্তব্যে পৌঁছাতে সময় অপচয় হবেনা। যানজটে বসে নিজের মাথার চুল ছিড়বেননা।বরং সারা শহরে, দেশজুড়ে থাকবে গৌরবের মেট্রোরেল। আন্তর্জাতিক গন্তব্যে যেতে থাকবে সহজ পদ্ধতি। নেই বিমানবন্দরের ঝক্কি ঝামেলা। থাকবে ই-পাসপোর্ট, ই-ভিসা।
স্মার্ট
এনভায়রনমেন্ট মানে আকর্ষণীয় সবুজ শ্যামল প্রকৃতির বাংলাদেশ, টেকসই সম্পদ ব্যবস্থাপনা, দূষণমুক্ত বায়ু ও পরিবেশ। থাকবে
পরিবেশ সুরক্ষার সর্বোচ চেষ্টা ও সংকল্প।
Georgios Ouzounis স্মার্ট
লিভিং মানে গুণগতভাবে উন্নত জীবনযাপনের সুযোগ সৃষ্টি ও তাকে কাজে
লাগানোকে বোঝাতে চেয়েছেন। ব্যক্তির নিরাপত্তা হবে সর্বোচ প্রতিস্রুতি, উঁচু মানের ঘরবাড়ি, নিকট সন্নিকটে ভালো শিক্ষার ব্যবস্থা ও পরিবেশ। উঁচু
মানের স্বাস্থ্যসেবা হবে শহর-গ্রামে। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী হবে মজবুত। উপরে বর্ণিত বৈশিষ্ট্য থেকে আরও নতুন ও অবাক করা
প্রযুক্তি দিয়ে গড়া হবে স্মার্ট বাংলাদেশ।
স্মার্ট
বাংলাদেশ সম্পর্কিত মোটাদাগের এই শব্দগুলোকে বিস্তৃত
ঘটালে এক বিশাল মানচিত্র/রূপকল্প আমাদের চোখের সমানে ভেসে উঠবে। স্মার্ট বাংলাদেশ অঙ্কুরিত হতে শুরু করেছে মাত্র মেট্রোরেল -পদ্মা –মধুমতি সেতু আর ডিজিটাল বাংলাদেশের
মধ্যদিয়ে। আমরা এখন আছি অনুভূমিক উন্নয়নের পর্যায়ে। স্মার্ট বাংলাদেশ হলে সেই উন্নয়ন হবে উলম্ব ও অনুভূমিক উন্নয়নের
এক সংযোগ যা বঙ্গবন্ধুর সোনার
বাংলার বাস্তব রূপ।
স্মার্ট
বাংলাদেশ থাকবে না জাহাজ ঘাটের
কুলি কিংবা ক্যাম্পাসের টোকাই। তবে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে লাগবে শক্তিশালী নেতৃত্ব। অনেকটা মৌমাছির মতো ফোটা ফোটা মধু সংগ্রহ করে সম্পদের ভান্ডার তৈরী করা। এই মধু সেই
মধু নয়-এই মধু
হলো জ্ঞান। আমাদের জ্ঞান ভান্ডার যত সমৃদ্ধ হবে
ততই আমরা উন্নত হবো। আমরা তখন রোবট – কৃত্রিম মেধাকে অর্জন ও কাজে লাগাতে
পারবো। কারণ স্মার্ট বাংলাদেশের চালিকা শক্তি হবে কৃত্রিম মেধা ও প্রাকৃতিক মেধার
এক সম্মানিত রূপ। অনেকটা হীরের মতো যেখানে মানুষের মেধা প্রতিফলিত হবে যন্ত্রের মাঝে। তবে আমাদের সৃষ্ট যন্ত্র চিন্তাও করতে সক্ষম হবে। যান্ত্রিক জীবন নয় অবারিত স্বাধীনতার
চাবি স্মার্ট বাংলাদেশ।
স্মার্ট বাংলাদেশ অভিযাত্রার আহবান বন্দে আলী মিয়ার "যাবে তুমি ভাই যাবে মোর সাথে আমাদের ছোট গাঁয়ে" নয়; আমরা এবার যাত্রা শুরু করবো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ অর্জনের যেখানে থাকবে না গণতন্ত্রের কান্না, শৃংখলিত বাক স্বাধীনতা, কিংবা দারিদ্র, অনাহার, কালোধোঁয়া, বিষাক্ত বাতাস। স্মার্ট বাংলাদেশ এক বৈষম্যহীন সোনার বাংলা।
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৯:২৬ পিএম, ২১ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪
এখন টক অফ দ্য কান্ট্রি হচ্ছে প্রথম আলো বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। যদি
প্রথম আলো কে বা কারা কিনবে সেটা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত না। তবে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর
রহমান চাইবেন কোথায় গেলে তার চাকরির নিশ্চয়তা থাকবে। সেভাবেই তিনি বিক্রি করার চেষ্টা
করবেন।
প্রথম আলো বিক্রির বিষয়টির পাশাপাশি একই রকম আরেকটি প্রশ্ন সামনে
আসছে। আর সেটা হলো প্রথম আলোর পরে কে? তাহলে কি প্রথম আলোর পরে ডেইলি স্টার? তবে এটা
নির্ভর করবে প্রথম আলোর কি ভাগ্য হয় তার ওপর। আমার ধারণা যারাই প্রথম আলো কিনেন না
কেন তারা প্রথম দিকে মতিউর রহমান সাহেবকে রাখলেও পরবর্তীতে ছয় মাস থেকে এক বছরের মধ্যে
সম্পাদক পরিবর্তন করবে। আর প্রথম আলো যদি কোন যুক্তিপূর্ণ লোকের কাছে দেয় তাহলে আমার
মতে এখানে সম্ভবত আনিসুল হক সাহেব সম্পাদক হবেন। কারণ তার প্রতি লোকের অনেক শ্রদ্ধাবোধ
আছে এবং তিনি সবসময় একটা রেড লাইন রক্ষা করে চলেন। এটা আমরা সকলেই জানি। তার সাথে
অনেকেরই ভালো সম্পর্ক এবং তিনি খুবই জ্ঞানী
লোক।
এর আগে মতিউর রহমান যখন একতা থেকে আজকের কাগজে যান, তখন তার উদ্দেশ্যই
ছিল যে, একটি পত্রিকা কীভাবে চলে সেটা শেখা এবং এখান থেকে একসাথে সাংবাদিক নিয়ে বেরিয়ে
যাওয়া। তিনি সেটা করেছিলেন। তারপর ভোরের কাগজ থেকে একই কাজ করেছেন। সুতরাং তার সত্যিকারের
নীতিবোধ বলতে যেটা বোঝায় সেটা দুর্ভাগ্যবশত তিনি প্রমাণ করতে পারেননি।
তিনি এক সময় কমিউনিস্টদের সাথে থাকলেও এখন তার চেয়ে বড় দক্ষিণপন্থী
পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়াই কঠিন। এ কারণে প্রথম আলো যে বিক্রি হবে এই ব্যাপারে সাধারণ লোকের
ভিতরে এখন আর কোন সন্দেহ নেই।
এখন প্রথম আলোর পরে ডেইলি স্টারের কী হবে এই নিয়ে আলাপ আলোচনা হচ্ছে
এবং এই আলাপ আলোচনা খুব দীর্ঘদিন যে চলবে তা না। আমার মনে হয় জুন-জুলাই মাসের ভিতরেই
এর একটা ফয়সালা হয়ে যাবে। কারণ স্বাভাবিক ভাবেই বুঝি যে, একটি পত্রিকা পাঠকপ্রিয়তা
পেতে বেশ সময় লাগে। এটা একদিন দুইদিনের ব্যাপার না। আবার ঠিক তেমনিভাবে যখন পাঠকপ্রিয়তা
কমতে থাকে সেটাও একদিন দুইদিনে হয় না। ধীরে ধীরে হয়। এই মিডিয়া জগতের নিয়মই তাই।
আমি ১৯৬১ সালে পত্রিকা বলতে শুধুমাত্র ইত্তেফাক এর কথাই জানতাম।
সেই ধারণা থেকে বলতে পারি এখন প্রথম আলোর যদি কিছু কর্মী এর চেয়ে ভালো কোন সুযোগ সুবিধা
দেখেন তাহলে তারা বিক্রি হওয়ার আগেই চলে যাবেন। কারণ স্বাভাবিকভাবেই একজন সাংবাদিকের
একটা ক্যারিয়ার আছে এবং প্রথম আলোর মতো পত্রিকাতে কাজ করে তিনি তো যে কোন পত্রিকায়
যেতেও পারবেন না। তার কারণ গেলে তার ওই লেখার যে মান সেটা মূল্যায়ন নাও হতে পারে। তবে
আমার ধারণা প্রথম আলোতে কাজ করেছেন এমন যে কাউকে টেকনিক্যাল গ্রাউন্ডে অনেক গুরুত্ব
দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে আমি অবাক হব না যদি দু এক মাসের ভিতরে দেখা যায় যে আস্তে আস্তে
প্রথম আলো বিভিন্ন কর্মী অন্য পত্রিকায় যাওয়া শুরু করে দিয়েছেন।
ব্যাংক মার্জারের যেমন একটি ঘটনা বর্তমানে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, ঠিক
তেমনি পত্রিকা জগতেও শিল্প গোষ্ঠীর যে গন্ডগোলের ঘটনা ঘটেছে এটিও ব্যাংক মার্জারের
ঘটনার পর্যায়ে চলে যাবে। ব্যাংকিং ক্ষেত্রে দেখা যায়, দুটি ব্যাংক একীভূত হচ্ছে। আর
এদিকে দেখা যাবে, সংবাদকর্মীরা অন্য পত্রিকায় চলে যাচ্ছে।
তবে আমার মনে হয় না, এখন যে অবস্থা চলছে এতে প্রথম আলো আর আগের
মতো প্রথম আলো থাকতে পারবে। এটা কিছুতেই সম্ভব না এটি মোটামুটিভাবে নিশ্চিত। তাই আমার
মনে হয় প্রথম আলো সেই ব্যাংক মার্জারের পর্যায়ে চলে এসেছে। এখন অন্য পত্রিকা যাদের
আছে, তারাও প্রথম আলো কিনে নিতে পারেন। এটি সম্ভব। এরকম শিল্পগোষ্ঠীর কোন কমতি বর্তমানে
বাংলাদেশে নেই। যে কোন শিল্প গোষ্ঠীই এটা কিনবে।
তবে আমি আশা রাখব, যারাই প্রথম আলো কিনবে, তারা যেন অন্তত পক্ষে
এটা খেয়াল রাখে যাতে সাংবাদিকদের কোন ক্ষতি না হয়। সুতরাং এদেশের একজন সাধারণ নাগরিক
হিসেবে আমার দাবী হচ্ছে সাংবাদিকরা যেন ক্ষতিগ্রস্থ না হয়।
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৯:০৬ পিএম, ১৫ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
প্রথম দফায় উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন শেষ হয়েছে গতকাল। কিন্তু অবাক করার বিষয় যে, একমাত্র পলকের শ্যালক ছাড়া আর কেউই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। অথচ আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনা আছে যে, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী, এমপিদের পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা কেউ নির্বাচন করতে পারবেন। দলের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনা ইতোমধ্যে সুস্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। মন্ত্রী, এমপিদের পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে যারা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তাদেরকে প্রত্যাহারের জন্য তিনি নির্দেশও দিয়েছেন। তিনি শেষ পর্যন্ত কেউই তা মানেননি। এতে করে সুস্পষ্ট ভাবে তারা আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনাকে অমান্য করেছে। যা দলীয় সিদ্ধান্তের লঙ্ঘন এবং গুরুতর অপরাধও বলে আমি মনে করি।
দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভূমিধস বিজয়ের পর ১১ জানুয়ারি যে নতুন সরকার গঠন করেন আজ তার ১০০ তম দিন। এক কঠিনতম সময়ে তিনি এই সরকার গঠন করেছেন। কিছু বুদ্ধিজীবী নির্বাচনের আগে আগে নানান রকম কথাবার্তা বললেও সাধারণ মানুষ ঠিকই জানত যে, শেখ হাসিনাই আবার সরকার গঠন করবেন। কারণ তারা জানেন যে, শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই। সরকার গঠনের পরও কিন্তু তাকে কঠিনতম সময় পার করতে হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি সফলতা পাচ্ছেন। এজন্য একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমিও মনে করি যে, দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই।
বারো বছর আগের কথা। ডেভিড ক্যামেরুন তখন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। সে সময় একদিন তিনি একটি হাসপাতালের ওয়ার্ডে ঢুকে পড়লেন। রোগীর অনুমতি সাপেক্ষে রোগীর সাথে ছবি তুলতে গেলেন। বাঁধ সাধলেন ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা একজন চিকিৎসক। জীবাণু প্রতিরোধের কোন পদক্ষেপ না নিয়ে এবং চিকিৎসকের অনুমতি ব্যতিরেকে তিনি ওই কাজটি করছিলেন। ডেভিড ক্যামেরুন তাঁর ভুল বুঝতে পেরেছিলেন সাথে সাথে। ক্ষমা চাইলেন এবং ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে গেলেন।
এখন টক অফ দ্য কান্ট্রি হচ্ছে প্রথম আলো বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। যদি প্রথম আলো কে বা কারা কিনবে সেটা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত না। তবে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান চাইবেন কোথায় গেলে তার চাকরির নিশ্চয়তা থাকবে। সেভাবেই তিনি বিক্রি করার চেষ্টা করবেন। প্রথম আলো বিক্রির বিষয়টির পাশাপাশি একই রকম আরেকটি প্রশ্ন সামনে আসছে। আর সেটা হলো প্রথম আলোর পরে কে? তাহলে কি প্রথম আলোর পরে ডেইলি স্টার? তবে এটা নির্ভর করবে প্রথম আলোর কি ভাগ্য হয় তার ওপর